মিনিয়েচার মডেল "সপ্তমাশ্চর্য ভ্রমণ", ইকো পার্কে : চতুর্থ আশ্চর্য "ইস্টার আইল্যান্ডের মোয়াই"
ইস্টার আইল্যান্ড । খুবই রহস্যময় একটি দ্বীপ । এটি বর্তমানে ল্যাটিন আমেরিকার চিলির অন্তর্গত । প্যাসিফিক ওশেন-এ দক্ষিণ পলিনেয়েশীয় একটি দ্বীপ "রাপা নুই" । এই "রাপা নুই" এর আরেকটি নাম হলো "ইস্টার আইল্যান্ড" । এই দ্বীপটি খুবই রহস্যময় বলা হয় এ কারণে যে কবে থেকে এই দ্বীপে মনুষ্য বসতি শুরু হয়েছে তার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি । দ্বীপটির সব চাইতে কাছের মনুষ্য বসবাসযোগ্য দ্বীপের নাম হলো "মারকুসেস" দ্বীপ যা প্রায় ৩৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । এত দূর থেকে এত প্রাচীন যুগে মানুষ কিভাবে এসে ইস্টার আইল্যান্ডে বসতি স্থাপন করলো সেটি একটি বিরাট রহস্য ।
এরপরে আসা যাক দ্বীপটির সব চাইতে রহস্যময় বস্তুতে । "মোয়াই" । "মোয়াই" আসলে কী ? "মোয়াই" হলো সারা ইস্টার দ্বীপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশালাকৃতির অনেকগুলি আগ্নেয়শিলায় খোদাই করা পাথরের আবক্ষ মূর্তি । সারা দ্বীপে প্রায় ৯০০ টি মোয়াই রয়েছে ।মূর্তিগুলির মুখের গঠন হুবহু পলিনেশীয় জনজাতি "রাপা নুই" এর মুখাকৃতির । বস্তুত এই "রাপা নুই" হলো একটি পলিনেশীয় জনগোষ্ঠীর নাম । এই গোষ্ঠীর নামানুসারেই এই দ্বীপের নাম ।
বিশালাকৃতির এক একটির মূর্তির গড় ওজন প্রায় ১২ টন এবং উচ্চতায় ১৩ ফুট । প্রত্যেকটি মোয়াই মাটিতে আবক্ষ প্রোথিত অবস্থায় রয়েছে । কয়েকটি মোয়াই খনন করে আরো অনেক লম্বা মূর্তি পাওয়া গিয়েছে । আগে ধারণা করা হতো মোয়াইগুলি সব আবক্ষ মূর্তি । সেই রহস্য ভেদ করেছে একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ । কয়েকটি মোয়াইয়ের আশেপাশের মাটি খুঁড়ে তাঁরা দেখিয়েছেন যে মোয়াইগুলি আসলে আবক্ষ নয় । একটি সম্পূর্ণ মোয়াইয়ের আসল উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট এবং ওজন গড়ে ১৫০ টন । কারা, কি ভাবে ওই বিশালাকৃতির মূর্তি গুলো গড়লো ? কোনো তথ্য নেই আধুনিক পৃথিবীর কাছে । মিশরের পিরামিডের ন্যায় এটিও একেবারে রহস্যাবৃত ।
আধুনিক টেকনোলজিতে এই বিশাল আগ্নেয়শিলা খোদাই করে এমন এক একটি মূর্তি গড়তে বেশ কয়েকবছর লেগে যাবে । সেখানে ৯০০ টি মূর্তি গড়া মুখের কথা নয় । তাও সেই সুপ্রাচীন যুগে যখন মানুষের হাতে পাথর কাটা বা খোদাই করার কোনো কার্যকরী উপায় এবং সরঞ্জাম কিছুই ছিল না । তবে ?
এটাই আসল রহস্য । যেটা এখনো ভেদ করা সম্ভব হয়নি ।
আমাদের কলকাতার ইকোপার্কে বেশ কয়েকটি রেপ্লিকা আছে এই মোয়াই-এর, তা প্রায় ৪০টির মতো । তবে রেপ্লিকাগুলি আসল মোয়াই-এর তুলনায় ক্ষুদ্র । তো চলুন দেখে নেয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন -
দূর থেকে সারিবদ্ধ মোয়াইগুলি দেখতে সত্যি দারুন লাগে ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কাছ থেকে মূর্তিগুলোর ছবি তোলা । মোয়াইগুলির মুখের আদল এর সাথে পলিনেশীয় জনজাতির মুখের আদলের হুবহু মিল লক্ষ করা যায় ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আসল মোয়াইগুলি আগ্নেয় চুনাপাথর খোদাই করে তৈরী করা হয়েছিল । চোখ, নাক, মুখ, ঠোঁট, কান , গলা, মাথা এবং হাত এগুলি খুব সহজেই বোঝা যায়, এমন সুন্দর করে খোদাই করা ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মোয়াইগুলির ফ্রন্ট ভিউ । কোনো কোনো মোয়াই-এর মাথায় মুকুট জাতীয় জিনিস দেখা যায় । এর অর্থ এই মোয়াইটি কোনো এক রাপা নুইয়ের সর্দারের মোয়াই ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মোয়াইয়ের সাথে ছবি ওঠা - তনুজা ও টিনটিন ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মোয়াই । চির-রহস্যাবৃত মোয়াই । কোনোদিন কি এর রহস্য ভেদ হবে ?
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
আসলেই দূর থেকে সারিবদ্ধ মোয়াইগুলি অসাধারণ লাগছে এবং জায়গাটি বেশ নিরিবিলি। আসলে চুনা পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে মানে ভীষন কষ্ট করে গুলো তৈরি করা হয়েছে। বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।বেশি ভালো লাগলো
এই দ্বীপে মানুষের বসতি এবং মূর্তি গুলো সত্যিই খুব রহস্যজনক যা আপনার শেয়ার করা বর্ণনা থেকে বুঝতে পারলাম। আগে কেবলমাত্র সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে এটি লিস্টে দেখতাম কিন্তু এর বিশেষত্ব ও কারণটা আজকে বিস্তারিত জানা হয়ে গেল। তখনকার সময়ে মানুষ সামান্য প্রযুক্তি দিয়ে এমন এমন কাজ করত যা দেখে মাঝে মাঝে সত্যিই খুব অবাক হতে হয়। মিনিয়েচার মডেল দেখেই এগুলো একপ্রকার অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে আর বাস্তব দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে আসলে।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
যেখানে মানুষের বসতি নেই, সেখানে এত সুউচ্চ মূর্তিগুলো কে বা কারা বানালো এবং এর পিছনের ইতিহাস তেমন তো কিছুই বুঝতে পারলাম না । শুধু জানলাম এটি কিভাবে ওখানে এসেছে এবং আছে । কিন্তু কারা বানিয়েছে বা কিভাবে বানিয়েছে এটা কিন্তু এখনো ধোঁয়াশাই থেকে গেল । তবে মূর্তিগুলো কিন্তু দেখতে বেশ ভালোই সুন্দর এবং আমার মনেহয় এটা কোন একটা ঐতিহ্য বহন করছে ।
মোয়াই নিয়ে আমি অনেক কন্সপিরেসি থিয়োরি পড়েছি। অনেকে অনেক কিছুই বলেছে তবে আমার সবচেয়ে মজা লাগে, এলিয়েন থিয়োরি পড়ে। মূর্তি গুলো নাকি এলিয়েনরা বানিয়ে যায়। হাঃ হাঃ।
ইন্টারনেট জগতে এই মূর্তিগুলো সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি জেনেছি, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আরও নতুন কিছু তথ্য পেলাম, বরাবরই আপনার পোস্টগুলো শিক্ষণীয় হয়ে থাকে আমরা খুবই উপভোগ করি।
দাদা বিভিন্ন দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য কে ধারণ করে কলকাতায় যে রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছে তার প্রশংসা করা আমার মতো নগন্য মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আপনাদের এই পার্ক বিশ্ব ইতিহাসে প্রতিচ্ছবি । কি নেই বিশ্ব ইতিহাসের। আপনি একে একে আমাদের সামনে কিছু তুলে ধরেছেন। আজ আপনার মাধ্যমে দারুন একটি ইতিহাস জানলাম যেটি হয়তো এক জীবনে জানতে পারতাম না।যা আপনার মাধ্যমে সম্ভব হলো। ভাস্কার্য গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। কত হাজার বছর আগেই ইতিহাস এগুলো বিজ্ঞানীরা এখনো বের করতে পারেনি যা আসলে অনেক টায় হতাশার। তবে একদ্বিপের রহস্য বের হবে। সেদিন আমরা জানতে পারব। ইকো পার্কে এতো ভাবে ইতিহাস সংরক্ষণ করে হয়েছে যা দেখে খুব ভালো লাগল। এত সুন্দর মূল্যবান পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ কি সুন্দর নিদর্শন। ভালো লাগলো মূর্তিগুলোর ছবি দেখে। কি নিখুঁত হাতের কাজ তখন কার মানুষ দের। সত্যি অসাধারন। কি রহস্যে ভরা মোয়াই গুলো।
আসলেই দাদা যেখানে মানুষের বসত বাড়ি নেই। আর এত বিশাল আকৃতির মোয়াই গুলো কারা তৈরি করেছিল।আর এত বিশাল বিশাল মোয়াই গুলো আমার মনে হয় না যে মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে।
সত্যি দাদা আপনার পোস্টের মাধ্যমে অসাধারণ সুন্দর সব মূর্তির ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। সব গুলো মূর্তি সারি বদ্ধ ভাবে এক সাথে সাজিয়েছে। দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে দাদা।সাথে আমাদের প্রিয় বৌদি আর টিনটিন বাবুর ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। দাদা আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল।
মোয়াই জিনিসটা সম্পর্কে তেমন জানতাম না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য পেলাম। আসলেই বড় একটি রহস্য। কে বা কারা আর কিভাবেই বা তৈরি করলো এই বিশাল মূর্তিগুলোকে। হয়ত কোন একদিন রহস্য ভেদ হতেও পারে।