আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -১২steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year


চা বাগান থেকে ফিরতে ফিরতে আমাদের একদম দুপুর গড়িয়ে গিয়েছিলো । এর উপর ফেরার পথে একটা জ্যামে আটকে প্রায় এক ঘন্টা টাইম ওয়েস্ট হলো । তাই আমরা তড়িঘড়ি রওনা দিলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্য "রক গার্ডেন" । দার্জিলিং শহর ছাড়িয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আমাদের গাড়ি শুধু নিচের দিকে নামতে থাকলো । ভীষণ আঁকা বাঁকা রাস্তা । আর মোড় গুলো এমন মারাত্মক যে সেদিকে তাকালে পিলে চমকাতে বাধ্য ।

ড্রাইভার আমাদের জানালো "রক গার্ডেন" হলো একদম পাহাড়ের নিচে একটা উপত্যকায় । দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় সাত হাজার ফিট নিচে । প্রথম তিরিশ মিনিট ঠিক ছিল রাস্তা, একদম মসৃণ । কিন্তু, এরপরের এক ঘন্টার রাস্তা ভীষণই এবড়ো খেবড়ো, খাদের পাশে রেলিং ছাড়া । বিশাল রিস্ক । পথটা একদম বুনো পথ যাকে বলে । ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সংকীর্ণ আর ভাঙাচোরা এবড়ো খেবড়ো অসংখ্য বাঁক ওয়ালা রেলিং বিহীন রাস্তা ।

প্রাণ হাতে করে নামছি আমরা । অবশেষে পথের শেষ হলো । রক গার্ডেনে পৌঁছালাম আমরা । পৌঁছেই প্রচন্ড হতাশ হলুম । একদম জরা জীর্ণ দশা এই পার্কটির । বহুকাল সংস্কার হয়না বোঝাই যাচ্ছে । ভাঙাচোরা পার্কটির সর্বত্র নোংরা জঞ্জালে ভরা । পাথরের তৈরী বিশাল একটা ফোয়ারা আছে । ফোয়ারার মাঝখানে পাথর নির্মিত বিশাল একটা পদ্মফুল । এখন ফোয়ারাটা বন্ধ । কতকাল ধরে বন্ধ তা কি জানি ।

তবে পার্কটি অনেক বড় । ঝর্ণার উপর থেকে একদম নিচে অব্দি বিশাল একটা জায়গা জুড়ে অসংখ্য বসার জায়গা, সুন্দর পাথরে বাঁধানো পথ, পথের দু'পাশে নাম না জানা অসংখ্য বুনো ফুল, অনেকগুলো ভিউ পয়েন্ট । ঝর্ণার মাথার উপর থেকে নিচ অব্দি প্রায় ৭ তলা বিল্ডিঙের সমান হবে উচ্চতায় । ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অসংখ্য পথ আছে ওঠা নামার ।

কিছু রেস্টুরেন্ট আছে পার্কে । আর কিছু আছে রাস্তার দু'সাইডে । মদের ঝাঁজালো উৎকট বিশ্রী গন্ধে টেকাই দায় । তাই দ্রুত চলে গেলাম ঝর্ণার ধারে । অনেকগুলো ছবি তুললাম । বেশ কিছুটা সময় কাটালাম ঝর্ণার ধারে । অবশেষে সন্ধ্যা নেমে গেলে বাড়ির পথ ধরলাম আমরা ।


রক গার্ডেনে পৌঁছে গিয়েছি আমরা । জায়গাটা অসংখ্য চেরী ব্লসমস এ ভরা একদম । এই জন্যই পথঘাট এত্ত সুন্দর লাগছিলো । এই ফুলের প্রেমে পড়ে গিয়েছি সত্যি ।

তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২

সময় : বিকেল ০৪ টা ২০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


রক গার্ডেনে চারিদিকে শুধু ফুল আর ফুল । এর মধ্যে শুধু চেরী ব্লসম ছাড়া আর একটাও চিনতে পারিনি । নিচের ফটোটা সেই এক সময়কার বিখ্যাত পাথরের তৈরী ফোয়ারা । আমরা যেখানটায় দাঁড়িয়েছিলাম তার থেকে প্রায় ৪ তলা নিচে এটি অবস্থিত ।

তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২

সময় : বিকেল ০৪ টা ৩০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


আহা চেরী ব্লসমস ! অপূর্ব লাগছে দেখতে ।

তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২

সময় : বিকেল ০৪ টা ৪০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এই হলো রক গার্ডেনের প্রধান আকর্ষণ । ঝর্ণা । অনেক উঁচু থেকে নেমে এসেছে এই ঝর্ণা । পাহাড়ের ধাপ বেয়ে বেয়ে এঁকেবেঁকে নেমে এসেছে ঢাল বেয়ে । একদম নিচের দিকটায় জলধারা অনেকটাই চওড়া হয়েছে । এখানেই তাই পার্কটি গড়ে উঠেছে । ঝর্ণার ধারে বসে আমরা প্রত্যেকেই ছবি তুলেছিলাম । এখানে শুধু তনুজার ছবিগুলোই দিলাম । সন্ধ্যে নামাতে ছবির কোয়ালিটি খুব একটা ভালো আসেনি ।

তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২

সময় : বিকেল ০৫ টা ০০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ৫০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৫ম দিন (500 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 05)




সময়সীমা : ২২ নভেম্বর ২০২২ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ২৬ নভেম্বর ২০২২


টাস্ক ১২৪ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : ee7b06484b1e504c6980420df1695505a280360af59e4e6e6eff655257dcbb51

টাস্ক ১২৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Sort:  
 last year 

ঠিক এই জায়গাগুলো আমরাও ঘুরে বেরিয়েছি এবং সত্যি কথা বলতে রাস্তাগুলো এতটাই আঁকাবাঁকা এবং পাহাড় থেকে নিচে নামার সময় এত ভয়ঙ্কর লাগে যা বলে বোঝানো যাবে না আমি তো রীতিমতো অনেক ভয় পাচ্ছিলাম তবে ড্রাইভার বলছিল দিদি ডরনা নেহি ম্যায় হুনা।আর মনে রাখবেন টেনশন লেনে কা নেহি টেনশন দেনে কাহো।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেই স্মৃতি বিজড়িত সময়গুলোর কথা খুব মনে পড়ে যাচ্ছে।প্রকৃতির সাথে বৌদির ছবি যেন মিলেমিশে একাকার হয়েছে। দারুণ লাগছে বৌদিকে। অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি।♥♥

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last year 

কিন্তু, এরপরের এক ঘন্টার রাস্তা ভীষণই এবড়ো খেবড়ো, খাদের পাশে রেলিং ছাড়া । বিশাল রিস্ক ।

রাস্তার অবস্থার কথা শুনেই ভয় লাগছে দাদা। তবে চেরী ব্লসমস ফুলের সৌন্দর্য দেখে প্রেমে পড়ে গিয়েছি দাদা। সত্যি ফুলগুলো খুবই সুন্দর লাগছে। যদিও এর আগে কখনো দেখিনি। তবে ছবিতে দেখেই মুগ্ধ হয়েছি। মনে হচ্ছে যেন চারপাশের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। আর পাহাড়ি ঝর্ণার মাঝে আমাদের সকলের প্রিয় মুখটি দেখে আরো ভালো লাগলো। বৌদিকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ভ্রমণ পর্বের এবারের পর্বটি দারুন ছিল দাদা।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year (edited)

রক গার্ডেনের নাম অনেকের মুখে শুনেছি, আজকে দেখার সুযোগ হয়েও গেলো। যা শুনেছি সবই সত্যি, জায়গাটা বেশ সুন্দর। ঝর্ণা দিয়ে জল নয় যেন দুধ বেয়ে বেয়ে নেমে আসছে। দারুন।

আহা। চেরি ব্লসম। উপরি পাওনা। 💖

 last year 

দাদা আপনার এই পোস্ট রক গার্ডেন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।বেশ সরু আবার আঁকাবাঁকা রাস্তা আর মোড় গুলো মারাত্মক ভয়াবহ ।বেশ রিস্ক নিয়েই গিয়েছিলেন।কিন্তু এই পার্কটি সংস্কার করলে আরও ভালো লাগতো।তবে ঝর্নার ফোয়ারা বেশ ভালো লেগেছে।দার্জিলিং শহর থেকে সাত হাজার ফিট নিচে হওয়ায় রক গার্ডেন বেশ রিস্কি ছিল বুঝতে পারলাম।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ছিল ব্লগটি।

 last year 

আপনার ভ্রমন বিষয়ক লেখা গুলো মনোমুগ্ধকর। আপনার বর্ণনার মাঝে মনে হয় নিজেই ঘুরছি। সবচেয়ে ভালো লাগে চারপাশের দৃশ্য গুলো জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলেন। কথা শিল্পির নিখুত ছোয়ায়। ঠিক রক গার্ডেনের বর্ণনায়ও তেমনেই ছুয়ে দিয়েছেন। বর্ণনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো যেন কথা বলে! শুভ কামনা আপনার জন্য।

 last year 

আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। রক গার্ডেনের নাম অনেক আগে শুনেছি এবং ফটোগ্রাফিও দেখেছিলাম। তবে আজকে আপনার কাছে সেই ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখে সত্যিই অনেক ভালোলাগলো। কি অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য। সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

দাদা আপনার পোস্ট থেকে রক গার্ডেন সম্পর্কে জানতে পারলাম। রাস্তাগুলোর মোড় ভয়াবহ মারাত্মক। খুব রিস্ক নিয়ে আপনারা গেলেন সেখানে।ঝর্নার ফোয়ারা বেশ ভালোই লেগেছে।চেরি ব্লসমসের প্রেমে আমিও পরে গেলাম দাদা। অসাধারন লাগছে 😍😍 সব কিছু মিলিয়ে ভাল লাগলো। ফটোগ্রাফিগুলো ও দারুন লাগলো। শেয়ার করে অনেক কিছু জানিয়ে দিলেন, যা অজানা ছিল। অনেক ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইল আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য।

 last year 

এতো উঁচু থেকে নিচে নামা আসলেই বেশ রিস্কি। যখন লেখাটা পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল আমিও আপনাদের সঙ্গেই ঘুরছিলাম ভাই। তবে পার্কটির বেহাল অবস্থা জেনে খারাপ লাগলো, তবে সংস্কার করলে হয়তো আরও বেশি পর্যটকের নজরে আসবে জায়গাটি। হয়তো অতিরিক্ত নিচে অবস্থিত হওয়ার কারণে সম্ভবত এমন অবস্থা। তবে ছবি গুলো কিন্তু ভালোই উপভোগ করলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.33
TRX 0.11
JST 0.034
BTC 66530.34
ETH 3251.57
USDT 1.00
SBD 4.36