আমার বাংলা ব্লগ। সুস্বাদু দই-চিড়া। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
ইফতারিতে সুস্বাদু দই-চিড়া সাথে ফলমূল এবং শরবত।
![]() |
---|
রমজানের মূল আকর্ষণ হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিকে তৃপ্তি মতো ইফতার করানো এবং নিজেও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।
রমজান মাস বরকতময় মাস, এবাদত এর একটি মাস এবং আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটি মাস। আর এই মাসে সবাই চায় একটু ভিন্ন ধরনের এবং সুস্বাদু ইফতারি খেতে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে আমি মনে করি দই-চিড়া একজন রোজাদার ব্যক্তির জন্য আদর্শ খাবার। সব সময় এক রকম খাবার খেলে একঘেয়েমি চলে আসে তাই ইফতারিতে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। তাই আমার আজকের আয়োজনে আপনাদের সাথে নিয়ে এলাম সুস্বাদু দই চিড়া। চলুন এক পলক দেখে নিই দই চিড়া তৈরি।
সুস্বাদু দই চিড়া তৈরীর উপকরণ।
![]() |
---|
- বাংলা কলা ছয়টা।
- 200 গ্রাম চিড়া।
- দই ১ কেজি।
- চিনি পরিমাণমতো।
- লবণ স্বাদমতো।
- গরুর দুধ ১ কেজি।
ধাপ - ১
![]() |
---|
প্রথমে আমি একটি ফ্লেটে ছয়টা কলা ছিলে নিলাম।
ধাপ - ২
![]() |
---|
এরপর দই নিলাম ১ কেজি, তবে আমি সবগুলো দই দিবো না পরিমানমতো দিবো।
ধাপ - ৩
![]() |
---|
এখানে দেখতে পাচ্ছেন লালছিড়া, ধুয়ে পানি গুলো ছেঁকে পরিষ্কার করে নিলাম।
ধাপ - ৪
![]() |
---|
এখানে ১ কেজি গরুর দুধ প্রথমে ভাল করে জ্বাল দিয়ে আধা কেজি পরিমাণ করে নিলাম এবং ঠান্ডা করে নিলাম।
ধাপ - ৫
![]() |
---|
এরপর আমি তিনটা ভাটি নিলাম এবং চিড়া গুলো ভাগ করে নিলাম তিনটি ভাটিতে।
ধাপ - ৬
![]() |
---|
এরপর প্রতি ভার্টিতে আমি দুইটা করে কলা কুচি করে কেটে দিলাম।
ধাপ - ৭
![]() |
---|
এরপর দিয়ে দিলাম পরিমাণমতো চিনি।
ধাপ - ৮
![]() |
---|
এরপর এখানে দিয়ে দিলাম পরিমাণমতো দই। দই এর পরিমাণ টা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে।
ধাপ - ৯
![]() |
---|
এরপর দিয়ে দিলাম ঝাল করা ঠান্ডা গরুর দুধ। দুধ টা যত গাড়ো হবে ততই মজা লাগবে। তৈরি হয়ে গেল আমার সুস্বাধু দই চিড়া। আর এই খাবার টাকে রোজাদারের জন্য আদর্শ খাবার ও বলা যেতে পারে। এবং কি যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর তেমনি ভেজাল ছাড়া এ খাবার। আপনি চাইলে আপনার প্রতিদিন ইফতারিতে এই খাবারটি রাখতে পারেন।
দৈ চিড়ে ঘোল খেয়েছিলাম কবে মনে নেই তবে স্বাদ টা আজও লেগে আছে জীভে। এই খাবার গুলো দেখে মনে পড়ে গেল। পেট ঠান্ডা থাকে এটা খেলে । যদিও আপনি ঘোল এর পরিবর্তে দুধ নিয়েছেন। যাই হোক না কেন দারুন ছিল আয়োজন। তবে এটি সকালে খেতেই বেশী ভাল লাগে। ধন্যবাদ।
সকাল কিংবা বিকেল কিংবা দুপুর সেটা বড় বিষয় না। বিষয়টা হচ্ছে গরমের অতিরিক্ত তাপদাহে আপনি এই জাতীয় খাবার খেতে পারেন। অসাধারণ মন্তব্য করে তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আপনি যে কত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। বলে আসলে আমি বুঝাতে পারব না দই-চিড়া আমার ভীষণ পছন্দের। এটা আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করি আপনার আজকে দই চিড়া রেসিপি আমার কাছে বেশ লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার।
জি চিড়া আপনার পছন্দের খাবার শুনে খুবই ভালো লাগছে। এটা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তেমনি উপকারী ও, আমার ভীষণ ভালো লাগে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দই চিড়া তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করার পাশাপাশি ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার দই চিড়া রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাই। আমরা জানি যে দই চিড়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আসলে সারাদিন রোজা থাকার পর এরকম কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার হলে শরীরের ঘাটতি পূরণ হয়। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবকিছুর বর্ণনা খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।শুভকামনা রইলো ভাইজান আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই দই চিড়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অসাধারণ মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং আপনার ভালোলাগার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ইউনিক লাগলো রেসিপিটা আমরা শুধু দই চিরা খেয়েছি।এমন রেসিপি প্রথম দেখলাম ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এভাবে একবার খেয়ে দেখবেন এভাবে খুবই সুস্বাদু হয়।
খাবারটি দেখেই অনেক লোভনীয় এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে। দই চিড়া অনেককে দোকানে খেতে দেখি তবে এভাবে তৈরি করতে হয় আগে জানা ছিল না। ভালো লাগলো পদ্ধতিটি দেখে। ধন্যবাদ
যেহেতু শিখে ফেলেছেন তৈরি করে খাবেন অসম্ভব সুস্বাদু শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আগে আমি দই চিড়া খেতে চাইতাম না কিন্তু একদিন এক বন্ধু নিয়ে গিয়েছিল শাহবাগ মার্কেটের নিচে অবস্থিত দই চিড়ার এক দোকানে। কি বলব খাবার পর অমৃতের মতো লেগে ছিল। এরপর থেকে এই খাবার মাঝে মাঝেই খাই। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি। ধন্যবাদ
হ্যাঁ ভাইয়া এই খাবারটা খুবই ভালো এবং কি উপকারী যেমন তৃপ্তি পাওয়া যায় তেমনই শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক অনেক উপকারী। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি দেখলাম। এটা আমার পূর্বে খাওয়া হয়নি। তবে আমরা যেভাবে খেয়েছিলাম চিড়া, কলা,নারিকেলের সাথে সবকিছুকে দিয়ে মেখে তারপরে খাওয়া হয়েছে ।কিন্তু এভাবে আলাদা করে দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি ,আপনার কাছে দেখতে পেলাম । আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই রেসিপিটি।
আপু এটা হেব্বি টেস্ট, একবার খেয়ে দেখবেন, অসাধারণ লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
সত্যি বলতে খুবই ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম আপনার আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে খুবই চমৎকার ভাবে আপনি দই চিড়া কম্বিনেশনে একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ধরনের খাবার খেলে প্রচণ্ড গরমে শরীর অনেকটা ঠান্ডা থাকে। এবং সেইসাথে ইফতারের জন্য খুবই স্বাস্থ্যসম্মত একটা খাবার। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপনি এর গুনাগুন সম্পর্কে খুব সুন্দর করেই মন্তব্য করেছেন। তবে খেয়ে দেখবেন এর তৃপ্তি এবং সুস্বাদু কাকে বলে বুঝতে পারবেন। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আসলেই দই চিড়া রেসিপিটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। রমজান মাসে ইফতারের সময় ভাজাপোড়া জিনিস বাদ দিয়ে দই চিড়া পারফেক্ট ইফতারের রেসিপি হওয়া উচিত। আপনি খুব চমৎকার করে দই চিড়া রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। দই চিড়া রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন ভাজা পড়া বাদ দিয়ে রেসিপি টা করে খেলে শরীর এবং স্বাস্থ্য দুটোই ভাল থাকবে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।