"স্পেশাল খিচুড়ি রেসিপি" || (১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক কে)
১০-০৫-২০২২
২৬ই বৈশাখ
প্রসঙ্গঃ"স্পেশাল খিচুড়ি রেসিপি"
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এপার ওপার দুই বাংলার মানুষ। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি। আজ আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বরাবরের মতো আজকে ও একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের কে "স্পেশাল খিচুড়ি" রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। জানি না আপনাদের কেমন লাগবে কিন্তু আশা করতেছি অবশ্যই ভালো লাগবে। খিচুড়ি খাইতে কার নাহ ভালো লাগে। সকাল বেলা খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই অন্য রকম। আমার খুবেই ভালো লাগে সকাল বেলা খিচুড়ি খাইতে। খিচুড়ি সাথে একটা ডিম ভাজি হলে তো কোন কথায় নেই। আজকে প্রথম আমি খিচুড়ি রান্না করলাম। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে আমার রেসিপিটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ | পরিমাপ |
---|---|
চাউল | ১কেজি |
মসুর ডাল | ২৫০ গ্রাম |
পিঁয়াজের কুচি | পরিমান মতো |
কাঁচা মরিচের কুচি | পরিমান মতো |
রসুন বাটা | পরিমান মতো |
হলুদের গুঁড়ো | ২ চামচ |
মসলার গুঁড়ো | ২ চামচ |
মরিচের গুঁড়ো | ১ চামচ |
লবণ | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমান মতো |
প্রথমে আমি একটি খালি পাতিল চুলায় বসায় দিলাম৷ পাতিলটি সম্পূর্ণ ভাবে গরম হয়ে আসলে সেখানে পরিমান মতো তেল ঢেলে দিলম।
তেলটি সম্পূর্ণ ভাবে গরম হয়ে আসলে সেখানে পিঁয়াজের কুচি, কাঁচা মরিচের কুচি ও রসুন দিয়ে দিলাম। তারপর হাতা দিয়ে নেড়ে হালকা করে ভেজে নিলাম।
তারপর মসুর ডাল গুলো ঢেলে দিয়ে ভালো ভাবে মিক্সার করে নিলাম।
তারপর সেখানে হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, মসলার গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে দিলাম। তারপর ভালোভাবে মিক্সার করে নিলাম।
তারপর আলু ও চালগুলো ঢেলে দিয়ে সেখানে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম। তারপর হাতা দিয়ে একটু নেড়ে দিলাম।
তারপর ভালো ভাবে যেন সিদ্ধ হয় সেই জন্য ঢাকনা দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা টি খুলে হাতা দিয়ে একটু নাড়িয়ে দিলাম। যেন নিচে দিকে দাগ নাহ লাগে।
রেসিপিটি প্রায় তৈরি হয়েছে। তারপর আমি চুলা টা বন্ধ করে নামিয়ে নিলাম। তারপর সুন্দর একটি প্লেটে নিলাম খাওয়ার জন্য। অবশেষে তৈরি হয়ে গেল স্পেশাল খিচুড়ি।
এতোক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার রেসিপির পোষ্টটি পড়ে। কোন রকম ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন। সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
খিচুড়ি আমারও অনেক পছন্দের । খিচুড়ি , ডিম ভাজি , সালাদ আর সামান্য আচার হলে খাওয়া একেবারে জমে যায়। কিন্তু সকালবেলা আমি এই ভারী খাবারগুলো খেতে পারিনা।
যাইহোক আপনার রান্না করায় খিচুড়ি দেখে আমারও খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা মনে জাগলো।
আপনি অনেক গুছিয়ে খিচুড়ি রান্নার ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদিন খেয়ে দেখবেন আপু অবশ্যই ভালো লাগবে। শুভেচ্ছা রইল।
একদম সময় উপযোগী একটি পোস্ট। আসলে বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে দারুণ মজা লাগে। আপনার স্পেশাল খিচুরি দেখে সত্যি ভাই অনেক খেতে মন চাচ্ছে। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইলো।
আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া যেন আরো ভালো কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বৃষ্টির দিনে সব অনুভূতি যেন খিচুড়ি ভাত কে নিয়েই। সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে আবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু আর আপনি যেন সঠিক সময়ে সঠিক ডেলিভারি দিয়েছেন। মজাদার খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাকে উৎসাহিত করে আমার পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মনের কথাটি বলেছেন ভাইয়া, সত্যি সকাল বেলা খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই আলাদা, আমি যখন বাইরে থাকি তখন প্রতি দিন সকাল বেলা করে খিচুড়ি খাই, সকাল বেলা খিচুড়ি আমার খুবই প্রিয়, আপনি অনেক সুন্দর করে খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এমনিতেই আমার অনেক পছন্দ খিচুড়ি। আপনি খুব চমৎকার ভাবে খিচুড়ি রান্না করে দেখিয়েছেন। সহজে উপায়ে রান্না করায় শিখা ও সহজ হবে। কালার ও দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ খিচুড়ি রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
বৃষ্টির দিন বলে সবাই শুধু খিচুড়ি নিয়ে আসছে কিন্তু কেউ দাওয়াত দিচ্ছে না😂😂🤭।যাই হোক আপনার এত সুস্বাদু খিচুড়ি দেখে মনে জল চলে আসল। আমার কাছে এমন খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু অন্য একদিন তৈরি করলে আপনাকে অবশ্যই দাওয়াত করবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সকালবেলায় খিচুড়ি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে মজার এই রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খিচুড়ি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনার তৈরি খিচুড়ি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ির রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, যার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া এ ভাবে বলিয়েন না, খেতে চাইলে চলে আসেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আপনার স্পেশাল খিচুড়ি দেখে আমার কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছে করছে। খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দ। আর এমন বৃষ্টির দিনে হলে তো কোন কথাই নেই। আপনার খিচুড়ি রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমি মাঝে মাঝেই এইভাবে করে খিচুড়ি রান্না করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া খিচুড়ি রান্নার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন বৃষ্টি দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। ধন্যবাদ আপু।
খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনার পছন্দের রেসিপি কথা টা শুনে খুবেই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।