আমার বাংলা ব্লগ। পাখির প্রতি ভালোবাসা। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
পাখির প্রতি ভালোবাসা।
আমার পাখির প্রতি যেমন ভালোবাসা তেমনি আকর্ষণও অনেক বেশি। তাই অনেক কষ্ট করে এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। তাই ভাবলাম সপ্তাহের শুরুতেই বন্ধুদের সাথে ভালোবাসার কিছু মনের ভাব প্রকাশ করি, আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
পাখির প্রতি ভালোবাসা নিয়ে জীবনর কিছু কথা।
বর্তমানে বাস্তবতা খুব কঠিন, আর দ্রব্য মূল্যের বাজারে টিকে থাকা মানুষের জন্য প্রায় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যি কথা বলতে অনেক সময় নিজের কাছে জীবনের প্রতি অনীহা চলে আসে। কোন কিছুই ভালো লাগে না, ভালোবাসা, আদর, মায়া, মমতা, কারো প্রতি সহানুভূতি এককথায় নিজেকে একাকিত্ব তা নিয়ে ইচ্ছে করে পাখির মতো উড়ে বেড়ায় দেশ থেকে দেশান্তরে।
পাখির প্রতি ভালোবাসা সে আবার ছোট্টবেলা থেকেই। আর এই পাখি ধরা নিয়ে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে আমি অনেক শৈশবের স্মৃতি গল্প করেছিলাম। তাই মোটামুটি যারা আমার কাছের বন্ধু আমাকে জানেন এবং পুরাতন ব্লগার আছেন তারা অবশ্যই জানেন যে আমি পাখি কে কতটা ভালোবাসি। ঘুরেফিরে সেই পুরনো স্মৃতিতে চলে যায় মন। ইচ্ছে করে স্বাধীন মত পাখিদের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করি। পাঠকদের সাথে খেলাধুলা করি, পাখির ছানা দেখতে খুবই ভাল লাগে। আর এই জন্য কত মার খেয়েছি তার কোন হিসেব নেই। তবুও পাখির প্রতি ভালোবাসা এবং আকর্ষণ ছাড়তে পারিনি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে বেড়াই। স্বাধীন মতো ঘুরে বেড়ায় অট্টালিকা কিংবা প্রাসাদ এর কোনো প্রয়োজন নেই। এবং পরের দিনের জন্য অথবা বাকি জীবনের জন্য সঞ্চয় করতে হবে ঐরকম কোন চিন্তা ভাবনাও থাকে না। আসলে আল্লাহর কি অপরূপ সৃষ্টি কত হাজার রকমের মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার সৃষ্টির লীলা খেলা বুঝা বড় দায়। তৈরি করেছেন জীবজন্তু, পশুপাখি, হাজার হাজার রূপের। এদের প্রতি ভালোবাসা যেন কমতি থাকেনা, শুধু ভালোবাসা প্রতিদিন বেড়েই চলে। তাইতো আজকে আমার বাংলা ব্লগে আমার বন্ধুদের মাঝে পাখিদের নিয়ে কিছু কথা বলছি।
যেখানে নেই কোন হিংসা, নেই কোন ক্রোধ, আছে শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা। সারাদিন কিচিরমিচির ডাক সন্ধ্যে হলে নীরবতা। আসলে ভাবতে গেলে খুবই অবাক লাগে তাদের মধ্যে নেই কোন বিশৃঙ্খলা। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আহরণ করে সন্ধ্যার আগেই নীড়ে ফিরে। তবে তাদেরও অনেক ভয় হয় মানুষকে দেখে। কারণ এখন মানুষ আর মানুষ নেই। আর প্রত্যেকটা মানুষ যেমন মানুষকে ভয় করে। তেমনি জীবজন্তু প্রতিটা মানুষকে ভয় করে। এখন আর পাখিরা ভালোবেসে কারো গায়ের উপর এসে বসে না। তবে যদি কেউ ভালোবেসে পোষ মানাতে পারে তাহলে হয়তো কাছে থাকে হাতের উপরে বসে ভালবাসে নিজের মনের মত করে।
আমি আজকে যখন সকাল বেলায় বের হলাম তখন একটা বুলবুলি পাখি কে দেখে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম। ইচ্ছে হলো কিছু ফটোগ্রাফি করি, তবে পাখির ফটোগ্রাফি নেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যারা আমার বাংলা ব্লগে পাখিদের নিয়ে পোস্ট করেন তারা অবশ্যই জানেন। তবুও অনেক কষ্ট করে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। পাখিটাকে দেখতে দেখতে কখন যানি তার প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হয়ে গেলাম আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। অনেক গুলো ছবি তুলে ছিলাম। আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম।
চলুন এক পলক দেখে নেওয়া যাক।
এ পাখিটাকে আমরা ভুলভুলি বলে থাকি। এর মাথায় একটা জুটি আছে। আর লেজের নিচের অংশটা লাল, অনেকটা ডিম লাইটের মত একেবারেই টকটকে লাল। আর পুরো শরীরের পাখাগুলো বাদামী রঙের হয়ে থাকে।
পাখিটাকে দেখে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে কিছু ছবি তুলে নিলাম।
পাখিটা এই ডাল থেকে ও ডাল, ও ডাল থেকে এই ডাল উড়ে বেড়াচ্ছে। আমার কাছে দেখতে বেশ ভালোই লাগছে আর আমিও ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছি।
এতো অপেক্ষার পরেও মনের মত ছবি তুলে নিতে পারলাম না। পাখি তো একটু ভয়ে ভয়ে আছে এবং এই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমারও চেষ্টার কমতি ছিল না। আমি হাল ছাড়ছি না আমিও একটার পর একটা ছবি তুলে যাচ্ছি।
হঠাৎ লক্ষ্য করলাম পাখি টি আমার মাথার উপর সমান একটি গাছে এসে বসলো, একেবারে চুপচাপ বসে আছে। কিন্তু কারনটা কি সেটা আমি বুঝে উঠতে পারছিনা। আর আমার মনে কৌতুহল জাগলো এতে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে।
হঠাৎ করে দেখি পাখিটা উধাও, ওখানে আর নেই। আমি গাছের চারপাশে কিছুক্ষন ঘুরলাম কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। উড়ে যেত ও দেখিনি। পরে গাছের ভিতর হাত দিয়ে গাছের পাতা সরাতেই দেখি পাখি বাসায় থেকে পুরুৎ করে উড়ে গেল। আর পাখিটা সেখানে ডিম পেড়েছে তিন টি।
পাখিটার বাসায় তিনটি ডিম দেখতে পেলাম এবং ডিম গুলো এত সুন্দর লাগছে মনে হয় যেন নিদারুণ কারুকাজ। নিজের মতো করে ফটোগ্রাফি করলাম, আর দেখলাম এত সুন্দর করে খড়কুটো দিয়ে বাসা তৈরি করেছে। যতই বৃষ্টি হোক না কেন এখানে বৃষ্টি পড়ার মতো কোন চান্স নেই। তখন চিন্তায় বিভোর হয়ে গেলাম আল্লাহর কি অপরূপ সৃষ্টি আর লীলাখেলা। অথচ পাখিটা চাইলে অনেক উঁচুতে বাসা বাঁধতে পারত, কিন্তু একেবারেই মাথার উপর ছোট্ট একটা গাছে বাসা বেধেছে। বিষয়টা আমার কাছে খুবই অবাক লাগছিল।
শালিক পাখি দুটো বেশ আনন্দেই আছে। নেচে নেচে আহার ভোজন করছে, দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগছিল তবে একটু ভয় পাচ্ছে।
এখান থেকে একটা শালিক উড়ে গেছে আর এই শালিক টা তো একটু ভয়ে ভয়ে আছে, তবে উড়ে যাওয়ার উপক্রম।
আসলে পাখিরাও বুঝে কার কাছ থেকে বিপদ আসার সম্ভাবনা আর কোথায় তারা নিরাপদ। পাখির ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরার বিকল্প নেই। পাখির ডিমগুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য
ভাইয়া আমার কাছে কোন ডিএসএলআর নেই। হেন্ড সেট ব্যবহার করি। তবে আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পাখির প্রতি ভালবাসা দেখে আসলে আমি মুগ্ধ ভাই। আপনি খুব সুন্দর করে এই পাখির বাসার এবং ডিমের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর আপনার মত আমারও ইচ্ছে হয় যদি আমি পাখি হতাম বিভিন্ন দেশে আসলে পাখা দিয়ে ঘুরে বেড়াতাম খুবই ভালো লাগছে আপনার এই লেখাগুলো অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে খুবই আনন্দ অনুভব করছি এবং আপনার এই উৎসাহ আপনাদেরকে আরও নতুন কিছু উপহার দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আপনার পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি অভিভূত হলাম সত্যিই ছোটবেলা থেকে আপনি যে রকম ভাববে পাখিকে ভালোবেসে আসছেন তা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।এবং এত কষ্ট করে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ♥♥
আপু আপনাদের ভালোবাসা অনুপ্রেরণা আমাকে নতুন কিছু করার উত্সাহ জুগিয়ে দেয়। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
পাখি হলো আমাদের সমাজের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আপনার পাখির প্রতি ভালবাসা দেখে আমি খুবই আনন্দিত আপনি ঠিক বলেছেন আপনার মত আমিও মাঝে মাঝে অনেক একাকীত্ব অনুভব করি মনে হয় যে পাখির মত উড়ে যায়। পাখির ডিম গুলো দেখে ছোটবেলার কথা অনেক মনে পড়ছিল। আপনার পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি ভাই ❤️
ঠিকই বলেছেন ভাই একাকীত্বটা আমাদেরকে অনেক সময় অনেক দূরে নিয়ে চলে যায়। আর আপনাকে ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার মত আমারও পাখির প্রতি ভালোবাসা বেশি ছোটবেলা থেকেই। ছোটবেলা থেকেই আমি পাখির সাথে খেলা করতো। আমাদের বাসা কবুতর ছিল আমি কবুতরকে নিয়মিত খাবার দিচ্ছিলাম । বর্তমানে বাজারে যে অবস্থা মানুষ চলতে পারতেছি না সেখানে পাখির আর কেউ খোঁজ নিতে যাচ্ছে না কিন্তু আপনার ভালোবাসা দেখে খুব ভালো লাগলো। তবে এই শালিক পাখি গুলো আর দেখা যায় না। দেশ থেকে অনেক পরিচিত বাকি গুলো বিলুপ্তের পথে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
যেখানেই যাই না কেন পাখির প্রতি ভালোবাসা আমার কমবে না। কারণ আমার বাসার ব্যালকনিতে এখনো অনেকগুলো কবুতর আছে। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করে উৎসাহ দিয়েছেন। আপনারও পাখির প্রতি ভালোবাসা আছে জেনে খুশি হলাম, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পাখি পালন করতে পাখিদের খাবার দিতে অভয়াশ্রম প্রস্তুত করতে আমার খুবই ভালো লাগে আমাদের একটা টিম ছিলো আমড়া গাছে গাছে পাখিদের অভয়াশ্রমের জন্য খুঁটি বেঁধে দিতাম আপনার আজকের কাজটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া আমিও আপনার মতই করতাম। তবে আপনার উৎসাহ আমাকে অনেক আনন্দিত করেছে। আপনার মত বিশ্বাস আর ভালোবাসা প্রতিটি মানুষেরই থাকা উচিত।
আপনার পাখির প্রতি এতটা ভালোবাসা দেখলে সত্যিই অবাক হলাম। আপনি তো প্রায় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তুলে ধরেছেন। একটা কথা ঠিকই বলেছেন যদি পাখি হতাম তাহলে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতাম। তাছাড়া মানুষের মতো পাখিদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ এইরকম কিছুই মনে হয় নেই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ছিল। আর লেখা গুলো খুবই ভালো লেগেছে।
আপু আপনাদের এই ভালোবাসা ভালো লাগাটাই আমাকে অনেক উৎসাহ এবং আনন্দ দেয়। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
পাখির প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা। প্রতিদিন সকালে আমার রুমের জানালার পাশে একটি পাখি আসে যত সময় আমি জানালা না খুলবো ততসময় সে ডাকতে থাকে। এই বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেকটা পাখিটার সাথে আমার ভাব হয়ে গেছে মনে হয় পাখিটি না ডাকলে হয়তোবা আমার ঘুমই ভাঙ্গে না। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো খুবই ভাগ্যবান মানুষ। পাখির ডাকে আপনার ঘুম ভাঙ্গে। পাখির সাথে আপনার বন্ধুত্ব জেনে খুবই ভালো লাগলো। তবে আমিও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমার কবুতর গুলোকে না দেখলে আমার ভালো লাগে না। ডিউটিতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার দেখবো, খাবার দিয়ে তারপরে ডিউটিতে যাব। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার এই পোস্ট আমার কাছে পুরা নতুন মনে হয়েছে। আপনার এই পোস্টটা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো ভাই। বলতে গেলে একপ্রকার পাখির প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমিও ভাই পাখিকে প্রচুর ভালবাসি তাদের সাথে আমার একটা ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠেছে।পাখির বাসার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। তথাপি শালিক পাখির ফটোগ্রাফি ও তুলে ধরেছেন আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো।
আসলে ভাইয়া আমি চাইলে শালিক পাখি এবং কি বুলবুলি পাখির দুটি পোস্ট করতে পারতাম। তবে আমি এক জায়গায় নিয়ে এসেছি যেহেতু পিখি নিয়েই পোস্ট করেছি। আপনার পাখির প্রতি ভালোবাসা আছে এটা আমি জানি। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।