এখনো ভালোবাসি ❤️ বাংলা নাটক রিভিউ

আসলামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের বন্ধু গন আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আর আল্লাহ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি নাটক রিভিউ। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এটা আমার প্রথম কোন নাটক রিভিউ। প্রথমে আমি যতটা সহজ ভেবেছিলাম ততটা সহজ কিন্তু ছিলো না আমার কাছে। নাটক দেখা অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করা অনেক লেখা। অনেক চেষ্টার পরে পোস্ট কম্পিট করেছি।

অসাম্প ভালোবাসার দুটি মানুষ যদি এক হয়ে সেটা মন থেকে চাই তাহলে সেটা পূর্ণতা পাই এমন একটা গল্প নিয়ে সাজানো এখনো ভালোবাসি নাটকটির গল্প লেখা। নাটকের শেষ দিকে গল্প শেষ শেষ এমন অবস্থায় নতুন একটা মোড় নিয়ে গল্পটা সুন্দর সাজিয়ে শেষ হয়েছে।

নাটকের প্রথমেই দেখা যাই একটা রেডিও স্টেশনে অভিনেত্রী ফারহান আর সৈয়দ জামান শাওন বসে আছেন।রেডিও স্টেশনের নাম ৯১.২ এফ এম। আর নাটকের সম্পুর্ন কাহিনী শেয়ার করেন সৈয়দ জামান শাওন তার নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া একটা মেয়ের সাথে পূর্ণ পাওয়া একটা মেয়ের ভালোবাসার । অনুষ্ঠান সম্পুর্ন হোষ্ট করেন অভিনেত্রী ফারহান।

মেয়েটি একটা দোকানে প্রবেশ করেন। এবং দোকান থেকে তার ফোনে ফ্লাক্সী লোড দেন। ছেলেটি খুব চেষ্টা করেন দোকানের ভিতর যেতে কিন্তু ভয়ে যেতে পারেন না। বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন এবং মেয়েটি বাইরে আসলে তার সাথে পরিচিত হবেন। কি কি বলবেন সেইগুলো একটু নিজের সাথে বলতে থাকেন। দোকান থেকে বের হয়ে আসেন কিন্তু কোন কথা বলতে পারেন না।

ছেলেটা এবার দোকানের ভিতর প্রবেশ করেন এবং দোকানদারকে বুঝিয়ে নাম্বার টা নিয়ে ফেলেন। আবারো মেয়েটির পিছনে হাটতে থাকেন। মেয়েটির পায়ে একটা নুপুর ছিলো হঠাৎ নুপুর পা থেকে খুলে রাস্তায় পড়ে যাই আর ছেলেটি সেটা তুলে নেই।

ছেলেটি বাসায় গিয়ে মেয়েটির কাছে ফোন দেন। অনেকবার ফোন দিয়ে পরে ফোন রিসিভ করেন এবং কথা বলতে থাকেন। ছেলেটি মেয়ের পায়েলের কথা জানতে চাইলে। মেয়েটি বাসায় অনেক খোজা খুজি করার পরে পেলেন না। তখন ছেলেটি মেয়েটিকে জানালেন তার পায়েল ছেলেটির কাছে এবং কিভাবে পেলেন।

ছেলেটি কুড়িয়ে পাওয়া নুপুর মেয়েটিকে ফেরত দিতে চাইলো। পরের দিন যথা সময়ে ছেলেটি রেডি হয়ে নিদিষ্ট স্থানে উপস্থিত হলেন। মেয়েটি একটু লেট করে আসলো। মেয়েটি তার হারিয়ে যাওয়া নুপুর ফেরত চাইলে ছেলেটি তার সকল পকেট চেক করেন কিন্তু নুপুর খুজে পাচ্ছিলো না। ছেলেটির হঠাৎ মনে পড়ে গেলো যেই শার্ট পকেটে নুপুরটি রাখছিলো সেই শার্ট না পরে অন্য শার্ট পরে আসছেন। যার কারনে ছেলেটা বোকা সেজে দুই জনেই বাসায় চলে যাই।

ছেলেটি ও মেয়েটি অল্প অল্প করে ফোনে কথা বলতে লাগলো। দুই দিন পর আবার তারা দেখা করতে চাইলো নুপুর দেওয়ার জন্য। আবারো তারা নিদিষ্ট দিনে দেখা করলো। এবার ছেলেটি নুপুর নিয়ে গিয়েছিলো। মেয়েটি নুপুর চাইলে ছেলেটি নুপুর বের করলো কিন্তু মেয়েটির হাতে দিলো না। ছেলেছি বলল নুপুর যেখান থেকে এসেছে সেখানে পরিয়ে দিতে চাই। মানে ছেলেটি মেয়ের পায়ে নুপুর পরিয়ে দিতে চাইলো। মেয়েটি অনেক ভেবে ছেলেটির কথায় রাজি হয়ে গেলো। আর এখান থেকে তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠলো।

আস্তে আস্তে তাদের ভালোবাসা দিন দিন বাড়িতে থাকলো। ছেলেটি বিদেশে লেখাপড়া করার জন্য স্কলারশিপ পেলো। কিন্তু ছেলেটি ভালো বাসার মানুষটিকে রেখে বিদেশে যেতে চাইছিলো না। মেয়েটা অনেক বোঝালো। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছিলো না। মেয়েটি যখন অভিমান করে চলে যেতে লাগলো তখন ছেলেটি যেতে রাজি হলো।

লেখাপড়া শেষ করে ছেলেটি দেশে ফিরে এলো। মেয়েটিকে খোজার জন্য মেয়েটির বাসায় গেলো। কিন্তু এখানে একটা দুঃখের বিষয় সেটা হলো বাড়ির গেট দারোয়ান জানালো মেয়েটি আর এই বাসায় থাকেন না। ছেলেটি অনেকটা অসহায় হয়ে পড়লো।

নাটকের গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রেডিওতে প্রচার হবা অনুষ্ঠান মেয়েটি সম্পুর্ন শেনেন। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে দর্শকদের কথা বলার একটা সুযোগ করে দেন। দর্শক কন্ঠে একটা মেয়ের কান্না জড়িত আওয়াজ আসে। পরিচল দিলে বুঝতে বাকি থাকে না ছেলেটির সেই ভালাবাসার মেয়ের কন্ঠ। নাটকের মূল আকর্ষণ শেষ থেকে আবার সুরু হলো।

আবার তার দেখা করলো। মেয়েটিকে দেখে বুঝতে পারা গেলো মেয়েটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে গিয়ে। যেই কারনে ছেলেটির থেকে দূরে সরে গিয়েছে। ছেলেটি আবারো মেয়েটির পারে নুপুর পরিয়ে দিতে চাইলো কিন্তু মেয়েটি নিজের অসুস্থতার কথা ভেবে নিতে চাইলো না। কিন্তু ছেলেটির ভালোবাসার কাছে মেয়েটি পরাজিত হয়ে আবারো তার এক হয়ে গেলো।

প্রকৃত ভালোবাসা গুলো সব সময় সুন্দর একটা গল্প থাকে। ভালোবাসার মধ্যে কোন কোন এক সময় সমস্যা নামের এই শব্দের সাথে দেখা হবে। হোক সেটা মা বাবা পরিবারের কোন সদস্য বা মনের মানুষের সাথে। সব সমস্যা গুলো মোকাবেলা করে সম্পর্কের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। সারাজীবন বেচে থাকুক মা বাবা ও প্রিয় মানুষের প্রকৃত ভালোবাসা গুলোকে।

আমি মোঃ নাসিম আহম্মেদ। আমার স্টিমেট আইডির নাম @rjnasim001। বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার প্রকৃতির রূপে সাজানো জুগীরগোফা গ্রামে আমার বসবাস।। আমি অনার্স লেখাপড়া করছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা কম্পানিতে চাকরি করি। নতুন নতুন কিছু শিখতে জানতে অনেক ভালো লাগে।নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে লিখতে ভালোবাসি। প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসি তাই সময় পেলে নতুন কিছু জানা ও উপভোগ করার জন্য ভ্রমণ করি এবং ছবি আঁকি।