আমার বাংলা ব্লগ। দায়িত্ব পালন। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
দায়িত্ব পালন।
ইমিগ্রেশনে প্রবেশের এর আগ মুহূর্তে ফটোগ্রাফিটা নেওয়া। জানি এই ছবিটা আমার বাংলা ব্লগের মাঝে স্মৃতি হয়ে থাকবে সারা জীবন।
আমি মনে করি আমার বাংলা ব্লগে সকল বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে এই পৃথিবীতে যতটা মানুষই আছে তাদের যার যার অবস্থান থেকে আল্লাহ খুব সুন্দর ভাবে সবার জীবন অতিবাহিত করাচ্ছেন। তার মাঝেও আমাদের নিজ নিজ কিছু দায়িত্ব থাকে। কিন্তু উপর থেকে কারো দায়িত্ব নেওয়া অনেক কঠিন একটা কাজ। আর সে দায়িত্ব পালন করতে গেলে নিজের উপর অনেক বেশি প্রভাব পড়ে। তবুও আমরা চেষ্টা করি নিজের অবস্থান থেকে পরের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে উপকার করার জন্য। আর সেই উপকারটা নিজের কাল হয়ে দাঁড়ায়। চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, ডিপ্রেশনে ভুগতে হয়, যে পর্যন্ত কাজটা সম্পূর্ণ না হয়।
তার জীবনে প্রথম বিদেশে পাড়ি জমানো তাই স্মৃতি হিসেবে ফটোগ্রাফি টা নিয়ে নিলাম।
তেমনি আমিও নিয়েছিলাম আমার সালোক কে বিদেশ পাঠানোর দায়িত্ব। তবে নিজেই ইচ্ছে নেই নাই, একটা সময় এসে জোরপূর্বক পাকড়াও করে ধরেছে যে আমাকে যেভাবে হোক বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। কিন্তু বাইরে পাঠাতে গেলে কার সাথে কথা বলবো। কিভাবে কথা বলব সেটাও বুঝার খুব কষ্টকর একটা ব্যাপার। ভালো মানুষ নির্বাচন করা খুবই কঠিন একটা কাজ। আর এই ভালো মানুষের আড়ালে মুখোশের অভাব নেই। মানুষকে তো আর খেয়ে চেনা যায় না, চলাফেরা করেও চেনা যায় না। প্রত্যেকটা মানুষের যার যার মন আছে এবং তার মনের ভাবগুলো সম্পূর্ণ আলাদা। কারো মনের অনুভূতিগুলো খারাপ দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করে যায় নিরবে। আবার কেউবা প্রকাশ্য, আর এই মানুষগুলোকে চেনা খুব কষ্টকর।
বিদেশের ব্যাপারগুলো ঠিক তেমনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে বড় আসা জাগিয়ে পরে সম্পূর্ণ নিরাশা আর হতাশায় ঘিরে রাখে। তাদের প্রতিশ্রুতি গুলো পড়তে হয় নানান ধরনের চিন্তা। শুনতে হয় হাজার অপবাদ, শুনতে হয় অনেক কথা। নীরবে নিভৃতে সহ্য করে পড়ে থাকতে হয়। কিন্তু কোন প্রয়োজনে ছিল না আমার এত মানুষের কথাগুলো শুনার। কিন্তু কি দরকার ছিল আমার দায়িত্ব নেওয়া। আর শালক কে বা কি বললো সেও কোন দিকে রাস্তার না খুঁজে পেয়ে আমার কাছে এসেছে। আর আমিও চেষ্টা করেছি আমার সাধ্যমত ভালো কিছু করার। জানিনা আমার এই চেষ্টা বিফলে যাবে কিনা। যদি সফল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। যদি কষ্ট করে এমনকি জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে তখন তো পুরো অপবাদটাই সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
আমার স্ত্রী শাশুড়ি এবং আমি বাংলাদেশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থানরত অবস্থায় একটা সেলফি নিলাম।
অবশেষে হাজার কথা, হাজার প্রতিশ্রুতির পরে লেনদেন শেষ হওয়ার পরে বিসা টিকেট পাসপোর্ট সবকিছুই কমপ্লিট হল। অবশেষে গতকালকে সেই সৌদি আরবে পাড়ি জমানলো। যাওয়ার পর থেকেই তার চোখে অশ্রুসিক্ত কথা। জানিনা তার মনে কোন কষ্টটা বাসা বেধেছে। হয়তো যে নিয়েছে তার কথায় বুকে আঘাত লেগেছে। তবে আমি মনে করি নিতে সহ্য করে নিতে পারবে সেই সফল হতে পারবে। একটা কথা আছে কষ্টের পরে সুখ আসে। আর সেই কষ্টটাই যদি করতে না পারে দুঃখগুলো যদি বিসর্জন নাই দিতে পারে তাহলে সুখের দেখাইবা কিভাবে পাবে। হাজার অপবাদ পেলেও যদি সে সুখের দেখা পায় ভালো একটা জব পায় তখন হয়তো মনে একটু শান্তি পাবো। যে আমার দায়িত্ব পালন করাটা সার্থক হয়েছে।
তবুও মনের মধ্যে একটা কষ্ট বাসা বেঁধেই রয়েছে। বিদেশের বাড়ি কখন কি হয় বলা তো যায় না। নিজের দেশে হলে না হয় গিয়ে দেখে আসতাম। কোন সমস্যা হলে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করতাম। অর্থের প্রয়োজন হলে তাও দেওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কারো জন্য কিছু করাটা শুধু কল্পনাতেই সম্ভব বাস্তবে নয়। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় তাকে আমি অনেক রাস্তা দেখেছি, তার কোনরকম সাড়া পেলাম না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তার জন্য বিদেশে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিলাম। ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে সেই সৌদি আরবে এখন অবস্থান করছে। জানিনা সে জীবনের সফলতা কতটুকু আনতে পারবে। তবে এটুকু জানি বহির বিশ্বে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। চাকরির বাজারও মন্দা। এই নিয়ে নিজের কাছেও খুব বেশি চিন্তিত মনে হচ্ছে। কিন্তু একটা কষ্ট ডিপ্রেশন বাসা বেঁধে আছে জানিনা কখন তার নিস্তার পাব। কিছুটা সান্ত্বনা দিতে পারছি নিজেকে অবশেষে তাকে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পেরে। বাকিটুকু উপরওয়ালার ইচ্ছা এবং কি তাকেও করে যেতে হবে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম।
বাংলাদেশ বিমানবন্দরের পার্কিং ব্লাড থেকে ফটোগ্রাফি টা নেওয়া।
এমনিতেই সর্বক্ষণ ডিপ্রেশনে ভুগতে হয় আমাকে। নিজের রিয়েল লাইফ নিয়ে জর্জরিত হয়ে আছে চিন্তায়। তার মধ্যে বাড়তি একটা চিন্তা চাপ যুক্ত হল। এই নিয়ে অনেকটাই হতভম্ব হয়ে পড়ে আছি। কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। কোন হিসেব-নিকেশ মিলাতে পারছি না। কাজের প্রতিও অনেকটা অমনোযোগী হাতে উঠছে না কাজ। এসেছি আপনাদের মাঝে মনের কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। জানিনা জানিনা বাস্তব জীবনের আবোল-তাবোল কথাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। তবে এই নিয়ে খুব বেশি ডিপ্রেশনে ভুগছি যা আমাকে প্রতিনিয়ত অস্বস্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবুও কেন জানি পরের কষ্ট সহ্য করতে না পারা এবং কি উপকার করতে এগিয়ে যাওয়া এগুলো ত্যাগ করতে পারছি না, ততটাই বেশি ডিপ্রেশান ভেড়ে যাচ্ছে, জানিনা কখন এগুলোর থেকে নিস্তার কিংবা মুক্তি পাব।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার দায়িত্ব পালনের মনের আবোল তাবোল কথাগুলো। আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে। ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
বাংলাদেশের এই বিদেশ পাঠানোর লাইনে দালালের অভাব নেই। কত মানুষ যে নিঃস্ব হয়ে গেছে তার ঠিক নেই। সেক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব টা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এটা আমি বলব। যাইহোক সবকিছু ভালোভাবে হয়েছে দেখে ভালো লাগল। এবং এটা একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই দেশে বসে বিদেশে কারো জন্য কিছু করা একেবারেই অসম্ভব। ইচ্ছা থাকলেও যেন কোনো উপায় থাকে না।
একদম ঠিক বলেছেন, তবে শুকরিয়া আদায় করছি, ভালই ভালই আল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে। মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কারো দায়িত্ব নেওয়া সত্যি অনেক বড় একটা কাজ। সেই কাজ ঠিকঠাক মতো পালন করতে না পারলে অনেক কথা শুনতে হয়। এখানে তো দেখছি আপনার শালাকে বিদেশে পাঠানোর মতো বড় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সত্যি ভাইয়া কার মনে কি আছে কেউ জানেনা। বাহিরে থেকে মানুষ চেনা অনেক কঠন। বিদেশ যাওয়ার আগে দালালরা খুব মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে কিন্তু যাওয়ার পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না। যাই হোক আপনি এত বড় একটি দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করে আপনার শালাকে বিদেশে পাঠাতে পেরেছেন এটাই শুকরিয়া। ভাইয়া সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে সবকাজ সহজ হয়ে যাবে।ধন্যবাদ।
আসলে আপু কোন কাজ দায়িত্ব নিয়ে করাটা একটা চ্যালেঞ্জ। ব্যয়বহুল খরচের কারণে দালাল চক্রের পাদে পড়ার ভয় তো সবসময় থাকে। আপনার সুন্দর মন্তব্য খুবই ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যি বলতে অনেক মহৎ একটি কাজ করেছেন শালককে ঠিকঠাকমতো দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়ে, বিদেশ পাঠানো। আর বর্তমানে দালাল চক্রটা অনেক বেশি প্রভাবিত করে মানুষকে। কারণ মিষ্টি কথা বলে, তারা মানুষের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে, মানুষকে বিদেশ নেয়।পরবর্তীতে সেই লোকটিকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একেবারে ঠিক বলেছেন ভাইয়া, তবে এখনো দুশ্চিন্তা কাটেনি, যে পর্যন্ত না চাকরি হচ্ছে। দালাল চক্র মানুষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জি ভাই আমি বাইরে ছিলাম এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে
বর্তমান সময়ে কারো দায়িত্ব নেয়া অনেক কঠিন আর যেখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয় থাকে সেখানে আরো কঠিন ব্যাপার হয়ে পরে। অনেক সময় সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়, এই কারণে। যাক দায়িত্ব নিয়ে তাকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন, দোয়া করছি আমরা সে সফল হোক। বাকিটা উপর ওয়ালার ইচ্ছা।
পোস্টে বানানের দিকে আরো একটু সতর্ক হোন ভাই আমার। ভালো থাকুন দোয়া রইল 🥀
ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন এটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ একটা কাজ। আর এখানে মোটা অংকের টাকার লেনদেনের কারণে অনেক সময় মহা ঝামেলায় পড়তে হয়। ভাইয়া রিভাইস দিয়েছিলাম, তবুও চেষ্টা করব আরো ভালো করে লিখার জন্য। গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে বর্তমানে নিজের লোক হলেও দায়িত্ব নেওয়াটা ভীষণ কঠিন কাজ। আপনি যে নিজের দায়িত্ব নিয়ে নিজের ছেলেকে একেবারে বিদেশে পাঠিয়েছেন এটা একটা ভাল কাজ ছিল। কিন্তু আসলে এরকম ভালো কাজ কয়জনে মনে রাখে। যদিও আপনি অনেকটা জোরপূর্বক ভাবে এই দায়িত্বটা নিতে বাধ্য হয়েছেন। এরকম ধরনের দায়িত্ব নেওয়া কিন্তু ভীষণ কঠিন। আপনি ঠিকঠাকমতো পালন করেছেন এটাই অনেক।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন। এসব দায়িত্ব নিতে গেলে অনেক বড় বিপদ কাদের উপরে চলে আসে। যা কল্পনা করা যায় না। কারণ দালাল চক্রের মিষ্টি ভাষা মানুষকে সারা জীবন কাঁদায়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুব ভালো কাজ করেছেন। আত্মীয়ের দায়িত্ব সবসময় রক্ষা করা উচিত।
ঠিক তাই, তবে মাঝে মাঝে হিতে বিপরীতে হয়। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
Hi, @robiull,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @gorllara.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP