শীতকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফী
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার,২৪ডিসেম্বর ২০২৩ ইং
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে শীতকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
আমরা ইতোমধ্যেই হয়তো জানি শীতকাল সব ঋতুর সেরা ঋতু । শীতকালে এক অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নতুন সাজে সজ্জিত হয়। সবুজ ঘাসের ডগায় ডগায় শীতের বিন্দু বিন্দু কনা সোনার মতো সৌন্দর্য ছড়ায়। শীতকালে বিভিন্ন ফুল ফোটার আমেজ উঠে, আর এই ফুলের মধু নেয়ার জন্য মৌমাছিরা ফুলের গাছে গাছে ভীড় জমায়। মাঠে ঘাটে বিভিন্ন শাক সবজি চাষে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে।অন্যদিকে বাংলার গ্ৰাম গুলোতে সকাল বেলা পিঠা পুলি বানানোর আমেজ উঠে।সকাল বেলা ছেলেরা খেজুর রস খাওয়ার জন্য খেজুর গাছের মধ্যে উঠে খেজুর রস নামায়। সব মিলিয়ে শীতের ঋতু অন্যান্য সকল ঋতুর থেকে সেরা। আমার মনে হয়, শীতকালের মতো অন্যান্য ঋতুতে এতো উৎসব আনন্দ হয় না।
শীতকালে নদী-নালার পানি গুলো অনেক বেশি স্থির থাকে, সে সময় নদী নালার পানিতে কোন প্রকার স্রত ও ঢেই থাকে না।আর সকাল বেলা নদী-নালার পানি থেকে জলীয় বাষ্প বের হয়ে আকাশের মধ্যে উঠে যায়। শীতকালে নদী নালার পানি প্রচন্ড পরিমানে ঠান্ডা হয়ে থাকে, ফলে গ্ৰামের মানুষের গোসল করতে একটু অসুবিধা হয়ে যায়, তখন অনেকেই গরম পানি করে গোসল করে। বিকাল বেলা নদীর চরে ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে, সে সময় নদীতে যখন সূর্যের প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে তখন সেই দৃশ্য দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। শীতকালে বাংলাদেশে প্রায় অনেক নালা গুলোতে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। অনেকেই সেই পাখি গুলো শিকার করার জন্য চেষ্টা করে, কিন্তু আমাদের সেই পাখি গুলো শিকার করা মোটেও ঠিক নয়।
শীতকালে বাংলাদেশের প্রায় মাঠ ঘাট গুলো ফাকা থাকে, তখন কৃষকরা খুব বেশি একটা ফসল আবাদ করে না, আবার কোন কোন কৃষক রবি মৌসুমের কিছু ফসল উৎপাদন করে থাকে। তবে তা খুব কম সংখ্যক কৃষক আবাদ করে থাকে। তখন অধিকাংশ গ্ৰামের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন খেলা ধুলা করার জন্য ফাঁকা ফসলের মাঠে,মাঠ তৈরি করে থাকে এবং তারা সকাল বেলা এবং সন্ধ্যা বেলায় বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়ে থাকে। যেমন :- ছেলেদের জন্য ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলা , আর মেয়েদের জন্য গোল্লাছূট খেলা। সকাল বেলা মাঠে ঘাটে বেড়াতে গেলে, শীতকালীন পরিবেশ উপভোগ করা যায়। এরকম সুন্দর সুন্দর পরিবেশ শুধু মাত্র বাংলার গ্ৰাম গুলোতে দেখতে পাওয়া যায়, শহরের মধ্যে এরকম সুন্দর পরিবেশ এবং উৎসব আনন্দ নেই। শীতকালে শহরের থেকে গ্ৰামের মানুষ একটু বেশি আনন্দ উপভোগ করে থাকে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/Riyad9424187819/status/1738814222769999890?t=7xCcvOHDuXGiyusPePzIvg&s=19
শীতকালীন প্রকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলে শীতকালটা অন্যান্য ভেতর থেকে সম্পূর্ণই আলাদা। এই সময়ে একদিকে যেমন মাঠ সবুজে ভরে ওঠা ঠিক তেমনি ভাবে অন্যদিকে কৃষকের মাঠ খালি হয়ে যায়। চারিদিকে নবান্ন উৎসব শুরু হয় এছাড়া পুকুর সহ নদী নালা বিলের পানি গুলো একদম স্থির থাকে। চমৎকার কিছু শীতকালীন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া শীতকালে গ্ৰামে এমন দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
শীত কালে কেমন জানি প্রকৃতি খুবই সুন্দর ভাবে সেজে উঠে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলি অনেক সুন্দর হয়েছে। সত্যি অসাধারণ। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে অপরূপ সৌন্দর্যে সেজে উঠেছে বাংলার প্রাকৃতিক প্রকৃতি ।
শীতকালীন ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে, বিশেষ করে আকাশের সূর্যের সেই কিরণ গুলো কিন্তু বেশ দারুন লাগছে সবগুলো ফটোগ্রাফির মধ্যেই।
আমার ফটোগ্রাফী গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
শীতকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো আপনি দারুণভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বিশেষ করে বিকেল বেলা শীতের দিনে এমন পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে খুবই ভালো লাগে। শীতকালে ফসলের মাঠগুলো বেশিরভাগই ফাঁকা থেকে যায়।
জি আপু শীতকালে মাঠ ঘাট সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকে।
শীতকালে প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো যত দেখি ততই ভালো লাগে। আপনার আজকের এই সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।