আমার বাংলা ব্লগ। বৃষ্টি দেখে মন খারাপ। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলো যাওয়া যাক মূল পর্বে।
বৃষ্টি দেখে মন খারাপ।
![]() |
---|
আমার বাংলা ব্লগের আমার প্রিয় বন্ধুদের মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বৃষ্টি দেখে তো আনন্দ হওয়ার কথা, মন খারাপ হওয়ার কী আছে। হ্যা বন্ধুরা ঠিকই বলেছেন আনন্দিত হওয়ার ই কথা মন খারাপের কিছুই নেই। তবুও আপনাদের মাঝে আমার মনের কথাগুলো আমি গল্পাকারে শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বৃষ্টি দেখে মন খারাপ।
প্রচন্ড খরতাপে মানুষের অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে এবং কি একটু বৃষ্টির জন্য যেন মানুষ হাহাকার করছিল। এই রমজানে মানুষের অনেক কষ্ট হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবুও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবাই রোজা রেখেছে এবং অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিল ঈদের দিনের জন্য। ভালো ভালো ঈদের নামায শেষ করার পর শুরু হল বৃষ্টি। বৃষ্টি পেয়ে সবাই খুবই আনন্দিত এমনকি যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করছে। তবে একটা কথাই আছে আল্লাহ যা করেন মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন।
ঈদের আনন্দ উপভোগ করে আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে ভালোবাসা মতবিনিময় প্রকাশ করার পর ফিরে এলাম শহরে। জয়েন করলাম নিজের চাকুরীতে। তবে আজকে সকালে যখন বৃষ্টিটা দেখলাম তখন খুবই খারাপ লাগছিল। এতটাই খারাপ লাগছিল যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। যেখানে আনন্দিত হওয়ার কথা সেখানে আমার মন খারাপ এটাই তো ভাবছেন। হ্যাঁ বন্ধুরা আমার মন খুবই খারাপ ছিল, কারণ এবার ঈদের সময় গ্রামের কৃষকের ফসল উঠেছে, প্রতিটি জমিতে ধান পেকে আছে। কিন্তু ধান কাটার জন্য কোন লোক পাচ্ছে না এবং কি যাদেরকে দিয়ে ধান কাটাবে তাদেরও অনেক মূল্য। তিন বেলা খাওয়া দাওয়া দেওয়ার পর নাস্তার পর রোজ ১০০০ টাকা দিতে হবে। তবুও কাজ করার মতো লোক পাচ্ছে না। এতে কৃষকের খরচের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।অনেকেমাঠ থেকে ধান আনবে কি আনবে না সেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে গেছে। কারণ এত খরচ করে যে ধান উঠবে তাতে প্রতি মণ ধানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে লস গুনতে হবে প্রতিটা কৃষককে।
![]() |
---|
এরই মধ্যে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধান কিভাবে উঠাবে। এই ধান কিভাবে শুকাবে, আর ধান কিভাবে গোলায় উঠাবে। অতএব সবাই বুঝতে পারছেন মন খারাপের কারণটা কি। কারণ এবার আমাদের অঞ্চলে সবগুলো দান একই সাথে পেকেছে এবং একইসাথে কাটা পড়েছে। অতএব সবাই খুবই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এমন কি কাজের লোক পাচ্ছে না, এমতাবস্থায় মন ভালো থাকা কি সম্ভব।
![]() |
---|
এই ছবিটা আমি আমার বাড়ির সামনে থেকেই তুলেছিলাম। আমার বন্ধু লোক না পেয়ে সে নিজেই নিজের ধান কাটা শুরু করেছে। তবে একা একা এই ধান কেটে বাড়িতে ওঠানো প্রায় অসম্ভব এবং কি অনেক কষ্টকর। কারণ এই কাজগুলো করতে যেখানে ১০ জন লোকের প্রয়োজন, সেখানে দুজন লোকে কি করবে। তবে আমি যখন ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে ছিলাম তখন আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিল এবং আনন্দ লাগছিল। কিন্তু ধান কাটতে কাটতে ওরা চিন্তা করছে যে আসলে কি করবে কপালেই বা কি আছে।
![]() |
---|
চারদিকে সবুজ শ্যামল গ্রামটি এবং জমিনে সোনালী ফসল দেখে সত্যি মনটা ভরে ওঠে। তবে আজকে সকালে বের হয়ে দেখি খুব বৃষ্টি হচ্ছে। তখন চিন্তায় পড়ে গেলাম যে আমার এলাকার জমিনের সোনার ফসল গুলো কিভাবে উঠাবেন। মানুষেরা খুবই চিন্তায় পড়ে গেছে সবাই খুব অস্থিরতা ভোগ করছে। আসলে এতটাই খারাপ লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর দেশে যদি কৃষক না থাকতো সবাইকে না খেয়ে মরতে হতো।
![]() |
---|
একটুখানি বৃষ্টি আরেকটুখানি বাতাসে ধানের এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। ধানের ছড়া গুলো ভেঙ্গে গেছে, আর ধান কাটতে খুবই কষ্ট হয়। অতএব বুঝতেই পারছেন কতটা খারাপ লাগছে। এই সোনালী ফসল ফলাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। আর সে পরিশ্রমের ফসল যদি নষ্ট হয় তাহলে কার কাছেই বা ভালো লাগে।
![]() |
---|
আমি ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে ছিলাম যখন বাড়িতে ছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল। তবে এখন খুবই চিন্তা হচ্ছে যে আসলো এতগুলো মাঠের পর মাঠ ধান কিভাবে উঠাচ্ছে।
![]() |
---|
বাড়িতে গিয়েছিলাম ৭ দিনের ছুটিতে। আমার কাছে মনে হল যে আমি বাড়িতে দুইদিন ছিলাম। বাড়ি থেকে আসতে মন চাইছিল না, আমার খুব কষ্ট করে জোর করে বাড়ি থেকে আসতে হলো। তবে এবারে সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে যখন রাতে পুরুষ এবং মহিলা সবাই নিজের নিজের ধান কাটছে। কারণ দিনের বেলা প্রচন্ড রোদ থাকে কাজ করতে পারে না। আর ধান কেটে না আনলে কখন বৃষ্টি আসে বলা যায় না। এইবার ঈদের আনন্দের সাথে কৃষকের মুখের হাসিটুকু কেন জানি মলিন হয়ে আছে। তাই চিন্তা করলাম আমি আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি আমার মনের ভাব টুকু।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে "বৃষ্টি দেখে মন খারাপ"। আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে। ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন এবং সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার পোস্ট পড়ে খুব খারাপ লাগলো। আসলেই এই সময় অনেক জমিতে ফসল পেকে গেছে এখন যদি বৃষ্টি হয় কালবৈশাখী ঝড় হয় অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাবে আর চারিদিকে কাজের কারণে তেমন কৃষক পাওয়া যাচ্ছে না মনে হয়। যার ফলে কৃষকের মজুরি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এদিকে ফসল ঘরে তুলতে হবে যেভাবেই হোক। তার ফলে দেখা যাচ্ছে ফসল রোপণ থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত যে পরিমাণ খরচ হয় তার থেকে ফসল বিক্রি করে খুব কম লাভ হয় অধিকাংশ হয়। এটি আমাদের কৃষকের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। যাইহোক আপনি সুন্দর বিষয়ে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার অসাধারণ মন্তব্যটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আপনি ঠিকই বলেছেন ।প্রথম আমি ভেবেছিলাম যেখানে বৃষ্টি দেখে আনন্দ পাওয়ার কথা সেখানে আপনি কেন মন খারাপ করছে!! পরে আপনার পোস্টটি পড়ে আপনার মত আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আসলে আমাদের কৃষকেরা অনেক কষ্ট করে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা তাদের শস্য ঘরে তোলে। তার উপর বৃষ্টিতে যদি সবকিছু নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কৃষকেরা খুবই অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের খুব কষ্ট হয় এ সময়। তারপর পাচ্ছে না তারা কাজ করার মতো লোক। যদি তাদেরকে তিনবেলা খাওয়াতে হয় এবং দৈনিক 1000 টাকা দিতে হয় তাহলে কৃষকের আমার মনে হয় না খুব একটা লাভ হচ্ছে। এরকম করেই চলতে থাকলে ধানের দাম চালের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। তাই আমার মনে হয় সরকারেরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এবং সবশেষে এটাই বলব আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। নিশ্চয়ই এই বৃষ্টি বান্দার জন্য কোন এক বড় নেয়ামত নিয়ে আসছে। আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। কৃষকের লাভ তো দূরের কথা উল্টো প্রতি মন ধানে এক হাজার টাকা করে লস গুনতে হয়। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই এই সময়ে কৃষকের মাঠে ফসল কিন্তু যদি তারা তাদের ফসল ঘরে তুলতে না পারে তাহলে কিন্তু তাদের পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যায়। আসলে বৃষ্টি দেওয়া এটা কিন্তু সম্পূর্ণ আল্লাহর ব্যাপারে। আমাদের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই শুধু আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আমাদের যখন যেটা প্রয়োজন সেটা দিয়ে থাকেন। তবে একটা কথা আছে যে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন, আল্লাহ যা করে মানুষের মঙ্গলের জন্যই করে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিক বলছেন বর্তমান ধান কাটার জন্য তেমন একটা লোক পাওয়া যাচ্ছে নাহ। ধান কাটার সময় বৃষ্টি হলে মন টা বেশ খারপ লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটি লিখছেন ভাইয়া। আমার খুবেই ভালো লেগেছে। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আসলে ভাই কি বলবো আমাদের গ্রামে ঠিক একই অবস্থা। টাকা দিয়েও যেন কাজের লোক পাওয়া যায় না। আর তাছাড়া তাদের জীবন যেন হাজার আকাশচুম্বী। বৃষ্টিতে সব ধান মাটির সাথে লেগে গেছে। এটি করে কৃষকের কষ্ট যেন আরো বেড়ে গেছে। যাই হোক এগুলো দেখে অনেক খারাপ লাগে ভাই। আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ভাই। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সামনে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাদের ভালো লাগাটাই আমার অনুপ্রেরণা। আপনি ঠিকই বলেছেন খুবই কষ্ট লাগে। মানুষ কাজ না করে বসে থাকে কিন্তু কম দামে কাজ করতে চায় না কি আজব। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপনি কৃষকের দুঃখ কষ্ট অনুভব করতে পেরেছেন। আসলে যারা কৃষক তারা এই বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার মতামত উপস্থাপন করেছেন। এত অসাধারন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
শুধু ক্ষতিগ্রস্ত নয় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে এবার। খুবই খারাপ লাগছে বিষয়গুলো ভাবতে। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এরকম বৃষ্টির কারণে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক ভাই। অসময়ে এই বৃষ্টিতে গার্হস্থ্য পরিবার যারা কৃষি কাজ করে থাকেন তারা অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ এখন ধান কাটার সময়।এ সময় বৃষ্টি ফসলের জন্য ক্ষতিকর। ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য প্রকাশ করে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরেহ মণ খারাপ করার কিছু নেই ভাই প্রকৃতির উপর তো করো হাত নেই।আপনি বরং সাবধানে যাওয়ার চেষ্টা করুন।আর আপনাদের ওইদিকে এত চড়া দাম😮।তিনবেলা খাওয়ার পরেও 1000 টাকা করে দেওয়া লাগে।তবে আমাদের এই দিকেও একই অবস্থা ধান কাটার লোকই পাওয়া যাচ্ছে না।
ভাই সীমাহীন কষ্ট, যে কষ্ট করে সেই কষ্টের মূল্য বুঝতে পারে। অসংখ্য ধন্যবাদ, আর ঠিকই বলেছেন প্রকৃতির নিয়ম মেনে নিতে হবে।
ঈদের দিনে নামাজের আগেই আমাদের দিকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কোনো উপায় না দেখে আমাদের মসজিদে নামাজ পড়া লাগে। বিষয়টি কারো মাথায় হয়তো নেই। এখন কৃষকের ফসল ঘরে তোলার সময়। সত্যি এখন যদি বৃষ্টি হয় কৃষকদের ফসল ঘরে তুলতে অনেক কষ্ট হবে। ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দারুণ একটি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে লিখেছেন ভাই।।
আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য।
আপনি বাস্তবতাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাই
সত্যি বর্তমানে এটাই চলছে আমাদের এখানে। তবে কি আর করার, কথায় আছে না ঠেলায় পড়লে ঢালা সালাম।
কি ভাই ঠিকই বলেছেন। সাপোর্ট দিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।