Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৪
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৪
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৩
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
আশা করি সবাই সুস্থ আছেন ভালোই আছেন ।
ইদানিং, শরীরটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না । প্রায়ই দিনের বেলা সময়ে অসময়ে ঘুমিয়ে পড়ছি । অথচ, রাতে ঘুম আসছে না । ভারী একটা সমস্যা । আবহাওয়াটাও তেমন একটা সুবিধের ঠেকছে না । এই প্রচন্ড শীত তো এই আবার গরম পড়ছে । মাঝে কিছুদিন সে কী বৃষ্টি রে বাবা । একেবারে যাচ্ছেতাই আবহাওয়া যাকে বলে ।
আজকেও বেশ কিছু ভারতীয় পাখিদের নিয়ে এই এপিসোডটি সাজিয়েছি । আমাদের আজকের এপিসোড যে সব পাখির স্টাফ করা দেহ থাকছে সেগুলো হলো :
১. ঈগল
২. ময়ূর, ময়ূরী এবং কয়েক জাতের তিতির পাখি
৩. ধনেশ পাখি বা হর্নবিল
৪. উটপাখি
৫. পেলিক্যান এবং কয়েক প্রজাতির স্টর্ক
৬. শিকারী বাজ বা ফ্যালকন
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
এটি একটি ভারতীয় ঈগল পাখি । এই পাখি হলো পাখি জগতের সর্ব বৃহৎ এবং ভয়ঙ্কর শিকারী পাখি । ছোট ছোট প্রাণী থেকে শুরু করে সাপ ও বিভিন্ন সরীসৃপ, পাখি এবং মৎস্য হলো এদের খাবার । এখানে দেখা যাচ্ছে প্রকান্ড একটা ভেটকি মাছ শিকার করেছে এই ঈগলটি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ময়ূর, ময়ূরী এবং কয়েক জাতের তিতির পাখি । ময়ূরের একটি সুন্দর ও জমকালো পেখম আছে, পক্ষান্তরে ময়ূরীর কিন্তু কোনো পেখম থাকে না । পেখম ফুলিয়ে সঙ্গিনীদের আকৃষ্ট করে ময়ূর । জেনে অবাক হবেন ময়ূরও কিন্তু একটি শিকারী পাখি । সাপেদের যম এই ময়ূর । ময়ূর দেখতে যতটাই সুন্দর এদের গলার আওয়াজ ততটাই বিশ্রী কর্কশ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ধনেশ পাখি বা হর্নবিল । ভারতীয় উষ্ণ জঙ্গলগুলিতে এই পাখি অনেক পাওয়া যায় । শক্ত, বড় ও বাহারি বাঁকানো ঠোঁট হলো ধনেশ পাখির বৈশিষ্ট্য । ধনেশ পাখির ঠোঁট তার দেহের এক তৃতীয়াংশ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পৃথিবীর সব চাইতে বড় পাখি । উটপাখি । মরু অঞ্চলে বাস এবং প্রকান্ড ও কষ্টসহিষ্ণু দেহের কারণের এদেরকে উটপাখি বলা হয়ে থাকে । আফ্রিকায় মরু অঞ্চলের জঙ্গলগুলোতে পাওয়া যায় এদের । এক একটি উটপাখি উচ্চতায় ৩ মিটার এবং ওজনে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে । ঘোড়ার মতো ছুটতে পারে এরা, কিন্তু বিশাল ওজন আর ছোট ডানার কারণে উড়তে অক্ষম এরা । এক জন মানুষকে পিঠে চাপিয়ে অনায়াসে এরা দৌড়াতে পারে । এদের ডিমের সাইজ প্রায় একটি ফুটবলের মতো প্রকান্ড ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পেলিক্যান এবং কয়েক প্রজাতির স্টর্ক । পেলিক্যানের আছে একটি প্রকান্ড থলি এদের নিচের ঠোঁটে । মাছ ধরে এরা সাথে সাথেই সেটা খেয়ে ফেলে না । এই থলিতে রেখে দেয় । শিকার শেষে থলি থেকে এক একটা মাছ বের করে আর আয়েশ করে খায় । ভারতে একমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী নদীতে পাওয়া যায় পেলিক্যান ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শিকারী বাজ বা ফ্যালকন । ঈগলের মতোই বাজপাখি হলো একটি শিকারী পাখি । এদের চোখ ঈগলের মতোই তীক্ষ্ণ । তবে ঈগলের মতো অত প্রকান্ড দেহ নয় এদের । খুব সহজেই কিন্তু এরা পোষ মেনে থাকে । খাদ্যাভাস ঈগলের মতোই - ছোট ছোট প্রাণী, পাখি , সরীসৃপ এবং মাছ এদের খাদ্য ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
Genial, que bello
দাদা কলকাতা মিউজিয়ামের প্রতিটি পোস্ট দেখার মতো আর শিক্ষণীয় ছিল। যেই সকল প্রাণী ,পাখিদেড় নাম কখনো জানতাম না তা অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাদ্ধমে। সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমেই দাদা আপনার শারিরীক সুস্থতা কামনা করি।আপনার ২৩ তম এপিসোড অনেক কিছুই শেখার আছে। ঈগল পাখি নিয়ে আমার কিছুটা ধারনা থাকলেও ময়ূর পাখি শুধুমাত্র চিনি।তবে ময়ূর নিয়ে খুব বেশি ধারণা আমার নেই।ময়ূর পাখি শুধুমাত্র সৌন্দর্যের পাখি হিসেবেই জানতাম। কিন্তু এটি একটি শিকারি পাখি সেটি আপনার পোষ্ট থেকে জানতে পেরেছি। তাছাড়া এই পাখির গলার আওয়াজ যে এতো কর্কশ সেটাও আমি নতুন জেনেছি।ধনেশ পাখির নাম ও আমি আজ নতুন শুনেছি।পেলিক্যান পাখি এবং এর নিচের ঠোঁটে একটি অদ্ভুত থলে রয়েছে যা আমাকে অবাক করে দিয়েছে।এককথায় আপনার পোস্টটি থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যা আমার পূর্বে জানা ছিল না।আমি আশাকরি আপনার পরবর্তী পোস্টগুলো থেকে আমি আরো অনেক কিছু নতুন ভাবে শিখতে পারবো।
প্রথমেই দাদা আপনার সুস্থতা কামনা করছি, আশাকরছি খুবই তাড়াতাড়ি সম্পুন সুস্থ হয়ে উঠবেন।প্রতিবারের মতো আজকের পোষ্টটি ও দারুন হয়েছে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা শুরুতেই বলি যথাসম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। যতটুকু জানি ওমিক্রণ খুব বেশি ছোঁয়াচে হলেও তেমন একটা ভয়ঙ্কর নয়। তারপরেও সাবধানের মার নেই। আশা করি আপনি বহাল তবিয়তেই থাকবেন কেননা আমাদের সকলের প্রার্থনা আছে আপনার জন্য।বরাবরের মতোই আজকের এপিসোডটিও অনেক ভালো সাজিয়েছেন। ধনেশ পাখি বাস্তবে যদিও কখনো দেখিনি। তবে আমাদের দেশে এই পাখিটির ঠোট রাস্তার কবিরাজি চিকিৎসায় বিশেষ করে তাবিজ কবজ এর মধ্যে ব্যবহৃত হতে দেখেছি। টিনটিন বাবুকে দেখিনা বেশ কয়েকদিন। পরবর্তীতে টিনটিন বাবুর কয়েকটা ছবি দেয়ার অনুরোধ রইল
দাদা আজ আপনি যে প্রাণীগুলোর স্টপ করা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন তার মধ্যে অধিকাংশই অতি পরিচিত যেমন বক ,ময়ূর, ইগল,ধনেশ , সারস ,বাজপাখি । এই পাখিগুলো সম্পর্কে আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পাখি সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল কিছুটা কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে খুব কমই ধারণা ছিল যা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম। আপনার প্রতিটি পর্বের মধ্য এ পর্ব ছিল অত্যন্ত জ্ঞানমূলক শিক্ষনীয়। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দরভাবে ধারাবাহিক ভাবে আমাদের মাঝে কলকাতা মিউজিয়াম এর সংগ্রহ তুলে ধরার জন্য।
রাতে ঘুম না আসা মোটেও ভালো না দাদা। আমার মনে হয় আপনার একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এভাবে রাত জাগলে শরীর খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কারণ কোনভাবেই রাতের ঘুম দিনে কভার হয় না।
আজকের এপিসোড টা দারুণ ছিল। এর আগে কখনো আমি হর্নবিল টা দেখিনি। এবং উটপাখি টা সত্যি অনেক বড়।