আমার বাংলা ব্লগ। শীতের তীব্রতায় বিকল্প 🔥 আগুন। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলুন আর দেরি না করে যাওয়া যাক আজকের মূলপর্বে।
ফটোগ্রাফি - ১
 |
|---|
শীতের উষ্ণতায়, কমল শীতলতায়, কাঁপিয়ে দিচ্ছে শরীরের হাড়, তাই আজ এই শীতকে কেন্দ্র করে আমার এই পোষ্ট এবং ফটোগ্রাফি।
সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আরও কিছু ফটোগ্রাফি। আর আমি ফটোগ্রাফি গুলো একই স্থান থেকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে নিয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে মুহূর্তটি।
কিছু কথা।
কিছু কথা না বললেই নয়, আর যে কথাগুলো প্রকাশ না করতে পারলে নিজের মনের ভিতর শুধু সারাক্ষণ ঘুরপাক খায়। আর নিজেকে এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে থাকে। তাই আজকে আপনাদের সাথে কথা গুলো শেয়ার করছি।
গতকালকে ডিসকোডে যখন দাদার সাথে এবং আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা পকথন হচ্ছিল। তখনই হঠাৎ দাদার আগমন দাদার সাথে বেশ কিছুক্ষণ সবাই মজা করছি এবং দাদাও খুব মজা করছে। আর ডিসকোডে দাদার আগমন মানেই তো বুঝেন মনে হয় যেন ঝড় তুফান শুরু হয়ে যায়। আমিও মজা করছি, পরবর্তীতে দাদা চলে গেল আমিও কিছুক্ষণ পর চলে আসলাম ডিসকোড থেকে। এরপরে আমার প্রায় অফিস ছুটির সময় হয়ে গেছে। সময়মতো অফিস ছুটি হয়ে গেল আমি বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়েছি আনুমানিক আট টার দিকে।
তখন বাসায় যাওয়ার পর আমার বাসায় মেহমান আসছিলো আমার শালক। তাকে নিয়ে গেলাম মার্কেটে মার্কেট করে দেওয়ার জন্য, তবে আমাদের বাংলাদেশে তখন উষ্ণ পরিবেশটা খুবই ভালো ছিল এবং বেশি ঠান্ডাও না আবার গরমও না। রিকশায় উঠলাম ছোট ভাইকে নিয়ে এবং মার্কেটের সামনে গিয়ে পৌঁছলাম। এমন সময় বৃষ্টি সত্যি আমাকে অবাক করে দিয়েছিল এবং তখন আমি আমার ডিসকোডের এর একটা আপুর সাথে কথা বলছিলাম যে আপু আপনি পার্সেল করে বৃষ্টিটা পাঠিয়ে দিন এবং দাদার সাথে খুব মজা করেছিলাম। যখন বৃষ্টিতে আমার উপরে পড়েছে তখন আমার মন বৃষ্টির দিকে নেই তখন আমার মন দাদা এবং কি জেরিন আপুর কথা স্মরণ করিয়ে দিল বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক ছিল।
রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে গেলাম না বলতেই বৃষ্টি। যাইহোক ছোট ভাইকে নিয়ে মার্কেটের ভিতরে প্রবেশ করলাম তাড়াহুড়ো করে মার্কেট টার্গেট করে চলে আসলাম। দুর্ভাগ্যবশত বৃষ্টি এবং কি তাড়াহুড়ার কারণে আমার ফটোগ্রাফি করার কথা টোটালি স্মরণ ছিল না। বুঝতে পারছেন হঠাৎ যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তখন যে কাজটা করার কথা ছিল সেটাও করা হয় না। মনে না থাকার কারণে আমার বেলায়ও তাই হয়েছে।
যাই হোক আজকে সারাদিন বৃষ্টি নেইই আবার সূর্যের দেখাও নেই। আমার মনে হয় পুরো বাংলাদেশে কুয়াশার চাদরে ডাকা ছিল। বাংলাদেশে আমি যেখানে থাকি ঢাকা শ্যামপুর এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি, তবে বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চলে মিলেছে কিনা আমি তা জানি না। তাই আজকে ঠান্ডার পরিমাণ একটু বেশি তাই বন্ধুদের কে নিয়ে মেশিন শপে বসে শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল। তাই চিন্তা করলাম এই বিষয়গুলো আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি হয়তো ভালো লাগবে। যে চিন্তা সেই কাজ তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আজকের শীত নিবারণের জন্য আগুন জালানো মুহূর্তটি। আশা করি সবাই উপভোগ করবেন।
ফটোগ্রাফি - ২
 |
|---|
আমি ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম বিকেল পাঁচটায়, বুঝতেই পারছেন বিকাল পাঁচটায় এভাবে আগুন জালানো মানে কি পরিমাণ ঠান্ডা ছিল। আর একটা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন সে হচ্ছে এই মেশিন শপ এর একজন মিস্ত্রি নাম হচ্ছে কৃষ্ণ।
ফটোগ্রাফি - ৩
 |
|---|
কৃষ্ণর সাথে আছে আরও একজন মেশিন শপ এর মিস্ত্রি বাট ওনি একজন ফোরম্যান, নাম হচ্ছে সুধীর বাবু আমার বন্ধু। যদিও বয়সে আমার অনেক সিনিয়র কিন্তু কর্মক্ষেত্রের আমি তাদের সিনিয়র।
ফটোগ্রাফি - ৪
 |
|---|
শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বেলেছে দেখে আমিও গেলাম এবং তাদের সাথে আমার মুঠো ফোনের ক্যামেরায় তাদেরকে বন্দি করে নিলাম হাস্যজ্জ্বল একটা ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি - ৫
 |
|---|
সুধীর দা আগুনটাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে যাতে আগুন টা আরো বেশি করে জ্বলে ওঠে। মুহূর্তটি আমার কাছে আকর্ষণীয় লাগছে তাই ফটোগ্রাফি টা নিলাম। আর যেগুলো দিয়ে আগুন জ্বলছে এগুলা কোন কাঠ বা খড় কুটো নয় এগুলো হচ্ছে আমার রোলিং মিলের ফাইবার। ফাইবার গুলা দীর্ঘসময় ধরে জলে। এবং একবার জলিয়ে দিলে কয়লাতে আগুন থাকে প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা।
ফটোগ্রাফি - ৬
 |
|---|
আগুন পোহাতে পোহাতে চা পানের একটা দৃশ্য। তাই ফটোগ্রাফি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ফটোগ্রাফি - ৭
 |
|---|
এ ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন আগুনের তাপমাত্রা এত বেশি ছিল যে কাছে যাওয়ার মতো নয় আবার বাহিরে গেলে ঠাণ্ডা লাগছে। তাই আগুনের পাশে দাড়িয়ে রয়েছে আর আমিও উপভোগ করা অবস্থায় সেলফিটা নিলাম।
শীতের তীব্রতায় বিকল্প আগুন, আশা করি আমার এই আনন্দঘন সময়টুকু আপনাদের ভালো লাগবে। এবং ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই অবশ্যই জানাবেন। এবং সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
শীতের সময় মিষ্টি রোদ কিংবা আগুন জ্বালিয়ে গরম পোহালে খুব একটা মন্দ হয় না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার আজকের এই আনন্দঘন মুহুর্তটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আপনাদের হাস্যজ্জল ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।ভাই আপনি অসাধারণ এবং দারুন কমেন্ট করেন। তবে আপনি ঠিক বলেছেন মিষ্টি রোদ অথবা আগুন পোহালে খুব ভালোই লাগে। আপনার কমেন্টটি বরাবরই আমাকে খুবই আনন্দিত করে এবং কাজের আগ্রহ বেড়ে যায়। এত সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।