আমার বাংলা ব্লগ। ঘুরেফিরে খাওয়ার রেনডম ফটোগ্রাফি। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
মনের কিছু কথা।
দিনটি ছিল শুক্রবার আজ থেকে প্রায় আট দিন আগে মান গত ২১তাং আমি নদী ভ্রমণের একটা পোস্ট করেছিলাম এবং বলেছিলাম ধারাবাহিকভাবে আমি আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব আপনাদের সাথে। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকে সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আর ওই দিনটি ছিল ঘুড়ি উৎসবের এবং রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানোর পর যে যার বাড়ির ছাদে আলোকসজ্জা করেছিল সারারাত গান-বাজনা করবে খুবই ভালো লেগেছিল দৃশ্যগুলো তাই ফটোগ্রাফি গুলো নিলাম। ভাবলাম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। যেই চিন্তা সেই কাজ তাই আপনাদের মাঝে নিয়ে আসছি আমার আজকের ফটোগ্রাফি।
ঘুরেফিরে খাওয়ার রেনডম ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি - ১
![]() |
---|
বিকেল বেলায় আমার বন্ধু সুধীর বাবু ফোন করেছিল তার মন্দিরের সামনে যাওয়ার জন্য তাদের ওখানে গিয়ে দেখি খুব সুন্দর আলোকসজ্জা করেছে, আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে তাই ফটোগ্রাফি টা নিলাম।
ফটোগ্রাফি - ২
![]() |
---|
সন্ধের আলোকসজ্জার কারণে মন্দিরের ভিতরে পাতাবিহীন একটা গাছ দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল তাই ফটোগ্রাফি টা নেওয়া।
ফটোগ্রাফি - ৩
![]() |
---|
মন্দির থেকে রিকশায় করে পোস্তগোলা গেলাম আমার অন্য একটা বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি। এমন সময় সেখানে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি আলোকসজ্জা গুলো দেখে ফটোগ্রাফি টা নিলাম। কিন্তু চোখে ভেসে উঠল অন্যকিছু। আমাদের বাংলাদেশের পুলিশ এতটাই ভাল যে রাস্তায় জ্যাম লাগিয়ে টাকা উসুল করে নিচ্ছে মালবাহী ট্রাক থেকে। এ ঘৃণিত ব্যপারগুলো আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি কিন্তু এর কোন প্রতিকার নেই।
ফটোগ্রাফি - ৪
![]() |
---|
বন্ধু আসার পর সিএনজিতে উঠলাম এবং সিএনজি থাকা অবস্থায় একটা ফটোগ্রাফি নেওয়ার চেষ্টা করলাম। শুধু আলোকসজ্জায় দেখা যাচ্ছে রাতের বেলায় বুড়িগঙ্গা নদীর আলোকসজ্জা গুলো দেখে খুব আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে তো তাই ফটোগ্রাফি টা নিলাম।
ফটোগ্রাফি - ৫
![]() |
---|
##দোকান টির নাম ছিল ফাস্ট ফুড কর্ণার।
দোকানের সামনের ফটোগ্রাফি টা নিতে স্মরণ ছিল না এত বেশি খিদে লেগেছিল যা বলার বাহিরে। অবশেষে একটি ফাস্টফুডের দোকানে গিয়ে ঢুকলাম। পিজ্জা অর্ডার করলাম প্রায় ৩০ মিনিট বসিয়ে রাখার পর পিজ্জা নিয়ে আসলো। তাদের ফিরজা পরিবেশনের সিস্টেম একটু ভিন্ন রকম। তাই বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়া।
ফটোগ্রাফি - ৬
![]() |
---|
পরিবেশনের জন্য একটা কাঠের ডিক্স দিল এবং সেখানে আমাদেরকে পিজ্জা তৈরি করে দিল। পিজ্জাটি ছিল পাঁচ ইঞ্চি বাই পাঁচ ইঞ্চি।
ফটোগ্রাফি - ৭
![]() |
---|
পিজ্জাটি দুজনে দুই দিক থেকে দুই কোনা নিয়ে নিচ্ছে। খাওয়ার আগে খুব কনফিউজ ছিলাম যে আসলো কেমন হবে।
ফটোগ্রাফি - ৮
![]() |
---|
বন্ধুর খাওয়ার দৃশ্য এটি আমার কাছে অনেকটা ইমোজির মত লাগছিল তাই ফটোগ্রাফি টা নেওয়া। হাসতে হাসতে একপর্যায়ে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।
ফটোগ্রাফি - ৯
![]() |
---|
পিজ্জাটি যখন খেলাম তখন বুঝলাম আসলে অন্যরকম স্বাদ এত বেশি টেস্টি লাগছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না। এই পিজ্জাটির দাম নিয়েছিল আড়াইশো টাকা মাত্র।
আমার প্রিয় বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার ঘুরাফিরা খাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো। আশা করি ভালো লাগবে, এবং সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। ভালো মন্দ কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। আবারো ফিরে আসব আপনাদের মাঝে অন্য কিছু নিয়ে। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন
আল্লাহ হাফেজ।
রাতের কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন।খুব ভালো লাগলো।দুই বন্ধু মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন।খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
রাতের কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি দেখলাম। আর বন্ধুর সাথে পিৎজা খাবার মুহূর্ত খুবই উপভোগ করেছেন মনে হচ্ছে। আমার কাছে তো বেশি ভালো লেগেছে পিৎজা পরিবেশনের কাঠের ডিস্ক। এরকম ডিস্ক দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর আপনারা তো অনেক মজা করে খাচ্ছেন মনে হচ্ছে। আমাদের মাঝে মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার মত আমিও অনেকটা বেশি অবাক হয়ে গেছি, যখন আমাদের সামনে কাঠের ডিক্স এনে দিয়েছিল। তবে ডিক্সের মাঝখানে খুব সুন্দর করে ডিজাইন করা ছিল, যদিও সেটা দেখা যাচ্ছে না। আর আপনার এই ভালোলাগা এবং কি কাঙ্খিত মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অবিরাম।
বেশ কিছু সুন্দর রাতের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যার মধ্যে ছিল আলোকসজ্জা সত্যিই অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে আপনার পিজ্জা খাওয়ার মুহূর্তগুলো দেখে বুঝাই যাচ্ছে অনেক আনন্দঘন মুহূর্তে কেটেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এত সুন্দর কাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে সব সময়। আপনার মন্তব্যোর মাঝে উৎসাহ দিয়ে থাকেন, এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম।
পিজ্জা টি খাওয়ার খাওয়ার মুহূর্তটি আসলেই অসাধারন ছিল। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো এমন খাওয়া-দাওয়ার ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই মজা লাগে । পোস্টটি ফটোগ্রাফিক হলেও অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে আপনি আমাদের মাঝে এই পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি সবসময় গুছিয়ে কাঙ্খিত মন্তব্যটুকু করেন এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্য করেন এতে খুবই ভালো লাগে। এবং কি দেখে ভালো লাগা থেকে আপনার প্রতি ভালবাসাটা আরো বেড়ে গেল, শুভেচ্ছা রইল।
রাতের বেলায় ঘুরাঘুরির সুন্দর কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগ করে নিলেন আজকে। বন্ধুদের সাথে পিৎজা কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি ও আমাদের সাথে ভাগ করে নিলেন। আসলেই বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার মজাটাই অনেক আলাদা। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আজকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরাফেরা খাওয়া-দাওয়া আড্ডা মজা মাস্তি খুবই আনন্দের বিষয়। আর আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যর জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ভালোই তো খাচ্ছেন একা একা । সময় টি ঘুরেফিরে ভালই কাটিয়েছেন। বন্ধুর সাথে সময় কাটানোর মজাই আলাদা । যাই হোক ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
কাঙ্খিত মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।