'DIY" প্রবাসী ভাইয়ের প্রতি ভালবাসা। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
ষ্টিমেট এর সকল বন্ধু এবং "আমার বাংলা ব্লগ" সহকর্মী যারা আছেন সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমাদের সকল মডারেটরগণ এবং @rme.দাদা কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। উনারা আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে শুধু বাংলাব্লগের স্বচ্ছতা টুকু বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছেন বারবার। কিন্তু বিনিময়ে আমরা তাদেরকে অনেক বিরক্ত করছি তার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত>>>
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক আজকের মুল পর্বে।
আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার একটি আনন্দঘন মুহূর্ত। এবং নিজের কিছু অনুভূতি। এমনিতে কাজের চাপে পুরো সপ্তাহ জুড়ে বের হওয়া সম্ভব হয় না। কোথাও ঘুরতে যাইতে পারি না। সব সময় বোরিং ফিল করি। যখন শুনলাম ইন্ডিয়া থেকে আমার ওস্তাদ বাংলাদেশে আসছে। তখন উনার সাথে ফোনে কন্টাক করে প্রিপারেশন নিলাম যে ওনার সাথে দেখা করব। শুক্রবার হ্যাঁ বন্ধুরা দিনটি ছিল শুক্রবার। আমাদের প্রোগ্রাম ছিল তিনটা বাজে বাইর হবো যেই কথা সেই কাজ।
একজন বন্ধু, বড় ভাই এর সাথে দেখা হলে কতটুকু আনন্দ অনুভূতি হয় তা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
প্রবাসী ভাইয়ের প্রতি ভালবাসা।
এখানে আমরা তিনজন মানুষ আমি, আমার বন্ধু এবং প্রবাসী বড় ভাই একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছি। খাবার অর্ডার হল, খাওয়ার টেবিলে রাখা আছে, আমিও খাওয়ার আগে একটা সেলফি নিলাম।
ফটোগ্রাফ।
ইন্ডিয়া থেকে আমার ওস্তাদ আসছে বাংলাদেশ এ কথা শুনে আমার কাছে এত আনন্দ অনুভূতি হল যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। পড়ে ওনার সাথে ফোনে কন্টাক করলাম যে বস আমি আসছি আপনার সাথে দেখা করব। উনি বল্লেন যে তুই আয় কখন আসবি, আমি তিন টার দিকে আসবো ভাইয়া। তখন আমি আর দেরী না করে আমার এক বন্ধুকে ফোন দিলাম যে চল বস আসছে দেখা করে আসবো।
ফটোগ্রাফ।
রিকশায় যেতে যেতে দুই একটা ছবি নিলাম।
আমাদের যেতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। বসের কাছে গেলাম ফোন করলাম উনি নিচে আসলো কথাবার্তা হল এর মাঝেই চা খেলাম ভালো-মন্দ কথাপোকথন হলো।
বস আসছে দেখা করতে গেলাম কথা বললাম এটা আপনারা হয়তো স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছেন। আসলে ব্যাপারটা ওরকম নয়। আমি যাকে বড় ভাই বলছি বা ওস্তাদ বলছি উনি অনেক বড় মনের একজন মানুষ। পাপ্পু দা একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার। এবং কি উনি ইন্ডিয়ান ইউ,জি,আই, কোম্পানির একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট। আর উনার নাম হচ্ছে পাপ্পু। পাপ্পু দা আমার সাথে বিগত 20 বছর ধরে সম্পর্ক। উনি আমাকে ছোটো ভাইয়ের চোখে দেখে আমি ওনাকে বড় ভাইয়ের মত দেখি। আর উনি যদি ঢাকায় আসছে বা বাংলাদেশে আসছে এটা শুনেছি বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে হোক আমি ওনার কাছে ছুটে যাই। উনার প্রতি আমার এত ভালোবাসা যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
আর পাপ্পু দা এমন একজন মানুষ উনি বাংলাদেশে আসলে আমাকে সর্বপ্রথম কল দেবে "রবি" তুই কই। আমি পাপ্পু দা থেকে যে আদর ভালোবাসা পেয়েছি বা এখনও উনি আমাকে যে স্নেহ মায়া করেন সেটা আমার নিজের আপন বড়ো ভাইয়ের থেকেও আমি কখনো পাইনি।
পাপ্পু দা তার জন্মস্থান কলকাতাতেই। কলকাতা শহরের মধ্যে উনি বড় হয়েছেন। আর পড়াশোনা কলকাতাতে বর্ধমান থেকে বিএসসি কমপ্লিট করেন। এটুকু জানি কিন্তু আমি ইউনিভার্সিটির নামটা আমার মনে নেই। বর্তমানে দিল্লীতে থাকেন সপরিবার নিয়ে। কোম্পানির কাজে বাংলাদেশে বছরের পর বছর কেটে যায় পাপ্পু দার।
কথা বলতে বলতে এক পর্যায় বললাম যে হালকা-পাতলা নাস্তা খেয়ে আসি। তখন উনি বললেন না আমি খাব না টাকা পয়সা নষ্ট করার দরকার নেই। আমি এমনিতেই লেট করে খেয়েছি আমি এখন আর খাব না। আমিও ছাড়তে রাজি নই। আমাদের এই 20 বছর সম্পর্কের মধ্যেও আমি কখনো পাপ্পু দা কে এক কাপ চা খাওয়াতে পারেনি। আমিও পণ করেছি এবার যে পাপ্পু দা কে আমি কিছু না কিছু খাওয়াবো। উনার সাথে আমার প্রায় বিগত তিন বছর পর দেখা। পরে নিয়ে গেলাম একটা রেস্টুরেন্টে।
ফটোগ্রাফ।
হোটেলের কামরায় ঢুকতেই চোখে পড়লো খুব সুন্দর করে একটা ফুলদানিতে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এই ফুল গাছ গুলো। যদিও এগুলো ছিল প্লাস্টিকের দেখতে খুবই সুন্দর চোখ জুড়ানো মত।
তারপর হোটেলে গিয়ে অনেক মজা মাস্তি করলাম খেলাম অনেক আনন্দ ফুর্তি করলাম। পাপ্পু দা এত বেশি খুশি হয়ে গেছে যে তা আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। উনি শুধু বারবার বলছে তুই কেন এতগুলো টাকা নষ্ট করতে গেলি। একটা মানুষ কতটা ভালবাসলে এই কথা বলতে পারে একটু ভেবে দেখুন। আমিও এর ব্যতিক্রম নয় উনিও আমার কাছে খুব মূল্যবান একজন মানুষ।
বন্ধুরা আমি জানিনা আমার প্রবাসী ভাইয়ের প্রতি আমার কতটা ভালোবাসা প্রকাশ করতে পেরেছি। আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তবে আমি কখনো কল্পনা করিনি যে আমি এত ভালো একজন মানুষ আমার লাইফে পাব।
আজ এ পর্যন্তই, সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।
আমার নাম রবিউল হোসাইন। আমার ইউজারনেম @robiull. আমি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারকে অনেক ভালোবাসি। আমি খেলাধুলা, রান্নাবান্না, ফটোগ্রাফি, জার্নিং, কবুতর পালন, মাছ ধরা, গল্প পড়া এবং নিত্য নতুন জিনিস বানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে আসার আগে আমি অঙ্কন, কবিতা, এবং কি হাতের কারুকাজ করতে অভ্যস্ত ছিল না। এখন আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি যে আমি কিছু না কিছু করব এবং কি সবার মাঝে নিজের সারাটি দেওয়ার চেষ্টা করছি>>>
ধন্যবাদ ও শুভকামণা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করার জন্য।
ভাইয়া আপনি মনে হয় পুরো পোস্ট না পড়েই কমেন্ট করেছেন। আপনার মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আপনি খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আমিও তো ভাইয়া ভাবলাম এটা সত্যিকারের গাছ।আমিও প্রথমে এমনেই পড়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু আপনি যে প্লাস্টিকের লিখেছেন তা পড়েই আবার ছবিটা ভালোভাবে দেখলাম।আসলেই প্লাস্টিকের।মানুষের কতো বুদ্ধি দেখেছেন!কত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন।
আপনি বিষয় টি পড়ে বুঝতে পেরেছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।
বাহ প্লাস্টিকের তৈরি গাছ গুলো যে এতো সুন্দর হয়! আপনার পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। সবার জীবনে যদি এমন ভালো বন্ধু থাকতো তবে বেশ হতো। ঘুরোফেরা, খাওয়া দাওয়া, আড্ডা সব মিলিয়ে দারুণ ছিল পোস্ট টি।
এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
DIY মানে হল Do it yourself . আপনি আপনার পোস্ট এর টাইটেল এ DIY শব্দ টি কেন উল্লেখ করলেন, সেটা discord এ আমাকে জানাবেন ।
ভাই এটা না জানার কারনে ভুল করে ফেলেছি। আন্তরিক ভাবে দুঃখিত বিষয়টির জন্য।