আমার বাংলা ব্লগ। ঘরোয়া চিকেন বিরানি। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
ঘরোয়া চিকেন বিরানি।
হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা চেষ্টা করি দিনশেষে নিজেকে একটু সতেজ রাখতে। এবং কি নিজের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে। আর সে খাদ্যের তালিকায় ভিন্ন সময়ে ভিন্ন স্বাদের উপস্থিতি সবাই আশা করি। আর সেই ভিন্ন স্বাদের উপস্থিতি আশা করার মাঝে জেগে উঠলো বিরানি খাওয়া। তাই দেরি না করে তৈরি করলাম চিকেন বিরানি। যদিও বাড়তি কোনো উপকরণ ছিল না। ঘরে যাই ছিল তা দিয়েই তৈরি করে ফেললাম চিকেন বিরানি।
যদিও এটা তৈরি করেছিলাম প্রায় সপ্তাহখানেক আগে। নিজের ব্যস্ততা মায়ের অসুস্থতার সব মিলিয়ে আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে না পারায় পোস্ট করতে দেরি হয়েছে। তার পরেও চিন্তা করলাম দেরি হয়েছে তো কি হয়েছে আমার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করি। তাই আবারও ছুটে এলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, চলুন ঘুরে আসি রান্নাঘর থেকে।
ঘরোয়া চিকেন বিরানি রেসিপি উপকরণ।
- পাকিস্তানি মুরগির ১কেজি ৫০০ গ্ৰাম।
- ইন্ডিয়ান বাসপতি চাল ১ কেজি।
- চিকেন বিরিয়ানির মসলা প্যাকেট।
- পেঁয়াজ কুচি চার-পাঁচটা।
- আস্ত কাঁচা মরিচ আট-দশটা।
- আদা বাটা ১চা চামচ।
- রসুন বাটা ১চা চামচ।
- এলাচি, গোলমরিচ, লং, দারচিনি, তেজপাতা পরিমাণ মতো।
- গোলাপজল পরিমাণ মতো।
- লবণ পরিমাণ মত।
- সয়াবিন তেল ২০০ গ্রাম।
- টক দই পরিবার মত।
- গোল আলু দুইটি।
ধাপ - ১
চুলায় কড়াই বসিয়ে পরিবার মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২
তেল গরম হওয়ার পর লবণ দিয়ে মেখে রাখা মুরগির মাংসগুলোকে ভাজার জন্য ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৩
মুরগির মাংসগুলো ভাজা হয়ে গেলে উঠিয়ে আলাদা পাত্রে রেখে দিলাম। তারপর ওই তেলগুলোর মধ্যে গোল আলু গুলো ভেজে নিলাম।
ধাপ - ৪
তারপর কড়াই পরিবর্তন না করেই সেখানে ভেজে নিলাম পেঁয়াজ কুচি। তবে কড়াই পরিবর্তন করে অথবা ধুয়ে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। কড়াইতে মসলা পুড়ে গেলে কালারটা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।
ধাপ - ৫
এখানে ভাজা মুরগির মাংসগুলোকে পেঁয়াজ বাজার উপরে ছেড়ে দিলাম। ভালো করে নেড়েচেড়ে নেব।
ধাপ - ৬
এখানে প্রয়োজনীয় সব মশলা দিয়ে দিলাম। মসলাগুলোর সাথে মুরগির মাংসগুলোকে ভালো করে কষিয়ে নেব।
ধাপ - ৭
দুই কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে নেড়েচেড়ে দিয়ে দিলাম ভাজা গোল আলু গুলো।
ধাপ - ৮
এখানে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো টক দই। টক দই দেওয়ার পর লালচে কালার টা অনেকটা কমে যায়।
ধাপ - ৯
চিকেন বিরানি জন্য আমার চিকেন রান্না সম্পূর্ণ হয়ে গেল।
ধাপ - ১০
এখন আমি বড় দেখে একটা পাতিল নিয়ে নিলাম। সেখানে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল। তার মধ্যেও ছেড়ে দিলাম পেঁয়াজকুচি। পেঁয়াজ কুচিগুলো বাদামি কালার করে ভেজে নেব।
ধাপ - ১১
এখন পেঁয়াজ কুচি গুলোর উপরে গরম মসলা আদা বাটা রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে ভেজে নেব তারপর বাসপতি চাল গুলো ভাঁজতে হবে।
ধাপ - ১২
সবগুলো মসলা ভাজা হয়ে যাওয়ার পর চাউল গুলো দিয়ে দিলাম এবং ভালো করে চাউল গুলো ভেজে নিলাম।
ধাপ - ১৩
চাল গুলো ভালো করে ভাজা হয়ে যাওয়ার পর চাউলের উপরে মাংসগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৪
চাউল গুলো মাংসের সাথে ভালো করে সিদ্ধ হওয়ার জন্য দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো পানি।
ধাপ - ১৫
পানি অনেকটা কমে গেছে বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না এখন আমি দমে দিয়ে দেব।
ধাপ - ১৬
দোম থেকে উঠিয়ে দিয়ে চাপ দিয়ে দেখলাম আমার চিকেন বিরানি হয়েছে কিনা। যখন সম্পূর্ণ হয়ে যায় তখন পঞ্চের মতো একটা ভাব দেখা যায়, চাপ দিলে আবার ফুলে উঠে যায়। সম্পূর্ণ হয়ে গেলো আমার চিকেন বিরানি।
পরিবেশন।
সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল আমার চিকেন বিরানি। তাই নিজের মতো করে সাজিয়ে নিলাম।
চিকেন বিরানি সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর একটা সেলফি না দিলে কেমন হয়। তাই জটপট তুলে নিলাম একটা সেলফি।
দোয়া করি আল্লাহ যাতে আপনার আম্মাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এরকম বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি অথবা বিরিয়ানি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করার ধাপগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি বিরানি বেশ ভালো লাগে। আর গরমের অনুভূতিটা তেমন একটা হয় না।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি বলতে পরিবারে যদি মা অসুস্থ থাকে তাহলে আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা সবকিছু কেমন যেন অন্ধকার আর ঝাপসা মনে হয়। যাইহোক আপনি কয়েক সপ্তাহ আগে চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি রান্না করেছিলেন আজ সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মজাদার এই রেসিপিটি দুপুরবেলা দেখে জিভে জল এসে গেল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন অমূল্য সম্পদ মা যদি অসুস্থ থাকে কিছুই ভালো লাগেনা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আরে বাহ! আপনি দেখি খুব দারুণ বিরানি তৈরি করতে পারেন, দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। যদিও একটু আশ্চর্য হয়েছি কারণ বাজার থেকে কোন কিছু না জোগাড় করেই বাসায় যা ছিল তাই নিয়ে আপনি বিরানি তৈরি করে ফেললেন। তাহলে তো মনে হয় আপনার যখনই মন চাইবে তখনই বিরানি তৈরি করে খেতে পারবেন। যাইহোক আপনার বিরানী দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না যদিও আমি বিরানি একটু কমই খাই। তবে আপনি বিরানী রান্না করে খেয়ে নিবেন আমাদেরকে একটু খবরও দিলেন না, একা একা খেয়ে নিশ্চয়ই খুব একটা মজা লাগেনি?
আসলে অনেক মজা হয়েছিল। তবে একা একা খেতে তো আর ভালো লাগেনা, সবাইকে নিয়ে খেয়েছি। শুধু আপনি ছিলেন না। উৎসাহ দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন বিরানি তৈরি করে খেতে যে কি ভালো লাগে আপনি তো জানেন ভাই আপনাকে আর বলা লাগবে না। কিছুদিন আগে আমরা চারজন বন্ধু মিলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকেন বিরানি তৈরি করে খেয়েছিলাম আসলেই খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। দেখলাম আপনি ব্রানের ভিতর আলু দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা শুধু গোষ দিয়ে রান্না করেছিলাম। মনে হয় আলু দিলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। আলু দিয়ে খেতে কেমন লাগে জানাবেন ভাই পরে রান্না করে খেয়ে দেখব কেমন লাগে।
আপনি বিরানীতে যত একটা বাড়তি উপকরণ যোগ করবেন ততই স্বাদের পরিমাণটা বেড়ে যাবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য, সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
ভাই এমন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন এই নিম্নচাপের মধ্যে কোথাও যেতে পারছি না আবার এই ধরনের খাবার দেখলে তো মাথা ঠিক থাকবে না ।চিকেন বিরিয়ানি যেটা আমার খুবই ফেভারিট অনেক ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন পুরো বাংলাদেশের মানুষ খুবই ভয়ভৃতের মধ্যে জীবন যাপন করছে। তবুও না খেয়ে তো আর থাকা যায় না। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি টাইটেলটি পড়তেই দিবে জল চলে আসলো আসলে এ ধরনের রেসিপি আমার খুবই ফেভারিট।।
ঘরোয়া পরিবেশে আপনি অল্প উপকরণ দিয়ে হলেও খুবই সুন্দরভাবে প্রস্তুত করেছেন আপনার প্রতি প্রণালী পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার রেসিপিটি খেতে যে খুব সুস্বাদু হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।।
ভাই এমন বৃষ্টির দিনে যদি এমন মজাদার রেসিপি খাওয়া যায় তাহলে যে কি আনন্দ লাগে মনের মধ্যে।।
একদম ঠিক বলেছেন বৃষ্টির মধ্যে এমন খাবার গুলো একটু বেশি মজা লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রথমে আপনার মায়ের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।আশা করি আপনার মা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সুন্দর করে চিকেন বিরিয়ানি রান্না করেছেন । বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে তাতে বিরিয়ানি দেখে আমার কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছে করছে।পাঠিয়ে দেন,,একা একা খেলে পেটে অসুখ হবে ।
অনেক আগেই খেয়ে ফেলেছিলাম, পোস্টটা একটু লেট করে করেছি তাই আর পেট ব্যথা করবে না। মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে খুব সুন্দর চিকেন বিরিয়ানি রান্না করেছেন।বিরিয়ানি খেতে তো খুব ভালো লাগে। আলু গুলো সুন্দর করে ভেজে নিয়েছেন।আমার কাছে বিরিয়ানির আলু খুব ভালো লাগে। পরিবেশন টাও অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার ভালো লাগাটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে সচরাচর আমরা সবাই পছন্দ করি নিত্যদিন নতুন নতুন রেসিপি।প্রতিদিন এক ধরনের খাবার কারোরই ভালো লাগে না। তবে আপনার চিকেন বিরানি টি কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। এর রান্নার পদ্ধতিটি ছিল চমৎকার। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে আপনার ঘরোয়া এই রেসিপিটি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসে সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।♥♥
আপনার মত একজন রাঁধুনি স্পেশালিস্ট এর প্রশংসা শুনে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু।