Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১০
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১০
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ০৯
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
শীতের অপরাহ্নের উষ্ণ স্বাগতম সবাইকে । আশা করি সবাই মজায় দিন কাটাচ্ছেন।
গত পর্বে আমি শেয়ার করেছিলাম taxidermic প্রাণী, অর্থাৎ স্টাফ করা মাউন্টেড বিভিন্ন প্রাণীদেহ । আজকেও আমি শেয়ার করবো এমন ধরণের আরো বেশ কিছু ফোটোগ্রাফি ।
আজকে আমি শেয়ার করবো ভারতীয় উপমহাদেশের জীবকুল নিয়ে । প্রাণী ও তাদের আবাসস্থল, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও প্রকৃতি, অভিযোজন, ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন এবং বিলুপ্তি - এই সম্পর্কিত নানারকমের ফোটোগ্রাফ । আজকে বেশ কিছু বিপন্ন, অতি বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর taxidermic দেহের ফটোগ্রাফ শেয়ার করবো । এদের মধ্যে আছে -
- এশিয়ান মেছো বাঘ
- বেঙ্গল টাইগার
- সফ্ট শেল টার্টল
- বনরুই
- ভাম বেড়াল
- উদবেড়াল
- বড় সারস পাখি
- চিতা বাঘ বা লেপার্ড
- ব্ল্যাকবাক বা ইন্ডিয়ান এন্টিলোপ
- স্পটেড হায়েনা
চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।
স্টাফ করা একটি মেছো বাঘের সম্পূর্ণ দেহ
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, সুন্দরবন । রয়েল বেঙ্গল টাইগার একটি চিত্রল হরিণ মেরে খাচ্ছে, পিছনে একটি বুনো শূকর দেখা যাচ্ছে
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সোয়াম্প । ভাম বেড়াল, বনরুই আর সফ্ট শেল টার্টল
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
জলাভূমিতে গ্রেট স্টর্ক বা বড় সারস পাখি
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ভারতীয় লেপার্ড বা চিতা বাঘ । চিতা নয় কিন্তু , চিতা বাঘ । চিতা আর চিতা বাঘ এক নয় । সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতি । চিতা শুধু আফ্রিকাতে পাওয়া যায় । বাঁ দিকে একটি ভারতীয় স্পটেড হায়েনা ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ব্ল্যাকবাক বা ইন্ডিয়ান এন্টিলোপ
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : ২১ শে ডিসেম্বর ২০২১
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা, আপনার পোস্টে রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে দেখে খুবই ভালো লাগলো। এটা আমাদের দেশের জাতীয় পশু। সুন্দর বন জাওয়ার ইচ্ছা আছে। আশা রাখি খুব তারাতারি যাবো বন্ধুদের সাথে এই বিষয়ে প্লেন করাও হয়ে গেছে। আজকের পোস্টের প্রতিটি ছবি ছিলো দেখার মতো আমার অনেক ভালো লেগেছে। দাদা, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️
দাদা আজকের পোস্টেও অনেক বিপন্ন প্রাণীর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি প্রাণী এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে মনে হচ্ছে এগুলো বাস্তবের প্রাণী। বিভিন্ন প্রাণীর অসাধারণ ফটোগ্রাফি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
দাদা আমাদের দেশে দেখেছি বন রুই এর গায়ের আশ কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে। বিশেষ করে তাবিজ এর মধ্যে ভরে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর এভাবেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়েছে বন রুই নামক একটি সুন্দর প্রাণী। আজকের পর্বের প্রতিটি প্রাণী একসময় বাংলাদেশে দেখা যেত যা এখন আর প্রায় নেই বললেই চলে।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে দেখে মনে হচ্ছে সত্যিকারে হরিণ শিকার করে খাচ্ছে। আসলে এগুলো একদম জীবন্ত লাগছে। দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এগুলো অনেক বছর আগের। দাদা আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে স্টাফ করা মাউন্টেড বিভিন্ন প্রাণীদেহ দেখতে পাচ্ছি এজন্য আমরা অনেক খুশি। আপনি সুন্দর করে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি মিউজিয়ামের ভেতরের স্টাফ করা মাউন্টেড বিভিন্ন প্রাণীদেহের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনার তোলা আজকের এই পর্বের সকল ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিনিয়ত খুব সুন্দর সুন্দর ব্লগ আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। যা আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত ছিল। এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফটোগ্রাফি হচ্ছে হরিণের চামড়া ছিলে যেখানে বাঘে মাংস খাচ্ছে সেইটা যেমন দেখতে ভয়ঙ্কর তেমনি অবাক করার মত ছিল। বরাবরই আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেন এবং কি আপনি অনেক সুন্দর করে শারি বন্ধ করে বাঘের পরিচিতি গুলো লিখে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার পোস্টে এবং কি আমাদের সাথে এত সুন্দর এবং এতগুলো পর্ব আকারে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম
আমার মনে হলো বনের মধ্যে হারিয়ে গেছি।
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখে ভীষণ ভালো লাগছে মনে হলো সত্যিই হরিন শিকার করছে।
বনরুই, মেছোবাঘ, চিতাবাঘ, সারস পাখি সবকিছু দারুন লাগছিল। সত্যিই উপভোগ করলাম সবকিছু।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য 💌
দশম পর্বে এসে আপনি বিলুপ্তপ্রায় এবং বিলুপ্ত হওয়া অনেক প্রাণীর আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দুর্দান্ত হয়েছে। সেইসাথে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। বড় সারস পাখি টা দেখে মনে হচ্ছে যে একদম জীবিত জলাধারের পাশে মাছ ধরে খাচ্ছে। মিউজিয়ামের চিত্রগুলো যতই দেখছি ততই আরো দেখার প্রতি আগ্রহটা বেড়েই চলছে।
ধন্যবাদ দাদা❤️❤️ তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।।
জীবন্ত প্রতিকৃতি গুলো দেখে চোখ জুড়ে যায়। সাথে সেই সময়কার শ্রেষ্ঠ ভাষ্কর্য শিল্পের বিকাশ ও উৎকর্ষতা বার বার মনের গহিনে ফুটে উঠে। মনে প্রশ্ন উঠে,তারা শিক্ষক নাকি ছাত্র ছিল,আবিষ্কারক নাকি শিল্পি ছিল,এ প্রশ্নের উত্তর আসে, তারা ডিজিটাল সময়কে হার মানানোর বিষয়টি, অনেক আগেই রপ্ত করে ছিল। ধারন কৃত ছবি গুলো হেটে হেটে ক্যামেরায় প্রবেশ করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ১০ পর্ব দেখলাম,সাথেই আছি।