আমার বাংলা ব্লগ। ঝড়-বৃষ্টি। ১০% পেআউট লাজুক খেকের জন্য।
আমার বাংলা ব্লগিংয়ের সকল সহকর্মী বা সহযোদ্ধা সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আসসালামুয়ালাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিয়ে শুরু করছি আজকের বিষয়বস্তু। আজকের বিষয় ঝড়-বৃষ্টি।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে। আজকে আমি আপনাদের সাথে বৃষ্টির অনুভূতি শেয়ার করা প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
গত দুই-তিন দিন মাত্রা অতিরিক্ত তাপমাত্রা ছিল। গৌরবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শরীর থেকে শুধু ঘাম ঝরছে অঝোরে। মনে হচ্ছে যেন চৈত্রের খরা। চৈত্রের খরা মাঠ-ঘাট মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায় যেমন তেমনই অনুভুতি হচ্ছিল সূর্যের তাপমাত্রা। এমনিতেই কাজ করি রি-রোলিং মিলে। এমনিতেই অসহনীয় তাপমাত্রা রোলিং মিলে সব সময় থাকে।
ফটোগ্রাফ ১/
আপনারা যা দেখতে পাচ্ছেন আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এটা কোন ডিপ টিউবয়েল পানি নয়। এটা হচ্ছে বৃষ্টির ঝর্ণাধারা। পুরো টিনের চালের পানি বেয়ে এই হাউসে পড়ছে মনে হচ্ছে যেন কোন ডিপ টিউবলের পানি পড়ছে। এত সুন্দর মনোরম হৃদয় ছোঁয়া দৃশ্য ফটোগ্রাফি না করে পারলাম না।
বেলা ১১ টা থেকে ১১ : ৩০ মিনিট। হালকা হালকা মৃদু হাওয়া বইছে আকাশটা অন্ধকার হয়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝুপ ঝুপ বৃষ্টির শব্দ শোনা গেল। মন কি আর মানে দেখার জন্য মনটা আনচান করছে বেরিয়ে পড়লাম।
ফটোগ্রাফ ২/
বাইরে যাওয়ার পর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। বৃষ্টির শিস শরীরে লাগছে আর শরীরটা শীতল হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি আসলে কার না ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দেখতে। হাত বাড়িয়ে দিলাম বৃষ্টির দিকে। বৃষ্টির পরশে মন প্রাণ হৃদয় সব ঠান্ডা হয়ে গেল।
সে এক অকল্পনীয় অনুভূতি। বৃষ্টি দেখে সব মানুষ যেন বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছে। এই অনুভূতি লিখি বা বলে বুঝানোর মতো নয়।
ফটোগ্রাফ ৩/
হাউজ এর মধ্যে টুপ টুপ বৃষ্টি পড়ছে। এত সুন্দর লাগছিল চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। জানিনা ফটোগ্রাফ গুলা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। তবে সময়টা এবং কি বৃষ্টির টুপুর টুপুর খেলা এই মুহূর্তেটি আমার কাছে খুবই অসাধারণ ছিল।
ফটোগ্রাফ ৪/
এটা আমারই ইন্ডাস্ট্রি ভিতরে একটা গলি। এত জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল মনে হচ্ছে যেন কুয়াশায় ঘেরা। ফটোগ্রাফি করার সময় এটা ভাবি নি যে জায়গাটা সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করব ইচ্ছে ছিল শুধু বৃষ্টিটাকে ক্যাপচার করা।
ছোটবেলায় এমন বৃষ্টি আসলে বল নিয়ে দৌড়ে যেতাম মাঠে। বল খেলা শেষে পুকুর পাড়ে বড় বড় সারি সারি গাছ ছিল গাছের উপর থেকে লাফ দিতাম পানিতে। সেকি আনন্দ ভোলা যায় স্মৃতির পাতা মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা।
ফটোগ্রাফ ৫/
[লোকেশন] (https://what3words.com/briefer.topmost.contained)
বৃষ্টি দেখলে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করলো আর সম্ভব না যেহেতু অফিস চলাকালীন সময় ডিউটি অবস্থায় ছিলাম। আমার কাছে বৃষ্টি মানে আনন্দ মনে হয় বৃষ্টি অনেক ভালো লাগে। এখন তো অনেক পরিবর্তন এসেছে পরিবেশের। ছোটবেলায় বৃষ্টি বাদলের দিনে রাস্তায় সেন্ডেল পরে হাটা যেত না কাঁদার ফুটের কারণে। কাদার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি কাদা ছিটা ছিটি কাদার মধ্যে ফুটবল খেলা কিযে আনন্দ ভোলা যায়। ছোটবেলার স্মৃতি গুলোর কথা সে কি ভোলা যায়।
আরো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারেনা। তবুও আপনাদের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আমি একজন মানুষ ভুল হতেই পারে ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। বন্ধুরা ভালো-মন্দ কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। বাংলা ব্লগের সকল সদস্যের কাছে উৎসাহ একান্ত কাম্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ।
আমি রবিউল হোসাইন। ইউজারনেম @robiull. আমি একজন বাঙালি। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি এই চেয়ে বড় আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। পড়তে, লিখতে, ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, খেলাধুলা করতে, ভ্রমণ করতে, কবুতর পালন করতে, অনেক ভালোবাসি।
ঠিক বলেছেন ভাই যা গরম পরছে। বৃষ্টি হয়েছে ভালোই হয়েছে আমরাও ভাই বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি । অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি তে ভিজে বল দিয়ে খেলা করে বড় বড় গাছ থেকে পুকুরের লাফিয়ে পড়ার দৃশ্য যেন চোখের সামনে ভাসছে। ছোটবেলায় আমিও দেখেছি আমার পাড়ার ছেলেরা গাছে উঠে পুকুরে লাফ দিত। আপনার। আপনার ঝড়-বৃষ্টি এবং পুকুরে গোসল করার অনুভূতি শুনে সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে। বৃষ্টিতে মাঝে মাঝে আমিও হাত বাড়িয়ে দিয়ে বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখি।
আপু আপনি যে আমার অনুভূতিগুলো অনুভব করতে পারছেন এতে আমি ধন্য। আপনার জন্য রক্তিম শুভেচ্ছা রইল আপু