হোলি নিয়ে বাল্যকালের স্মৃতি

in আমার বাংলা ব্লগlast year


অনেক দিন আগের কথা । আমি তখন সবে ক্লাস টু-তে ভর্তি হয়েছি । চৈত্র মাসের এক কাকডাকা ভোরে সবে বিছানা ছেড়ে দাঁত মাজতে মাজতে পুকুর ঘাটে ছোটাছুটি করছি । তখনো পর্যন্ত আমি বিপদ সম্পর্কে একেবারেই কিচ্ছুটি টের পাইনি । বিপদ তখন একেবারে খুব নিকটে । আমার ছোটবেলা যে গ্রামে কেটেছে সেখানে আমাদের একটা বিশাল পুকুর ছিলো । দীঘির মতোই বিশাল । বাঁধানো ঘাট ছিলো এক পাড়ে । পুকুরের চারিপাশে অনেক ছোটবড় গাছগাছালির সারি ছিল । নারিকেল, খেঁজুর , মাদার , হিজল , সজনে আর ছিল দুটি বিশাল বট আর তেঁতুল গাছ ।

আমি গ্রাম ছেড়ে চলে আসার আগেই এক বড় ঝড়ে বট আর তেঁতুল গাছ দুটি ভেঙে পড়ে । তো যা বলছিলাম, দাঁত ব্রাশ করতে করতে যেই আমি বড় বট গাছটার কাছে এসেছি অমনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই একেবারে ঝটিকা আক্রমণ - গেরিলা আক্রমণ যাকে বলে ।প্রথমেই বট গাছের একটি নিচু ডাল থেকে আক্রমণ - উড়ন্ত গোলা বর্ষণ, আর গুঁড়ির বাম আর ডান সাইড থেকে এক যোগে ambush ।

মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমি হতভম্ব হয়ে আবিষ্কার করলাম যে রঙের স্রোতে এই ভোরে একেবারে নাইয়ে দিয়েছে শত্রুপক্ষ । ইন্দ্র গ্রূপের মতো এ আরেক গ্রূপ - গোপী গ্রূপ । দলনেতা - গোপীনাথ । আমার চাইতে ২ ক্লাস উপরে পড়তো । রাত পোহানোর সাথে সাথেই আমাকে আক্রমণের পরিকল্পনায় এরা লুকিয়ে ছিল বটগাছের আড়ালে । দলে ছিল ৪ জন ছেলে, তার মধ্যে ১ জন আমারই ক্লাসমেট । এর আগে জীবনেও এই ভাবে কেউ রং দিয়ে আমাকে স্নান করিয়ে দেয়নি ।

তারপরেও এই রং ছিল ভয়ঙ্কর রঙ, আবীর গুলে বানানো রঙ নয় । রাসায়নিক রঙ, যা সহজে ওঠে না, তারপরে আবার কাঁচা গাবের আঠা আর কাঁচা খেজুরের রস মেশানো । হাজার সাবান মাখলেও এক সপ্তাহের আগে রং ওঠার কোনো চান্স নেই । আর যে জামা প্যান্টে লাগবে সেটা বাদ দেওয়া ভিন্ন আর কোনো পথ নেই । এই ভয়ঙ্কর রঙে আমাকে একেবারে নাইয়ে দিয়েছে ।

প্রথমটা হকচকিয়ে গেলাম । এরপরে ভীষণ রাগে মাথায় আগুন জ্বলে উঠলো । সবার আগে গোপী কে ধরার চেষ্টা করলাম । কিন্তু, হায়রে, আমি যে গাছে উঠতে জানি না । গোপী গাছের ডালে বসে মিষ্টি মিষ্টি হাসতে লাগলো আর সুমধুর বাক্যবাণ আমার উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করতে থাকলো । সে সুমধুর বাক্যবাণের ঠেলায় আমার মাথায় আবারো আগুন জ্বলে উঠলো । কিন্তু, আমি অসহায় । শেষমেশ বাকি তিনটে শয়তানকে ধরার চেষ্টা করলাম । অনেকটা দৌড়ালাম, কিন্তু তিনজনে তিনদিকে ছড়িয়ে থাকার জন্য সুবিধে করে উঠতে পারলাম না । আর এই সুযোগে গোপীও গাছ থেকে নেমে চম্পট দিয়েছে ।

শেষমেষ, অনেকটা বেলায় রঙ মেখে ভূত হয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম , তখন আমার অবস্থা দেখে মা রেগে আগুন । অনেক করে বোঝাতে চেষ্টা করলাম যে আমি মুখ ধুতে গিয়েছিলাম, রঙ খেলতে নয় । তবে সব কিছুই বিফল গেলো । সাত সকালে রঙ মেখে ভূত হওয়ার খেসারত দিতে হলো -- বেশ একচোট হয়ে গেলো । আমি যখন মার খাই তখন দূরে দাঁড়িয়ে গোপীর সে কি হাসি । দেখে রাগে অপমানে আমার চোখে জল চলে এলো ।

আমি প্রতিজ্ঞা করলাম । এর শোধ আমি নেবো । শোধ আমি ঠিকই নিয়েছিলাম । নিজের একটি দলও খুলেছিলাম দোলের দিন বিভিন্ন গ্রূপের সাথে ফাইট করার জন্য । অনুপম, গোবিন্দ, সঞ্জয় এইরকম বেশ কিছু বন্ধু নিয়ে আমাদের নিজেদেরও একটি দল হলো । রঙ আর পিচকারি নিয়ে সে কি ফাইট রে বাবা ।এতদিন পরে লিখতে বসেও দারুন লাগছে সেদিনের রঙীন দিনগুলোর কথা মনে পড়লে -

"দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি॥"


Sort:  
 last year (edited)

অমনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই একেবারে ঝটিকা আক্রমণ - গেরিলা আক্রমণ যাকে বলে ।

দাদা, অনেক ভালো লাগলো আপনার ক্লাশ ২ এর ঘটনা পড়ে। আসলে আমরাও অনেক হলি খেলছি। বিশেষ করে বৈশাখ মাসের প্রথম তিন দিন আমাদের গ্রামে বিশাল মেলা হতো। মেলা বসতো আমাদের স্কুল মাঠেই। তখন সবাই মিলে ওয়াটার গান এর ভেতর রঙিন পানি উঠিয়ে গ্রুপ করে গুলাগুলি খেলতাম। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক আগের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ❣️❣️❣️
 last year 

হোলি নিয়ে বাল্যকালের স্মৃতি বিজরিত গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো।সকাল ভোরে উঠে এই ধরনের রং দিয়ে গোসল করিয়ে দেওয়া মায়ের কাছে বকানি শোনা যেটা কোন ভাবেই আশা করেননি। গোপী গ্রুপের আক্রমণের শিকার ভালোই হয়েছেন।গোপী গ্রুপ খুবই দুষ্টু প্রকৃতির ছিল সেটা গল্প পড়েই বুঝতে পারলাম। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নিজের দলগঠনের বিষয় টি ভালো লেগেছে। ছোট বেলায় এই রকম অনেক দলগঠন করেছি।যাইহোক, হলি ডে উপলক্ষে দাদা বাল্যকালের স্মৃতি বিজরিত গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।❤️❤️

 last year 

দাদা, দোল পূর্ণিমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।আপনার বাল্যকালের হোলি খেলার গল্প পড়তে আমার বেশ মজা লাগছিল।সত্যিই কি অবস্থায় না হয়েছিল আপনার সেদিন গোপীর আক্রমণে ভেবেই হাসি পাচ্ছে।ছেলেবেলাটা সত্যিই মধুর হয় বন্ধুদের সঙ্গে।তবে আবারো যে আপনি দল গঠন করে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন এটি খুবই ভালো স্মৃতি বহন করেছে।তাছাড়া এইরকম পরিস্থিতিতে আমার মা-বাবা ও কোনো বায়না শুনতো না ,উল্টে কষে দিত দুই এক থাপ্পড় সজোরে ঠিক আপনার মায়ের মতো।অথচ যারা অন্যায় করেছে তাদের কিছুই হতো না।খুবই মনে পড়ে এই স্মৃতিগুলো আমার ও।ভালো থাকবেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দাদা শুরুতেই দোল পূ্ণিমার শুভেচ্ছা নিও 🙏। আর বিশ্বাস করো, তোমার লেখাটা পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ। যেভাবে শুরু করেছো লেখাটা । একদম ফাটাফাটি ছিল 👌। আমি শুধু ভাবছি ওই বয়সেও দল বানিয়েছিলে😊 হিহিহিহি। ছোট বেলার এই স্মৃতিগুলো সারা জীবন সোনায় মোড়ানো থাকবে। কত হাসি পায় আজ এসব মনে হলে বলো❤️। শেষের চারটে লাইন মন ছুয়ে দিল দাদা। অনেক অনেক ভালো থেকো।

Every colony had rival gangs and Holi was wartime. It was the time when we ganged up against each other and found newer ways to defeat the rivals. But, of course, by the end of it all, we were all a bunch of kids having the best time of our lives together. It all ended in our friendships becoming only stronger.

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

 last year 

বাহ টিনটিন বাবু তো বেশ সুন্দর খেলা খেলছে হোলি নিয়ে।কি সুন্দর হাসি। অনেক ভাল লাগছে।সত্যিই অবাক করার মতো আপনি দল গঠন করছিলেন এবং প্রতিশোধ নিয়েছেন। আসলেই দিনগুলো খুব মিস করি। ভালো ভালো দিন খুব সহজেই চলে যায়। আবার যদি ফিরে পেতাম।

 last year 

আসলে দাদা ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর হয়ে থাকে। এখনো কিছু কিছু ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়লে খুব হাসি পায় কি ফাজলামো না করেছি সে সময়। আপনার ছোট বেলায় হোলি খেলার গল্প শুনে অনেক ভালো লাগলো।গোপী গ্রুপ খুবই দুষ্টু প্রকৃতির ছিল সেটা গল্প পড়েই বুঝতে পারলাম। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নিজের দলগঠনের বিষয় টি ভালো লেগেছে।
মাঝেমধ্যে ছোটবেলার গল্প গুলা শেয়ার করলে মন্দ হয় না। ধন্যবাদ দাদা‌ আপনার গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনি যখন ক্লাস টুতে পড়েন আপনার সাথে অনেক সুন্দর একটি ঘটনা ঘটে যায় দাদা। আপনার উপর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আপনার সহপাঠী সহ আরো বেশ কয়েকজন আক্রমণ করে। আমিতো প্রথমের দিকে পড়ে ভেবেছিলাম হয়তো কোন যুদ্ধের কথা বলতেছেন আপনি। কিন্তু পরে যখন রঙের কথা বললেন তখন হালকা লাগলো যাক এত যুদ্ধ নয়। এ হচ্ছে বন্ধুর সাথে বন্ধুর খুনসুটি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম দাদা।

 last year 

এত সুন্দর করে লিখেছেন দাদা আমি আপনার লেখার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম। শেষটায় এসে মনে হচ্ছিল এই গল্পকথন যদি আরো কিছু সময় চলত!

লেখা পড়ে বুঝতে পারছি তখনকার দলগুলো বেজায় দুষ্টু ছিল নইলে গাবের আঠা আর খেজুর রসের সাথে মেশানো রঙ! ভাবা যায় এসব!! ও-ই সময়ে আপনার দুরাবস্থার কথা ভেবে খারাপ লাগছে, কিন্তু এমন দুই একটা ঘটনা না থাকলে বড় হয়ে ছোটবেলাকে খুব পানসে মনে হয়।

 last year 

হোলি নিয়ে আপনি আপনার বাল্যকালের অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন দাদা। সত্যি বলতে সেই বাল্যকাল টা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। সেই সময়টাতে মারামারি ঝাপাঝাপি আড্ডা মাস্তি সবকিছুতেই অনেক বেশি ভরপুর বিনোদন পাওয়া যায়।

নিজের একটি দলও খুলেছিলাম দোলের দিন বিভিন্ন গ্রূপের সাথে ফাইট করার জন্য

আপনার এই কথাগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, তাহলে এখন বুঝতে পারলাম এইরকম চিন্তাভাবনা ছোটবেলায় সবারই ছিল। কেউ কিছু বললে বা কারো কাছ থেকে মার খেয়ে আসার পরে নতুন করে আরেকটা দল তৈরি করতাম তাদেরকে মারার জন্য হাহাহা। আপনিও দেখছি ব্যতিক্রম নন।
যাই হোক ধন্যবাদ দাদা আপনার বাল্যকালের এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দাদা ভালোই লাগলো আপনার ক্লাস ২ এর স্মৃতিময় দিনের ঘটনা পড়ে। সেই সকালে দাঁত ব্রাশ করতে বড় বট গাছটার কাছে এসেছিলেন। অমনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই একেবারে ঝটিকা আক্রমণ - গেরিলা হাহা।এই প্রতিবাদে আপনার ও একটা দল তৈরি হয়ে গেলো।দুই দলে সংঘর্ষ বেশ ভালো ছিল। দাদা মাদার ফলটা ঠিক চিনতে পারলাম না। হলি নিয়ে মাতামাতি ও বাল্যকালের স্মৃতি থেকে অনেক সুন্দর লিখেছেন দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 last year 

হা হা,ভালো লাগলো দাদা,আমি মনে মনে ভাবছি দাদা রাগ মাখা মুখটা কেমন ছিলো।আর রঙ মাখা মুখটাই কেমন ছিলো।আসলে ছোট ছোট বেলার স্মৃতি কখনো ভুলা যায় না।ঐ মুহূর্তে রাগ হয়েছিলো বটে কিন্তুু এখন এগুলো ভেবে ভালো লাগছে মনে হয়। ভালো ছিলো।দাদা ধন্যবাদ। আপনাকে দোলের শুভেচ্ছা,

 last year 

অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ। জানিনা আপনার অতীতের বন্ধুরা কেমন আছে । আমি বিশ্বাস করি, তারা যদি আপনার এই লেখাটা পড়ে তারাও ঠিক আপনার মত বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে যাবে । টিনটিন বাবু যে রং মেখে আনন্দ পেয়েছে । তা কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে । বেশ সুন্দর লাগছে ওকে । শুভেচ্ছা রইল হোলির । রঙ্গিন হয়ে উঠুক ভুবনটা নতুন করে ।

 last year 

দাদা আপনার ছোট বেলার হোলির দিনের কাটানো গল্পটা পড়ে একটু মজা লাগলো ।আমাদের ছোট কালের সময়টা মনে করি অনেক মজার সময় ছিল যেখানে ছিলো মায়ের শাসন আর আবাদ স্বাধীনতা। আজ আমরা বাস্তবতার সাথে লড়ছি, যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই দিন গুলিতে কি না যে আনন্দ হত। আমি মাঝে মাঝে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের সাথে কিছু সময় কাটাই, তাদের সাথে খেলতে আমার অনেক ভালো লাগে, মনে হয় যেন আমি তাদের মতই এখন আছি , এই অনুভুতিটা মনের ভিতরে একটা সুখের দোলা নাড়ে। টিনটিন বাবুকে দেখে আমার অনেক ভালো লাগলে যে , টিনটিন বাবু তার ছোট বেলার একটি মজার সময় কাটাচ্ছে , এই হোলিতে টিনটিন বাবু অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে- যা তা আগামীদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে।টিনটিন বাবু অনেক খুশি আর দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা করেছে এই হোলিতে। আপনার এই হোলিতে শুভেচ্ছা রইল ।শুভকামনা

 last year 

অনুপম, গোবিন্দ, সঞ্জয় এইরকম বেশ কিছু বন্ধু নিয়ে আমাদের নিজেদেরও একটি দল হলো । রঙ আর পিচকারি নিয়ে সে কি ফাইট রে বাবা ।এতদিন পরে লিখতে বসেও দারুন লাগছে সেদিনের রঙীন দিনগুলোর কথা মনে পড়লে।

দাদা আপনি আজকে আপনার ছোট বেলায় চমৎকার একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন। ঐসময়ে দিন গুলি অনেক আনন্দের আপনি ঠিক বলেছেন মনে পরলে অনেক হাসি পায় আর ভালো লাগে। তবে আপনার দল নিয়ে দারুণ ফাইট করেছেন মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।

 last year 

শেষমেশ বাকি তিনটে শয়তানকে ধরার চেষ্টা করলাম ।

দাদা আপনার ক্লাস টু তে থাকার সময় কালে দোলের স্মৃতিময় ঘটনাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমরা যত বড় হতে থাকি আমাদের জীবন থেকে ধর্মীয় উৎসবের আনন্দটা যেন দিন দিন কমে যেতে থাকে। ছোটবেলার মতো আনন্দ জীবনের আর কোন পর্যায়েই হয়ে উঠনা। তবে দাদা ছোটবেলায় গ্রুপ বানিয়ে একে অপর গ্রুপের সাথে যুদ্ধের মজাই ছিল আলাদা রকমের। ছোটবেলায় আপনার দোলের দিনের এই স্মৃতিময় ঘটনাটি পড়ে আমার মনটা ভালো হয়ে গেল। লেখার ধরনটাও ভীষণ সুন্দর ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদা।

 last year 

দাদা ছোটবেলার দারুন একটি মজার ঘটনা আজ শেয়ার করলেন। আপনার ঘটনাটি পড়ে মনে হচ্ছিল হোলি উৎসব কি এতই আনন্দের ছিল!! ওই সময়ে হয়তো আপনার ভীষন খারাপ লেগেছিল বন্ধুদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়ে আর আন্টির বকুনি খেয়ে কিন্তু আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এখন ওই স্মৃতিটাকেই আপনার মধুময় মনে হচ্ছে। শৈশবের এই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আর কখনোই ফিরে আসবে না। শুধু মনের খাতায় অমলিন স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে সারাটি জীবন। যাইহোক সময় পরিবর্তন হয়েছে। আনন্দগুলো হয়তো আছে তবে অন্যভাবে। আমি কখনো হোলি উৎসব কাছ থেকে উপভোগ করি নি, আসলে সেরকম সুযোগ কখনো হয়নি। টিনটিন বাবুকে দেখেই বুঝতে পারছি এই উৎসবের আনন্দের মাত্রা। শুভ হোক আপনাদের হোলি উৎসব। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপনাদের জন্য❤️❤️❤️

 last year 

দাদা আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কেন জানি মুহূর্তেই আমি ছোটবেলার অনেক স্মৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে হলে এখনো অনেক ভালো লাগে। আপনার শত্রুপক্ষ সকাল-সকাল আপনাকে একেবারে রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিল দাদা। তবে যাই হোক ছোটবেলার সেই দুষ্টু মিষ্টি স্মৃতি গুলো মনে হলে ভালোই লাগে। আপনার সেই মুহূর্ত গুলো ও সেই পুরনো স্মৃতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 last year 

এই রং ছিল ভয়ঙ্কর রঙ, আবীর গুলে বানানো রঙ নয় । রাসায়নিক রঙ, যা সহজে ওঠে না, তারপরে আবার কাঁচা গাবের আঠা আর কাঁচা খেজুরের রস মেশানো ।

এই গ্রুপ তো ইন্দ্র গ্রুপের মতোই ভয়ঙ্কর। আগে ইন্দ্র গ্রুপের সাথে ফাইট এর ঘটনাটা মনে আছে এবং এটাও অনেক দুর্দান্ত এবং চমৎকার একটি ছোট বেলার স্মৃতি।

আপনার গল্প পড়ে ছোটবেলার সেই গ্রামের দিনগুলোর কথা সত্যি মনে পড়ে গেল এবং খুব নস্টালজিক হয়ে গেলাম।

 last year 

দাদা আপনার ছোটবেলার স্মৃতি পড়ার সময় মনে হচ্ছে যে প্রতিটি দৃশ্য আমার চোখের সামনে ভাসছে। এত চমৎকার ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। গোপী গ্রুপের সঙ্গে কি প্রতিশোধ নিয়েছিলেন তা জানার খুব ইচ্ছা রইল।কোন একদিন সময় পেলে অবশ্যই লিখবেন। আমারই মনে হচ্ছিল যে গোপীকে পেলে আচ্ছামতো বসানো যেত। মার দিতে না পারার একটা আফসোস রয়ে গেলো। মাঝে মাঝে আপনার ছোটবেলার গল্প কিন্তু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। পড়তে বেশ লাগে। টিনটিনের রংমাখা ছবিটা কিন্তু দারুণ হয়েছে। ও খুব খুশী রং মাখতে পেরে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

 last year 

হোলি নিয়ে বাল্যকালের স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আসলে আমাদের বাল্যকাল অনেক ভালো ছিল। অনেক হাসি, আনন্দ, দুষ্টুমি সবকিছুতে কেটেছে আমাদের বাল্যকাল। আমাদের যেমন ভালো বন্ধু ছিল তেমনি দুষ্টু বন্ধুও ছিলো। আপনার দুষ্টু বন্ধুরা আপনাকে রঙ মাখিয়ে দিয়েছে এবং আপনার মায়ের কাছে বকা শুনিয়েছে এই স্মৃতি আজও আপনি মনে রেখেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো কখনোই ভুলার মত নয়। বিশেষ করে শৈশবের সেই দুষ্টু মিষ্টি স্মৃতি সবার মনেই সারাজীবন থেকে যায়। যেমনটি আপনার মনে আছে দাদা। আমার শৈশবের কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো আমার সারা জীবন মনে থাকবে। তবে যাই হোক দাদা হোলির দিনে আপনার শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরেছে এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।💗💗💗💗

 last year 

টিনটিন বাবা তো দারুন ইনজয় করেছে হোলি দেখে সেরকমই লাগছে।
যাক দাদা শোধতো নিতে পেরেছিলেন। আমার কাছে কিন্তু রংয়ের গল্পটা ভালই লাগলো দাদা একেবারে চোখের সামনে ভাসছে যে আপনি রঙে একাকার হয়ে গেলেন। কিন্তু খারাপ লেগেছে এটা ভেবে যে রংটা খারাপ ছিল আর আপনি বাড়িতে এসে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ওরা মনে হয় সারারাত আপনার জন্য গাছের ডালে বসে অপেক্ষা করছিল কখন আপনি আসবেন। আসলে ছোটবেলার গল্প গুলো পড়তে ভালই লাগে এর আগে যে ইন্দ্র গ্রুপের গল্পটা লিখেছিলেন সেটা খুব ভাল লেগেছিল আজকের গল্পটা ভালো লাগলো দাদা ।

 last year 

হাহাহাহা, দাদা আপনি যেভাবে লিখেছেন মনে হচ্ছিল সত্যিই সত্যি গুলির আক্রমণ। হাহা দারুন দারুন একটা গল্প পরলাম। আপনার প্রতিটি কথা পড়ার সময় মনে হয় এটা কোনো কবি বা লেখকের লেখা বাস্তব গল্প। কিন্তু এই রঙ খেলার গল্প সব থেকে সেরা ছিল। ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

রঙ শুধু দিয়েই গেলে।।
আড়াল থেকে অগোচরে
দেখেও তুমি দেখলে না তো।।
সে রঙ কখন লাগলো এসে মনে
গেলো জীবন মরণ ধন্য করে
রঙ শুধু দিয়েই গেলে।।

দাঁত মাজতে গিয়ে রং দিয়ে স্নান শেষ মেষ মায়ের বকুনি। দাদা সেই পুকুর ঘাট কি আজো আছে। বন্ধু কিংবা শত্রু সবাই তো বড় হয়ে গেছে । সবাই সেই ছেলে বেলা পার করে এখন হয়তো সাবাই সংসারী। রং খেলার সেই স্মৃতি আমারও মনে পড়ে গেল। আমার মাথায় পোড়া মবিল দিয়ে দিয়েছিল সেই কারনে হুলির দিন বিকেলে আমাকে টাক করতে হয়েছিল। হা হা হা। কতটা স্মৃতি মধুর দিন ছিল। এখন টিন টিন বাবুর দিন ওর আনন্দের দিন। ওর জন্য রইল প্রানঢালা ভালবাসা।

সত্যি

"দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি॥"

শুভেচ্ছা নিবেন । ধন্যবাদ।

 last year 

দাদা দোল পূর্ণিমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। দোল পূর্ণিমার দিন আপনার অনেক সুন্দর কাটুক এই কামনা করি। আপনার ছেলেবেলার ঘটনাটি সত্যি অসাধারণ ও মনমুগ্ধকর। আমার খুব ভালো লাগলো আপনার ছেলেবেলার ঘটনাটি জেনে। ধন্যবাদ দাদা আপনার ছেলেবেলার ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।

দাদা আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কেন জানি মুহূর্তেই আমি ছোটবেলার অনেক স্মৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে হলে এখনো অনেক ভালো লাগে। আপনার শত্রুপক্ষ সকাল-সকাল আপনাকে একেবারে রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিল দাদা।

 last year 

দাদা,আপনার হারিয়ে যাওয়া দিনের স্মৃতির কথা গুলো পড়ে সত্যিই আমার খুব ভালো লেগেছে। খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছি আর পড়তে পড়তে যেন নিজের শৈশব জীবনে ফিরে গেছি। দাদা, সত্যি কথা বলতে কি শৈশবের জীবনে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় তবে শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে সেই শৈশবের জীবনে ফিরে যেতে মন চাই।দাদা,আপনার এ পোস্টটি পড়ে বেশ আনন্দ লেগেছে সহপাঠীরা থাকলে একমাত্র ওই মানুষটাই এত আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আর যখন আমাদের মত বয়স হয় তখন এই স্মৃতিগুলো মনে করে করে নিজের মনকে অজান্তে প্রফুল্ল করে 😊

গোপী গাছের ডালে বসে মিষ্টি মিষ্টি হাসতে লাগলো আর সুমধুর বাক্যবাণ আমার উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করতে থাকলো ।

দাদা,এই লেখাটি পড়ে সত্যিই আমার খুব হাসি পেয়েছে সহপাঠীরা সত্যিই অনেক দুষ্ট হয়ে থাকে। তাইতো গাছের উপর বসে থেকে থেকে আপনাকে রাগিয়ে ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ছেলেবেলার রাগ বড় হয়ে স্মৃতির ঝাপিতে জায়গা করে নিয়েছে ভালো লাগলো সেই রং খেলার গল্প।ভীষণ রকম মাখামাখি রং এ টিনটিনকে দারুণ লাগছে। হ্যাপি হোলি।

 last year 

আহ!! কি সুন্দর দিনগুলো অতিবাহিত করে এসে পড়েছেন দাদা। সত্যি শৈশবের এ স্মৃতিগুলো ভুলার মতো না। আপনার বন্ধু গোপীনাথ ব্যাটা আপনাকে এভাবে রঙ মাখিয়ে পালালো। আপনিও গ্রুপ বেধে শোধ নিলেন। ছোটবেলায় এরকম খুনসুটি সত্যি আনন্দের। টিনটিন বাবাই এর শরীরও দেখছি রঙে রাঙানো। আনন্দ করেছে অনেক। যায়হোক দাদা আপনাকে ধন্যবাদ শৈশবের স্মৃতিটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।

 last year 

শেষমেষ, অনেকটা বেলায় রঙ মেখে ভূত হয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম , তখন আমার অবস্থা দেখে মা রেগে আগুন । অনেক করে বোঝাতে চেষ্টা করলাম যে আমি মুখ ধুতে গিয়েছিলাম, রঙ খেলতে নয়

দাদা হোলি নিয়ে আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া ছোটবেলার সেই গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনার ছোটবেলার গল্পটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে আপনার ছোটবেলার এই ঘটনাটি কখনো ভোলার নয়। কারণ আপনি এই পুকুর পাড়ে মুখ ধুতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার বন্ধুরা পরিকল্পনা করে আপনাকে রঙের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। আর এই রং সাধারণ নয়। সাত দিন আগে উঠবে না। সত্যিই এটা খুবই কষ্টকর। তবে আপনি যখন তাদের অনেক চেষ্টা করেও ধরতে পারলেন না। রাগে আপনার শরীর তখন প্রতিশোধ আগুন ছিল। যাইহোক আপনি যখন বাড়িতে আসলেন আপনার মা আপনার কথা শুনল না। আসলে কথাটা শোনো কথাও না। কারণ সে হয়তো বুঝতে পেরেছে যে আপনি খেলা করতে গিয়েছেন।ঔ দিনটি কখনো ভোলার নয়। তবে আপনি প্রতিশোধ নিয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। কারণ দোল মজার খেলা এটি রঙের আনন্দের দিন। আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।

দাদা দোল পূর্ণিমা শুভেচ্ছা নেবেন। দাদা আপনার দোল পূর্ণিমার মাধ্যেমে আপনার আগের দুটো স্মৃতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো্।আসলে ছোটেবেলায় ধরনের আমরাই এই রকম দল গঠন করেছিলাম।সব মিলে সুন্দর ছিলে।অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Check out the latest list of downvoters that should disappear from Steemit.
-->https://steemit.com/hive-160196/@ravenkim/update-the-list-of-dust-downvoter-2022-3-19

 last year 

অনেকটা বেলায় রঙ মেখে ভূত হয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম , তখন আমার অবস্থা দেখে মা রেগে আগুন । অনেক করে বোঝাতে চেষ্টা করলাম যে আমি মুখ ধুতে গিয়েছিলাম, রঙ খেলতে নয় । তবে সব কিছুই বিফল গেলো ।

এই অংশটুকু সত্যি বেশ মজা পেয়েছিলাম দাদা। হ্যা, ছোটবেলায় এই রকম দুষ্টুমি আমরাও করেছি এবং তারপর পিছু পিছু দেখার চেস্টা করতাম বাড়ীতে কতটা বকা খায়। কতটা সুন্দর ছিলো সেদিনের দিনগুলো।

 last year (edited)

ইন্দ্র গ্রুপের কথা দাদা এখনো মনে আছে। অনেকদিন আগে শুনেছিলাম সে গল্প।

সেদিনটা আপনার জন্য যতই খারাপ হোক,এখন কিন্তু স্মৃতিগুলো মনে পড়ে ঠিকই মনের মধ্যে হাসি পাচ্ছে।

টিনটিন বাবুর ছবিটা দেখে ভালো লাগলো। ও যখন বড় হবে তখন ওর কাছেও এখন কাটানো এই দিনগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.06
JST 0.025
BTC 27138.22
ETH 1715.25
USDT 1.00
SBD 2.74