আমার বাংলা ব্লগ। আমার সখের কবুতরের বাচ্চা। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
ষ্টিম ব্লকচেইন এবং "আমার বাংলা ব্লগের" সকল বন্ধুকে জানাই আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ার বরকতে ভালো আছি। 'আমার বাংলা ব্লগে" এসে আমি আমার নিজেকে চিনতে শিখেছি। 'আমার বাংলা ব্লগের" এডমিন প্যানেলের আমাদের মডারেটরগণ এবং রামি দাদা কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের আমার আলোচ্য বিষয়।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক আজকের মুল পর্বে।
আমার শখের কবুতরের বাচ্চা
আজকের বিষয় শখের কবুতর। আমার পোষা কবুতর নিয়ে আজকে একটা পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। আর সেখানে আপনাদের কে দেখানোর চেষ্টা করব ডিম থেকে পরিপূর্ণ বাচ্চা হতে কতদিন সময় লাগে এবং কিভাবে হয়।
২০দিনের বাচ্চা।
কবুতরের বাচ্চা হাতে নিয়ে একটা ছবি নিলাম। আর এই বাচ্চাগুলো হলো গিরিবাজ কবুতরের। গিরিবাজ কবুতর দেখতে ছোট খাটো খুবই সুন্দর এবং কি এই কবুতরগুলো অনেক বেশি উড়ে।
ডিম পাড়ার ১ম দিন।
সাধারণত ভাল জাতের কবুতর গুলো এক সপ্তাহ ১০ দিনের মাথায় ডিম পাড়ে। এই ডিম ফুটতে ১৮ দিন সময় লাগে। আর প্রথম যেদিন ডিম দেয় এর পরে একদিন গ্যাপ দিয়ে এর পরের দিন অর্থাৎ তৃতীয় দিন আর একটি ডিম পাড়ে।
বাচ্চা ফুটানোর ২য় দিন।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুটো ছোট ছোট বাচ্চা। আর এই বাচ্চাগুলো দুইদিনের। একটার একদিন বয়স, আরেকটা দুই দিন বয়সে, অর্থাৎ একদিন আগে একটা ফুটছে, একদিন পর একটা ফুটছে।
বয়স ৩/৪ দিন।
তিন চার দিন পর বাচ্চাগুলো অনেকটা সতেজ হয়ে যায়। বাচ্চা দুটো সুস্বাস্থ্যবান হয়েছে দেখতে খুবই ভালো লাগছে।
৫ /৬ দিন বয়স।
এক ৫/৬ দিন পর আমি যখন ছবি তুলতে যাই তখন কবুতরটি ডানা দিয়ে আমাকে বাড়ি মারছে। যাতে বাচ্চার গায়ে হাত না দিতে পারি।
বাচ্চার বয়স ৯/১০দিন।
এখানে বাচ্চাগুলো আরেকটু বড় হয়েছে এবং একটু স্বাস্থবান হয়েছে। এখন বাচ্চাগুলোর বয়স চলতেছে নয় দশ দিন।
বাচ্চার বয়স ১৪/১৫দিন।
১৪/১৫ দিনের মাথায় বাচ্চাগুলোর গায়ে পর উঠতে শুরু করেছে। ডানাতেও পাখা গজানো শুরু হয়ে গেছে।
১৯/২০ দিন বাচ্চার বয়স।
এখন কবুতরের বাচ্চা গুলোর পুরো শরীর পশমে ঢেকে গেছে। আর এই বাচ্চাগুলোর বয়স চলতেছে ১৯ থেকে ২০ দিন । আর এই বাচ্চাগুলোর একমাস পাঁচ দশ দিনের মধ্যে উড়তে শিখবে। ১৯/২০ দিন বয়সে পাকার পালকগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। এখনো হাতে নিলে উঠতে চেষ্টা করে বুঝতেই পারছেন কবুতরের বাচ্চা ফুটার দিন থেকে শুরু করে এক মাস বয়সের ভিতরে উঠতে শিখে।
আমি প্রায় ৩৮ দিন অপেক্ষা করার পর এই পোস্টটি আপনাদের উপহার দিতে পারছি। কবুতর ডিম পাড়া থেকে শুরু করে বাচ্চা ফুটানো পর্যন্ত এবং কি বাচ্চা 20 দিন বয়স পর্যন্ত ৩৮ দিন সময় লেগেছে আমার। অনেক অপেক্ষার পর আপনাদের সাথে আমি কবুতরের ডিম পাড়া থেকে শুরু করে বাচ্চা ফুটানোর পর্যন্ত দেখানোর জন্য অপেক্ষা করেছিলাম । বিষয়টি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টের মধ্যে জানাবেন। ভাল - মন্দ কমেন্টের মাধ্যেমে জানাবেন। চেষ্টা করব নিজের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার।
আজ এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি।
আল্লাহ হাফেজ।
আমি রবিউল হোসাইন। ইউজারনেম @robiul., "আমার বাংলা ব্লগে" এসে আমি নিজের মেধা বিকাশের সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম মনে করছি। আমি একজন বাঙালি। আমি নিজের ব্যক্তিস্বাধীনতার চলতে পছন্দ করি। আমি বাংলায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি । আমি জার্নিং করতে ভালোবাসি, খেলাধুলা করতে ভালোবাসি, রান্নাবান্না, ফটোগ্রাফি, আমার বাংলা ব্লগে আসার আগেই অংকন, কারুকাজ, এগুলো করার কখনোই ইচ্ছে ছিল না বা করি নাই। আমার বাংলা ব্লগে আসার পর আমি এখন নিয়মিত
অংকণ করার চেষ্টা করছি এবং আমি নিত্য নতুন জিনিস তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি>>>
কবুতরের জীবন কাহিনী নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। কবুতরের বাচ্চা কীভাবে বেড়ে ওঠে তা ছবির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন আমাদেরকে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
সত্যি ভাইয়া কবুতর আমার আব্বু ছোটবেলা থেকেই পুশে। একদিন অনেক কবুতর কিনে আনছিল এবং ঘর তৈরি করছিল দুইটা এবং কেন জানি এমন একটা রোগ আসলো প্রায় মারা গেল এবং সব বিক্রি করে দিলাম।এখন কিছু আছে। এক সখের একটা জিনিস খুবই ভালো লাগে এবং আপনার কবুতরগুলো অনেক সুন্দর এবং কবুতর অনেক ভালো লাগে। কবুতরের যখন বাচ্চা হয় এবং আসলেই খুব ভাল ছিল আপনার পরিবেশনা এবং দেখতে খুবই ভালো লাগছে। খুবই শখের একটি জিনিস কবুতর।
আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার বাবা অনেক কবুতর এনেছিল এবং কি পুষেছিলেন কিন্তু অনেকগুলো কবুতর মারা গেছে এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আমরা জানি কবুতর ভালবাসার একটা নিদর্শন। কবুতর এমন একটা প্রাণী যে একটা অসুস্থ হলে সবগুলো কবুতর একই সাথে মারা যায়। কবুতরের প্রতি অনেক যত্নশীল হওয়া জরুরী। আবারো ধন্যবাদ ভাইয়া।
😇😇♥️
আমি কখনই কবুতর এর বাচ্চা নিয়ে এতো কিছু দেখিনি অথবা আমি এর আগে কোনোদিন ও কবুতর নিয়ে এতো কিছু জানতাম না।শুধুমাত্র আপনার পোস্ট পড়েই আজকে কবুতর আর কবুতর এর বাচ্চা নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম।আপনি এই পোস্টটি করতে অনেকদিন সময় নিয়েছেন, এই ব্যাপারটি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনার ভাল লাগাই আমার সার্থকতা। আপনার ভালো লেগেছে এই কথা শুনে মনে আনন্দ পেলাম। এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কবুতর আমারও খুব পছন্দের ।একসময় অনেক কবুতর পালন করতাম তবে দুর্ভাগ্যবশত একদিন বেজি এসে সবগুলো কবুতর মেরে ফেলেছিল ।তারপর থেকে আর কবুতর পালা হয়নি ।আপনার পোষ্টটি দেখে আমার পুরোনো সেই কবুতর পালনের দিন মনে পড়ে গেল ।অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ভাই আপনার জন্য।
আপনাকে যে আমার এই পোস্টটি আপনার অতীত মনে করে দিতে পেরেছে এটাই আমার সার্থকতা। আর এত সুন্দর মন্তব্যে করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া কবুতরের বাবু গুলো এত্তো কিউট! খুব ভালো লাগলো দেখে আপনার কবুতর গুলো। আমিও আগে অনেক গুলো লালন পালন করেছি, পড়াশুনার জন্য পরে বিক্রি করে দিয়েছিলাম।
আপনার কথা শুনে খুবই বালো লাগলো আপনিও কবুতর পালন করেছেন। কবুতর পালন কথাটা যত সোজা কবুতর পালন করা কিন্তু ততো সোজা নয়। সন্তানের মত স্নেহ আদর ভালোবাসা দিয়ে কবুতর পালন করতে হয়। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে মুগ্ধ করেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কবুতরের ডিম পাড়া থেকে শুরু করে জন্ম হওয়া পর্যন্ত আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া