আমার বাংলা ব্লগ। কর্মজীবনের আনন্দঘন মুহূর্তের ফটোগ্রাফি। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
ফটোগ্রাফি - ১
 |
|---|
ফুল ভালোবাসা নাই এরকম মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যেমন মুশকিল। ঠিক তেমনি করে প্রতিটি মানুষেরই কর্মজীবন ও প্রতিদিনই ঘটে যায় অনেক কিছু। আর এর মাঝেই হাসি-কান্না নিয়েই মানুষের জীবন। তাই আমি চিন্তা করলাম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে আমি আমার একদিনের কিছু চিত্র তুলে ধরি। যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার কর্ম জীবনে হাসি খুশি থাকার মতো কিছু মুহূর্ত কেটে যায়। তাই চিন্তা করলাম যে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি আমার একটি দিনের কিছু চিত্র।
যেখানে শুরুতে আছে ভালো লাগার কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি। পরবর্তীতে কর্মজীবন নিয়ে কাটানো কিছু সময়, পরবর্তীতে আবার বাইরে যাওয়ার কিছু নান্দনিক দৃশ্য এবং রাতের বেলার কাজের কিছু চিত্র, আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে ভিন্নরকম এই ফটোগ্রাফি গুলো। চলুন তাহলে এক পলক দেখে নি আমার একদিনের ভালোলাগার কিছু চিত্র।
এই ফুলটার নাম হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা, এটা আমার অফিসের এক বারেই গেটের দরজার পাশেই। ফুলটা আমি আগে কখনো দরজার সামনে দেখি নি এভাবে প্রথম ফুটতে দেখে খুব আমাকে আকৃষ্ট করেছে। একবারে নিকটে গিয়ে ফুলটার ফটোগ্রাফি নিলাম সময়টা ছিল সকাল ০৯ টা। এর সাথে আরো কয়েকটা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে।
ফটোগ্রাফি - ২
 |
|---|
এটা সবার পরিচিত ফুল নয়ন তারা, দেখতে খুবই সুন্দর লাগে আর এই ফুল গাছগুলো অফিসের পাশেই ঘেরাও করে লাগানো হয়েছে যাতে কেউ নষ্ট না করে দেখতে খুবই ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি - ৩
 |
|---|
আমার অফিসের কলিগ সাবের কাকা, উনাকে আমি কাকা বলেই সম্বোধন করি। আর উনি পেশায় হচ্ছেন একজন ইলেকট্রিক ফোরম্যান। দুর্ভাগ্যবশত উনি ওনার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে ওনার একটা পাও ভেঙ্গে গেছিল, এখন মোটামুটি আল্লাহর রহমতে অনেকটা সুস্থ।
ফটোগ্রাফি - ৪
 |
|---|
কাকা বলে ডাক দিলে উনি এত বেশি খুশি হয় যা বলার বাহিরে। সকালবেলায় নয়টার দিকে সূর্যের সোনালী রোদ চোখের উপর এসে পড়লো। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছবি তুলতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তবুও একটা সেলফি নিলাম।
ফটোগ্রাফি - ৫
 |
|---|
এটা হচ্ছে আমাদের সবার পরিচিত একটি ফুল, রঙ্গন ফুল। একটি থোকায় কয়েকটা ফুল ফুটেছে তবে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরেই ফুলগাছ কতটা পরিষ্কার রাখা ও সম্ভব না ধুলোবালিতে একবারে যাচ্ছেতাই হয়ে আছে।
ফটোগ্রাফি - ৬
 |
|---|
এটাও রঙ্গন ফুলের একটি থোকা সবগুলো মুখিয়ে রয়েছে। এ থোকার মধ্যে একটাও ফুল ফোটে নি, তবে এই থোকার ফুল ফুটতে আরো দুই তিন দিন সময় লাগবে।
ফটোগ্রাফি - ৭
 |
|---|
এতগুলো চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফুটেছে যা বলার বাহিরে আমাকে খুব বেশি আকৃষ্ট করেছে। চেয়েছিলাম একটা ফুল নিতে তবুও মন চাইছে না, একটা ফুল ছেড়ার জন্য, কারণ ফুলের সৌন্দর্য গাছেই আর দূর থেকে উপভোগ করার মজাটাই আলাদা।
ফটোগ্রাফি - ৮
 |
|---|
এই ভদ্রলোক হচ্ছে আবার মিলের একজন সহকারি। পেশায় একজন মেকানিক্যাল ফিটার। সময়টা ছিল দুপুর দুইটা লাঞ্চ করে এসে যেখানে বসেছে ওইখানে ঘুম। আরেক সহকারি কোথা থেকে একটা বাটি এনে দিয়েছে। অর্থাৎ তাকে দেখতে অনেকটা ভিক্ষুকের মতো লাগছে, সে কি মজা সবাই হাসতে হাসতে অস্থির।
ফটোগ্রাফি - ৯
 |
|---|
সময়টা ছিল সন্ধ্যে সাতটা আমার পাশের ফ্লাটে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সাজ সজ্জা করা হয়েছে। বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জা গুলো খুবই সুন্দর এবং চোখ জোড়ানো ছিল।
ফটোগ্রাফি - ১০
 |
|---|
বিয়ে বাড়ির গেট থেকে বাড়ি পর্যন্ত যে লাইটিং টা করেছে সেটা আরো দারুন লাগছিল, তাই ফটোগ্রাফি টা নেওয়া। বাড়ি থেকে একবারে মেইন রোড পর্যন্ত খুব সুন্দর করে লাইটিং গুলো সাজিয়েছি তাই ফটোগ্রাফি টা নেওয়া।
ফটোগ্রাফি - ১১
 |
|---|
এখানে যাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন এরা সবাই আমার সহকর্মী, আর ফটোগ্রাফি টা নেওয়া হয়েছে আনুমানিক রাত 9 টায়। আমি ছবিটা অনেক দূর থেকে জুম করে তুলেছিলাম, অবশ্য কেউ জানে না সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
ফটোগ্রাফি - ১২
 |
|---|
অন্য অ্যাঙ্গেল থেকে আরেকটা ফটোগ্রাফি নিলাম। সবাই কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত এবং আনন্দ ফুর্তি করছে সেই সাথে কাজটাও করে নিচ্ছে। তবে আমাদের টেকনিকেল কাজের মজাটা এইখানেই। সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরেও অনেক হাঁসি ঠাট্টা মশকারি এবং কি সারাদিন আনন্দেই তাদের কেটে যায়। আবার মাঝে মাঝে মারামারি ও হয় এতে কোন ভুল নেই। তবুও দিনশেষে সবাই আবার একসাথে বেরিয়ে যায়। আবার একসাথেই অফিসে যোগদান করে। এটাই হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা চিত্র।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার কর্মজীবনের একদিনের আনন্দঘন কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আশা করি ভালো লাগবে ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন সাপোর্ট দিয়ে অবশ্যই সাথে থাকবেন আজকের মত বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ফটোকপি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে সময় নিয়ে ছবিগুলো তুলেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ লাগছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমার ফটোগ্রাফী গুলোর প্রশংসা করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
কর্মজীবনের আনন্দঘন মুহূর্তে তোলা ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে।সবার কাজের ফাঁকে অফিস সহকর্মীদের ছবি গুলো বেশ ভালো ছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু মজা করলে সময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়।সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন কর্মব্যস্ততার মাঝে আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো কাটে আমাদের। আর আপনার এত সুন্দর প্রশংসা এবং এত সুন্দর মন্তব্য আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমার ফটোগ্রাফী গুলো আপনার ভাল লেগেছে এটাই আমার সার্থকতা। আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
বাহ ভাইয়া আপনারা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কমেন্ট করার মত ভাষা হারিয়ে ফেলেছি । কারন অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো তুলেছেন । ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে বর্ণ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
তাছাড়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার এত সুন্দর প্রশংসা সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমার ফটোগ্রাফী গুলো শেয়ার করা সার্থকতা মনে করছি। আর এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই অসাধারণ হয়েছে।এগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মুগ্ধতার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো চেষ্টা করেছি আমার একটি দিনের কিছু আলোকচিত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুবই খুশি হলাম আপনার জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বেশ মজা পেয়েছি এই কাণ্ড টি পড়ে। আর আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল বিশেষ করে 10 নাম্বার এবং 12 নাম্বার ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।