আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -০৪
সিকিম ভ্রমণের আজ আমাদের তৃতীয় দিন । এদিন আগে থেকেই পারমিশন নেওয়া ছিল নাথুলা পাস্ যাওয়ার । নাথুলা পাস্ যেতে দুটি পারমিশন এর প্রয়োজন হয় । একটা সিকিম পুলিশের তরফ থেকে । আর অন্যটি মিলিটারীদের থেকে । তো, আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম নাথুলার উদ্দেশ্যে । নাথুলা পাস্ হলো একদম ভারত-তিব্বত (চীনের স্বায়ত্ব শাসনে) সীমানায় । অতীতে Silk Road এ চীন থেকে তিব্বত হয়ে ভারতে ঢোকার একমাত্র পথ ছিল নাথুলা পাস্ ।
গ্যাংটক হলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,০০০ ফিট উচ্চতায় । আর নাথুলা পাস্ হলো প্রায় ১৫,৫০০ ফিট উচ্চতায় । সো, পার্থক্যটা বোঝাই যাচ্ছে । পাহাড় কেটে কেটে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে । আমাদের গাড়ি সেই রাস্তা দিয়ে যতই উপরে উঠছে ততই শীতের তীব্রতা বাড়ছে । সেই সাথে প্রবল ঠান্ডা হাওয়া ঝড়ের গতিতে বয়ে চলেছে ।
নাথুলা পাস্ পৌঁছতে অনেকগুলি মিলিটারি বেস ক্যাম্প ও চেক পয়েন্ট পার হতে হলো । অবশেষে যখন এসে পৌছালাম তখন দেখি সে এক অস্বাভাবিক তীব্র শীতল হওয়ার দাপট । সর্বক্ষণ বয়ে চলেছে । আমাদের সবার পরনে ছিল ৩ টি সোয়েটার, কোট, গ্লোভস, টুপি । তবে সেসবে কাজ প্রায় দেয়নি ।
সব কিছু ভেদ করে শীত কামড় বসাচ্ছিল । এরই মধ্যে টিলার উপরে অবস্থিত নাথুলার সর্বোচ্চ পিক পয়েন্ট এ উঠতে লাগলাম । প্রায় ৯০% পথ উপরে উঠে এসে লক্ষ করলাম পাথরের খাঁজে খাঁজে জমাট বরফ । এমন সময় সহসা টিনটিন ও তার মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেলো । এত উচ্চতায় অক্সিজেন এর অভাব ।
দ্রুত নেমে এলাম তাই আমরা । এর পরে মিলিটারি মিউজিয়াম, হরভজন সিং মন্দির, ছাঙ্গু লেক পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম নাথুলা থেকে ।
নাথুলা পাস্ যাওয়ার পথে এক জায়গায় কফি খেতে নেমেছিলাম । জায়গাটির নাম ভারী অদ্ভুত । "১৫ মাইল' । ঝকঝকে নীল আকাশ, আর দূরে ওই আবছায়া সব পাহাড় শ্রেণী । দারুন লাগছিলো জাস্ট ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১১ টা ০০ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
নাথুলা পাস -এ ভারত চীন সীমান্ত । রয়েছে বীর শিবাজী মহারাজের একটা মূর্তি, কামান আর একটি সৌধ ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
নাথুলা পাস -এ টিনটিন আর তনুজার দুটি ফোটো ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১১ টা ২৫ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
একটি সিকিম সেনা জওয়ানের মিউজিয়ামের ঢোকার মুখে একটা সৌধ ও বোফোর্স কামান ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
টিনটিন বাবু মুডে আছেন বেশ ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পাহাড়ের বুক দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো ইশারা দিয়ে যেন ডেকে যাচ্ছে দাদা । কি চমৎকার ভিউ 👌👌 ছবি গুলো দেখতে দেখতে আমিও যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে পাহাড়ে গেলে এই এক অসুবিধা, কখন যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় বলা মুশকিল। সকলে সাবধানে থাকবেন দাদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যত দেখছি প্রকৃতি মাতা কে তত চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। ভীষণ কাছ থেকে অনুভব করতে পারছি দাদা। সিল্ক রুট, নাথুলা পাস সবই ঘুরেছি। তবে নাথুলাতে গেলে সাথে কিছু খাবার রাখা জরুরি কারণ খাবার সেরকম পাওয়া যায় না ওখানে।আপনারা ভালো করে ঘুরছেন সেটাই বেশ খুশির ব্যাপার।
অনেক উচুতে উঠেছিলেন তাহলে। এতো উচুতে গাড়ি উঠলো কিভাবে? নিশ্চয় রাস্তা আছে ভালো। আর উপরে অক্সিজেনের সংকট বেশি। তাড়াতাড়ি নেমে ভালোই করেছেন। ১৫ মাইল জায়গাটির নাম আমার কাছেও অদ্ভূত লেগেছে। জায়গাটিও ভীষণ সুন্দর 🌼। টিনটিন বাবুও উপভোগ করছে জার্নি তাহলে
আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও দেখতে পাচ্ছি দাদা। অনেক ভাল লাগলো। পাহাড় আর রাস্তাগুলো ও সুন্দর। খুব সাবধানে সবাই ভাল সময় কাটাবেন এটাই কামনা।টিনটিন বাবুকে খুব সুন্দর লাগছে। 😍 আপনাদেরকে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ দাদা। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনাদের জন্য।
এই সিদ্ধান্তটি একদম ঠিক নিয়েছেন ভাই । এই পর্বের ছবি গুলোও বেশ ভালোই উপভোগ করলাম ভাই।
সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাদা। টিনটিন ও বৌদির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বিধায় পরবর্তীতে আর উপরে ওঠেন নি। তাছাড়াও আপনার মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেলাম, ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
টিনটিন ও বৌদির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেছে , এত উচ্চতায় অক্সিজেন এর অভাব।তখন আর ওপরে না উঠে তাড়াতাড়ি নেমে এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল । দাদা আপনার পোস্টের মাধ্যমে পাহাড় ও রাস্তা গুলো অসাধারণ ছিল। টিনটিন বাবু আসলে অনেক মুডে আছে।আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
Nice!
দাদা আপনার মাধ্যমে এমন কিছু জায়গা দেখলাম যে গুলো বাস্তবে দেখবো দুরের কথা কখনো কল্পনাও করিনি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫,৫০০ ফিট উচ্চতায় উঠলে শ্বাস কষ্ট হওয়ারই কথা। যেখানে বসে কফি খেয়েছিলেন সেই “১৫ মাইল” জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। আপনি সহ আপনার ফেমিলির সবার সুস্থতা কামনা করি। ধন্যবাদ দাদা।