Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২১
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২১
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২০
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা ? আমি ভালো নেই । প্রথমত শরীরটা মোটেও ভালো না তারপরে এই বিশ্রী আবহাওয়া । আজকে সারাদিনে কলকাতা শহরে রোদের দেখা মেলেনি । সূর্য্যেরই দেখা পাওয়া ভার তো রোদ তো আরো দূরের কথা । ঘন কুয়াশা, শ্লেটের মতো ধূসর মেঘলা আকাশ, হাড় কাঁপানো উত্তুরে হিমশীতল হাওয়া আর থেকে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি । এক কথায় দুর্যোগময় বিশ্রী একটি দিন ।
এই বিশ্রী দিনে কিছুই করতে ইচ্ছে করছে না । এমনকি পোস্ট লিখতেও মন চাচ্ছে না । তবুও ভাবলাম লিখেই ফেলি একটা । ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণ নিয়ে লেখা এটা আমার ২১ তম পর্ব । আগের ২০টি পর্ব সব আমার স্টিমিট ব্লগে পাবলিশড করা হয়েছে । যাঁরা দেখেননি তাঁরা চাইলে দেখতে পারেন ।
আজকে নিম্নলিখিত প্রাণীর স্টাফ করা দেহ ও কঙ্কালের ফটোগ্রাফ থাকছে -
১. স্যাক্রেড বেবুন, হামাড্রায়াস বেবুন এবং ড্রিল
২. জাভান হোয়াইট গন্ডার
৩. আফ্রিকান কালো গন্ডার
৪. সুমাত্রান গন্ডার
৫. কমন মিঙ্ক হোয়েল
৬. ভারতীয় হাতি
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
তিন শ্রেণীর বাঁদর । বাঁ দিক থেকে - স্যাক্রেড বেবুন, হামাড্রায়াস বেবুন এবং ড্রিল । এই শ্রেণীর বেবুন ও ড্রিল দের আদি নিবাস হলো আফ্রিকা । স্যাক্রেড বেবুন ও হামাড্রায়াস বেবুন বাস করে আফ্রিকার পশ্চিম অঞ্চলে মরু অরণ্যে । এদের লেজের আকৃতি হুবহু সিংহের ন্যায় । বেবুন শাকাহারী ও মাংসাশী দুই হয় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মানব দেহের কঙ্কাল ও গোরিলার কঙ্কালের মধ্যে তুলনামূলক একটি চিত্র ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেয়ালে টাঙানো রয়েছে দুটি রাইনোর স্টাফ করা মাথা । বাঁদিকের টা গ্রেট হোয়াইট রাইনো বা জাভান একশৃঙ্গী হোয়াইট রাইনো । আর ডানদিকের টা হলো আফ্রিকান কালো গন্ডার । মেঝেতে একটা গ্যাজাল ও জেব্রার স্টাফ করা দেহ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সুমাত্রান গন্ডার । ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় এই গন্ডার পাওয়া যায় । এরা আকারে জাভার গন্ডারের তুলনায় কিছুটা ছোট হলেও এদের নাকের উপরে দুটি খড়গ থাকে । এদের সারা শরীরে লোম থাকে যেটা গন্ডার প্রজাতির আর কোনো গন্ডারের গায়ে থাকে না । খুবই রেয়ার প্রাণী এরা । সারা বিশ্বে আনুমানিক ৩০০ এর মতো আছে এরা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই বিশাল আকৃতির কঙ্কালটি হলো একটি কমন মিঙ্ক হোয়েলের কঙ্কাল । এই তিমি গুলো আকৃতিতে ব্লু হোয়েলের চাইতে অনেক ছোটো । নীল তিমির একটি চোয়ালের সমান আকৃতি এদের । তারপরেও মানুষের চাইতে বহুগুন বড়ো এরা ।এরা লম্বায় ৩০-৩৫ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি হাতির কঙ্কাল । ভারতীয় হস্তী ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে ।আমার কাছে বাঁদরের স্টাফ করা দেহটি দেখতে খুবই ভালো লেগেছে ।আরো একটি বিষয় মানুষের কঙ্কাল আর গোরিলার কঙ্কাল এর মধ্যে অনেক মিল দেখতে পাচ্ছি ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মাধ্যমে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ঘুরে ঘুরে দেখতে পাচ্ছি।
সৃষ্টি কর্তার আছে আকুল আবেদন জানাই তিনি যেন খুব তারাতাড়ি আপনাকে সুস্থ করে দেন❤️❤️।আপনি সুস্থ না থাকলে আমরাও যে ভালো থাকতে পারি না।।
সৃষ্টি কর্তা আমাদের এই মন্দা আবহাওয়া থেকে মুক্তি দেন।।
আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।।
বিশেষ করে আমি অনেক ক্ষণ ধরে লক্ষ করলাম মানুষ ও গরিলার কঙ্কাল।। প্রায় ই সেম।।
এত বারো একটা তিমির কঙ্কাল তা সে আবার নীল তিমির চওয়ালের সমান🤔🤔🤔।
সৃষ্টি কর্তায় জানেন এর রহস্য।।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে অতি দ্রুত সুস্থতা দান করুক। আসলেই শীত কালে বৃষ্টির আবহাওয়া একদম বিশ্রী লাগে। অসুস্থ অবস্থায় ও মিউজিয়াম ভ্রমণের ২১ তম পর্বে কিছু দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা 💚
ওরে বাপরে মিঙ্ক হোয়েল এবং ব্লু হোয়েল এর পার্থক্য পড়ে সত্যিই অনেক অবাক হয়েছি দাদাভাই। ভারতীয় হস্তির কঙ্কালতন্ত্র দেখতে ও বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। পুরো পোস্টটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় ছিল দাদাভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এই মজাদার এবং আকর্ষণীয় ভ্রমণ পর্ব গুলো প্রতিবার এত সুন্দর করে জানা-অজানা তথ্যসমূহ সহ শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল দাদাভাই আপনার জন্য। অনেক সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন পুরো পরিবারকে নিয়ে।
দাদা দোয়া করি আপনি যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই শরীর খারাপের ভেতরে আপনি আমাদের জন্য কলকাতা মিউজিয়াম এর পর্ব গুলো সুন্দর করে শেয়ার করে যাচ্ছেন। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের পুরো কলকাতা মিউজিয়ামটা দেখা হয়ে যাচ্ছে। যত দেখছি ততই অবাক হয়ে যাচ্ছি সত্যিই দাদা কলকাতা মিউজিয়ামে অনেক কিছু দেখার আছে। তবে আপনি যদি এভাবে না দেখাতেন মনে হয় না আমরা দেখতে পেতাম। ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে আপনি খুব সুন্দর করে সবগুলো ছবির বর্ণনা দিয়েছেন বর্ণনাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমরা অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আর আপনাদের পরিবারের সকলের জন্য দোয়া রইল সবাই সব সময় যাতে সুস্থ থাকেন এই কামনা করি ।
প্রথম থেকেই এই সিরিজের সঙ্গেই আছি এবং আশাকরি শেষ পর্যন্ত থাকবো । ভালোই লাগে নিত্য নতুন জিনিস ও বিষয় দেখতে । তবে আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
দাদা আজ এই প্রাণীগুলোর সম্পর্কে আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ,তাদের জীবন বৃত্তান্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।আপনার এই ধারাবাহিক পর্ব গুলো জ্ঞানগর্ভ যা অর্জন করতে হয় তো আমাদের অনেক সাধনা করতে হতো ।হয়তো বা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এ যেতে হতো আমাদের পক্ষে যা সম্ভব ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশে বসে থেকেই আমাদের ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম পরিদর্শন করা হয়ে যাচ্ছে প্রায়। এই যে আপনার মাধ্যমে এতগুলো বাংলাদেশি ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম পরিদর্শন করছে এটা যে কি বড় একটি মহৎ কাজ তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আজ প্রথম আমি হাতির কঙ্কাল দেখলাম ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে তিমি মাছের কঙ্কাল দেখেছি সাথে বেশকিছু স্টাফ করা প্রাণী ছিল ।আমার ফোনে আছে বেশ কিছুদিন আগে তুলেছিলাম। তবে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এত পরিমাণ স্টাফ প্রাণী আছে যা সত্যি অকল্পনীয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন দাদা আবহাওয়াটা আসলেই একেবারে বিশ্রী আমাদের এদিকেও রোদের কোন দেখা নেই। আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম দাদা ।আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম আসলে কত বড়। আপনি প্রতিদিন শেয়ার করছেন শেষই হয় না ।আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি আপনার ছবির জন্য ।কঙ্কালগুলো দেখে ভালো লাগলো মানুষের ও গরিলার কঙ্কালদুটো পাশাপাশি রেখেছে আর হাতির কঙ্কাল একেবারেই ছোট লাগছে মনেই হচ্ছে না যে এটি হাতির কঙ্কাল অনেক ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে।