আমার বাংলা ব্লগ। সুস্বাদু পুলি পিঠা। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
চলুন এক পলক দেখে আসি পুলি পিঠা তৈরি।
সুস্বাদু পুলি পিঠা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারাও পিঠা খুব পছন্দ করেন। আর আমিও আপনাদের মাঝে একজন পিঠা প্রেমি। আর আমার পছন্দের পিঠের মধ্যে পুলি পিঠা অন্যতম। তাই আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হলাম পুলি পিঠা রেসিপি। আমাদের বাংলাদেশকে শীতকালের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তাই বলে গরম কিংবা বর্ষায় পিঠা খাওয়া হয়না তা তো নয়। সব সময় খাওয়া হয় নিজের পছন্দের প্রিয় পিঠাগুলো। তাই আমিও তৈরি করে ফেললাম সুস্বাধু পুলি পিঠা, মন বলে কথা। মন চাইছে পিঠা খাওয়ার জন্য, তাই বলে কি বসে থাকবো তা তো হয় না। তাই চিন্তা করলাম আমার বাংলা ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি, হয়তো আপনাদের ভালো লাগবে।
সুস্বাদু পুলি পিঠা।
সুস্বাদু পুলি পিঠার রেসিপি টি সম্পন্ন করে পরিবেশন করার আগে আমি একটা সেলফি নিলাম।
সুস্বাদু পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করার উপকরণ।
- চালের গুঁড়া এক কেজি পরিমাণ।
- চিনি পরিমাণমতো।
- নারিকেল একটি।
- তেজপাতা তিন চারটা।
- এলাচ চারটা।
- লবণ পরিমাণমতো।
- সয়াবিন তেল আধা কেজি।
ধাপ - ১
প্রথমে আমি চুলাই কড়াই বসালাম। অল্প পরিমাণ তেল দিয়ে পুলি পিঠার নারকেল গুলো ভেজে নিবো।
ধাপ - ২
এখানে আমি কড়াইতে পরিমান মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩
তেল গরম হওয়ার পর আমি দিয়ে দিলাম নারিকেল।
ধাপ - ৪
নারিকেলের উপরে চিনি এবং তেজপাতা এলাচ একসাথে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫
পুলি পিঠার জন্য আমার নারিকেল ভাজা হয়ে গেছে। এখন এই নারিকেল ভাজা গুলো উঠেয়ে আলাদা একটা পাত্রে রেখে দিবো, যাতে কিছুটা ঠান্ডা হয়।
ধাপ - ৬
এখন আমি চুলা একটা পাতিল বসালাম এবং পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭
পানি হালকা গরম হওয়ার পর, আমি সবগুলো চাউলের গুড়ো একসাথে দিয়ে দিলাম। এবং পুলি পিঠা তৈরি করার জন্য আমি আটার খামির তৈরি করে নেব।
ধাপ - ৮
তৈরি হয়ে গেল পুলি পিঠার আটার খামির।
ধাপ - ৯
এখন আমি একটা পিঠা বানিয়ে নিলাম সাইজ একটু বড় করে।
ধাপ - ১০
পুলি পিঠা তৈরি করতে গেলে ছোট করে সার্চ করে নিতে হয়। আমি ছোট করে কেটে সার্চ করে নারিকেল দিয়ে দিলাম পরিমাণমতো।
ধাপ - ১১
এখানে আমি বিভিন্ন ডিজাইন করে পিঠাগুলো তৈরী করে নিলাম। আপনারা চাইলে আপনাদের মনের মত করে ডিজাইন করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।
ধাপ - ১২
এখন আমি কড়াইতে আধাকেজি পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। এবং তেল গুলো ভালো করে হিট করে নিতে হবে। যত বেশি তেল গরম হবে পিঠা তত কম তেল টানবে।
ধাপ - ১৩
এখন আমি বানিয়ে রাখা পিঠাগুলো তেলে ছেড়ে দিচ্ছি। আমি ৩ টা দিলাম, আপনার কড়াই যদি বড় হয় আপনি আরো বেশি দিতে পারেন।
ধাপ - ১৪
পিঠার একপিঠ বাজা হয়ে গেছে, আরেক পিঠ বাজা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, হয়ে যাবে আমার পুলি পিঠা।
ধাপ - ১৫
সম্পন্ন তৈরি হয়ে গেল আমার পুলি পিঠা, এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আর আপনারা চাইলে একটা করে খেয়ে দেখতে পারেন, হাহাহা। খেতে ইয়ামি সেই মজা, যারা পিঠা প্রেমি তারা অবশ্যই এর স্বাদ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে।
ভাই আমার বাংলা ব্লগের প্রত্যেকটি মানুষই পিঠা প্রেমী ।শুধু আমার ব্লগ নয় যারা বাংলা ভাষাভাষী আছে সকলেই পিঠা প্রেমি।কারন পিঠার সাথে আমাদের সংস্কৃতির একটি সম্পর্ক রয়েছে।
ঠিকই বলেছেন পিঠার সাথে বাংলার সংস্কৃতি জড়িত, আর শিতে পিঠা উৎসব জমেজায়। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে সুস্বাদু পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন ।আপনার এই সুস্বাদু পুলি পিঠা রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল ।তেলের পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তেলে ভাজা পিঠা এমনিতেই কম খাই। পুলি পিঠা একটু বেশি পছন্দ করি। এছাড়া অন্য কোন পিঠা তেমন একটা খেতে পারিনা। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পুলি পিঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা পিঠা প্রস্তুত করা দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে ভারি মজা হয়েছিল মায়ের হাতে প্রস্তুত করা পুলি পিঠা অনেক বেশি যদিও এবার এখনো খাওয়া হয়নি
বাড়িতে গেলে আপনার আম্মুকে তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য বলবেন। শুভেচ্ছা রইল মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।
ওয়াও অনেক দিন পর পুলি পিঠা দেখলাম। আমার কাছে কিন্তু পুলি পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে পিঠা খাওয়ার সময় যখন নারিকেল গুলো মুখে যায় তখন খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর পুলি পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমারও তো খেতে ইচ্ছা করতেছে। আমাদের মাঝে এরকম সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার এইটা অনেক প্রিয় একটি পিঠা। আপনি ঠিকই বলেছেন যখন পুলি পিঠা নারিকেল মুখে যায় তখন সেই একটা মজা লাগে। কাঙ্খিত মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার তৈরি করা পুলি পিঠা দুপুরে খিদের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে আর সাথে চমৎকার উপস্থাপনা সত্যিই প্রশংসনীয়।
দোয়া রইল 🥀
আপনি চলে আসেন তৈরি করে আবার খাওবো, সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাই শীত এর সময়ে আমাদের দেশে পিঠা বেশি তৈরি হয়। এই পুলি পিঠা আমার খুব পছন্দের একটি পিঠা। বলতে গেলে সবচাইতে পছন্দের পিঠা। ধন্যবাদ এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি এতটাই পছন্দ করেন জেনে খুবই খুশি হলাম, শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি।
এই পিঠটা আমার কাছে খুবই পছন্দের। শ্বশুর বাড়িতে গেলে এই পিঠটা খাওয়া হয়। খুব ভালো লাগে খেতে। আপনি খুবই সুস্বাদু করে পিঠাটি তৈরি করেছেন । দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে খুবই মজাদার হয়েছে। দেখে লোভ লেগে গেলো ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু ঠিক ই বলেছেন এটা খুবই লোভনীয় একটি পিঠা। আর আপনার কাঙ্খিত মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
পুলি পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আমাকে একটু দাওয়াত দিলেও পারতেন। আপনার পুলি পিঠার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দাওয়াত দিয়ে রাখলাম সুযোগ করে চলে আসবেন একসাথে মজা করে খাব, অভিনন্দন রইল।
এই পিঠা আমার কি যে ভালো লাগে তা মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই পিঠা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। যা দেখেই তো আমার মুখে জল চলে এসেছে। মনে হচ্ছে এখনই আমি খেয়ে ফেলি। এত সুন্দরভাবে পুলি পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একটু কন্ট্রোল করেন ভাইয়া। বাসায় তৈরি করে খেয়ে ফেলেন সব ঠিক হয়ে যাবে। শুভেচ্ছা রইল মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
পুলি পিঠা তো আমার খুবই পছন্দের কেননা এটা নারিকেল দিয়ে তৈরি করা হয়। নারিকেলের পিঠা খেতে খুবই মজা। আপনি খুব সহজে আমাদের মাঝে পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।