আমার বাংলা ব্লগ। আজকের ইফতারের আয়োজন। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
আজকের ইফতারের আয়োজন।
![]() |
---|
আমি যেহেতু একা মানুষ, একজন মানুষ আর কত খেতে পারে। সবকিছুর পরিমাণ কম কম করে নিয়েছি। এবং আমার সাথে একজন ছোট ভাইকে দাওয়াত করেছিলাম সেও শরীফ হয়েছে আমার সাথে। আমার আজকের আয়োজন এর মধ্যে ছিল।
- আপেল একটা।
- মালটা একটা।
- পেয়ারা একটা।
- খিরা একটা।
- টমেটো দুইটা।
- পেঁয়াজ কুচি দুইটা।
- কাঁচামরিচ ৭/৮ টা।
- লেবু দুইটা।
- পুদিনা পাতা পরিমাণমতো।
- ইসুবগুলের ভুষি, তোকমা, লেবু, ট্যাং সংমিশ্রণে শরবত পরিমাণমতো।
- পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি দুটি করে।
- ছোলা ভাজা 200 গ্রাম পরিমাণ।
- খুরমা খেজুর পাঁচটি।
- পরিমাণ মতো মুড়ি।
![]() |
---|
এখানে আমি আমার ইফতারের প্রয়োজনীয় উপকরণ সব কেটে তৈরী করে নিলাম।
আমরা রোজা করি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন শুধু আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। আল্লাহ এক, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা করা আমাদের জন্য হারাম। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে কিছু বা কাউকে তুলনা করলে এটা একজন মুসলিম জন্য শিরক হয়ে যায়। আর তাই একজন রোজাদার ব্যক্তি তার আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাকে আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ মেনে চলা একান্ত কর্তব্য। আমরা যারা মুসলমান আছি সারা বিশ্বের মধ্যে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন আমাদের মুসলিম জাতির জন্য নামাজ ৫ ওয়াক্ত যেমন ফরজ করেছেন। তেমনি রোজা ও আমাদের জন্য ফরজ করেছে। আর এই রমজান মাসের ফজিলত এত বেশি যা কল্পনা করাও অসম্ভব। আর এই মাসটি হচ্ছে সংযমের মাস, ক্ষমা চাওয়ার মাস এবং আল্লাহর এবাদত এর মাস।
সৃষ্টি জাহানের প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এবং তার হিসাব আখেরাতে দিতে হবে কেয়ামতের মাঠে। পুরো জাহানের যত মানুষ আছে তাদের বিচার কার্য হবে এবং পাপাচার, বেবিচার, জুলুম-অত্যাচার যারা করছে তাদের কেও পাই পাই করে হিসাব দিতে হবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে।
তাই আমরা প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এই রমজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহর এবাদত করা এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। যাইহোক বন্ধুরা চলুন একবার ঘুরে আসি আজকে ইফতারের আয়োজন এ কি কি ছিল এবং কিভাবে তৈরি করে খেয়েছি। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আপনারা উপভোগ করুন।
![]() |
---|
এখানেই পরিমাণমতো ছোলা ভাজি করছি।
![]() |
---|
আলুর চাপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, এই তিনটি উপকরণ আমি বাহিরে দোকান থেকে নিয়ে এসেছি। এবং ইফতারের আয়োজন এর সবকিছুই আমার বাহির থেকে কেনা।
![]() |
---|
এখানে আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে শরবত তৈরি করে নিলাম। শরবতে আমি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি ইসুবগুলের ভুষি, তোকমা ও চিনি, লেবু এবং বরফ।
![]() |
---|
এখানে আমি প্রথমেই বেগুনি, আলুর চাপ, পেঁয়াজী ভেঙে নিলাম। এবং প্রয়োজনীয় সবগুলো সালাত একসাথে দিয়ে দিলাম।
![]() |
---|
এখানে সালাদের উপরে পুদিনা পাতা দিয়ে দিলাম।
![]() |
---|
এরপর আমি ছোলা দিয়ে দিলাম।
![]() |
---|
এখন যাবতীয় সব কিছু আমি একসাথে মিক্স করে নিলাম। আর এভাবেই ইফতারি মিক্স করে খেতে বরাবরই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এবং তৃপ্তি সহকারে খেতে পারি। এবং নিজের মতো করে স্বাদ করে খাওয়া যায়।
![]() |
---|
আর এখানে কয়েক প্রকার ফল একটি একটি করে কেটে নিলাম এবং এগুলো আমার ইফতারের আয়োজন এর অংশ।
ওয়াও আপনি আপনার ইফতার আয়োজনটা খুব সুন্দর করে করেছেন।আপনি অনেক গুলো খাবার একসাথে মেখে নিয়েছেন দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। তার সাথে আবার অনেক রকম ফল ও রেখেছেন।অনেক জমজমাট আয়োজন ছিলো ইফতারির।তবে পুদিনাপাতা দিয়ে এভাবে ইফতারি মেখে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাই ছিল তবে একটু মুড়ি নিলে মন্দ হতো না।যাই হক উপস্থাপনা কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপু মুড়ি ছিল, ফটোগ্রাফি টা আযান দেওয়ার আগেই করেছিলাম তাই মুড়ি টা আসেনি। প্রশংসা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ইফতারে দেখছি অনেকগুলো আয়োজন। আসলে ইফতারে ভাজাপোড়া চেয়ে ফলমূল বেশি উত্তম। এবং খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন আপনার উপস্থাপনাটি। শুভকামনা রইল আপনার।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইফতারের আয়োজন ছিল দারুন। ফলগুলো সত্যি অনেক উপকারে আসে সারাদিন রোজা থাকার পর। তবে রোঝা থাকার পর কিছুটা ডাবের পানি হলে মন্দ হয় না মনে হয়। সত্যি খালি পেটে ভাজি পোড়া বেশী না খেয়ে প্রথমে মুড়ি দিয়ে শুরু করা উচিত। ভাল লাগলো খুবি । ভাল থাকেন । শুভেচ্ছা।
সু পরামর্শ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। হ্যা ঠিকই বলেছেন ভাজাপোড়া থেকে ফ্রেশ পানীয় এবং কি শরিরের জন্য সবচেয়ে উপকারী। আপনার জন্য রমজানের শুভেচ্ছা রইল।
খুবই সুন্দর ইফতারি আয়োজন ছিলো ভাই। ইফতারিতে কম কিছু হলেই ভালো। কারণ সারাদিন রোজা রেখে তেমন বেশি কিছু খাওয়া যায়না। সিম্পল খাবার গুলোই ভালো। আমিও আজ আপনার মত ইফতারি করেছি ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার মতামত পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আপনার জন্য রমজানের শুভেচ্ছা রইল।
শুধু কি ইফতারির আয়োজন করলে হবে আমাদেরকে দাওয়াত করতে হবে না?
বেশ ভালো লাগলো চমৎকার ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন সবাই মিলে একসাথে ইফতার করেছেন খুব ভালো লাগলো আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
দাওয়াত টা দিয়ে রাখলাম সময় করে অবশ্যই চলে আসবেন। আপনার জন্য রমজানের শুভেচ্ছা রইল। তবে আমি একা ছিলাম সবাই না।
ফল দিয়ে ইফতারী করলে অনেক ভাল হয়। তাছাড়া যে সকল খাবার পাওয়া যায় সেগুলো খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আমার মতে ইফতারির জন্য বেস্ট খাবার হলো ফল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন সারাদিন রোজা রাখার পর কিছু পানীয় এবং কি ফলমূল হলে সবচাইতে ভালো হয়। আপনার জন্য রমজানের শুভেচ্ছা রইল।
সত্যি বলতে আপনার ইফতারের আয়োজন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
তো একা একা ইফতার করলে হবে, আমাদের তো দাওয়াত দিতে পারেন ☺️
রমজানুল মোবারক।।।
ভাইয়া দাওয়াত সবাইকে দিয়েছি, তারমধ্য আপনিও আছেন, সময় করে চলে আসেন একসাথে মজা করে খাব। আপনার জন্য রইল রমজানের শুভেচ্ছা।
আপনার ইফতার আয়োজন খুবই চমৎকার হয়েছে। অনেক ধরনের খাবারের আয়োজন করেছেন। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া খুবই দরকার। আপনি তা করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার ইফতার আয়োজন শেয়ার করার জন্য
এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং প্রশংসা করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন
আপনার ইফতার এর আয়োজন অনেক সুন্দর ছিলো। সবাই মিলে একসাথে ইফতার করতেই ভালো লাগে। আর ইফতার এর জন্য ফলমূল ই উত্তম। ধন্যবাদ আপনার ইফতার এর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো।
আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার মন্তব্যটি প্রকাশ করে সাথে থাকার জন্য, আপনার প্রতি রইল আমার ভালোবাসা অবিরাম।
আপনি যেগুলো দিয়ে ইফতা, করেছেন আমরাও ইফতারে এগুলো দিয়ে করলাম । প্রতিদিনই বুট ,মুড়ি জিলাপি খেজুর শরবত মালটা আঙ্গুর খাচ্ছি । সবাই মিলে ইফতার করাতে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে । সেই সাথে অনেক সওয়াব পাওয়া যায় । ধন্যবাদ আপনাকে
জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন সবাই মিলে ইফতার করার মজাটাই আলাদা। এবং এইরম মাহে রমজান মাসে একসাথে ইফতার করেলে বেশি বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য প্রকাশ করে সাথে থাকার জন্য।