আমার আঁকা কিছু ডিজিটাল অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট - পর্ব ০৩
আবার দিন পাঁচেক পরে এসে গেলুম আমার করা ডিজিটাল অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট এর আরো বেশ কয়েকটি নিয়ে আপনাদের সামনে । আশা করছি আগের দু'টো পর্ব খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে । আমি মনে করি একমাত্র অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টেই আপনার কল্পনার ডানা মেলতে পারে একদম বাঁধাহীন ভাবে । No bounds !
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কী অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট শেয়ার করতে চলেছি আজ আপনাদের সাথে ।
shadow on stained glass
রঙিন কাঁচের টুকরো বসানো জানালার উপর আলো আঁধারির ছায়া দেখতে দারুন লাগে । আগেকার জমিদার বাড়ির জানালার শার্সিতে বসানো হতো এমন রঙিন কাঁচের টুকরো । ভোর বেলা যখন সূর্য রশ্মি এইসব রঙিন কাঁচের টুকরোর মধ্যে দিয়ে ঘরে প্রবেশ করতো তখন ঘরের ভেতর বিভিন্ন রঙের আলোর এক রূপকথার রাজ্য সৃষ্টি হতো । অপূর্ব ! এখন আর এই সব রঙিন কাঁচ বসানো জানালা একমাত্র কিছু পুরোনো গির্জা ছাড়া আর কোথাও বড় একটা দেখতে পাওয়া যায় না ।
জোসনা রাত আপনাদের কাছে কেমন লাগে ? আমার কাছে তো স্বপ্নের মতো মনে হয় । জোৎস্নার মায়াবী রুপালি আলোয় যখন চরাচর ভেসে যায় তখন আমিও কল্পনার ডানায় ভর দিয়ে মেলে দেই সমগ্র চিন্তা চেতনা । ভরা জোৎস্নায় পৃথিবীর এক অন্য রূপ প্রতক্ষ্য করি আমি । অপূর্ব এক রুপালি মায়ার জগৎ সৃষ্টি হয় তখন । এই জোসনা রাতের কল্পনা বুনেছি আমার নিম্নোক্ত অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টে -
moonlit night
I saw the moon through my window
thinking of study to be fled away.
A silvery plate tempting me firmly,
closed my book and ran out the balcony.
The city equipped with the flood of light,
The nature making the alluring, the night.
এই আর্টটি চন্দ্রালোকে গোপন অভিসারের কল্পনার উপরে নির্মিত -
a silent lovely conversation
শেষ রাতে মরা চাঁদের আলোয়
দেখা হয়েছিল তোমার সাথে;
নীরব কথায় বলেছিলে আমায়
অব্যক্ত নীরব অভিমান ।
সেই শেষ দেখা, আমারও
চাঁদের আলোয় শেষ স্নান।
হবেনা কখনো জানি, আসবে না আর
জীবনে জোত্স্নাময় রাত ।
আফ্রিকা । রহস্যময় আফ্রিকা । ঘন অরণ্যে আচ্ছাদিত তার বুক । কালো কালো সুঠাম দেহের মানুষের সহবস্থান হিংস্র শ্বাপদের সাথে যুগ যুগ ধরে এই রহস্যময় আফ্রিকার বুকে । যতকাল আফ্রিকা অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে সভ্য মানুষের কাছে অনাবিষ্কৃত ছিল ততকাল সে ভালো ছিল । যবে থেকে সভ্য মানুষের পদচারণায় কম্পিত হলো আফ্রিকা তবে থেকে ভীষণ যন্ত্রনাময় দিনের সূত্রপাত হলো । শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নির্যাতিত হতে থাকলো সমগ্র আফ্রিকা । তার সন্তানদের উপর চললো সভ্য মানুষের অসভ্য নির্যাতন । কোটি কোটি মানুষ হলো দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ । তাদের কালো শরীরের তাজা লাল রক্তে ভিজে গেলো আফ্রিকার বুক । সিংহনাদে আর ধ্বনিত হয় না তার তৃণাচ্ছাদিত প্রান্তর । মানুষ আর পশুহত্যা দু'টোই চললো গণভাবে তথাকথিত শ্বেতাঙ্গ সভ্যদের হাতে । যুগ যুগ ধরে । আফ্রিকা তাই কাঁদছে । ক্রন্দনরত আফ্রিকার মুখচ্ছবি এঁকেছি এই অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টে -
rheum of Africa
শিশুদের কল্পনায় সব কিছু রঙীন, সুন্দর । কোনো অসুন্দরের স্থান নেই সেথায় । কোনো কলুষতা, পঙ্কিলতা স্পর্শ করেনি তার হৃদয় । তাই তার কল্পনা এতটা সুন্দর । এতটা রঙের প্রাচুর্যতা । এতটা পবিত্র ।
dream of a child
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৩৮৬ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 7c8febaa887025dd70199553e90e2dae0fc64f1d6f71d6c802b4bb84bd7c41e2
টাস্ক ৩৮৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR


প্রত্যেকটা আর্ট খুবই সুন্দর আর মনমুগ্ধকর দেখতে। তবে সত্যি বলতে যে শিল্পী অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট করে সেই হয়তোবা তার মনের আঙ্গিকে সবকিছু ফুটিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু অন্য কারো ক্ষেত্রে সেটা বোঝা সম্ভব নয়। তবে এখানে দুটো ছবির গুরুত্ব এবং তাৎপর্য কিন্তু বোঝা যাচ্ছে। আপনার ভাবনার জগতকে এত সুন্দর করে অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টে রূপান্তর করেছিলেন যা এখনো মনে আছে এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করেছে দেখে ভালো লাগলো দাদা। অসম্ভব সুন্দর প্রত্যেকটি আর্ট।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যদিও আমি আর্টের বিষয়ে খুব কম বুঝি,কিন্তু আপনার আর্ট গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।ছবির গভীরে লুকিয়ে মনের ভাব খুবই সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ দাদা অসাধারণ ছবি গুলো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আসলে দাদা আর্ট তেমন একটা পারিনা তবে আপনার আর্ট গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলেছেন দাদা জোসনা রাত স্বপ্নের মতো লাগে।সবগুলো আর্ট অনেক সুন্দর তবে রঙের প্রাচুর্যতা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য।
@rme
This is wonderful, I think this is the first time I have read your article, i love the combination of art work with pictures, I have become your great fan. ❤️❤️
দাদা জাস্ট অসাধারণ, যদিও এটা সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নেই কিন্তু চোখে তো ভালো লাগার একটা বিষয় থাকে। সেই বিষয় থেকে বলছি খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার বর্ণনা পড়লাম, পড়ে এই আর্টের মর্ম গুলো কিছুটা বুঝতে পারলাম। তবে প্রত্যেকটা আমার ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা জিনিস আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ওয়াও আজকের পর্বটিও চমৎকার লাগলো দাদা আপনার অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট পোস্ট এর। জোৎস্না রাত তো এক অন্যরকম অনুভূতি।গ্রামে গেলে এগুলো বেশি অনুভব করা যায়।চন্দ্রালোকের গোপন অভিসারের কল্পনায় নির্মিত দুজনের দেখা হওয়ার আর্টটির মাঝে অন্যরকম একটা ব্যপার রয়েছে।আফ্রিকার মুখচ্ছবি এবং শিশুদের কল্পনার রঙিন পবিত্র আর্টটিও চমৎকার লাগছে দেখতে।মানুষের কল্পনা এতোটা প্রাণবন্ত কি করে হয়।জাস্ট অসাধারণ সবগুলো আর্ট।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কল্পনায় ডানা মেলে যেমনটা আকাশে উড়ে বেড়ানো যায়।এই আর্টগুলো ঠিক তেমনি।নিজের কল্পনা শক্তির আর্ট। আর্টগুলোর বর্ননার সাথে মিল করে দেখলে আর্টগুলো বিষয়ে ধারনা পাওয়া যায়। চমৎকার লেগেছে আজকের আর্টগুলো।ধন্যবাদ দাদা মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকা আর্টগুলো আজ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক দাদা কল্পনার ডানা মেলানো যায় একমাত্র অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টের মাধ্যমে। যদিও এ কাজটা তেমন পারি না। আপনার সবগুলো আর্টই বেশ অর্থবহ! মুন লিট নাইট, রাতের আধারে দুজনের দেখা, আফ্রিকার মানুষের উপর নির্যাতন সবই খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
হ্যাঁ দাদা আগের পর্ব দুটি বেশ উপভোগ করেছি। এই পর্বের আর্ট গুলোও দেখতে দারুণ লেগেছে। প্রতিটি আর্টের দারুণ বিশ্লেষণ করেছেন দাদা। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে রহস্যময় আফ্রিকার আর্টটি। আপনি অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট শেয়ার না করলে কখনো জানা হতো না এমন আর্ট রয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।