আমার বাংলা ব্লগ "ঢাকা ভ্রমন" (প্রথম পর্ব) || (১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক-কে)
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন এপার ওপার দুই বাংলার মানুষ। আল্লাহর রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি। আজ আমি আমার বাংলা ব্লগে ঢাকা ভ্রমনের (প্রথম পর্ব) আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি দুই দিন আগে হঠাৎ করে ঢাকায় আসছি। সেই দিনের ভ্রমনের কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে আমার পোস্ট টি পড়ে।
আমি ঘুম থেকে উঠলাম সকাল ৮ দিকে৷ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ফোনে একটা ফোন আসলো। দেখতেছি আমার ভাবি আমাকে ফোন দিছে ৷ ফোন আমি ধরলাম। তারপর আমার ভাবি আমায় বলতেছে তোমাকে আজকে ঢাকাই আসতে হবে। আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমি বললাম কেন? আমার ভাবি বলতেছে ঢাকায় আসলে বুঝতে পারবি। আমি বল লাম ঠিক আছে তাহলে। হঠাৎ করে ঢাকা যাওয়ার জন্য আমি রেডি হতে শুরু করলাম।
তারপর আমি দেরি পার্বতীপুর রেলস্টেশনে গেলাম টিকিট কাঁটার জন্য। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখি কোন টিকিট নাই। আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। এখন কি করবো। বাসে তো আমি উঠতে পারি নাহ। বাসে উঠলে আমার মাথা বেথ্যা করে। কিছুক্ষণ টিকিট কাউন্টারে দারে ভাবতে শুরু করলাম কি করবো। হঠাৎ করে টিকিট কাউন্টারে ভাইয়া টা বলতেছে একটা টিকিট হবে কিন্তু বিকালে যাইতে হবে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ৩ : ৩৫ মিনিট ট্রেন। আমি বললাম ঠিক আছে ভাইয়া। আমার কোন সমস্যা হবে নাহ। তাই আমি দেরি নাহ করে টিকিট হাতে নিয়ে বাসায় উদ্দেশ্য রহনা দিলাম। বাসায় এসে আমার মালপত্র গুছিয়ে নিলাম। প্রায় দুপুর একটা বেজে। তারপর আমি গোসল করে নিলাম। একটু ফ্রেশ হয়ে খাইতে বসলাম। খাওয়া শেষ করার পর আমি রেডি হয়ে নিলাম।
তারপর বাসায় থেকে বাইর হয়ে একটি ভ্যানে পার্বতীপুর রেলস্টেশন উদ্দেশ্য রহনা। দিলাম। রেলস্টেশনে পৌঁনছাই গেলাম ৩ টা দিকে। যেহেতু ট্রেন টা পঞ্চগড় থেকে আসবে তাই আমি ১ নং প্ল্যাটফর্ম সাইটে গিয়ে বসে ট্রেন এর জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করলাম। প্রায় ৩:৩০ মিনিট হয়ে গেছে এখনো ট্রেন আসলো নাহ। তাই আমি একটা চা দোকানে গিয়ে চা খাইতে শুরু করলাম। চা খাওয়া শেষ নাহ হইতে ট্রেন চলে আসলো। আমি তাড়াতাড়ি আমার মালপত্র নিয়ে ট্রেনে উঠার জন্য রেডি হয়ে গেলাম। আমার সিট নম্বর ঙ বগি ৩১ং সিট।
আমি ট্রেনে উঠে আমার সিটে বসে পড়লাম। ট্রেনে উঠে দেখলাম সবাই ট্রেন এর ভিতর ম্যাক্স পরে বসে আছে। যেহেতু দেশের করোনা মহামারি তাই এক জনে দুই টা করে বসার আসন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন ছেরে দিল। আমি বাসায় ফোন দিয়ে আমার মাকে বললাম আমি ট্রেনে উঠে পড়ছি এখন ট্রেন ছেরে দিয়েছে। আমার মা বলতেছে ঠিক আছে ভালো ভাবে যাইও। আমি বললাম ঠিক আছে মা। আজকের মতো এখানে শেষ করলাম। আবার অন্য কোন দিন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার ভ্রমণের পোস্টটি দেখে।আমার পোস্টটিতে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তা ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
ফটোগ্রাফার | @robiul02 |
---|---|
মোবাইল | Oppo A31 |
লোকেশন | পার্বতীপুর |
WW3W location | (https://w3w.co/greyhound.dial.patch) |
আপনার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ ছিল। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। রেল স্টেশনের দৃশ্য এটি খুবই দারুন ছিল। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া। এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আপনাদের এলাকা পার্বতীপুর থেকে ঢাকা ট্রেনে যাওয়ার ঘটনা খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করবেন।আপনার জার্নি শুভ হোক।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার ঢাকা আসার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। ট্রেন এ ভ্রমন আমার অনেক ভালো লাগে। যদিও অনেক দিন হলো ট্রেন এ উঠা হয়নি। টুর দিতে ইচ্ছা হয় কিন্তু হাত খালি টাকা পয়সা কম তাই হয়েও উঠেনা।
ইচ্ছা করলে সবে সম্ভব ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া।