জেনারেল রাইটিং - হাঁসের খামার তৈরি

আসলামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের বন্ধু গন আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আর আল্লাহ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ৫ বাই ১০ হাত নিয়ে একটা হাঁসের খামার তৈরির ছোট একটা হল্প। আপনারা যারা বাসা বাড়িতে অল্প সসংখ্যক হাঁস পালন করেন তাহলে আমার পোস্ট দেখে একটা খামার তৈরি করে নিতে পারেন। এতে আপনাদের বাসা বাড়ি নূংডার হাত থেকে রক্ষা পারে।

প্রিয় বন্ধু গন, উপরে ছবিতে লক্ষ করুন । এক সাইডে টিনের বেড়া আর এক দিকে প্লাস্টার দেওয়া থাকায় আমরা এই জাইগাটাকে উপযোগী মনে করে নির্ধারন করে নিয়েছি। দুই দিকে বেড়া দেওয়া প্রয়োজন হবে না যার কারনে কম খরচ হবে। আর বাকি দুই সাইডে সবুজ নেট জাল দেওয়া হয়েছে। নেট জালকে শক্ত এবং টনটাইড করতে বাশের খুটির সাথে পেরাক দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রিয় বন্ধু গন, খামারের বেড়া দেওয়া হয়ে গেলে আনুমানিক ৬" করে মাটি দিয়ে ভড়াত করে দিয়েছি। ভালো করে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন নেট গুলো মাটির নিচে পুতে গিয়েছে যার ফলে ছোট ছোট শিকারী প্রাণী গুলো ভিতর প্রবেশ করে যাবে আক্রমণ করতে না পারে। আর সেহেতু এখন বর্ষাকাল তাই একটু উঁচু নিরাপদ জাইগার প্রয়োজন আছে। মাটি দেওয়ার পরে বেলচা ও কোদাল দিয়ে মাটি গুলো সমান করে দিয়েছি।

প্রিয় বন্ধু গন, উপরের ছবিতে লক্ষ করলে আপনারা দেখতে পাবেন একটা ড্রাম কেটে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ড্রাম দেওয়ার মূল কারন হলো খাবার পানি এবং গোসল করার পানির ব্যানস্থা করার জন্য। ভালো করে লক্ষ করলে আপনারা একটা জিনিস লক্ষ করবেন ড্রামের মূখ নিচের দিকে দেওয়া আছে আর মুক্ষা দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পানি নষ্ট হয়ে গেলে মুক্ষা খুলে মটর দিয়ে পানি দিলে ময়লা পানি বের হয়ে যাবে এবং নতুন পানি পরে দেওয়া যাবে। ডাম দিয়ে বানানো ছোট এই পুকুর মাটি সমান করে দেওয়া হয়েছে যাতে খুব সহজে হাঁস গুলো পুকুরের মধ্যে নামতে যেনো কোন সমস্যা না হয়।

প্রিয় বন্ধু গন, খামারের ভিতর একটা গামলা দেওয়া হয়েছে। গামলাটি দেওয়া হয়েছে হাঁসের খাবার দেওয়ার জন্য। মাটিতে খাবার দিলে অনেক খাবার খাওয়ার অনুপোযোগী হয়ে যাই আর অনেক খাবার নষ্ট হয়ে যাই তাই একটা গামলায় করে খাবার দেওয়া হয়ে থাকে।

প্রিয় বন্ধু গন, খামারটি মূলত খোলা আকাশের নিচে। খামারের উপর কোন ছাউনি দেওয়া নেই। হাঁস গুলো রোদ থেকে বাচতে এবং একটু ছায়ার জন্য কোন ভাবে টিন দিয়ে একটু ছায়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে আপনারা চাইলে এই ছাউনি পুরো দিতে পারেন বা একটু সুন্দর করে ভালো করে দিতে পারেন।

প্রিয় বন্ধু গন, খামারের ভিতর যখন হাঁস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তখনকার ছবি। কত সুন্দর করে পানি পান করছে। হাঁস গুলো যখন পানি পেয়েছিলো অনেক আনন্দের সাথে খেলা করছিলো। প্রথমের দিকে পানির ভিতর নেমে গোসল করতে হবে এটা তারা বুঝতো না। আস্তে আস্তে হাঁস গুলো গোসল করা শিখে গিয়েছে।

আমি মোঃ নাসিম আহম্মেদ। আমার স্টিমেট আইডির নাম @rjnasim001। বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার প্রকৃতির রূপে সাজানো জুগীরগোফা গ্রামে আমার বসবাস।। আমি অনার্স লেখাপড়া করছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা কম্পানিতে চাকরি করি। নতুন নতুন কিছু শিখতে জানতে অনেক ভালো লাগে।নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে লিখতে ভালোবাসি। প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসি তাই সময় পেলে নতুন কিছু জানা ও উপভোগ করার জন্য ভ্রমণ করি এবং ছবি আঁকি।