নাটক রিভিউঃ "মনের সাথী"// (১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক কে)

আশা করি সবাই ভালো আছেন এপার ওপার দুই বাংলার মানুষ। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি।আজ আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে দ্বিতীয় বারের মতো একটি রোমান্টিক নাটক নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার পছন্দের একটি নাটক রিভিউ "মনের সাথী" আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক।

নাটকটিতে সামিরা মাহি আর অনিকা মিম এই দুই বান্ধবী। একজন আর একজনের জন্য জান দিতে পারে এমন বান্ধবী। অনিকা বিয়ে ভাঙ্গানোর জন্য সামিরা মাহি ঢাকা থেকে রহনা দেয় অনিকার মিম এর গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্য। সামিরা মাহি একটি বাসে আসার সময় ফারহান সাথে তার একটু পরিচয় হয়। তার থেকে দুই জনের একটু ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

তারপর দুই জনে চলে যায় নিজের গন্তব্য স্থানে। ফারহানে মা তাকে ফারহান ঢাকা নিয়ে আসছে এক মাত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য। ফারহান সেটা জানতো নাহ। ওই দিকে সামিরা তার বান্ধবী বাড়িতে তার বান্ধবী অনিকা কে ছেলে দেখতে আসবে বলে তাকে সাজিয়ে রেডি করে। পাত্র পক্ষ চলে আসছে। সবার প্রথম সামিরা মাহি তার বান্ধবী অনিকা মিম কে বললো আমি গিয়ে একটু দেখে আসি। অনিকা মিম বললো ঠিক আছে যাও,,,এই বলে সামিরা মাহি ছাদে চলে গেল।

সেখানে গিয়ে দেখে বাসে দেখা সেই ভালোবাসার মানুষ ফারহান কে। ফারহান ও অবাক। দুই জন বেশ কিছুক্ষণ দুই জনের দিকে তাকায় আছে। তারা দুই জন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর সামিরা মাহি নিচে চলে আসে। সামিরা মাহি খুশি আত্মহারা হয়ে গেছে। সে মনে মনে ভাবতেছে আমি আমার মনের সাথী কে পেয়ে গেছি।

কিছুক্ষণ পর তার বান্ধবীকে নিয়ে এসে পাত্র পক্ষ মার কাছে। ফারহান এর মা দেখে বলতে মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে। ওই দিকে ফারহান মনে মনে বলতেছে আমি এই বিয়ে করবো নাহ। কিন্তু সাহস করে বলতে পারতেছে নাহ। অনিকা মিম যখন ছেলেটিকে দেখলো তখন অবাক হয়ে গেছি। আর মনে মনে বলতেছে আমি তো এই ছেলে কে পছন্দ করি। সামিরা মাহি হাত দিয়ে সারা দিয়ে ফারহান কে বলতেছে আমি আছি তুমি টেনশন নিয়ো না। তারপর পাত্র পক্ষ চলে গেল।

সামিরা মাহি তার বান্ধবী অনিকা মিম কে বলতেছে তুই তো এই বিয়ে করবি নাহ তাই নাহ। তার বান্ধবী বলতেছে আমি তো এই ছেলেকে অনেক আগে থেকে পছন্দ করতাম। সামিরা এই কথা শুনে অনেক কষ্ট পায়। আর মনে মনে বলে এটা কি হচ্ছে।

ওই দিকে ফারহান তার মা কে বলে কনে পক্ষ বাসায় নাম্বার নিয়ে ফোন দিল। তারপর অনিকার সাথে কথা বলে সামিরা মাহির কথা কথা বলে। তখন অনিকা মিম বলে সে আমার বান্ধবী। আমার জন্য সে জান দিতে পারে আমি ও জান দিতে পারি। তারপর ফারহান অনিকা মিম কে বলে সামিরা মাহি সাথে কি একটু কথা বলা যাবে। অনিকা মিম সামিরা মাহিকে ফোন টা দিয়ে বলে কথা বল তোমার দুলাভাই। তারপর দুই জন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। সামিরা মাহি বলে সে আমার বান্ধবী তুমি অকে বিয়ে করো। ফারহান বলে আমি করতে পারবো নাহ। এই নিয়ে দুই জন অনেক কষ্ট পায়।

তারপর হঠাৎ করে ফারহান তার হবু শ্বশুরের বাসায় আসে। এসে সামিরা কে জরিয়ে ধরে বলে আমি তোমাকে চাই। এই বিষয় টা অনিকা মিম দেখে ফেলে। তারপর দুই বান্ধবী মধ্যে সম্পর্ক ভাঙতে শুরু করে। দুই জনে দুই দিকে কান্না করে। অবশেষে সামিরা তার বান্ধবী নাহ বলে ঢাকার উদ্দেশ্য রহনা দেই। অনিকা মিম তার রাস্থায় দেখা পেয়ে বলে আমায় নাহ বলে চলে যাইতেচিস কেন? সামিরা বলে তুমি গুমায় ছিলা তাই ডাক দেইনি। অনিকা মিম বলে তুই এখানে বিয়ে ভাঙ্গতে আসছিস। তুই চলে গেলে বিয়েটা ভাঙ্গবে কি। এই কথা শুনে সামিরা পুরাই অবাক। তারপর অনিকা মিম ফারহানের হাতে সামিরা কে হাতে তুলে দেয়। নাটকটি এখানে শেষ হয়ে যায়।

আমি মনে করি এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক। অনেক সুন্দর একটি কাহিনি দেখার মতো। অনেক হাসি ও মজা এবং একটু কষ্ট রয়েছে নাটক টির মধ্যে। সামিরা মাহি ফারহান কে ভালোবাসে এবং অনিকা মিম ও ফারহান কে ভালোবাসে। কিন্তু ফারহান শুধু সামিরা মাহি কে ভালোবাসে। কিন্তু ফারহানের বিয়ে ঠিক হয়েছে অনিকা মিম এর সাথে। ওই দিকে খুব কাছের ফ্রেন্ড সামিরা মাহি। যখন অনিকা মিম জানতে পারলো সামিরা মাহি ফারহান কে ভালোবাসে তখন সে একটু ভেঙ্গে পরে। তারপর নিজের ভালোবাসা কুরবানি দিয়ে বান্ধবী ভালোবাসা জয়ী করে দিল। সামিরা মাহি কে ফারহানের হাতে তুলে দিল। তাই কথায় আছে বন্ধু বন্ধুর জন্য সবকিছু করতে পারে কিন্তু বন্ধুর মতো বন্ধু থাকতে হবে।

আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার পোষ্টটি পড়ে। কোন রকম ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন। সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।