আলোকচিত্র : শান্তিনিকেতনে কিছুদিন -০১
গত মাসের মাঝামাঝি পয়লা বৈশাখের এক দিন আগে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম । কয়েকটি দিন বোলপুরে গ্রীষ্মের প্রখর সূর্যালোকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটিয়ে ফিরলুম । তাপমাত্রা বিশাল ছিল । দিনের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রী থেকে ৪৬ ডিগ্রীর আশে পাশেই থাকতো । তা সত্ত্বেও দারুণভাবে উপভোগ করেছিলুম শান্তিনিকেতনের শান্তিময় প্রকৃতির কোল । আমি, বাবা, মা, ভাই, স্ত্রী-পুত্র এবং ড্রাইভার । ব্যাস মাত্র এই ক'জনই ছিলুম আমরা ।
সকাল ৮ টার দিকে কলকাতা থেকে রওনা হলুম । ড্রাইভার পথ ভুল করার জন্য বেশ কিছুটা দেরি করে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পৌছালাম শান্তিনিকেতন । পৌঁছেই অমনি হোটেলের রুমে ব্যাগ লাগেজ টাগেজ রেখে ক্ষুন্নিবৃত্তির উদ্দেশ্যে রিসেপশন এ নেমে এলুম । ততক্ষনে হোটেলে লাঞ্চ টাইম ওভার । যাই হোক, স্পেশাল অর্ডার দিয়ে খাওয়ার টেবিলে বসে পড়লাম ।
ক্রমে ক্রমে এক ঘন্টা গেলো । দেড় ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও খাবার না আসতে বাবার মেজাজ বিশাল গরম হয়ে গেলো । ওয়েটার কে ডেকে বিশাল এক ধমক । বেচারা কাঁচুমাচু মুখ করে ম্যানেজার-কে ডেকে আনলো । ম্যানেজার এসে জানালো যেহেতু লাঞ্চ টাইম ওভার, তাই নতুন করে সব ডিশ প্রিপারেশন চলছে । তাও বাবার মেজাজ আর ঠান্ডা হয় না ।
এবার শুরু করলো টিনটিন । ওর আরেকটা ডাক নাম গোলটু । তো গোলটুবাবু খিদের চোটে চ্যাঁচামেচি লাগিয়ে দিলো । সাথে তার দাদু । ম্যানেজার থেকে হোটেল এর সব কর্মচারী সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো । যাই হোক, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খাবার এসে গেলো আধা ঘন্টার মধ্যে ।
এবার মা শুরু করলো । আসলে দোষ আমারই ছিল । আমরা মানুষ ছিলুম গোলটু বাদে ৬ জন । আর আমি খাবার অর্ডার করেছিলাম ষোলো জনের মতো । যাই হোক ফেলে ছড়িয়ে খেয়ে যার যার রুমে ঢুকে এসি অন করে ঘুম ।
এক ঘন্টা পরে আবিষ্কার করলুম আমাদের রুমে এসি কাজ করছে না । মা-বাবা, ভাই আর ড্রাইভার এর রুমে এসি ঠিকঠাকই চলছে । শুধু আমাদের রুম বাদে । কেমনটা লাগে । আমার আর আমার ছেলের এসি না চললে ঘুম আসে না । রিসেপশন এ কল করে রুম সার্ভিস চাইলাম ।
ওরা এসির মিস্ত্রিকে কল দিলো । এরপরে শুরু হলো প্রতীক্ষা । অন্তহীন । মিস্ত্রি আর আসে না । আমি ফোনের পর ফোন করতে লাগলাম রুম সার্ভিসে । তারা শুধু আমাকে বলে মিস্ত্রি এখনো আসেনি । দুই ঘন্টার মধ্যেও মিস্ত্রি না আসাতে এবার ম্যানেজার এর নাম্বার চাইলাম । ম্যানেজার কে আমি মাত্র একটি ঘন্টা সময় দিলাম । হয় এসি ঠিক করো না হয় রুম চেঞ্জ করে দাও, না হলে পুলিশকে কল করবো ।
এবার কাজ হলো । এসি ঠিক হলো । সন্ধ্যায় বেরুলাম শান্তিনিকেতনের প্রার্থনা সভার উদ্দেশ্যে ।
পয়লা বৈশাখের পাঞ্জাবি পরিহিত ফ্যান্টম
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গোলটুবাবু আর তার মা শান্তিনিকেতনে ঘোরাঘুরি
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৮ টা ০০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শান্তিনিকেতনের ক্যাম্পাসের ভিতর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হসপিটাল
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শান্তিনিকেতনের ক্যাম্পাসের ভিতর ঘুরে ঘুরে সব দেখে টিনটিনবাবু অবাক খুব
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৮ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
স্মৃতিবিজড়িত এই সেই বটবৃক্ষ যেটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বালক বয়সে নিজ হাতে রোপন করেছিলেন । বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এর তলায় বসে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন, নন্দলাল বসু, সত্যজিৎ রায়, ইন্দিরা গান্ধী , রামকিঙ্কর বেইজ এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এর তলায় দু'দন্ড শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৮ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মাতা পুত্রের ঘোরাঘুরির বিরাম নেই, চলছেই ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিক স্থাপত্য কলার জনক রামকিঙ্কর বেইজের কিছু অসাধারণ আর্ট ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শান্তিনিকেতনের খুব কাছেই রয়েছে সাঁওতালি গ্রাম পলাশবুনি । ডাব খাওয়া হলো অনেকগুলো সেখানে । আমি একাই ৪টে সাবড়ে দিলুম ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ০০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
Hi @rme
can you add me on Discord, friend request has been sent
প্রিয় দাদা শান্তিনিকেতনের ঘুরাঘুরির অনুভূতি এবং চমৎকার চমৎকার আলোকচিত্র দেখে আমি অভিভূত হলাম।সেইসাথে টিনটিন বাবুর আরেকটি গোপন নামো জেনে গেলাম। গোল টু বাবু।খুব মজা পেয়েছিলাম লাঞ্চ টাইমে যখন গোলটু বাবু এবং ওর দাদু ভাই অনেক রেগে গিয়েছিল।আর একটু অবাক হলাম সবার রুমে এসে ঠিকঠাক চলছে শুধুমাত্র আপনার রুমের এসি ঠিক চলছিলনা। সব মিলিয়ে আমার কাছে দারুণ লেগেছে।স্বপরিবারের জন্য রইল অসীম ভালবাসা ও সীমাহীন দোয়া।♥♥
মানুষ ছিলেন ৬ জন খাবার অর্ডার করেছেন ১৬ জন এর, দাদা এতো খাবার কি খেয়ে শেষ করতে পেরেছিলেন নাকি বেঁচে গিয়েছিল?
আর হোটেলের এসির সমস্যার কারণে দেখি ভালোই হয়রানি পোহাতে হয়েছিল দাদা।
হোটেলের সমস্যাগুলোর কথা ভুলে ছবিগুলোর দিকে তাকালে মনে হচ্ছে দাদা ভালই সময় কাটিয়েছেন, যদিও গরম ছিল প্রচুর। তবে ৪টে ডাব একাই সাবড়ে দেয়ার পর মনে হয় না খুব একটা গরম অনুভব হয়েছলো।
যাইহোক খুবই ভালো লাগলো দাদা আপনাদের শান্তিনিকেতনের মুহূর্ত গুলো ছবির মাধ্যমে দেখে। ধন্যবাদ।
দাদা প্রথমেই বলবো আপনার আর টিনটিনের পাঞ্জাবি আমার খুব খুব খুব পছন্দ হয়েছে 🥰🥰। বউদির সব গুলো সিরিজ পড়েছিলাম শান্তি নিকেতন নিয়ে। তবে আজ ভেতরের খবর গুলো জানলাম। আমাদের দাদা গেছে যেখানে আর ওরা সার্ভিস দেবে না ঠিক করে তাই কি হয় নাকি 😊😊। বট গাছ টা সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
😱😱কি বলেন দাদা!!!! আমিতো অবাক!!যাইহোক খাবার যেহেতু বেশি ছিল আমি হলে হতো 😋।
দাদা বৌদি এবং গল্টে বাবুকে বেশ সুন্দর লাগছিল। টিনটিনের পাঞ্জাবির কালার টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপনারা পরিবারের 6 জন মিলে খুব সুন্দর এবং আনন্দের একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। শান্তিনিকেতন বেশ সুন্দর ছিল দু একটা ফটোগ্রাফি যা শেয়ার করেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শান্তিনিকেতন মনে হচ্ছে শান্তি শান্তি একটা জায়গা ☺️। হসপিটাল টা দেখে মনে হচ্ছিল খুবই নিরিবিলি একটি জায়গা যেখানে সচরাচর মানুষের ভিড় থাকে সেখানে এটি খুবই ফাঁকা ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল দাদা।
প্রিয় দাদা, আপনার শান্তিনিকেতনে আলোকচিত্র আমার খুবই চমৎকার লেগেছে, এর সাথে টিনটিন বাবুর নতুন নামটি শুনে খুবই ভালো লাগলো, এছাড়াও যখন গোলটু বাবু এবং দাদু ভাই এক সাথে ম্যানেজার ধরলো, সেই সময় আমার খুব হাসি পাচ্ছিলো, আবার রুমে ডুলে আপনার রুমে এসি চলে না, ম্যানেজার ও খুব বিপদে পরছিলো, যখন পুলিশের কথা বলেছেন, আর শান্তিনিকেতনের ছবি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে, সব থেকে বৌদির ডাব খাওয়ার ছবিটি জোস ছিলো, প্রিয় দাদা পরের পর্ব গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম, এবং আপনাদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো দাদা।
এই হোটেল এ দেখি ঝামেলা আর ঝামেলা। দাদা কি ভুলে অত মানুষের খাবার অর্ডার করে ফেলেছিলেন নাকি। আমি থাকলে ভালোই হতো। আমি আবার অনেক খেতে পারি। আর পাঞ্জাবিতে আপনাকে যা লাগছেনা গুরু। টিনটিন বাবুকে সেই কিউট লাগছে। আর দাদা সাবড়ের বিষয় টা বুঝলাম না। এটা কি ডাব কেই বুঝালেন?
এই লাইনটা পরে হাসি পেয়ে গেল। ঘুরে ঘুরে আপনার রুমের এসিই খারাপ হল। যার এসি ছাড়া এক সেকেন্ডও চলে না। যাক অবশেষে পুলিশের ভয় দেখিয়ে এসি ঠিক করিয়ে নিলেন। সোজা আঙুলে ঘি উঠে না তার প্রমান।
শান্তি নিকেতনে যাওয়ার আমার খুব ইচ্ছা আছে। জানি না পূরণ হবে কিনা। বটবৃক্ষটি দেখে ভালো লাগলো। তাছাড়া বৌদি এবং টিনটিন খুব মজা করেছে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো একটি ট্রিপ ছিল আপনাদের।
(গল্পের পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে ঢুকে এই পোস্ট দেখে কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। পরে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ও ছবিগুলো দেখে হতাশা দূর হয়ে গিয়েছে । )
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। প্রথমত দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গিয়েছে তারপর আমি খাবার দিতে এতো দেরি। টিনটিনের এই গোলটু নামটা তো জানতাম না। বেশ মিষ্টি নাম টা। একেই বুঝি বলে ঠ্যালার নাম বাবাজি। সবার ঘরের এসি চলছে অফ শুধু আপনাদের টা। দুপুরের ঘুমটাই নষ্ট।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজে হাতে লাগানো বটবৃক্ষ সত্যি ঐতিহাসিক। এবং অন্যান্য ছবি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল।
বাহ, অনেক সুন্দর ভাবে শান্তিনিকেতনে ঘুরাঘুরির প্রতিটা মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। সাথে টিনটিনের নতুন নাম ও জানতে পারলাম, বেশ আনন্দ পেলাম পড়ে। আর দাদা আপনার মেজাজ কতটা খারাপ তা কিন্তু আজকে অল্প হলেও বুঝতে পেরেছি। আসলে পেট খালি থাকলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। এটা সত্যি।
প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।
@tipu curate 8
Upvoted 👌 (Mana: 0/10) Get profit votes with @tipU :)
দাদা যাত্রাপথেই আপনার কিছুটা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে যার কারণে হোটেলে গিয়েও দুপুরের লাঞ্চটা সময়মতো করা হলো না। যাও আবার স্পেশাল অর্ডার দিয়েছেন সেটাও খুব দেরি করে আসলো অনেক ঝুটঝামেলা পোয়ানোর পর। এরপরে নষ্ট হলো আপনার রুমের এসি। কি যে দুর্ভাগ্য আপনার। যাক পরিশেষে শান্তিনিকেতনে গিয়ে ঘোরাঘুরি করে বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সেই সাথে আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দাদা অসাধারণ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাল্য কালে হাতে লাগানো সেই ঐতিহাসিক বটগাছটি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম খুব ভালো লাগলো। আর ডাব মাত্র চারটা খেয়েছেন আমি হলে তো ছয় সাতটা সাবাড় করে দিতাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শান্তিনিকেতনের দারুন সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দাদা। খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে এসি নষ্ট হওয়ার কথা শুনে ভালো লাগলো ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো আসলে পরে মনে পড়লে ভালো লাগে। আর একটা বিষয় আমি কিছুতেই বুঝতে পারলাম না আপনারা মানুষ মাত্র ছয় জন কিন্তু খাবার অর্ডার করেছিলেন ১৬ জনের ডাবল ডাবল খাওয়ার ইচ্ছা ছিল মনে হয়। আপনি একাই চারটি ডাব খেয়ে ফেলেছেন শুনেতো অবাক হয়ে গিয়েছি চারটি দাবি কি একবারে খাওয়া যায়। ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে গোলটু বাবু খুব ইনজয় করেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বালক বয়সে যে বটবৃক্ষ লাগিয়েছেন সে বৃক্ষটি দেখে ভালো লাগলো জানিনা কোনদিন যেতে পারবো কিনা তবে ইচ্ছা জেগেছে আপনার ছবি ও গল্প শুনে।
সত্যি বলতে কি ভাই, যদিও ছবিগুলো কমবেশি বৌদির পোস্টে ও ডিসকর্ডের মাধ্যমে কিছুটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, তবে এর পিছনে শান্তিনিকেতনে গিয়ে যে হোটেলে এতটা পরিমাণ কষ্ট ও বিরম্বনার শিকার হতে ছিল, এটা কিন্তু মোটেও জানতাম না ভাই । যদিও বৌদির সিরিজগুলো আমি পড়েছিলাম, তবে সেখানে এত কষ্টের কথাগুলো তিনি লেখেন নি । যাইহোক সর্বোপরি বিষয়টি জেনে একটু খারাপ লাগল এবং এত কষ্টের মাঝেও আপনারা যে শান্তিনিকেতনের পরিবেশে ঘুরে বেরিয়েছেন এবং খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন এটাই তো অনেক কিছু । ছবিতে বেশ ভালই লাগছিল সবাইকে ।
শুভেচ্ছা রইল ভাই ।
ওরে বাপরে, দিনের তাপমাত্রা ছিল 44 থেকে 46 ডিগ্রী সেলসিয়াস তার উপরে দাদার রুমের এসি খারাপ ছিল এই সময় ঠিক থাকাটাই মুশকিল। আমাদের সোনা টিনটিন বাবুর আরো একটি নাম গোলটুবাবু এটা জানতাম না জেনে খুবই আনন্দিত আমি দাদা। শান্তিনিকেতনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা বিশেষ করে ডাব খাওয়ার মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক চমৎকার লেগেছে বিশেষ করে।
এই কথাটি শুনে অনেক মজা পেয়েছি।☺️ আপনার জন্য দোয়া করি দাদা আপনার সময় গুলো যেন এভাবেই সুন্দরভাবে কাটুক সবশেষে আপনার প্রতি রইল বিশেষ শ্রদ্ধা। ❤️🙏
ডাব হাতে নিয়ে তোলা ফ্রেস মুড এর ছবি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
আগে থেকেই জানতাম যে আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ওইখানে গিয়ে। তবে প্রথমের অনুভুতিটা সত্যিই অস্বস্তিকর ছিল। বেটা টেকা নিবি,, সার্ভিস দিবি না... তা কি হয়??? 😆
ছয় জন মানুষের জন্য ষোলো জনের খাবার অর্ডার করেছিলেন😱 ওরে বাবা! সব খাবার কি সাবাড় করে দিয়েছিলেন নাকি দাদা। আর ঘুরেফিরে আপনার রুমের এসি টাই খারাপ হওয়া লাগে। কি একটা অবস্থা। যাক পরে পুলিশের ভয় দেখিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পেরেছেন। আসলেই এদেরকে ভয় না দেখালে এরা ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে চায়না।
আপনার শান্তিনিকেতন এর ঘোরাফেরার কিছু ছবি আগেই দেখে নিয়েছিলাম ডিস্কোর্ড ও বৌদির পোষ্টের মাধ্যমে। পরিবার নিয়ে খুব ভালোই মজা করেছিলেন। শান্তিনিকেতন এর ছবিগুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
৪২ -৪৫ তাম মাত্রা কিভাবে ছিলেন ইশ্বর জানেন আমাদের রখানে ৩৮ হলেই আমরা নিজের মধ্যে আর থাকতে পারিনা।টিনটিন বাবুর নতুন নাম টা জানতে পারলাম বাহহ গল্টু বাবু।
সবাইকে বেশ দারুন লাগছে আর আপনাকে দাদা পাঞ্জাবিতে খুবই সুন্দর লাগছে এলো মেলো চুল উরছে বাহহ 🥰🥰🥰
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা,এই ভুলটা কিভাবে হলো বুঝলাম না ১৬ জনের খাবারের অর্ডার করেছেন কিভাবে 😰 যাইহোক দাদা, খাবারের অর্ডার করার পরে যদি অপেক্ষা করতে হয় এটা যে কত বিরক্ত কর সেটা খুব ভাল করে জানি আমি।টিনটিন বাবু চেঁচামেচি করবে না কেন ওর নিশ্চয়ই অনেক খিদে পেয়েছিল সাথে বাবুর দাদা ভাই।খাওয়াদাওয়া শেষ করে আবার বিড়ম্বনার শিকার হতে হল এসি নিয়ে😔 যাই হোক দাদা, শান্তিনিকেতনে আপনি এবং আপনার পরিবার নিয়ে ভালোই উপভোগ করেছেন আপনার পোষ্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছি। দাদা,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে লাগানো গাছটি দেখে খুব ভাল লেগেছে আপনার এই পোস্টটি মাধ্যমে বৃক্ষটি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ দাদা, সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
গোলটু বাবু নামটা বেশ কিউট। যাই হোক আহারে দাদা সবার রুমের এসি ঠিক,আপনারটাই সম্যাসা হতে হলো।যাই হোক যা ঘটে ভালোর জন্যই ঘটে।ভালো ছিলো আপনাদের শান্তিনিকেতনের যাএাটা।ধন্যবাদ
আসলেই দাদা ঠেলার নাম বাবাজি আপনার এক ধমকে এক ঘণ্টার মধ্যে এসি ঠিক আর গোলটু বাবুর এক ধমকে আধা ঘন্টার মধ্যে খাবার টেবিলে হাজির। আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এরকম হয়ে গেছে সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠে না। রুম সার্ভিসের আগেই দেখে নেওয়া উচিত ছিল এসি ঠিক আছে কিনা। ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে এসি ছাড়া কি থাকা সম্ভব। তারপরও আপনি অনেকটা সময় ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করেছেন এটাই বা কম কিসের। যাই হোক দাদা শান্তিনিকেতনে সুন্দর পরিবেশে পরিবার নিয়ে অনেক আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। শান্তিনিকেতনের চারপাশের পরিবেশ দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর পরিবেশে পরিবার নিয়ে কিছুটা সময় একান্তে কাটিয়ে আসতে কার না ভালো লাগে। গোলটু বাবুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বহু দিনের স্বপ্ন শান্তি নিকেতনে যাবো, খুব কাছ হতে পুরো পরিবেশটা উপভোগ করবো। একটা বিষয় চোখে পড়েছে সেটা হলো আপনি বোধহয় ডাব খাওয়ার সময় ষ্ট্র ব্যবহার করেন নাই, এটা কিন্তু আমিও করার চেষ্টা করি। ওরে বাবা চার চারটা ডাব একটাই খাইছেন, বাবাগো কত বড় ভুড়ি আপনার, হা হা হা।
দাদা তাপমাত্রার কথা শুনেই তো ভয় লাগছে । ৪৬ ডিগ্রী সেতো মরুভূমির তাপমাত্রা । এর ভেতরে যে ঘুরতে যাওয়ার সাহস করেছেন এটাই তো বিরাট ব্যাপার । টিনটিন কে দেখে অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না যে সেখানে এত গরম ছিল । ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনারা বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
তনুজা আপুর পোস্ট থেকে আমি অনেক কিছুই অবগত আছি। ড্রাইভারের ভুলের জন্য গন্তব্যে পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েছে। গোলটুর রাগ ওর দাদা মতো তার দাদার আরেকটি ভার্সন। আর গোলটু বাবুকে দেখতে খুবই মিষ্টি লেগেছে। টিনটিনের এই নামটাও বেশ সুন্দর। তনুজা আপুকেও বেশ সুন্দর লাগছে। শান্তিনিকেতনের আরো কিছু ঘটনা ও আলোকচিত্রের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা আপনার শান্তি নিকেতনের ঘুরাঘুরির বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো ।দারুন সময় উপভোগ করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুরুতে যদিও খাবার ও এসি নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন তারপরেও সব ঠিকঠাক ছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
Congratulations!
Your post has beem manually rewarded by the Seven Team.
Delegate Steem Power and receive more support!
| 100SP | 500SP | 1000SP | 2000SP | 5000SP |
We are the hope!
দাদা আমাদের একটু ডাক দিতেন খেতে সাহায্য করতাম আপনাদের😁।
আসলেই দাদা সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল একটু বাকাতে হয়😎।
আর টিনটিন বাবুর নাম টা জোস হয়েছে😍।আমাদের গলটু বাবু😍।
একের পর এক ঝামেলা লেগেই ছিল তাহলে দাদা। প্রথমে খাবার নেই তার পরে আবার রুমে এসি নষ্ট! গোলটুবাবু🥰 বাহ সুন্দর নাম তো দাদা। টিনটিন বাবু থেকে এখন গোলটু। দেখতে কিন্তু গোলটু বাবুই 🥰😍। ফাইনালি রবীন্দ্রনাথ এর বটবৃক্ষটা দেখতে পেয়েছেন। এখানে বসেই শান্তি খুঁজে পেতেন। আপনার মাধ্যমে অনেল কিছু দেখা হয়ে গেল
৭ জন মানুষ ১৬ জন মানুষের খাবার অর্ডার দিলে ওয়েটার ম্যানেজার আর কতক্ষণ ভালো থাকবে। এমন অসম অর্ডার পেয়ে তাদের মাথায় কি করে কাজ করতে পারে।
তার উপর গোলটু বাবুর ক্ষুধাটা একটু বেশিই ছিল। যার কারণে এমন পরিবেশ সহজে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।
গোলটু বাবু চেঁচামেচি করে সবাইকে ব্যস্ত রেখে ছিল ।যার জন্য সময়টাও সহজে কেটে গেছে।
সেদিন আপনাদের যাত্রাটা শুভ ছিল। এই শুভ টুকুকে সারাজীবন লালন করুন এই কামনা।
দাদা ,কয়েক মাস আগে আমিও শান্তিনিকেতন দুইদিন ঘুরাঘুরির জন্য গেছিলাম। শান্তিনিকেতনের কয়েক জায়গা আমরা মোটামুটি ঘুরে দেখতে পেয়েছিলাম। কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমরা জয়েন করেছিলাম কিন্তু শান্তিনিকেতনের মূল জায়গা গুলো বন্ধ থাকার জন্য আমাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি I তুমি আজ যে বট বৃক্ষের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলে আমি এই বটবৃক্ষ দূর থেকেই দেখেছিলাম I রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজ হাতে লাগানো বটবৃক্ষ টি খুব কাছ থেকে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভিতরে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় দূর থেকে দেখতে হয়েছিল I যাইহোক তোমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল I আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মিলে গেছিলাম অনেক মজা করেছিলাম I আরো একদিন যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে শান্তিনিকেতনে I যেসব জায়গা সেই দুই দিনের ট্যুরে ঘুরে দেখতে পারেনি সেই জায়গাগুলো ভালো করে ঘুরে দেখার খুব ইচ্ছা রয়েছে I

Nice
এত গরম আবহাওয়ার মধ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মনে হচ্ছে আপনি শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন। যদিও এই ঘটনাগুলো বৌদির সুবাদে বেশিরভাগ জানা হয়ে গেছে। তবে টিনটিন বাবুর আরেক নাম যে গুলটু এটা জানা ছিল না। সত্যি বলতে কি বাঙালি শক্তের ভক্ত নরমের যম। পুলিশের ভয় দেখাতেই কেমন কাজ হয়ে গেল হাহাহা।
টিনটিন হল ফ্যান্টম এর কার্বন কপি। আজকের ছবিগুলোতে একটু বেশিই কিউট লাগছে টিনটিনকে। পাঞ্জাবীতে ফ্যান্টম দাদাকে ভালই লাগছে।
শান্তিনিকেতনে যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেলে।
বাহ আমাদের দাদা একাই চার ডাব সাবাড় করে দিয়েছেন!!
দাদা শান্তিনিকেতনে ঘোরাঘুরি মুহুর্তটি বেশ সুন্দর করে কাটিয়েছেন মনে হয়।তাছাড়াও আপনার পোস্টটি পড়ে বোঝা গেলে আপনি অনেক কষ্ট করছিলেন খাবার খাওয়া পর আর ঘরে এসি ভালো না থাকা পযর্ন্ত।তবে সত্যি দাদা ,আপনাকে আজকে অসাধারণ লাগছে।তাছাড়াও টিনটিন বাবু ,বৌদি কে খুব সুন্দর লাগছে।সব মিলে দাদা অনেক দারুণ করে শান্তিনিকেতনে ঘোরাঘুরি ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরছেন।ধন্যবাদ
ষোলজনের খাবার কে অর্ডার করে এতো কম মানুষের!দরকার ছিলো সব আপনাকে খাওয়ানো দাদা তাহলে এই কাজ আর করতেন না।হিহিহি,জায়গাটা সত্যিই দারুণ।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ভীষণ বাজে আবহাওয়া ছিলো। দু সপ্তাহ জুড়ে অসহ্য গরম ছিলো। তোমাদের ছুটিটাও মাঝ পথে শেষ হয়ে গেলো।
৬ জনের জন্য ১৬ জনের খাবারের অর্ডার। হাঃ হাঃ। ঘুরতে গেলে এইসব মজা না হলে হয়।
প্রথমেই একটা কথা বলে ফেলি, খুব ভালো লাগছে এই রঙের পাঞ্জাবিতে,একদম জারুল ফুলের মত লাগছে। ❤️❤️❤️
আমার যে কতদিনের সখ দাদা এই শান্তিনিকেতনে যাওয়ার!!! ছবি গুলো দেখে লোভ লাগছে।
এই গরমে ডাব খুব উপকারি , আমি অনেক দিন খাইনি । সবই এখন অতীত।যাওয়ার সাথে সাথে খাবার আর এসি নিয়ে যে এত সমস্যা হয়েছে ! ভেবেই আমারও মাথা গরম হচ্ছে, এই গরমে এই এত জ্বালাতন কে সহ্য করতে পারে।