আমার রবিবারের দুপুর (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school এর জন্য)

হ্যাপি সানডে সবাইকে। আমার প্রোফাইলের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তাহলে বলুন কেমন কাটলো সবার রবিবার। আমার তো অসাধারণ কাটলো তাই তো চলে এলাম সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সঙ্গে থাকুন আশা করি আপনাদেরও ভালই লাগবে।

Snapchat-900528964.jpg
প্রথমেই বলি আমার প্রথম পোস্টে আমি বলেছিলাম আমি ২০২১ এর জানুয়ারিতে প্রথম চাকরী পাই। কিন্তু বিশেষ কিছু বলা হয়নি। আমি একটা প্রাইভেট সেক্টরের সেফটি অ্যাসোসিয়েট হিসাবে কাজ করি। সহজ কথায় ওষুধ নিয়ে কাজকর্ম আমার।আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম মানে ৮ ঘণ্টার নাম করে ১২ ঘণ্টার কাজ করিয়ে নেওয়া। তাই যখন ছুটি থাকে আমার পা ঘরে থাকে না।আজ রবিবার তাই ছুটি।আর ছুটি মানে আমি খুশি। আর খুশি মনে খাই খাই। সেই বেরু বেরু করার গল্প বলতেই আসা।তাহলে রবিবার দুপুরের গল্পে ফিরে আসি। গতকাল আমি কলকাতাতে এসেছি বাড়িতে বোরিং লাগছিল। মাঝে মাঝেই কলকাতায় বোনের কাছে এসে থাকি কিছুদিন মাইন্ড ফ্রেশ করার জন্য ঘোরাঘুরি করি ।একটু বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করি। তাই গতকাল রাতেই একটা প্ল্যান বানিয়ে ফেললাম। আমার এক দিদিকে পি. সি.চন্দ্র জুয়েলার্সের থেকে ইনভাইটেশন এসেছিল। ওই যারা রেগুলার কাস্টমার হয়, বছরে একবার পি. সি.চন্দ্র জুয়েলার্সের তরফ থেকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে। তো আমার সেই দিদি এই বছরেও ইনভাইটেশন পেয়েছিল। দিদি বললো আমায় দিদির সঙ্গে যেতে। ভাবলাম খাওয়া দাওয়াতে কখনও না করতে নেই। তাই সকাল সকাল উঠে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম দিদির বাড়ির উদ্দেশ্যে। একটা লোকাল ট্রেনে উঠলেই দিদির বাড়ি। ১১টা নাগাত দিদির বাড়িতে পৌঁছে একটু ফ্রেশ হয়ে সেজেগুজে বেরিয়ে পড়লাম ভুরিভোজের উদ্দেশ্যে। কে কে গেছিলাম বলে দেই আমি দিদি আর দিদির ভাই। আমরা তিন জনে মিলে রওনা দিলাম। যখন বেরোচ্ছি দেখি আকাশ মুখ ভার করে বসে আছে।আকাশ মনে ভাববেন না যেন কারুর নাম। আকাশ মানে আমাদের সবার আকাশ, কালো হয়ে মেঘ করেছিল। এই বুঝি বৃষ্টি নামে। আর বৃষ্টি নামলে সব সাজগোজ নষ্ট হয়ে যাবে তো। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি করে পৌঁছে গেলাম গন্তব্যস্থলে।

IMG_20220807_132157__01-01.jpeg
ওখানে পৌঁছেই খাওয়া দাওয়া ভুলে মুগ্ধ হয়ে জুয়েলারী দেখা শুরু করলাম। কত রকম রকম এর জুয়েলারী। এখানে একটা কথা বলে রাখি আমার আবার জুয়েলারী জিনিসটা খুব একটা পছন্দ না। আর সত্যি কথা বলতে সোনার প্রতি ততো আকর্ষণ নেই। কিন্তু আজ পি. সি.চন্দ্র জুয়েলার্সের কালেকশন দেখে মন ভরে গেলো। তো যাই হোক জুয়েলারী দেখে চোখ জুড়িয়ে এদিক ওদিক ঘুরছি তখন ই চলে এলো স্টার্টার। স্টার্টার এ ছিল বেবি কর্ন আর চিকেন পাকোড়া সঙ্গে কফি। ওই খাচ্ছি আর ঘুরে ঘুরে একটু সব পরে পরে দেখছি। তারপর ঐ ১.৩০ নাগাদ মধ্যাহ্নভোজের জন্য যেতে বলা হলো আমাদের।আমরা সবার আগে পৌঁছে স্টার্ট করে দিলাম খাওয়া। শুভ কাজে তো দেরি করা যায়না বলুন।

IMG_20220807_134316__01.jpg
তাহলে মেনুতে কি কি ছিল বলি: প্রথমেই ছিল তন্দুরি পমফ্রেট সঙ্গে সস। জাস্ট অসাধারণ ছিল। তারপর ছিল বেবি নান সাথে চিলি চিকেন। সত্যি বলতে আমার খুব একটা ভালো লাগলো না চিলি চিকেনটা। একচুয়ালি চিলি চিকেন ওয়ান অফ মাই ফেভারিট ডিশ। তাই ওটা পারফেক্ট না হলে ঠিক ভালো লাগেনা। যাই হোক চিলি চিকেন থেকে এবার সামনের দিকে এগোই। মেইন কোর্সে ছিল সাদা ভাত সঙ্গে খাসির মাংস কষা। উফ্ যা সুন্দর রান্নাটা করেছিলোনা জাস্ট দারুন। আমি যদিও খাসির মাংস খুব একটা পছন্দ করিনা কিন্তু ভালো ভাবে যদি রান্না হয় তাহলে আমাকে আর কে ধরে। তাই ডবল টাইম চেয়ে নিলাম খাসির মাংস। ছবি তোলা হয়নি কারণ খাওয়াতে ব্যাস্ত ছিলাম।তারপরে ভদ্রতার জন্য ভাবলাম না থাক আর খাওয়া যাবে না। তারপর শিফট করে গেলাম শেষ পর্বতে। ডেজার্ট। ডেজার্টে ছিল চাটনি পাঁপড় আর দুরকমের মিষ্টি। এটারও ছবি তোলা হয়নি। খাওয়া শেষ করে একটু এদিক ওদিক দেখে বেরিয়ে এলাম। তার পর ইচ্ছে হলো একটু ফল কিনি। আমি কখন ও কিউই খাইনি। আজ হঠাৎ দেখতে পেয়ে মন হলো ট্রাই করি। তাই যেমন ভাবা তেমন কাজ।

IMG_20220807_143915.jpg
কিনে ফেললাম কিউই সঙ্গে ড্রাগন ফ্রুট, কমলালেবু, নেস্পাতি, পেয়ারা, আপেল। আমার ফ্রুটস বেশ ভালই লাগে। কেনাকাটা শেষে জলদি জলদি বাড়ী ফিরলাম। মানে দিদির বাড়ী। কেন? কারণ প্রচুর রোদ। ভাবলাম বৃষ্টি হবে কিন্তু কিছু হলো না।উল্টে রোদ উঠে গেলো।তারপর আর কি ফিরে এলাম বাড়ী। এসে প্রথমেই কিউইটা ট্রাই করলাম। সত্যিই আমার ভালো লাগলো খেয়ে। বেশ মিষ্টি ছিলো আর টেস্টটাও দারুন। তো খাওয়া পর্ব শেষ করে ঘুম দিলাম। তো এই ছিল আজকের আমার রবিবারের দুপুর। আবার নতুন কিছু এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করতে আবার চলে আসবো। সবাই ভালো থাকুন।সঙ্গে থাকুন।ভালো লাগলে কমেন্টে অবশ্যই জানান।আবার আসিব ফিরে। শুভ রাত্রি।

Sort:  
 2 years ago 
কর্ম জীবনে ছুটির দিন মানে অনেক আনন্দ মনের ভিতরে এসে দোলা দেয় । সেই আনদের সাথে বাড়তি হিসেবে যদি যোগ হয়ে যায় কোথাও বেড়াতে যাওয়া সাথে পছন্দনীয় কিছু খাবার তাহলে তো আর কোন কথায় নেই । কতটা উপভোগ্য ছিল আজকের এই দিনটি তা আপনার হাসি মুখ দেখেই কিছুটা আন্দাজ করতেই পারছি । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এরকমই আরো ছুটির দিনের সুন্দর মুহূর্ত আবারও শেয়ার করবো।।সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ছুটির দিনগুলো আমিও উপভোগ করার চেষ্টা করি। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুন সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।

ছুটির দিনগুলোই এমন হয়। ছুটি মানেই সুন্দর সময় কাটানো বিনা কোনো বাধায়।চেষ্টা করবো আবারও কোনো ছুটির দুপুরের গল্প শেয়ার করার। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

কর্মজীবন মানেই ছুটির দিনে অনেক আনন্দ এবং মজা উপভোগ করে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেখলাম আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছুটির দিনের সময় কাটিয়েছেন তা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই যে আপনি এতটা সময় দিয়েছেন আমার লেখাটি পড়ার জন্যে। আশা করি আরো নতুন লেখা আবারও শেয়ার করব। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58664.80
ETH 2569.75
USDT 1.00
SBD 2.42