মিনিয়েচার মডেল "সপ্তমাশ্চর্য ভ্রমণ", ইকো পার্কে : তৃতীয় আশ্চর্য "ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার"
দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল একটি দেশ ব্রাজিল । ব্রাজিলের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে পৃথিবীর সবচাইতে বৃহৎ রেনফরেস্ট, রহস্যময় আমাজন । আমাজন অনেক গুলি দেশ নিয়েই ছড়িয়ে রয়েছে, তবে ব্রাজিলের অংশই বেশি । এই ব্রাজিলেই রয়েছে সপ্তমাশ্চর্যের আরো একটি আশ্চর্য "ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার" বা "ত্রাণকর্তা যিশুখ্রিস্ট" । রাজধানী রিও ডি জেনিরো-র একটি পাহাড় "করসোভাদো" । এই পাহাড়ের চূড়োতে রয়েছে পৃথিবীর সব চাইতে বড় "আর্ট ডেকো" মূর্তি, যীশু খ্রীষ্টের ।
১৯২২ সালে ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি করসোভাদো পাহাড়ের উপর যীশু খ্রীষ্টের এই মূর্তিটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং শেষ করেন ১৯৩১ সালে । মূর্তিটি দুই হাত প্রসারিত, মুখে স্বর্গীয় হাসি । গ্রানাইট পাথরের তৈরী সম্পূর্ণ মূর্তিটি প্রায় ১০০ ফুট উঁচু । অপূর্ব সুন্দর এই ভাস্কর্যটির একটি মিনিয়েচার মডেল রয়েছে আমাদের কলকাতার ইকো পার্কে । ইকো পার্কে অবস্থিত মূর্তিটি উচ্চতায় ৫০ ফুট ।
বেশ খানিকটা দূর থেকে "ত্রাণ কর্তা যীশু"-র মূর্তিটি চোখে পড়ে । সাদা ধবধবে অপূর্ব দেখতে বিশাল এই মূর্তিটি ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ধীরে ধীরে অতিকায় মূর্তিটির সন্নিকটে যাচ্ছিলাম আমরা । প্রতিটি স্টেপে এটিকে তারা জ্বলা আকাশের নিচে আরো সুন্দর, আরো মোহনীয় লাগছিলো ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অনেকটাই কাছে এখন আমরা মূর্তিটার । দুই হস্ত দু'দিকে প্রসারিত করে যেন সমগ্র মানবজাতিকে আহবান করছেন, মুখে স্বর্গীয় হাসি , ঘাড় ঈষৎ ঝোঁকানো সামনের দিকে ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আমরা এখন মূর্তিটির একদমই কাছে । ঘাড় উঁচু করে করে দেখছিলাম । সত্যি অপূর্ব দেখতে ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার স্যাটচুটি অনেক সুন্দর লাগছে।সবচেয়ে ভালো লাগছে,তার গায়ে মোড়ানো সাদা পোশাকটি। জায়গায় টির চারপাশে অনেক আলোড়ন করছে।দেখতে খুব ভালো লাগছে।এই বিষয় টি আমার কাছে একদম নতুন,কখনো শুনি নাই।মা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা এতে সুন্দর বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধবধবে সাদা যীশু খ্রিস্টের মূর্তিটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। তার সাথে বিস্তারিত বর্ণনা সত্যিই দারুন মাত্রা এনে দিয়েছে। মূর্তির চারপাশে চমৎকার আলোকসজ্জা আরো চমৎকার লাগছে। আপনার জন্য এই চমৎকার জিনিসগুলো একেবারে কাছে থেকে দেখতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ দাদা 💚
দাদা ব্রাজিলের এই ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার স্ট্যাচুর কথা বহু শুনেছি কিন্তু এর ইতিহাস জানা ছিল না। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তথ্যগুলো জানতে পারলাম। সেইসঙ্গে কলকাতার স্ট্যাচুটিও একেবারে খারাপ নয় বলেই মনে হলো। 50 ফুট উচ্চতা কিন্তু একেবারে কম নয়।
সত্যি বলতে এই মূর্তির সাথে আমার পরিচয় হয় ব্রাজিল বিশ্বকাপে যখন এই মারাকানা স্টেডিয়াম কে কেন্দ্র করে এ মূর্তি দেখানো হয়েছিল তখন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে একটা মূর্তির পিছনে এত বড় লম্বা ইতিহাস থাকতে পারে সেটা আগে জানা ছিল না। বিষয়গুলো জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।
সাদা রঙ টাই বেশি আকর্ষণ করছে। একেবারে চারপাশটা আলোকিত করে রেখেছে মতোই রাখছে।ইকোপার্ক এ অনেক কিছু দেখার আছে বটে।ধন্যবাদ দাদা আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার বানানোর পিছনের ঘটনা গুলো একদম জানাছিল না । প্রায় এগারো বছর লেগেছে বানাইতে । কতোটা ধৈর্য্য থাকলে এত নিখুঁত ভাবে কাজ করা যায় ,তাই ভাবছি । তবে কলকাতার ইকো পার্কের ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার ভাস্কর্যের সৌন্দর্য্যটাও বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ ভাই পিছনের অজানা কথা গুলো সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
দাদা আমি তো জানতাম এই মূর্তিটি ব্রাজিলেই আছে, আজ আপনার পোষ্টোর মাধ্যেমে জানতে পারলাম আপনাদের কলকাতাতেও আছে। ধন্যবাদ দাদা...
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার অনেক নিখুঁত ভাবে তৈরি করেছে।সত্যি অবাক করার মত একটা জিনিস। তাছাড়াও আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক কিছু শিক্ষা নিতে পারলাম। অনেক অজানা তথ্য শেয়ার করেছেন দাদা।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। 💞💞
দাদা ব্রাজিল সমন্ধে আপনি আমাদেরকে নানান তথ্য দিয়েছেন।যদি কেউ কোন সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে যায় তাহলে তাকে আপনার এই পোষ্টটা অনেক অনেক সহযোগিতা প্রদান করবে।বিশেষ আমি নিজে ও অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছি আপনার এই পোষ্টা দ্বারা।ধন্যবাদ দাদা আপনার গুরূত্বপূর্ণ পোষ্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা ব্রাজিলের এই ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার স্ট্যাচুর কথা অনেক শুনেছি কিন্তু এর ইতিহাস জানা ছিল না।আপনি পোস্ট না করলে হয়তো এর তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে পারতাম না। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আর মূতিটি দেখতে অসাধারণ লাগছে। সাদা রঙ টা বেশি আকর্ষণ করছে।ইকোপার্কে অনেক কিছু দেখার আছে।এ গুলো হয়তো দেখা হতো না দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।