চোরের একাল সেকাল
Copyright Free Image Source : PixaBay
খুব বেশিদিন আগের কথা নয় আমার জন্মের মাত্র ১০-১৫ বছর আগেও অর্থাৎ আশির দশকে গ্রামে সিঁধকাটা চোরের উপদ্রব ছিল খুব । আমাদের বাড়িতে চুরি ডাকাতি যথেষ্ঠ পরিমাণে হয়েছে । ছোটবেলায় শুনতাম আসে পাশের পাঁচ-দশটা গাঁয়ের মধ্যে আমাদের বাড়িতেই সব চাইতে বেশিবার ডাকাতি হয়েছে । আগেকার দিনে চুরি হতো খুব বেশি ।
বিশেষ করে রাতের আঁধারে সিঁধ কেটে ঘরের মধ্যে ঢুকে জিনিসপত্র নিয়ে সটকান দিতো । গ্রামে তখন ৯০% বাড়িই থাকতো মাটির তৈরী, কাঁচা বাড়ি । খুব, সহজেই তাই সিঁধ কাটতো চোরেরা । সিঁধ কাটা কি জানেন তো ? বাড়ির কাঁচা ভিতের মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরী করে একেবারে বাড়ির ভিতরে সেঁধোত চোরেরা । মাটি খুঁড়তে তারা লম্বা একটা লাঠির মতো সিঁধকাঠি ব্যবহার করতো ।
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তখনকার দিনে ছিলো গরীব চাষা ভুষো লোক । তাদের ঘরে না ছিল সিন্ধুক, না ছিল কোনো আয়রন সেফ । মধ্যবিত্ত গ্রামের লোকেদের বাড়িতে থাকতো প্রকান্ড একটা টিনের ট্রাঙ্ক । অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেপ কাঁথা কম্বল এর গাদির নিচে থাকতো এই ট্রাঙ্ক, আর না হলে খাটের তলে থাকতো । এই ট্রাঙ্কেই থাকতো সবেধন নীলমনি - নগদ টাকা, দামি শাড়ি গহনা আর জমির দলিল এসব ।
চোরেরা জমির দলিল বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজে হাত দিতো না । শুধু দামি জামাকাপড়, শাড়ি, গহনা আর টাকা পয়সা নিয়ে ভাগতো । সিঁধকাটা চোরের পাশাপাশি ছিল ছিঁচকে চোর । এদের উৎপাতে গ্রামের মানুষ দিশেহারা হয়ে থাকতো । কারণ, এরা দামি জিনিস নয়, বরং হাতের কাছে যা পেতো তাই চক্ষের নিমেষে হাতসাফাই করতো । বালতি, বদনা, ঘটি-বাটি, গামছা, জুতো, বাইরে দড়ির উপর শুকোতে দেওয়া জামাকাপড়, খড়-বিচালি, গাছের কলাটা-মুলোটা যাই পেতো হাতের কাছে তাই নিয়ে ভাগতো । ছোটখাটো অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো চুরি করাতে গ্রামের গৃহস্থরা তাই বেশ বিচলিত হয়ে পড়তো ।
এরপরে আরেকদল চোর ছিল । এরা শুধু পুকুরে মাছ চুরি করতো । গভীর রাতে সারা গায়ে সর্ষের তেল মেখে নিঃশব্দে জাল ছুঁড়ে পুকুর সাফ করতো । আর ছিল হাঁস-মুরগি চোরের দল । এরা গৃহস্থ বাড়ি থেকে শুধুমাত্র হাঁস মুরগিই চুরি করতো, আর কিছু ছুঁয়েও দেখতো না । আর সবশেষে আরো একটা মারাত্মক চোরের দলের কথা বলি । এদের ধরতে পারলে আগেকার দিনে বাঁশডলা দিতো ।
গ্রামের যেহেতু প্রায় সব পরিবারই ছিলো কৃষিজীবী তাই ধান চাষ করতো প্রায় সব বাড়ির গৃহস্থরা । আর ধান ঘরে তোলার মরসুমে এই চোরের উপদ্রব হতো খুব । মাঠের ধান বা গোলায় ওঠা নতুন ধান চুরি করতো একদল চোর । আরেকদল গরু চুরি করতো । রাতের বেলায় গোহাল থেকে নিঃশব্দে গরু-ছাগল চুরি করে নিয়ে যেতো । সব চাইতে বড় ক্ষতি করতো এই গরু চোরের দল । একজন কৃষকের কাছে গরুর মূল্য অনেক অনেক বেশি ছিল সে সময়টায় ।
এবারে আসা যাক বর্তমানকালের চোরেদের কথায় । একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দশক থেকেই এই চোরের উপদ্রব । এই চোরেরা আগেকার দিনের চোরদের মতো অশিক্ষিত, অর্ধ উলঙ্গ অভাবী চোর নয় । এরা দিনে রাতে যে কোনো সময়ই চুরি করে । সর্ষের তেল মাখার দরকার হয় না ।
উচ্চ শিক্ষিত এরা । আর অসম্ভব প্রতিভাধর । নিজেদের প্রতিভাকে শুধুমাত্র চুরির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে এরা । ঠান্ডা ঘরে বসে পিজ্জা, বার্গার আর ব্ল্যাক কফি খেতে খেতে মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্ট ফাঁকা করে চোখের নিমেষে । আগেকার দিনে চোরেরা চুরি করলে বড়জোর কয়েক হাজার টাকা লোকসান গুনতে হতো কিন্তু, এরা চুরি করলে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয় ।
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন । এরাই হলো হ্যাকার । সাইবার দুর্বৃত্ত । এদের টার্গেট শুধুমাত্র সাধারণ জনগণ নয় । বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান - যেমন ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় অর্থ ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক, এমনকি বিশ্ব ব্যাংক । সর্বত্রই কালো জাল বিস্তার করেছে এরা ।
খুব বেশি দিন আগেকার কথা নয় । বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ এর একটা বড় অংশ থাকতো আমেরিকার একটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে । বাংলাদেশ ব্যাংকের ভবনের খুব সিকিউরড একটা রুম থেকে অপারেট করো হতো ডলার লেনদেন এর বিষয়টি । এটি যেহেতু সুইফট এর মাধ্যমে করা হতো তাই ইন্টারনেট কানেক্শন লাগানো একটা প্রিন্টারে প্রথমে ডলার ট্রান্সফার এর কমান্ডটি প্রিন্ট হতো । পরে সেটিই টেলিগ্রাফিক ওয়েতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সুইফট সার্ভারে প্রেরণ করা হতো । এবং এটি সংক্রিয়ভাবে execute হতো ।
যেহেতু, ডলার ট্রান্সফার এর বার্তাটি ছিল প্রিন্টেড এবং একটি সিকিউরড টেলিগ্রাফিক ওয়েতে প্রেরণ করা হতো তাই মাঝপথে বার্তাটি হাতিয়ে নেওয়া বা সেটাকে এডিট করার কোনো উপায় ছিলো না । এটা ছিল ১০০% হ্যাক প্রুফ । তাসত্ত্বেও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এর রিজার্ভ ডলার থেকে ১০০ কোটি ডলার চুরি করার অপচেষ্টা হয় এবং ১০ কোটি ডলার চুরি করতে চোরেরা সমর্থ হয় ।
কিন্তু, কিভাবে চুরি করতে পারলো এই ১০ কোটি ডলার ? ১০০% হ্যাক প্রুফই তো ছিলো । হুম, চোরেরা আজকাল এতো বোকা নয় । এরা অসম্ভব এক্সপার্ট । উত্তর কোরিয়ার এক কুখ্যাত হ্যাকার এই চুরিটা করে । অনেক বড় একটা গ্যাং ছিল এটা । অনেকেই জড়িত ছিলো এই চুরিতে । কিন্তু, আসল কাজ অর্থাৎ চুরিটা একজনই করেছে । রহস্যময় সেই হ্যাকার ।
অনেকদিন ধরে রেকি করে, তথ্য সঞ্চয় করে পরে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামে হ্যাকার এর দল । এদের প্রাইম টার্গেট ছিল সেই প্রিন্টারটি । যেটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবনের সব চাইতে গোপনীয় ও সুরক্ষিত স্ট্রংরুমে থাকতো । সেই প্রিন্টারটি যেটি দিয়ে ডলার ট্রান্সফার এর কমান্ড প্রিন্ট হতো ।
নিয়ম হলো যেহেতু প্রিন্টারটি ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে তাই ইন্টারনেটের সংযোগটি সর্বোচ্চ ভাবে হ্যাকপ্রুফ রাখা । এখানেই গলদটা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের । যে সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানটির কাজ ছিল firewall protection এর রক্ষণাবেক্ষণ তাদের মাত্র ১ দিন দেরি হয় এটাকে আপডেট করতে । কারণ, শুক্রবার ছিল সেদিন । বাংলাদেশে সাধারণ সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি । আর শুধুমাত্র এই দিনটির অপেক্ষাতেই তিনটি বছর খাপ পেতে বসে ছিল হ্যাকার দল । একটি মাত্র সাইবার হানা । সাকসেসফুলি এক্সিকিউটেড । প্রিন্টার এর নিয়ন্ত্রণভার হ্যাকার এর কাছে এখন । নতুন ফায়ারওয়াল আপডেটও আর কিছু করতে পারবে না ।
চোরের দখলে প্রিন্টার । তবে, হ্যাকারকে আরো প্রায় এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হলো । কারণ, সুযোগ চাই । নেক্সট রবিবার টার্গেট ফিক্স করা হলো । হ্যাকার এর কাছে এখন দরকার মাত্র দুটি জিনিস । এক. যেকোনো এমাউন্ট এর এক অথবা একাধিক অর্থ ট্রান্সফার এর কম্যান্ড যেটা এখনো এক্সিকিউট হয়নি । দুই, এমন একটা দিন যেদিন বাংলাদেশে ব্যাংক খোলা অথচ আমেরিকায় ওই দিন ব্যাংক বন্ধ ।
সুযোগ এসে গেলো । পরের রবিবার । বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক খোলা । কিছু ছোট এমাউন্ট এর ডলার ট্রান্সফার এর কম্যান্ড দিয়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দল সেগুলো অথিন্টিকেট করলেন । কিন্তু, গোল বাধ্য তখনই । প্রিন্টারটা কাজ করছে না দেখা গেলো । ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা একটা নোট লিখলেন যে প্রিন্টারটা কাজ করছে না । এরপরে ব্যাঙ্ক বন্ধ করে বাড়ি চলে গেলেন সবাই। রবিবার ছিল সেদিন তাই মার্কিন ব্যাংকগুলো সব বন্ধ । ছুটির দিনে সুইফট ট্রানসাকশান এক্সিকিউট হয় না । হ্যাকার এর নির্দেশে গভীররাতে প্রিন্টারটি জেগে উঠলো । সবগুলো পেন্ডিং ট্রানসাকশান এর অথেনটিকেশন এর এনক্রিপ্টেড কোড হাতিয়ে নিলো, সেই কোডটি যেটা তখনও এক্সিকিউট হয়নি । কারণ প্রিন্টারটি তখন কাজ করছিলো না (হ্যাকার এর নির্দেশেই প্রিন্টারটি কাজ করছিলো না) । তাই এগুলো এক্সিকিউট হয়নি, পেন্ডিং ছিল ।
এরপরের কাহিনী সংক্ষেপেই বলি । হ্যাকার এর নির্দেশ মোতাবেক প্রিন্টারটি বেশ কতকগুলো ডলার ট্রান্সফার এর কমান্ড প্রিন্ট করলো । সেগুলো আগের দিনের পেন্ডিং ট্রানসাকশান এর অথেনটিকেশন কোড দ্বারা পাশ করিয়ে নিলো । বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সার্ভার থেকে এর ফলে ছাড়পত্র পাওয়া গেলো অটোমেটিক ভাবে । এবার টেলিগ্রাফিক ওয়েতে সুইফট সিস্টেমে সেগুলো মার্কিন ব্যাংকের সুইফট সিস্টেমে চলে গেলো এক্সিকিউশন এর জন্য ।
পরেরদিন সোমবার কমান্ডগুলো এক এক করে এক্সিকিউট হলো । কিন্তু, এখানে একটা মজার ঘটনা ঘটলো । উত্তর কোরিয়ান ওই হ্যাকার "Bangladesh" নামটাই লিখতে বানান ভুল করেছিল সব গুলো কমান্ডে । শুধুমাত্র একটি সঠিক ছিল । আর তাই ওই একটিমাত্র ট্রানসাকশান সফল হলো । বাকিগুলো অটোমেটিকভাবে ক্যান্সেলড হয়ে গেলো । কিন্তু, ততক্ষনে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে ।
১০ কোটি ডলার হ্যাকার এর কাছে চলে গিয়েছে । তবুও, ভাগ্য ভালো হ্যাকার বানান ভুল করেছিল বলে বাকি ৯০ কোটি ডলার বেঁচে গেলো । মোট ১০০ কোটি ডলার চুরি করতে চেয়েছিলো সেই কিউট চোরটি ।
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ১০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৭ম দিন (100 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 07)
টার্গেট ০১ : ৭০০ ট্রন স্টেক করা
সময়সীমা : ১৭ জুলাই ২০২২ থেকে ২৩ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ২৩ জুলাই ২০২২
টাস্ক ০৭ : ১০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
১০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : cd571e901fc6ed1a5e3a3a682e8bba4e199236223f54354a12f39238ad00ad3f
টাস্ক ০৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
Wallet Address
TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
RME, Thank You for sharing Your insights...
কিউট চোর,হি হি।😊☺️সত্যিই দাদা ,গ্রামে আগেকার দিনে চোরের অভাব ছিল না।তাছাড়া এই হ্যাকার ভাগ্যিস ভুল করেছিল না হলে যে বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা কেমন হতো এতদিন।বিষয়গুলি জানতে পেরে ভালো লাগলো,ধন্যবাদ দাদা।
Thank You for sharing...
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Thank You for sharing...
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
গ্রামের চোরের কাহিনী মায়ের কাছে অনেক শুনেছি।শুনে বেশ মজা পেতাম।আজকে আপনার লিখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকার এই ঘটনাকি অল্প কিছু শুনেছিলাম। আজকে পুরোটা পড়লাম ভাগ্যিস বানান ভুল লেখেছিলো।মাঝে মাঝে বানান ভুলও ভালো🤪।যাই হোক মিশন সাকসেস হলো।ধন্যবাদ
Thank You for sharing...
বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এই চুরির ঘটনা কিন্তু পেছনের ঘটনা জানা ছিল না। আপনি সেই সুদূর ভারতে বসে এত তথ্য জানলেন কিভাবে ভেবে অবাক হচ্ছি। তাও ভাগ্য ভালো যে বানান ভুলের কারণে এত বড় একটা আর্থিক ক্ষতি থেকে আমরা বেঁচে গেছি। এই সমস্ত চোরদের কথা চিন্তা করলে মনে হয় আগের দিনের চোরেরাই অনেক ভালো ছিল। তাদের কারণে অন্তত কেউ একেবারে সর্বস্বান্ত হত না। একটা লোক বা একটা পরিবারই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হতো কিন্তু এইসব চোরদের কথা চিন্তা করলে মাথা ঘুরে ওঠে।
Thank You for sharing Your insights...
সেই বাংলার ঐতিহ্য সিঁধেল চোর আর নেই দাদা। এখন সবাই প্যান্ট শার্ট পড়া শিক্ষিত চোর। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই হ্যাকিং এর কাহিনী টা আমিও শুনেছি। এটা থেকে বোঝা যায় হ্যাকার রা কতটা তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হতে পারে।।
কি যুগ আসলো দাদা,, শিক্ষিত মানুষ গুলোই চোরের হেড অফিস। এই ব্রেইন গুলো যদি ভালো কোন কাজে লাগানো যেত তাহলে পুরো পৃথিবীর কত উপকার হতো!
অনেক কিছু জানলাম দাদা আজ। এসব নিয়ে তো কিছুই জানতাম না। ভালো যে বানান টা ভুল হয়েছিল, তানাহলে আরো ক্ষতি হয়ে যেত।
বাপরে বাপ!মনে হলো চোরের উপরে হাল্কা করে কোনো উপন্যাস পরে ফেললাম।কতোদূরে বসেও এতো গুলো টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিলো!
আগেকার দিনের চোররা ছোটখাটো জিনিস চুরি করত। কিন্তু বর্তমানের ভদ্র বেশী চোররা একেবারে সর্বস্ব নিয়ে নেয়। আসলে তাদের এত বুদ্ধি যে বলে বোঝানো যাবে না। তারা এই বুদ্ধিগুলো যদি ভালো কাজে ব্যবহার করত তাহলে হয়ত আরো বেশি ভালো হতো। ভাগ্যিস বাংলাদেশ বানান ভুল করেছিল তা না হলে আরো অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হত বাংলাদেশ ব্যাংক। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো আজকে জানতে পারলাম দাদা। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️
Thank You for sharing...