Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৭
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৭
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৬
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
কাল রাতে শীতটা কিন্তু পড়েছিল জবর রকমের । শীতে জমে একেবারে আইসক্রিম হয়ে গিয়েছিলাম । আজকে তাই ঘুম থেকে উঠেছি বেশ দেরি করে । আলিস্যির কারণে উঠতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না মোটেও । অনেকক্ষণ এপাশ ওপাশ করে অবশেষে উঠলাম । আজকে আবার গা টা ম্যাজ ম্যাজ করছে । খেয়ে দিয়ে কিছু কাজ ছিল করে তারপরে স্নানে গেলাম । স্নান সেরে এসে পোস্ট লিখছি । কেমন আছেন সবাই ? করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট "ওমিক্রন" কিন্তু ভালোই স্প্রেড করেছে । এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে ভারতে অলরেডি কোটির উপরে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে । তাই মাস্ক ছাড়া একদমই চলা ফেরা করবেন না ।
আজকে আমি আবারো হাজির হয়েছি বেশ কিছু মাংসাশী শিকারী প্রাণী ও নিরীহ তৃণভোজী প্রাণীদের স্টাফ করা দেহের ফোটোগ্রাফি নিয়ে ।
১. চিতল বা চিত্রল হরিণ
২. নীল গাই
৩. মারখোর
৪. গাউর বা ইন্ডিয়ান বাইসন
৫. নীলগাই, চিতা বাঘ, ইন্ডিয়ান গ্যাজেল, স্ট্রাইপড হায়েনা, ব্রাউন বিয়ার , বার্কিং ডিয়ার এবং গয়াল
৬. কাশ্মীর স্ট্যাগ এবং ভারতীয় ব্ল্যাক বাক
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।
তিনটি চিতল বা চিত্রল হরিনের স্টাফ করা দেহ । এদেরকে ইংরেজিতে বলে স্পটেড ডিয়ার । ভারতের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে এদেরকে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
নীল গাই । এশিয়ার সর্ববৃহৎ এন্টিলোপ এরা । হরিণ বিশেষ এই প্রাণীর আকার গরুর মতো বিশাল বলেই এর নাম নীলগাই ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
Markhor হলো একধরণের ছাগল জাতীয় প্রাণী । এরা ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে বসবাস করে । অতি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী এরা । ভারতে এদের শিকার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । একটি পূর্ণবয়স্ক মারখোর ষাঁড়ের মতোই বিশালদেহী হয় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গাউর বা ইন্ডিয়ান বাইসনের স্টাফ করা মাথা ও পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ভারতীয় বেশ কিছু মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রাণীর পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল । পিছন থেকে পর্যায়ক্রমে - নীলগাই, চিতা বাঘ, ইন্ডিয়ান গ্যাজেল, স্ট্রাইপড হায়েনা, ব্রাউন বিয়ার , বার্কিং ডিয়ার এবং গয়াল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কাশ্মীর স্ট্যাগ এর মাউন্ট করা মাথা (শিং সহ) আর ভারতীয় ব্ল্যাক বাক এর স্টাফ করা দেহ (সামনে) ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
ওমিক্রনের কথা কী আর বলব দাদা। আমাদের দেশে স্কুল কলেজ হয়তো আবার বন্ধ হয়ে যাবে😞।
আজকের স্টাফ করা প্রাণীগুলো অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে নীল গাই টা। আমাদের দেশে কিছুদিন আগেও একটা জীবন্ত নীল গাই পাওয়া গেছিল যদিও পড়ে সেটা মারা যায়। এবং প্রাণীর পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল গুলো অসাধারণ ছিল।
তিনটি চিত্রল হরিণ যে লাইন দিয়ে আছে সেটা ভালো লাগলো। কঙ্কাল গুলো কেমন যেন অন্য রকম।বাইসনের স্টাফ করা মাথাও অন্য রকম।
দাদা আপনার এই মিউজিয়ামের পর্ব যত দেখি ততই অবাক হয়।ইচ্ছে করছে যেন নিজে গিয়ে স্বচক্ষে দেখে আসি। যত দেখি ততই দেখতে ইচ্ছে করে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
আপনি একদম ঠিক বলেছেন দাদা গতকাল প্রচন্ড শীত পড়েছিল। আমি নিজেও আজ খুব দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি। আজ আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিত্রা হরিণ ও বুনো মহিষের ছবি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সেই সাথে মাংসাশী তৃণভোজী প্রাণীর কঙ্কাল আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি দাদা প্রতিনিয়ত আপনি এত সুন্দর জ্ঞানমূলক পোস্টগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করছেন যা থেকে আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে সমৃদ্ধ করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট পুরো বিশ্বকে আবার আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এর ফলে আবারো পুরো বিশ্ববাসী দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছে। এই ভাইরাস একেবারে নির্মূল করা হয়তো সম্ভব নয় তবে আমাদের সচেতনতাই পারবে এই ভাইরাসকে দমন করতে। সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং মাক্স ব্যবহার করতে হবে। তবে যাই হোক দাদা আজকে আপনি বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রাণীর স্টাফ করা দেহ গুলো আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। দাদা আপনি সাবধানে থাকবেন এবং ভালো থাকবেন এই কামনা করছি।
সত্যিই দাদা,একটার পর একটা ভাইরাস মানুষের মনকে বিষণ্ন করে তুলেছে আর জীবনকে আতঙ্কিত।তাই খুবই সাবধানে ও সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত আমাদের প্রত্যেকের।আজকের ছবিগুলো ও অসাধারণ দাদা।বেশ অনেক ধরনের হরিণের নাম জানলাম ও কঙ্কাল দেখলাম ।নীল গাই অর্থাৎ যেটার মাথায় শিং নেই সেটি আমার কাছে কিছুটা গাঁধা প্রাণীর মতো দেখতে লেগেছে।প্রত্যেকটি তৃণভোজী প্রাণীর শিংগুলি খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয় ।ধন্যবাদ দাদা।
ঠিকই বলেছেন দাদা প্রচন্ড শীত পরছে। প্রায় সব জায়গাতেই শীতের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। আজকের ফটোগ্রাফির দৃশ্যপট অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে হরিণের ভাস্কর্য চিত্র খুব সুন্দর ছিল। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় থাকলাম দাদা।😍😍
দাদা আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি বাহিরে আছি মাক্স ছাড়া। এখনি মাক্স পরে নিবো ইনশাআল্লাহ। কোটির উপরে চলে যাওয়া মানে তো অনেক বেশি। সবাইকে সৃষ্টি কর্তা হেফাজতে রাখুন এই দোয়া করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে মিউজিয়াম এর দৃশ্য গুলি আমাদের মাঝে পর্ব আকারে তুলে ধরার জন্য।