কফি হাউজে বসে লাইভ পোস্ট লিখছিsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

IMG_20230912_162220.jpg

গত বছর বাংলাদেশে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি দুর্গাপুজোয় আমাদের যাওয়ার কথা ছিলো। খুব করে ধরেছিলেন তাঁরা। আমি এর আগে কোনোদিন যাইনি। তাই তাঁরা পুজোয় যেতে বলেছিলেন তাঁদের গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু, গত বছর পুজোর আগে টিনটিনের ভিসা সংক্রান্ত কিছু জটিলতায় আর যাওয়া হয়নি। অবশ্য ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম।

তাই ভাবছি এবছর পুজোয় যাবো বাংলাদেশে । সেই জন্য পুজোর দেড় মাস আগেই আজ ভিসা apply করে দিলাম । আজ এসেছিলাম সল্টলেক সেক্টর ফাইভে । বাংলাদেশ ভিসা অফিসে।

আমাদের তিনজনের ভিসার আবেদন করা হয়ে গেলো দুপুর দুটোর মধ্যেই। তারপরে বেশ খিদে পেয়ে গেলো। ভাবলাম যাই ঘুরে আসি একটু কফি হাউজে। কফি হাউজের কবিরাজী কাটলেটটা আবার আমার খুব পছন্দের ।

IMG_20230912_162234.jpg

আরো একটা কারণ ছিলো। কলেজ স্ট্রীট থেকে কিছু বই আর পুজোবার্ষিকী কিনবো ভাবছিলাম। তাই এক কাজে দুই কাজ সারা হয়ে যাবে ভেবে শেষমেশ কফি হাউজে লাঞ্চ করবো ঠিক করলাম।

এক ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম কফি হাউজে। মান্না দে'র সেই জগৎ বিখ্যাত গান "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' আমার খুবই প্রিয়। এই কফি হাউজকে নিয়েই কিন্তু গানটা লেখা এবং গাওয়া হয়েছিল।

IMG_20230912_162853.jpg

কফি হাউজটা ঠিক কলেজ স্কোয়ারে হওয়ার কারণে স্টুডেন্টদের আড্ডাটা হয় এই কফি হাউজেই। কত বিখ্যাত মানুষদের পদধূলিতে ধন্য এই কফি হাউজ তার ঠিক নেই। সুনীল, শক্তি থেকে সৈয়দ মুজতবা আলী কে নেই যে কফি হাউজে আড্ডা দেননি।

কতশত প্রতিভার উন্মেষ হয় এই কফি হাউজের ক্যান্টিনের আড্ডা ঘরে । কত প্রেম, কত স্মৃতি । কতশত বলা আর না বলা কথার ভীড়ে মুখরিত এই কফি হাউজ। কত তরুণ স্বপ্নভরা চোখে আড্ডা দেয় এই কফি হাউজে। কত উচ্চাশা তার পক্ষ বিস্তার করে আড্ডা ঘরে তার ইয়ত্তা নেই।

অসংখ্যবার খেয়েছি আমি এই কফি হাউজে। দিন দিন যদিও খাবারের স্বাদ আর মান নিম্নগামী এবং দাম ঊর্ধগামী তবুও কিসের যেন একটা টানে এখনো আসি আমি কফি হাউজে। নস্টালজিক হয়ে পড়ি ভীষণই যখন পুরোনো সব দিনের কথা মনে পড়ে।

আজকে কফি হাউজে কি কি খেলাম তার কিছু ফটোগ্রাফ দিলাম এখানে।

খেয়েদেয়ে এখন কফি হাউজে বসেই আড্ডা দিচ্ছি আর পোস্ট লিখছি। আজ এ পর্যন্তই । বাড়ি ফিরবো এখন। শুভ বিকেল ।

IMG_20230912_164327.jpg

IMG_20230912_164332.jpg

IMG_20230912_164503.jpg

IMG_20230912_164506.jpg

IMG_20230912_164659.jpg

IMG_20230912_164713.jpg

IMG_20230912_165127.jpg

Sort:  
 11 months ago 

!ask Who is @rme on steem blockchain?



@rme is the user name of Robert Mao, a Steem witness and advocate for Steem blockchain. He is an active member in the Steem community and regularly contributes to many projects. Robert has also created several tools and resources to help new users learn about the platform.


command: !ask is powered by witness @justyy and his contributions are: SteemYY.com
More Commands are coming!. !ask is currently based on ChatGPT-3.5
 11 months ago 

এটা দারুণ একটা টুল, হি হি হি।

 11 months ago 

!ask Who is @hafizullah on steem blockchain?



@hafizullah is a Steem witness and community leader from Pakistan, with strong technical knowledge and experience in the Steem blockchain and the cryptocurrency world. He has been actively involved in the development of various projects within the Steem ecosystem and is always willing to help out newbies and experienced users alike.


command: !ask is powered by witness @justyy and his contributions are: SteemYY.com
More Commands are coming!. !ask is currently based on ChatGPT-3.5
 11 months ago 

এই সেরেছে 😆

পাকিস্তান নাকি 😅

 11 months ago 

বাবাগো, শেষ মেশ পাকিস্তানী বানায় ছাড়ছে, আমি নাই।

 11 months ago 

😅

 11 months ago 

ভাই আপনাকে কিন্তুু রাজাকার খেতাব দিয়ে দেবে।🤣

 11 months ago 

বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ রইলো ভাইয়া।

 11 months ago 

বাহ দাদা কফি হাউজে চলে গেলেন ।ওখানে যেয়ে আপনার গানটি মনে পড়েনি? আর গুনগুন করে গানটি গাইতে ইচ্ছা করেনি? ইস কফি হাউজে যাওয়ার আমার ভীষণ ইচ্ছা । জীবনে যেতে পারবো কিনা জানিনা। সেদিন কার যেন একটি পোস্টে পড়লাম কফি হাউজের কফি নাকি মুখে তোলা যায় না, এত জঘন্য খেতে । কিন্তু আপনার তোলা ফটোগ্রাফিতে খাবার গুলো দেখে তো বেশ ভালই মনে হচ্ছে। সত্যি চমৎকার লাগলো। কফি হাউজে বসে পোস্ট লিখছেন বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা ।ধন্যবাদ।

 11 months ago 

দাদা বাংলাদেশে আসছেন জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।কাজ সেরে খাবার খেতে কফি হাউজে গেলেন।সেই মান্না দের কফি হাউজ। শুনেছি কখনও যাওয়া হয়নি।কত গুনীজনরা এখানে এসে বসতো।কত অজানা,জানা গল্প আছে এখানে।আপনারা তো খুব মজার মজার খাবার খেয়েছেন দাদা।খাবারের মান দিন দিন খারাপই হয়।কজনাই বা বোঝে ভালো খাবারের কদর বেশী।সবাই লাভের চিন্তা ই করে।পোস্ট এখানে বসেই লিখলেন,স্মৃতি হয়ে থাকবে।শুভকামনা রইলো দাদা।পরিবার পরিজন নিয়ে খুব ভালো থাকবেন।

 11 months ago 

যখন কফি হাউজটা প্রথম দেখেছিলাম সরাসরি তখন শুধু অপলক তাকিয়ে থেকে ওই গানটির কথা ভেবেছিলাম। এটাই সেই কফি হাউজ!!

কলেজের সেই দিনগুলোতে বন্ধুদের সাথে আড্ডার মুহূর্তগুলো প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা স্মৃতির দাগ কেটে দিয়ে যায়। এই কফি হাউজ সেই কত শত স্মৃতির বাঁধানো ফ্রেম হয়ে আছে। এসব জায়গাগুলোতে মানুষ খাওয়া-দাওয়া করার থেকে নস্টালজিক ফিল নেওয়ার জন্যই বেশি যায় আমার মনে হয়।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

দাদা আপনারা এবারে দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে আসবেন এটা জেনে তো খুশি মনটা ভরে গেলো। পুজোর দের মাস আগেই বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বেশ ভালো লাগলো শুনে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ভিসা পেয়ে যাবেন তারপর বাংলাদেশে এসে পুজোর আনন্দটা করবেন সত্যিই অনেক মজা হবে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 11 months ago 

দাদা এবছর পূজায় বাংলাদেশে আসবেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে অনেক সময় তাদের কথাও রাখতে হয়। যাইহোক ভিসার জন্য আবেদন করে কফি হাউজে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দাদা। কবিরাজী কাটলেটটা সবচেয়ে বেশি লোভনীয় লাগছে। তাছাড়া অন্যান্য খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব ইয়াম্মি লেগেছে খেতে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 11 months ago 

কফি হাউজের কথা শুনলেই মান্নাদের গানটা ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে। মনে মনে একটা ছবিও আকা আছে। দাদার আত্নীয়ের বাসা বাংলাদেশের কোথায়? আশা করি এবারে পূজোয় তাহলে বাংলাদেশেই করা হবে...

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আরে বাপ রে বাপ। দাদা তো দেখছি সেই বিখ্যাত কাফি হাউজ তুলে নিয়ে এসেছেন আজকের পোস্টে। এক সময়ের ছেলেমেয়েদের ক্রাশ ছিল এই কফি হাউজ। কত যে গল্প স্মৃতি বিজরিত আছে এই কফি হাউজ নিয়ে।দাদা তার উপর আবার টিনটিন বাবুর প্রথম কফি হাউজে যাওয়া। ধন্যবাদ ।

 11 months ago 

খুব কাজের কাজ করলেন দাদা পূজোর আগে ভিসার আবেদন করে ফেললেন। তবে কাজটা একদম ভালো হলো এক ঢিলে চারপাখি মেরে দিলেন। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করা। সেইসাথে অন্যান্য কাজগুলো করা। আবার গেলেন কফি হাউজে বসে খাওয়া-দাওয়া করা। সেই সাথে আবার লাইভ পোস্ট করলেন। বাহ চমৎকার বলতে হয় একেবারে আপনি সব কাজ করে তারপর ঘরে ফিরলেন। খাবারের মেনু গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাহলে আপনি আবার বাংলাদেশ ফিরছেন শুভকামনা রইল সবার জন্য। দাদা বাংলাদেশে এসে একটা সবাই মিলে পার্টি করি 🥰।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59596.75
ETH 2659.83
USDT 1.00
SBD 2.45