ছোট্টবেলার প্রিয় টিভি প্রোগ্রামগুলি
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : pixabay
নব্বইয়ের দশকে যাঁদের ছেলেবেলা কেটেছে তাঁরা ভাগ্যবান । নব্বইয়ের দশক ছিল বিংশ শতাব্দীর একদম শেষ দশক । কম্পিউটার ও ইন্টারনেট জগতের আধিপত্য বিস্তারের শুরুর দিক । আমাদের গোল্ডেন চাইল্ডহুড । উন্নত বিশ্বে নব্বইয়ের দশকে টিভির চাইতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে, কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে টিভি-ই ছিল সব চাইতে জনপ্রিয় । এই টিভি ছিল একাধারে সিনেমা, নাটক, গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, খেলাধুলা ও খবর এর বিশাল সমাহার অন্যধারে ছিল আমাদের মতো ছোটদের মনের সাথী । অদ্ভুত সুন্দর কিছু সিরিয়াল আর কার্টুন মাতিয়ে রাখতো আমাদের ছেলেবেলা । আজকে সেই গল্পই করবো ।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকটা আমার কেটেছে গ্রামে এবং শেষের দিকটা শহরে । যখন গ্রামে থাকতাম তখন টিভি একটু বেশি মাত্রায় দেখতাম । আমাদের মতো ছোটদের কথা মাথায় রেখে তেমন কোনো প্রোগ্রাম তখন তৈরিই হতো না । তাই আমরা যা পেতাম তাই গোগ্রাসে গিলতাম । বহুদিন আগের কথা । তাই ডিটেলে কিছু মনে নেই । ভাসা ভাসা মনে পড়ে সব কিছু ।
গ্রামে আমাদের বাড়িতে প্রথমদিকে নিজস্ব টিভি ছিলো না । আমাদের বাড়ির পাশে এক মামাতো ভাইয়ের টিভি ছিল । সেই বাড়ি, যে বাড়িতে আমি কুকুরের কামড় খেয়েছিলাম ।যেহেতু আমাদের আত্মীয় বাড়ি ছিল, তাই টিভি দেখায় কোনো ধরণের কোনো রেস্ট্রিকশন ছিল না । যখন ইচ্ছে দেখতে পেতাম । তো আমি যখন ক্লাস থ্রী-তে পড়ি তখন টিভিতে দুটি খুবই জনপ্রিয় সিরিয়াল চলছে । একটি ছিলো বাংলায় ডাব করা অন্যটি হিন্দী। তাই-ই সই । দুটি সিরিয়াল-ই ছিল ইন্ডিয়ার বিখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক রামানন্দ সাগর-এর । একটি হলো "রামায়ণ" এবং অন্যটি "আলিফ লায়লা" ।
"রামায়ণ" ছিল ধর্মীয় সিরিয়াল এবং শহর গ্রামে বিপুল জনপ্রিয় । এটির হিন্দি ভার্সন এর বাংলা ডাবিং নব্বইয়ের দশকে ইটিভি-তে (বর্তমানে চ্যানেলটি লুপ্ত) প্রচারিত হয় । আমরা ছোটরা এই সিরিয়ালটি দেখতাম একটু অন্যচোখে, আহা সে কি মারপিট ছিল । গোটা রামায়ণ জুড়েই ছিল অসংখ্য যুদ্ধের সিকুয়েল । রাক্ষসদের সাথে রাম, লক্ষণ, হনুমানের সে কি অসাধারণ ফাইট । দশমাথা রাবণের সে কি পরাক্রম । সিরিয়াল দেখে দেখে আমরা নিজেরাই পুকুরপাড়ে সীতাহরণ থেকে রাবণ বধ সেরে ফেলতাম অভিনয় আর খেলার মাধ্যমে ।
এরপরে ছিলো ভারতের সেই সময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় আর একটি সিরিয়াল "আলিফ লায়লা" । এটিও রামানন্দ সাগরের । পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিডি ন্যাশনাল'স -এ এটি সম্প্রচারিত হয় । আমাদের ছোটদের প্রাণভোমরা ছিল এই সিরিয়ালটি । এরাবিয়ান নাইটস বা আরব্য রজনীর গল্পের উপর ভিত্তি করে এই সিরিয়ালটি নির্মিত । রাক্ষস-খোক্কস, দত্যি-দানো, রাজপুত্র-রাজকণ্যা, পক্ষীরাজ ঘোড়া, পরী, জাদুকর কি না ছিলো সেই সিরিয়ালে ! টানটান উত্তেজনা, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ,গল্পের বাঁধুনি আর চোখ ধাঁধানো অভিনয় । পুরো তাক লেগে যেত দর্শকদের ।
সিন্দবাদের সাতটি বাণিজ্য অভিযান সাগরের বুকে আর নানান রহস্যময় ঘটনার সাথে জড়িয়ে যাওয়া, আমাদের ছোটদের ক্ষুদ্র হৃদয়টা আনন্দে উত্তেজনায় উদ্বেলিত হয়ে উঠতো । এত ছোট ছিলাম যে প্রায় কোনো কাহিনীই বুঝতাম না তখন, কিন্তু তাও গোগ্রাসে দুই চোখ দিয়ে গিলতাম সবটুকু ।
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : pixabay
এরপরে নিজেদেরও একটা সাদা-কালো টিভি কেনা হয় গ্রামের বাড়িতে । তখনও রঙিন টিভি কি বস্তু জানতামই না । এন্টেনা ছিল বাইরে একটা বাঁশের আগায় । তাই-ই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টিভির ছবি ঠিক করা হতো । ওই কাজটা কঠিন হলেও আমাদের মতো ছোটদের কাছে বিশাল মজার একটি কাজ ছিল - এন্টেনা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সঠিক পজিশনে এনে টিভির পর্দায় ছবির ঝিরঝিরে ভাব কমানো । বেশ উৎসাহ নিয়ে করতাম আমরা ছোটরা কাজটি ।
এরপরে নব্বইয়ের শেষের দিকে গ্রাম ছেড়ে একেবারে পাকাপাকিভাবে আমরা শহরে চলে আসি । সেই সাদা কালো টিভিটা আর আনা হলো না । শহরে এসে পড়াশোনার একটু চাপ বাড়লো । কিন্তু, টিভি দেখার নেশা বিন্দুমাত্র কমেনি তখনও । আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে আমার বাবার এক বন্ধু ও কলিগের টিভি ছিল, রঙিন টিভি । আমার তো চোখ একেবারে ছানা বড়া । সাদা কালোতে টিভি দেখতে অভ্যস্ত আমি, রঙিন টিভি দেখে হতবাক পুরো । আহা রঙের কি বাহার । স্কুল থেকে ফিরেই টিভি দেখতে বসে যেতাম । সন্ধ্যায় দ্রুত পড়াশোনা শেষ করে আবার টিভির সামনে । রাতের খাওয়া খেয়ে আরেক প্রস্থ বই নিয়ে বসতাম । এরপরে আবার টিভি দেখতাম । তারপরে ঘুম । এই ছিল আমার দৈন্দিন রুটিন । আর ছুটির দিনগুলোতে প্রায় সারাক্ষণই টিভি দেখতাম ।
এই সময়টাতে আমাকে টিভিতে কার্টুন দেখার নেশা পেয়ে বসে । দিনরাত খালি কার্টুন দেখতাম । কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলে । সবার উপরে ছিলো আমার পছন্দের "টম এন্ড জেরী" শো । আর ছিল "জাঙ্গল বুক"; আমরা ছোটরা বলতাম মোগলি । মোগলি আমাদের বন্ধু ছিল । কত যে স্টিকার কিনেছি এই মোগলির ! স্কুলে ভীষণ প্রতিযোগিতা ছিল মোগলির স্টিকার কে কয়টা কিনতে পারে । "জাঙ্গল বুক" কার্টুন শো'টি রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের "দি জাঙ্গল বুক" বইটি থেকে নির্মাণ করেছিল ডিজনি । "জাঙ্গল বুক" এর প্রধান ক্যারেক্টার ছিলো নেকড়ে পালিত মানব সন্তান মোগলি । এছাড়াও মোগলির নেকড়ে বাবা, নেকড়ে মা, নেকড়ে ভাইয়েরা, এবং সঙ্গীসাথী বালু, বাঘিরা, একেলা, কা অসম্ভব প্রিয় ছিলো আমাদের ।
এরপরে "মিকি মাউস", "ডোনাল্ড ডাক", "উডি দ্য উডপেকার" খুবই প্রিয় ছিল আমার । ওহ, আরেকটা কার্টুন ছিল আমার খুবই প্রিয় - "পাপাই দ্য সেইলার" । এক চোখ বোজা, মাথায় নাবিকের টুপি, হাতে জাহাজের উল্কি আর মুখে সবসময় পাইপ - অত্যন্ত প্রিয় পাপাই । বিপদে পড়লে বা শত্রুর মোকাবেলায় "স্পিনাচ" খেয়ে গায়ে আনতো আসুরিক শক্তি । তারপরে সব অসম্ভব কাজকে নিমেষে সম্ভব করে , শত্রুকে পিটিয়ে পরোটা বানিয়ে প্রেমিকার হাত বগলে করে সেই খিক খিক এক চোখ বুজে হাসি । চোখ বুজলে এখনো যেন দেখতে পাই সে সব । আহা !
আরেকটা কার্টুনের কথা বলেই শেষ করছি আজকের লেখা ।"টিনটিন" । ইয়েস, কার্টুন নেটওয়ার্কে "দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন" নামে টিনটিনের ১৯ টা কমিকস বই অবলম্বনে তৈরী করা হয় ৩৯ টি এপিসোডের কার্টুন শো । এটি ছিলো আমার সব চাইতে পছন্দের এবং সব চাইতে প্রিয় টিভি শো ।বলতে কোনো লজ্জা নেই এখনো অব্দি এটাই আমার সব চাইতে প্রিয় টিভি শো । আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে এই টিভি শো'টি কিন্তু কোনোদিনও টিভিতে দেখা হয়ে ওঠেনি আজও ।প্রথম দেখি নিজেদের প্রথম কেনা ডেস্কটপ কম্পিউটার এ । এরপরে অসংখ্যবার দেখেছি ইউটিউবে, কিন্তু হয় ল্যাপটপ বা মোবাইলে ।
১৯৯৮ সালে আমি যখন খুবই ছোট, তখন আমাদের বাড়িতে পার্সোনাল কম্পিউটার ঢোকে । আমার বড় ভাইয়ের জন্য বাবা কিনে দিয়েছিলো । সেই কম্পিউটারে ইন্টারন্যাল টিভি কার্ড অ্যাড করা হয়েছিলো যাতে আমরা কম্পিউটারেই দরকার মতো টিভি দেখতে পাই । সেই কম্পিউটারেই আমি দেখে শেষ করেছিলাম কার্টুন নেটওয়ার্কে প্রকাশিত আমার সব চাইতে প্রিয় টিভি শো "দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন" এর সব ক'টি এপিসোড ।
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : pixabay
এটা দারুণ ছিল দাদা হা হা। আমিও একসময় সাদা কালো টিভি দেখেছি আমিও আপনার মতো কিছু বুঝতাম শুধু গ্রোগাসে গিলতাম। এবং কোনোরকম সমস্যা হলেই বাঁশের মাথায় বাঁধা এন্টিনা ধরে ঝাকাতাম হিহি।
আলিফ লায়লা আমাদের দেশেও অনেক জনপ্রিয় ছিল। ছোটবেলা রাতে ঘুম ঘুম চোখে সিনবাদের সমুদ্র যাএার গল্প আহ কী সেই সুন্দর সময়টা ছিল। একেবারে মনে করিয়ে দিলেন দাদা। এবং একসময়ে এসে আমারও আপনার মতো কার্টুনের নেশা হয়ে যায়। তবে আমার পছন্দের কার্টুন ছিল সন্তু কাকাবাবুর এ্যাডভেঞ্জার, টেনি দা, নন্টে ফন্টে, গোপাল ভাঁড় এইগুলো এবং টম এন্ড জেরি যে অপছন্দ করবে তাকে আমি মানসিক রোগী বলব।
প্রথমেই বলি দাদা আপনার এই টেলিভিশনের দেখি আমার অতীতের কথা মনে পড়ে গেল। আগে আমাদের এলাকায় শুধুমাত্র দু-একটি টেলিভিশন ছিল এবং সেটিও ছিলো সাদাকালো। আমার এখন স্পষ্ট মনে আছে শুক্রবার করে বাংলা ছায়াছবি অনুষ্ঠিত হতো, এবং আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষ এসে আমরা একসাথে সিনেমাটি দেখতাম। সত্যি দিনগুলো অনেক চমৎকার ছিল এবং বাংলা টেলিভিশনের আলিফ লায়লা এবং আরো একটি কার্টুন হত, যার নাম এখন মনে পড়ছে না। সত্যি অতীতের স্মৃতিগুলো দাদা সত্যি অনেক চমৎকার যদি একবার অতীতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো মন্দ হতো না।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Your post was upvoted and resteemed on @jonel
একেবারেই শৈশবের দিন গুলি ফিরে পেলাম আপনার লেখায়। আলিফ লাইলার এক পর্ব শেষ না হতেই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা, কি দারুণ সময় ছিলো।ভীষণ পছন্দের ছিলো মোগলি।এখনো মাঝে মাঝে ছেলের সাথে কার্টুন দেখি কিন্তু সেই আনন্দ আর ফিরে আসেনা। শৈশবের সাদাকালো টিভির আবেদন হোম থিয়েটারেও মেটেনা।
দাদা কি বলবো বলার কোনো ভাষা নেই। আসলে আপনি 90 দশকের পুরো কাহিনীটা যেভাবে তুলে ধরলেন এবং সেইসাথে পুরো কাহিনীটা আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সব কিছুই সাথে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন নব্বই দশকে যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তারা আসলেই ভাগ্যবান। জীবনের প্রথম দিকেই তারা নিজেদেরকে অনেক নতুন কিছু সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আনন্দে মেতে ছিল। তবে দাদা আমার মনে আছে আমি ছোটবেলায় এরকম আলিফ লায়লা, সিনবাদ, টিপু সুলতান, রবিনহুড, হারকিউলিস, আর কার্টুনের মধ্যে জঙ্গল বুক টা বেশি দেখা হয়েছিল, সেই সাথে আমাদের বাংলাদেশে আর একটা বেশি জনপ্রিয় ছিল বাংলা সিনেমা সেই যে কি দুঃখের সিনেমা, প্রেম ভালোবাসা সিনেমা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতাম যখন দুঃখের সিনেমা গুলো দেখতাম তখন চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়তো অনবরত সেই যে কি কান্না যত জন তখন দেখছে সবাই কান্না করছে। এরপরে টিভি দেখা দিয়ে কত যে মার খেতে হয়েছে কত যে পড়ালেখার ফাঁকিবাজি করেছি বলাই কঠিন। আপনি ঠিকই বলেছেন সে সাদাকালো টিভিতে এন্টিনার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কত চেষ্টা করেছি টিভি পরিষ্কার করার জন্য যাতে ভালভাবে দেখা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে 90 দশকের সেই স্মৃতি জড়িত দিনগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
দাদা আসলে আপনার পোস্টটি মাধ্যমে আমি পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেলে
।আসলে আমার বয়স আনুমানিক ৬-৮ বছর বয়স,আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়াতাম।এখনকার মতো টিভি ছিলে না। বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার আসলে ছায়াছবি দেখার জন্য আগাভাগা কাজ করতাম।এই টিভি দেখার জন্য আমরা অনেক দুরের এক দাদুর বাড়িতে গিয়ে ছায়াছবি দেখতাম। অনেক ধন্যবাদ আপনার পোস্টটি মধ্যে দিয়ে আমার ছোটে বেলার কিছু স্মৃতি লিখতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা।
বেশ দারুণভাবে কাটিয়েছেন ছোট বেলাটা আপনি, যদিও আমাদের এই রকম সুযোগ ছিলো না। হ্যা, মাঝে মাঝে একটু টিভি দেখার সুুযোগ পেতাম, আলিফ লায়লা দেখতাম তখন খুব বেশ জনপ্রিয় ছিলো আমাদের এই দিকে এটা তখন।
এই দুইটির কথা আলাদা বলার প্রয়োজন নেই, সত্যি দারুণ উপভোগ করতাম তখন এগুলো, আমার কাছে বেশী আকর্ষণীয় ছিলো জঙ্গল বুক। আর বাঁশ ঘুরানোর কথাটি স্মরন হয়ে গেলো। ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখার জন্য কত কষ্ট করতাম তখন হি হি হি।
দাদা আজকে কি লিখলেন? আপনার প্রতিটি লাইন পড়ার সময় একদম ছোটবেলার স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। আপনার ছোটবেলার টিভি দেখার সিরিয়ালগুলো একদম আমার সাথেও মিলে গেল। রামায়ণ আমিও দেখেছি অবশ্য হিন্দি ভার্সন। খুব ভালো লাগতো দেখতে। তাছাড়া আলিফ লায়লা তো আমি বড় হয়েও আরেকবার রিভিশন দিয়েছি এতো ভালো লাগতো। টম এন্ড জেরি, দা জঙ্গল বুক, দা অ্যাডভেঞ্চার অফ টিনটিন এগুলো এখনো আমি আমার বাচ্চার সঙ্গে দেখি। এত ভালো লাগে। এছাড়াও আমাদের সময় সিন্দাবাদ, রবিনহুড খুব জনপ্রিয় ছিল। কিছু সময়ের জন্য শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যেতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। সবই আপনার জন্য সম্ভব হয়েছে।
আপনার এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে আমার সেই ছোটবেলার টিভি দেখার ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল দাদা। ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটি সাদা-কালোর টিভি ছিল যদিও টিভিটি এখন পর্যন্ত আমার বাড়িতে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। ছোটবেলায় আমার সবথেকে পছন্দের টিভি সিরিয়াল গুলোর মধ্যে ছিল আলিফ লায়লা, মিনা কার্টুন এবং টম এন্ড জেরি।