Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪০
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪০
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৯
হ্যালো বন্ধুরা,
সুপ্রভাত । আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন ।
সেই কবে শুরু করেছি আমার "ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম" ভ্রমণের ধারাবাহিক এই সিরিজ ফোটোগ্রাফি পোস্ট । দেখতে দেখতে আজকে চল্লিশতম পর্বে চলে এসেছি ।আশা করছি পঞ্চাশতম পর্ব ক্রস করতে পারবো খুব শীঘ্রই । এটা কিন্তু আমার লম্বা সিরিজ নয় । এর আগে আমার ফার্স্ট স্টিমিট আইডি দিয়ে একটি সিরিজ পোস্ট রান করেছিলাম ২০০+ পর্ব অব্দি । জীবজগতের মজার, রহস্যময় ও অজানা তথ্য নিয়ে করা ছিল সিরিজটি । তবে সেটা ছিল ইংলিশ সিরিজ । কিন্তু, এই সিরিজটি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় । তাই এটাই আমার লংগেস্ট সিরিজ এখনো অব্দি ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে অষ্টম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট সাতটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. কাঠের তৈরী শৌখিন প্রাচীন ময়ূরের একটি প্রতিমূর্তি
২. একটি খুবই প্রাচীন কোনো এক ভারতীয় মন্দিরের ব্যবহৃত পুজোর থালা
৩. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি খুবই প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ
৪. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি
৫. একটি অসংখ্য কারুকার্যখচিত তামার তৈরী অতিকায় কেটলি
৬. সম্পুর্ন কাষ্ঠনির্মিত প্রাচীন আমলের অসাধারণ কারুকার্যখচিত ছুরি-চামচ-কাঁটা চামচ
৭. মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে করা একটি প্রাচীন সূচিশিল্প
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
এটি একটি কাঠের তৈরী শৌখিন প্রাচীন ময়ূরের একটি প্রতিমূর্তি । ময়ূরটি যতদূর বোঝা যায় ছিল কোনো প্রাচীন অভিজাত পরিবারের বাচ্চাদের খেলনা । ময়ূরটির সামনে ঠোঁট ও বুক পর্যন্ত কাঠের একটি দন্ড লাগানো, এটি ধরার সুবিধার্থে । আর ময়ূরটির পায়ের নিচে একটি কাঠের প্লাটফর্ম, এবং তার নিচে চাকা লাগানো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি খুবই প্রাচীন কোনো এক ভারতীয় মন্দিরের ব্যবহৃত পুজোর থালা । খুব সম্ভবত বৃন্দাবনের কোনো এক মন্দিরের পুজোর থালা এটি । থালাটির গায়ে রংবেরঙের ধাতু নির্মিত বেশ কিছু অলংকরণ ও শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের চিত্র , বৃন্দাবনের অন্যান্য গোপ বালকদের সাথে খেলার চিত্র ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি খুবই প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ । এই শৌখিন বস্তুটি পুরোটাই হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী করা । যুদ্ধরথে একজন রাজপুরুষ উপবেশন করে আছেন একটি দন্ডায়মান সিংহের প্রতিমূর্তির পাশে । রথের সারথি রাজপুরুষের কাছে কিছু জানতে চাইছে । রথের সামনে চারটি যুদ্ধের ঘোড়া রথটি টেনে নিয়ে চলেছে । অসাধারণ অলংকরণ রথের সর্বাঙ্গে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি । মূর্তিটির মাথার একটি সাইড ভেঙে গিয়েছে । তারপরেও অনিন্দ্যসুন্দর এই মূর্তিটির দিক থেকে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না মোটেও ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি তামার তৈরী অতিকায় কেটলি । খুবই প্রাচীন এটি । কেটলির গায়ে অসংখ্য ফুল-লতা পাতার নকশা মিনে করা আছে । বর্ষ কিছু মূর্তিও খোদাই করা আছে এর গায়ে । সব চাইতে ইন্টারেস্টিং হলো কেটলির ঢাকনা । ঢাকনার উপরে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার একটি খন্ডচিত্র । সব গুলি মূর্তিই নিরেট তামার তৈরী । জাস্ট অসাধারণ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পুর্ন কাষ্ঠনির্মিত প্রাচীন আমলের অসাধারণ কারুকার্যখচিত ছুরি-চামচ-কাঁটা চামচ । ইংরেজ আমলের এগুলি । ডিনার টেবিলে সাজানো থাকতো । এগুলো দিয়ে আদৌ খাওয়া হতো নাকি নিছক সাজানো থাকতো টেবিলে সে বিষয়ে সন্দেহ আছে । অসাধারণ কারুকার্য চামচ, ছুরি এবং কাঁটাচামচের গায়ে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি করা হয়েছে । খুবই প্রাচীন আমলের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সূচিশিল্প কর্মের মাধ্যমে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
এটা শুনে আমি রীতিমতো হতবাক। ২০০+ পর্ব এটা অনেক বড় একটি ব্যাপার। অনেক ধৈর্য লেগেছিল কাজটা করতে।
আপনার আজকের এপিসোডের শিল্পকর্ম গুলো এককথায় অসাধারণ ছিল। তবে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি শ্রী কৃষ্ণের বাল্যকালের ছবিটি থেকে নজর সড়াতে পারছিলাম না। অনেক ভালো লেগেছে ওইটা।
সত্যি যতই দেখছি ততোই মুগ্ধ হচ্ছি দাদা, আপনার ফটোগ্রাফি সিরিজের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানার এবং চমৎকার সকল নিদর্শন দেখার সুযোগ পেয়েছি। ধন্যবাদ
এই যুদ্ধ রথটির দেখে জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম আমি।হাতির দাঁত দিয়ে যে এতোকিছু বানানো যায় তা তো একেবারে ভাবাই যায়না!!বাপরে বাপ!কি হাতের কাজ।
ময়ূরটি দেখতে বেশ সুন্দর ছিলো দাদা। আর কাটা চামচগুলো আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আর শেষের ছবিটি দেখে আমিতো পুরোই অবাক হয়েগেলাম😯।
মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি পুরো অবাক করার মতো।
দাদা আপনার পোস্টের সিরিজ যত বড় হবে পড়তে তত আমাদের ভালো লাগবে। কারন প্রতিনিয়ত একটা চমক পাই আমরা। আজকেও বেশ উপভোগ করলাম। কাঠের তৈরি ময়ূর আর হাতির দাঁতের তৈরি জিনিসপত্র আমার চমৎকার লেগেছে ✨
ভালো থাকুন সবসময় এই দোয়া করছি।
সত্যি বলতে দাদা আপনার প্রতিটা সিরিজ এর মধ্যে অনেক জানার বিষয় রয়েছে মিউজিয়াম সিরিজ এর মধ্যে থেকে আমরা অনেক অজানা জিনিস গুলো সম্পর্কে জানতে পারছি। প্রতিটা চিত্র দারুন আর আমার চোখে এগুলো প্রথম দেখলাম।ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে চাইনা।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা😍😊
অবাক হলাম দাদা শুনে। তবে আশা করি এটি খুব শীঘ্রই ৫০+ হয়ে যাবে। যায়হোক আজকের পর্বটিও অনেক ইন্টারেস্টিং ছিল। তামার তৈরি কেটলিটি আসলেই দাদা অনেক সুন্দর। তবে এর ঢাকনা আরও বেশি সুন্দর। আজকের পর্বটিও উপভোগ করেছি সেই সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম।
দাদা আজকের পর্বের সকল বস্তুই খুবই অসাধারন ছিল। তবে আমার সবথেকে অসাধারন লেগেছে হাঁতির দাঁতের তৈরী যুদ্ধরথটি।বিশেষ করে যুদ্ধরথটির ডিজাইন আমাকে অবাক করেছে।
দাদা আপনি ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ভেতরের ফটোগ্রাফি গুলো সিরিজ আকারে আমাদের মাঝে প্রকাশ করছেন বলেই আমরা এগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আসলে হয়তোবা কোনদিন ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হবে না। তবে আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারছি এবং কারুকার্য ভরা বিভিন্ন ভাস্কর্যগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি যুদ্ধরত খুবই সুন্দর দেখতে। সত্যি দাদা এতটা কারুকার্য ভরা এই ভাস্কর্যগুলো খুবই মনমুগ্ধকর। দারুন সব ফটোগ্রাফি সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
প্রথমে দাদার সুস্থোতা কামনা করি যে এত ব্যস্তোতার মধ্যেও এতো দামি দামি ফটোগ্রাফি দিয়ে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেন Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪০ এর প্রতিটি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল মনোমুগ্ধ কর ছিল ।
তবে এই গুলো ফটোগ্রাফি গুলো বেশি মনে ধরেছে ।ধন্যবাদ ও দোয়া রইলো দাদা ।