শীতের শুরুতে পিকনিক ও বেলুড় মঠ ভ্রমণ
এবছরে শীতের শুরুতে বেশ বড় বড় দু'টো পিকনিক করলাম আমরা । তার মধ্যে একটা ছিল আবার আমাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে । অন্য একটা পোস্টে সেটা নিয়ে লিখবো । আজ শুধু পিকনিক আর বেলুড় মঠ ভ্রমণ নিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত ফোটোগ্রাফি পোস্ট করছি ।
ডিসেম্বরের ঠিক মাঝামাঝি আমাদের ফ্যামিলি আর স্বাগতার বাবার বাড়ির ফ্যামিলির সবাই এক সাথে একটা পিকনিক করলাম । পিকনিক স্পটটি আমাদের বাড়ির খুব কাছেই । গাড়িতে যেতে ১৫-২০ মিনিট লাগে মোটে । সকাল দশটায় যাওয়ার কথা ছিল আমাদের । স্বাগতা, আমার ভাই আর নিলয় সকাল সাড়ে ন'টার মধ্যে স্পটে পৌঁছে গেলো । টিনটিনের স্কুল ছিল সেদিন । তাই টিনটিন স্কুল থেকে ফিরলে আমরা তিনজন পিকনিক স্পটের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলাম । বেলা ১২ টা নাগাদ আমরা সবাই পিকনিক স্পটে পৌঁছে গেলুম ।
আমরা পৌঁছানোর কিছুক্ষনের মধ্যেই স্বাগতার বাবার বাড়ির ফ্যামিলির সবাই একে একে পৌঁছে গেলো । বেশ বড় একটা বাগান বাড়ি বুক করেছিলাম আমরা । সুন্দর সাজানো গোছানো বাগান বাড়ি । প্রশস্ত লন, বাগান, প্লে গ্রাউন্ড, দোলনা, পুকুর, এন্টারটেইনমেন্ট স্টেজ, ডাইনিং গ্রাউন্ড - মোটামুটি সব কিছুই বেশ সুন্দর এবং ছিমছাম ।
খাওয়া দাওয়ারও হেভি বন্দোবস্ত ছিল । ক্যাটারার, বেয়ারা, মকটেল কাউন্টার - সবই ছিল । স্টার্টার আইটেম অনেকগুলি ছিল - চিকেন পকোড়া, ফুলকপি পকোড়া, এগ ডেভিল, চিংড়ি কাটলেট, প্রন গোল্ডেন ফ্রাই, ভেটকি ব্যাটার ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গার প্রভৃতি ছিল স্টার্টার আইটেম । আমরা স্টার্টার আইটেম খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে লাগলাম । কেউ কেউ ব্যাডমিন্টন খেললো । কেউ দোলনায় দোল খেলো । আবার কেউ কেউ স্টেজে উঠে গান-বাজনায় মাতলো । এরই মাঝে চললো এনতার মকটেল খাওয়া ।
এভাবে কয়েক ঘন্টা দারুন এনজয় করার পরে খাওয়া দাওয়ার পালা চলে এলো । পোলাও, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, চিতল মাছের মুইঠ্যা, ভেটকি পাতুরি, পাবদা মাছের ঝাল, চিকেন, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড় আর আইসক্রিম । এটাই ছিল মেইন কোর্স । খাওয়া দাওয়ার পরে অনেকেই স্টেজে উঠে গান গাইলো । ছবি তোলা চললো । তারপরে সন্ধ্যায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম সবাই । দারুন একটা দিন কাটলো ।
পিকনিকের ঠিক দুই দিন পর আমি, তনুজা, টিনটিন আর স্বাগতা একদিন বিকেলে বেলুড় মঠে ঘুরতে গেলুম । বেলুড় মঠে যেতে আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র এক ঘন্টার মতো লাগে । তবে এই দিন টিনটিন খুবই অশান্তি করায় ঘোরাটা তেমন ভালো হলো না । জমলোই না । বেলুড় মঠে ঢোকার পরে মাত্র মিনিট দশ-পনের একটু ঘুরেই আমরা ফিরে এলুম । টিনটিন অসম্ভব কান্নাকাটি জুড়ে দেওয়ার কারণে । পরিকল্পনা ছিল পুরো দু'টি ঘন্টা ধরে স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থানটি ঘুরে দেখার । তবে সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলো টিনটিন ।
মাত্র মিনিট পনের বেলুড় মঠের মধ্যে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে কয়েকটা ফটো তুলেই তাই সেইদিন বাধ্য হয়ে আমাদের বাড়ি ফিরে আসতে হলো ।
সুন্দর সাজানো গোছানো ছিমছাম পিকনিক স্পট ।
তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাগানবাড়িতে একটি পুকুর ছিল । পুকুরের চারিপাশের পাড় খুব সুন্দর করে বাঁধানো ছিল ।
তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাগানবাড়ির ভিতরে প্রচুর গাছগাছালি ছিল । খুব সুন্দর করে সাজানোও ছিল ভেতরটা ।
তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সুন্দর একটি বেশ বড় খেলার মাঠও ছিল ।
তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাংলোটিও খুব সুন্দর দেখতে ছিল ।
তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বেলুড় মঠের একটা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার ।
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ৩ টা ১০ মিনিট
স্থান : হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি রামকৃষ্ণ সংগ্রহশালা।
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ৩ টা ১৫ মিনিট
স্থান : হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বেলুড় মঠের দ্বিতীয় তোরণ ।
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ৩ টা ২০ মিনিট
স্থান : হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অত্যাধুনিক টয়লেট।
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ৩ টা ২৫ মিনিট
স্থান : হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বিখ্যাত সেই বেলুড় মঠ ।
তারিখ : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ৩ টা ২৫ মিনিট
স্থান : হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৪৯৫ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 8a89bd4f63ad98cbc5bb30d10f0f63b03a10389525c4d034ea38e691ce65873e
টাস্ক ৪৯৫ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ দারুন পিকনিক করলেন তাহলে শীতের শুরুতে। পিকনিকে গেলে অনেক ভালো লাগে সবাই মিলে অনেক আড্ডা হয়। সেই সাথে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া ঘোরাফেরা। পিকনিক স্পট গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসাধারণ একটি সময় কাটালেন। তাছাড়াও বেলুড় মঠ ঘোরাফেরা করলেন দারুন একটি জায়গা বলতে হয়। অনেক ধন্যবাদ দাদা বিষয়টি আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করলেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পারিবারিক পিকনিক নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। সেই সাথে বাড়তি পাওনা ছিল, স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান বেলুর মঠের সংক্ষিত কথা ও ছবি। শীত আসলেই পিকনিক। আর এ রকম পারিবারিক পিকনিক গুলো সম্পর্ক গুলোকে দৃঢ করে। খাই-দাই, খেলাধুলা আর গান বাজনা করে আপনারা আনন্দ মুখরিত সময় কাটিয়েছেন। সেই আনন্দময় মুহুর্তের অনবদ্য লিখনি, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা সবসময়।
দাদা ফ্যামিলি ট্যুরের মজাই আলাদা। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করা যায়। আপনারা এবং স্বাগতা বৌদির পরিবারের সবাই মিলে বেশ মজা করেছেন দাদা। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করার পাশাপাশি, এতো মজার মজার খাবার খেয়েছেন। পিকনিক স্পট টা আসলেই খুব সুন্দর। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। পিকনিকের দুই দিন পর বেলুড় মঠ ভ্রমণ গিয়ে, টিনটিন বাবু অশান্তি করায় তেমন ঘুরতে পারেননি তাহলে। আসলে বাচ্চাদের মর্জির কোনো ঠিক নেই। অনেক সময় অকারণেই বাচ্চারা কান্নাকাটি করে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
পরিবারের সবাই মিলে পিকনিক ওয়াও দারুন তো ৷ আর যাই হোক পরিবার নিয়ে পিকনিক ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে ৷ তবে খাবার আইটেম দেখে আমি অবাক ৷এতো গুলো আয়োজন সবমিলে দারুন এনজয হয়েছে ৷ এরপর বেলুর মট গিয়েছেন ৷ বেলুর মটে কাটানো মুহুর্ত আলোকচিত্র ও ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ ছিল ৷
দাদা পরিবারের সবাইকে নিয়ে এভাবে পিকনিক করা অনেক আনন্দের। আসলে দাদা আপনাদের পিকনিকের খাবারের মেনু দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন হয়েছিল। সত্যি পিকনিক স্পট অনেক সুন্দর। আসলে দাদা বাচ্চারা এমনি কোথাও ভালো না লাগলে আসার জন্য অস্হির হয়ে যায়। বেলুড় মঠের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
শীতের দিন গুলো বেশ উপভোগ্য হয় ৷ এই দিন গুলোতে ঘোরাঘুরি করতে বেশ মজাই লাগে ৷ শীতের শুরুতে সবাই মিলে পিকনিক এবং বেলুড় মঠ ভ্রমণ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ৷ পিকনিকে খাবার আইটেম তো অনেক করেছেন দাদা ৷ এতো এতো খাবার সব খাবার ই টেস্ট করতে পেরেছেন তো দাদা আপনি ? যাই হোক , টিনটিন বাবুর জন্য তাহলে বেলুড় মঠ ভালো ভাবে ভ্রমণ করতে পারেনি ৷ সময় করে আবার চলে যাবেন ৷ সব কিছু উপভোগ করতে ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো জেনে এবং দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
বাগান বাড়ির ভেতরটা সত্যি অনেক সুন্দর। আর পরিবারের সবার সাথে পিকনিকে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। খাওয়া-দাওয়াও বেশ ভালোই হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার পোস্ট দেখে।
শীতের শুরুতে বেশ বড়সড়ো দুটো পিকনিক করেছিলেন দাদা। তার মধ্য থেকে একটা পিকনিকের ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এরকম পারিবারিক পিকনিক গুলো বেশ দারুন লাগে আমার কাছে। পিকনিকে জমজমাট খাওয়া-দাওয়া ছিল এবং সেই সাথে গান-বাজনা। আপনার লেখাগুলো পড়েই বুঝলাম দারুন মজা করেছিলেন পরিবারের সাথে সেদিন। টিনটিন বাবুর কান্নাকাটির জন্য তো বেলুড় মঠে ঘুরতে পারলেননা।বেশ চমৎকার ছিল প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি।