একটা অদ্ভুত এক্সপেরিয়েন্স
আজকে দুপুরবেলা থেকেই মনটা বেশ খারাপ হয়ে ছিল । আমাদের কমিউনিটি'র সম্মানিত এবং সকলের প্রিয় মডারেটর তানজিরা ম্যাডাম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন । ওনার বোনেরা যাঁরা আমাদের কমিউনিটির ভেরিফাইড মেম্বার, ওনারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
তানজিরা ম্যাডামের বোনেদের বক্তব্য অনুযায়ী আজ ভারতীয় সময় দুপুর একটা নাগাদ হঠাৎই তানজিরা ম্যাডাম বাথরুমে সেন্সলেস হয়ে পড়েন । সৌভাগ্যবশতঃ বাথরুমের ডোর লকড ছিল না । ওনার মেয়েরা খুব দ্রুতই ওনাকে বাথরুমের ফ্লোরে সেন্সলেস অবস্থায় খুঁজে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিচিত সবাইকে মোবাইলে কল করে জানিয়ে দেয় ।
ম্যাডামের স্বামী দূৰ্ভাগ্যক্রমে এই সময়টাতে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন । সো, একটা অসহায়ত্বের পরিবেশ সৃষ্টি হয় । যদিও, ওনার ভাসুরের বাড়ি খুব নিকটে হওয়াতে খুব দ্রুতই লন্ডনের একটি হসপিটালে ওনাকে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করানো সম্ভবপর হয় ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওনার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে এবং উনি বাড়ি ফিরে এসেছেন । হসপিটালে ওনার অনেকগুলো টেস্ট করা হয় এবং প্রায় সব রিপোর্ট নরমাল পাওয়া গিয়েছে । তীব্র পেটে ব্যাথা এবং লো ব্লাড সুগারের কারণে উনি সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলেন - এটাই ডক্টররা নিশ্চিত করেছেন । একটা অপারেশন এর দরকার আছে, তবে সেটি এই মুহূর্তে না করলেও চলবে । হসপিটাল থেকে অপারেশন এর ডেট পরে জানিয়ে দেওয়া হবে ।
যাই হোক, এখন অনেকটাই চিন্তামুক্ত ওনার ফ্যামিলি । সেই সাথে "আমার বাংলা ব্লগ" এর অ্যাডমিন প্যানেল সহ আমরা সবাই বেশ কিছুটা স্বস্তিবোধ করছি । ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি খুব শীঘ্রই উনি যেনো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান ।
এখন আসি গতকালের আমার একটি অদ্ভুত এবং অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা নিয়ে । আমি কালকের পোস্টেই উল্লেখ করেছি যে গতকাল আমরা টিনটিনের বায়নার জন্য রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম শপিং টপিং মুলতুবি রেখে । তো, রেস্টুরেন্টটা ছিল "বারবিকিউ নেশন্স" । এটি একটি ব্যুফে রেস্তোরাঁ । প্রথম দিকে স্টার্টার আইটেম হিসেবে হরেক রকম বারবিকিউ, কাবাব - টাবাব এসব দেয় । আনলিমিটেড ।
এরপরে এসবের পাট চুকলে আর টেবিলে খাবার দেয় না । নিজেরাই উঠে গিয়ে সারি সারি খাবারের পাত্র থেকে ইচ্ছেমতো নিয়ে নিতে হয় । ব্যুফেতে যেটা দস্তুর । তো, আমাদের স্টার্টার আইটেম খাওয়া শেষ হলে এবার আমি একটা খবর প্লেট নিয়ে কিছু স্যালাড আর ফিশ আনতে গেলাম । সঙ্গে সঙ্গে টিনটিনও বায়না ধরলো যে আমার সাথে যাবে ।
তাই, ওকেও সাথে নিলাম । প্রকান্ড একটা হলঘরে অনেকগুলো সার সার খাবারের পাত্র সাজানো । আমি এক হাতে টিনটিনের হাত ধরে আরেক হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে একটার পর একটার ঢাকনি তুলছি আর দেখছি কি খাবার আছে পাত্রে । ভেজ বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি এসব রেখে আমি সাদা ভাত নিলাম কিছু ।
প্রত্যেকটা খাবারের পাত্রের সামনে গিয়ে আমি টিনটিনের হাত ছেড়ে দিয়ে ঢাকনি তুলে চেক করছি খাবার । এরপরে আবার ঢাকনি নামিয়ে ফের টিনটিনের হাত ধরে পরের পাত্রের সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি । আট দশবার এরকম করার পরে আমি টিনটিনের হাত ধরা আর ছাড়ার সময় ওর দিকে তাকাচ্ছি না আর । কারণ, খুবই বাধ্য ছেলের মতো আমি যতক্ষণ খাবার চেক করছি ও ততক্ষন আমার বাঁ পাশেই দাঁড়িয়ে থাকছে ।
এই ভাবে কিছুক্ষণ কাটার পর আমি রাশিয়ান স্যালাড এর একটি পাত্র থেকে বেশ কিছুটা স্যালাড তুলে নিয়ে পাশের দিকে না তাকিয়েই টিনটিনের হাত ধরে দিলাম একটা টান । ও মা ! টিনটিনের ছোট্ট হাতের বদলে এ যে বেশ মোটা নরম একটা হাত । সঙ্গে সঙ্গে বাঁ পাশে ঘুরে তাকাতেই আমার হৃৎ কম্প ।
এ কী দেখছি !!! একটি ফর্সা মোটা গোলগাল মেয়ে অবাক বিস্ময়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে । আমার বাঁ হাতের মুঠিতে তার ডান হাত ধরা । বিদ্যুৎ স্পৃষ্টের মতো চমকে উঠে ছেড়ে দিলাম তার হাতখানা । সরি বললাম দুজনেই এক সাথে । মেয়েটির চাইতে আমিই বেশি লজ্জা পেয়েছিলাম । ঘুরে তাকিয়ে দেখি ডান পাশে টিনটিন অবাক বিস্ময়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ।
তনুজার হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গিয়েছিলো ।
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ৩০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৭ম দিন (300 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 07)
সময়সীমা : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাস্ক ৬৩ : ৩০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৩০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 162e1649f6c71af97a529535779f63739b468bb55cf37d0c382b2adc18c9bf33
টাস্ক ৬৩ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
RME, Thank You for sharing Your insights...
এ কেমন পোস্ট একবার মণ খারাপ হয় তো একবার হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়।তবে যাইহোক তানজিরা আপু এখন সুস্থ আছে যেনো অনেকটা স্বস্তি পেলাম।ওনার জন দোয়া রইলো।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কপাল ভালো যে দরজা লক করা ছিল না। তানাহলে আরেক বিপত্তি বেধে যেত। শুনে ভালো লাগলো যে অনেকটা ভালো আছেন এখন আপু। ঈশ্বরের কাছে তার দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করছি।
আর দাদা আপনার কান্ড পড়ে তো হাসতে হাসতে আমি শেষ 😅😅। আমি শুধু ভাবছি ঐ সময় আপনার চোখ মুখের এক্সপ্রেশন কেমন হয়েছিল 🤔। তো দাদা মেয়েটি কি বিবাহিত ছিল নাকি অবিবাহিত? 😊
শুরুতেই তানজিরা ম্যাডামের অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে, ঈশ্বর সহায় ছিল বলেই বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। ওনার হাসবেন্ড না থাকার কারনে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়েছিলেন বাচ্চা গুলো একে বাবা কাছে নেই তার উপরে মা অসুস্থ সবমিলিয়ে বাচ্চাদের খুব খারাপ সময় কেটেছে। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় তানজিরা ম্যাডাম এখন সুস্থ আছে জেনে খুবই স্বস্তিবোধ ফিরে পেলাম।ম্যাডামের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। শপিং মুলতবি রেখে বারবিকিউ নেশন্স এ ব্যুফে তে গিয়ে টিনটিন সোনার হাত ছেড়ে দিয়ে আট দশবার ধরে খাবার সংগ্রহ করাটা বেশ ভালো ভাবেই সামলিয়ে নিয়েছেন দাদা টিনটিন সোনা বাধ্য ছেলের মতো পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি মজার ছিল ফর্সা গোলগাল মেয়ের হাত ধরাটা,দাদা আপনার সাথে সাথে টিনটিন সোনাও অবাক হয়েছে যে বাবা আবার কার হাতে ধরে আছে। হা হা হা হা হাহাহা।
হিহিহি, দাদা অনেক হাসি পেল আমার 😆।প্রথমে আপুর খবরে খারাপ লাগা ছিল। দুপুরে পোস্ট দেখেই খারাপ লাগছিল। যাক আলহামদুলিল্লাহ আপু ভাল আছে। কিন্তু আপনি কি করলেন? 😆😆😆😆অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভাল লাগলো খুব।
বিশ্বাস করুন দাদা ,এই মাঝরাতে আমি নিজেও হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ ।🤣🤣🤣🤣এমন একটা সিচুয়েশনে আপনি পড়ে গেলেন মা ছেলে দুজনেই অবাক হয়ে গেল ।আমি তো ভাবলাম কি না কি হয়েছে।ছেলেকে ছেড়ে অন্য একজনকে ধরে ফেললেন তাও আবার এক সুন্দরী🤔🤣 এই জিনিসটা যেন আমার চোখের সামনে ভাসছে আর আমি দেখেই হাসছি। সত্যি দাদা মজা পেলাম ।
তবে আমাদের প্রিয় তানজিরা আপু হঠাৎ এমন অসুস্থ হয়ে গিয়েছে শুনে খুবই খারাপ লাগছে। তবে এখন তিনি যেমনি থাকুক না কেন তার সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।
তানজিরা ম্যামের কথাটি প্রথমে কমিউনিটিতে শুনে বেশ খারাপ লেগেছিল, তবে সন্ধ্যা বেলায় যখন বার্তা পাঠালেন যে আর দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই তখন বেশ ভালো লেগেছিল। তবে দাদা এই ভাবে হঠাৎই অন্য কারো হাত ধরলে আসলেই ব্যাপারটা একটু ভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ।