রেসিপিঃ "ধনিয়া /ধনে পাতা দিয়ে মুচমুচে পাকোড়া"|| ( ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁ-কে)
২৮-০১-২০২২
১৪ই মাঘ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রসঙ্গঃ"ধনিয়া /ধনে পাতা দিয়ে মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি"
💕সবাইকে স্বাগতম💕
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন এপার ওপার দুই বাংলার মানুষ। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগে কমিউনিটিতে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে। আজ আমি আপনাদের একটি "ধনিয়া /ধনে পাতা দিয়ে মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি" তৈরি করে আপনাদের দেখাবো। এটি একটি শীতকালীন মুচমুচে রেসিপি। শীতকালে ছাড়া অন্য কোন সময় পাওয়া যায় না। এই রেসিপিটি বিকাল ও সন্ধ্যার নাস্থা। আমি প্রায় বিকাল বেলা এক দোকান নিয়ে আসি। আমার খাইতে বেশ ভালো লাগে। আজকে আমি নিজে বাসায় তৈরি করে খেয়ে অনেক মজা পাইলাম। আশা করি আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। বন্ধুরা সময় পাইলে অব্যশই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা দেরী না করে রেসিপিটার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
💕প্রয়োজনীয় উপকরণঃ💕
উপকরণ | পরিমাপ |
---|---|
বেসন | ৪ কাপ |
ময়দা | ২ কাপ |
ধনিয়া পাতা | ২০০ গ্রাম |
মরিচের গুঁড়ো | ২ চামচ |
হলুদের গুঁড়ো | ১ চামচ |
ধুনিয়ার গুঁড়ো | ১ চামচ |
মসলার গুঁড়ো | ১ চামচ |
লবণ | পরিমান মতো |
তেল | পরিমান মতো |
👉ধাপঃ-১
প্রথমে ধনে গাছের শিকর গুলো কেটে ফেল্ দিলাম।তারপর আমি ধনে পাতা গুলো পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে একটা প্লেটে নিলাম।
👉ধাপঃ-২
তারপর একটা বাটিতে চার কাপ বেসন ও দুই কাপ ময়দা ঢেলে দিলাম।
👉ধাপঃ-৩
ময়দা ও বেসন এর উপর হলুদ গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, লবণ,ধুনিয়ার গুঁড়ো ও মসলার গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
👉ধাপঃ-৪
তারপর কাপ দিয়ে চার কাপ পানি ঢেলে দিয়ে মিক্সার করতে শুরু করলাম।
👉ধাপঃ-৫
আবার কয়েক কাপ পানি দিয়ে বেসন এর মাখন টা একটু হালকা করে নিলাম। এতে আমার বেসন এর মাখন টা তৈরি করে গেল।
👉ধাপঃ-৬
তারপর আমি চুলা টা চালু করে কড়াই বসায় দিলাম। কড়াই টা একটু গরম হয়ে আসলে তেল ঢেলে দিলাম।
👉ধাপঃ-৭
দুই থেকে তিন টা ধনে পাতার ডাল নিয়ে, মাখন টাতে ধনে পাতা মিক্সার করে নিলাম।
👉ধাপঃ-৮
তেলটি গরম হয়ে আসলে একটি করে ছেরে দিলাম। একটু লাল হয়ে আসলে হাতা দিয়ে নেড়ে দিলাম।
👉ধাপঃ-৯
সম্পূর্ণ টা লাল হয়ে আসলে আমি তুলে নিলাম। এ ভাবে অনেক গুলো তৈরি করে নিলাম৷ অবশেষে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে গেল ধনে পাতার মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি।
👉ধাপঃ-১০
আমার তৈরি করা রেসিপিটিতে সাথে নিজের একটা ছবি শেয়ার করলাম।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার রেসিপির পোস্টটি দেখে।আমার পোস্টটিতে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তা ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ জানাই "আমার বাংলা ব্লগ" সকল সদস্যকে।
ধনিয়া পাতার পাকোড়া গুলো আমরা সাধারণত শীতকালে দোকান থেকেই কিনে খাই।ধনিয়া পাতার এই পাকোড়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে বাসায় তৈরি করেছেন। পাকোড়া বানানোর ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। খুবেই ভালো লাগবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাকোড়া খেতে আমি অনেক ভালবাসি শীতের সময় এটি খেতে খুবই মজাদার লাগে । আপনি ধনিয়া পাতা দিয়ে পাকোড়া রেসিপি টি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন । রেসিপিটি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুজিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া৷
ভাই আপনি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধনিয়া পাতার পাকোড়া আমি এর আগে কখনো খাইনি বা দেখিনি ।আজ প্রথম দেখলাম। আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। এমনিতেই ধনেপাতা খেতে খুবই ভালো লাগে। আর তা দিয়ে যদি পাকোড়া তৈরি করা হয় তাহলে এটি খুবই সুস্বাদু হবে। প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন ।যেটা দেখে খুব সহজেই আপনার পাকোড়া তৈরির প্রণালী বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি যেহেতু কখনো খান,,সময় পাইলে বাসায় একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুবেই ভালো লাগবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া ধনিয়াপাতার খুবই খুবই মজাদার। আমি ওইদিন তৈরি করে খেয়েছিলাম।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার পাকোড়া তৈরির প্রতিটি ধাপ দারুণ হয়েছে ভাইয়া।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
হ্যাঁ খুবেই মজাদার একটি রেসিপি। ধন্যবাদ আপু।
ভাই আমি তো মনে করেছিলাম সম্ভবত দেশি মুরগির রোস্ট, পরে ভাল করে দেখলাম যে না আপনি ধনিয়া পাতার পাকোড়া শেয়ার করেছেন হাহাহাহা...। ভাই আপনার ধনিয়া পাতার পাকোড়া টি দেখতে অনেক ইয়াম্মি লাগছে, খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া দেখতে একটু দেশি মুরগী রোস্ট মতো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও দাদা ধনেপাতার পকোড়া দেখেই লোভ লেগে গেলো।আমি একবারই ধনেপাতার পকোড়া খেয়েছি দারুন খেতে হয় এবং আমারও খুব ভালো লাগে। ভালোই হলো আপনার কাছ থেকে রেসিপিটা জানতে পারলাম একবার বাড়িতে করে দেখবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে৷ ধন্যবাদ আপু৷
আপনার রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেলো৷ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পাকোড়া তৈরি করেছেন৷ খু৷ সুন্দর ভাবে প্রতিটি স্টেপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সব মিলিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে সুন্দর সুন্দর রেসিপি শেয়ার করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ধনিয়া পাতা ব্যবহার করে আপনি অনেক চমৎকার ভাবে মুচমুচে পাকোড়া তৈরি করেছেন ভাই। ধনিয়া পাতার এই মুচমুচে পাকোড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমি মাঝেমাঝেই রাস্তার পাশের দোকান থেকে এই ধরনের পাকোড়া খেয়ে থাকি। আপনার রেসিপিটি দেখে এখন আমার জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি মজাদার রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে step-by-step শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ওয়াও ধনেপাতা দিয়ে পাকোড়া খেতে নিশ্চয় অনেক মজা লাগবে। বাসায় অনায়াসে বানানো যাবে আপনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি সিম্পল রেসিপি আমাদের শেখানোর জন্য । ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।