ভ্রমণ পোস্ট: দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ০২ ই মার্চ ২০২৪ ইং
তাই তো চলে এলাম
স্বপ্নের স্বপ্নপুরী
ক্যানভা অ্যাপস
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই পর্যটন কেন্দ্রটির সাথে সুপরিচিত। কেউ কেউ নিজের চোখে দেখে না থাকলে ও ভিডিও এর মাধ্যমে দেখেছেন এই পার্ক। এই পার্কটি বেশ অনেক পুরনো। আপনারা একটি বিষয় জানলে অবাক হবেন যে, এই পার্কটির মালিক বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য।যার নাম শিবলী সাদিক। আপনারা এই লোক টিকে ভালো ভাবে চিনেন।এই পার্কটি আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ বিনোদন পার্ক। বর্তমান এই পার্কটি বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে পরিচিত। আমি আজকে এই পার্কের কিছু সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আমি এবং আমার এক বন্ধু সহ দীর্ঘ দিন ধরে প্লান করছিলাম যে, আমরা দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী ভ্রমণ করতে যাবো।তো হঠাৎ করে আমরা দুই বন্ধু প্লান করে চলে আসলাম স্বপ্ন পুরী। আমরা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।তাই একটু তাড়াতাড়ি স্বপ্নপুরীর মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা প্রথমে এসে দেখতে পারলাম, গেটের সামনে প্রচন্ড পরিমানে ভীড় জমে গিয়েছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে আসা শিক্ষা সফর এর কারণে বর্তমান একটু একটু বেশি ভীড় জমেছিল।তো আমরা প্রথমে টিকেট কাউন্টারের মধ্যে গিয়ে দুটি টিকেট কেটে নিলাম। সাধারণ মানুষের টিকিটের মূল্য প্রতিজন একশত টাকা।আর যানবাহনের জন্য আলাদাভাবে ফি আদায় করা হয়। আপনারা চাইলে আপনার বাইক কিংবা প্রাইভেট অথবা বাস নিয়ে সরাসরি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। কেননা ভিতরে গাড়ি পার্কিং এর জন্য বিশাল পরিমাণ জায়গা রয়েছে। এরপর আমরা দুজন ভিতরে প্রবেশ করলাম।
প্রথমে আমরা প্রবেশ করে একটি বিশাল রাস্তা দেখতে পারলাম।এই রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ দিয়ে রাস্তা টি সাজানো।আর এই রাস্তা টি দুই ভাগে বিভক্ত।ডান পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়ি পার্কের ভিতরে প্রবেশ করে আর বাম পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়ি বাহির হয়ে যায়।এই পার্কটি কত বড় সেটি আপনারা ভিতরের রাস্তাটি দেখলে অনুমান করতে পারবেন। আমি এর আগে ও বেশ কয়েকবার এই পার্কের মধ্যে আসছিলাম। তবে এখন আগের থেকে অনেক কিছু পরিবর্তন করছে।যত দিন যাচ্ছে তত বেশি উন্নত করে তুলেছে।
এরপর আমরা পার্কের একদম মাঝ বরাবর প্রবেশ করলাম। সেখানে একটু এগিয়ে দেখতে পারলাম একটি বিশাল বড় পুকুর।আর এই পুকুরের মধ্যে বেশ অনেক গুলো পানীয় যানবাহন রয়েছে। অনেকেই তার প্রিয় মানুষটি কে সাথে নিয়ে এই যানবাহন গুলোতে উঠে দুজনে খুব সুন্দর ভাবে চালাচ্ছে এবং মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা সকল দুঃখ কষ্ট এবং ভালোবাসা দুজনের মধ্যে আদান প্রদান করছে। আবার কেউ কেউ তাদের বন্ধুদের নিয়ে এসে এই পুকুরের মধ্যে নৌকায় করে ঘুরছে।আর এই পুকুরের পানি গুলো একদম চকচকে পরিস্কার, একদম ময়লা বিহীন পানি।
উপরের চিত্রটির মাধ্যমে আপনারা যে দৃশ্য টি দেখতে পারছেন এটি স্বপ্নপুরীর একটি আকর্ষণীয় দৃশ্য।এটি মূলত তার দিয়ে চলাচল করে।আর এইখানে উঠতে হলে বুকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সাহস থাকতে হবে। আর যারা দুর্বল মানুষ তাঁরা এইখানে উঠলে অনেক রকমের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আমি একবার এই জায়গার ওপর উঠেছিলাম, আমার তেমন একটা ভয় লাগেনি।আর এটি চার তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর উপর দিয়ে চলাচল করে ।
উপরের চিত্রটির মাধ্যমে আপনারা যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত একটি সাপের মাথা। মূলত এটির ভেতর দিয়ে ট্রেন যাতায়াত কর। পুকুর পাড়ের চার দিক দিয়ে ট্রেন লাইন রয়েছে। আর এই ট্রেনটি তেমন কোন বড় ট্রেন নয়। এটি শুধুমাত্র ছোট বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য একটি ট্রেন।
উপরের চিত্রটির মাধ্যমে আপনারা যে দুটি ফটোগ্রাফী দেখতে পারছেন এটি হচ্ছে একটি মৎস জগত। আর এখানে প্রবেশ করতে হলে আলাদাভাবে টিকিট কাটতে হয়। এখানকার টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। এখানে প্রবেশ করতে পারলে সকল প্রকার মাছের সাথে পরিচিত হওয়া সম্ভব।আর সকল প্রকার মাছ এই মৎস্য জগতের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। আপনাদের মধ্যে যাদের মাছের ব্যাপারে কোন ধারণা নেই, তারা এই মৎস্য জগতের মধ্যে প্রবেশ করে সকল প্রকার মাছের সাথে পরিচিত হতে পারবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/riyad_xx2/status/1763829011858202695?t=UpDYggZ-GtSC1dsbHpasww&s=19
স্বপ্নপুর ঘুরতে গিয়ে দেখে অনেক মজা করেছেন। আমার এখনো স্বপ্নপুর যাওয়া হয়ে ওঠেনি তবে আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ সুন্দর। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
স্বপ্নপুরীর সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর। উত্তর বঙ্গের মধ্যে বর্তমান স্বপ্নপুরী একটি শ্রেষ্ঠ বিনোদন পার্ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন প্রায় স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এই পার্কের মধ্যে শিক্ষা সফর আসে।
এই পার্কটি আমি ফেসবুকের পোস্টে দেখেছিলাম। এত সুন্দর পার্কটি আমার তো দেখে এখনই মন বলছে যেতে। বিশেষ করে ভাইয়া গাছগুলোকে এত সুন্দর করে প্রেজেন্টেশন করা হয়েছে এবং ওপরে এই স্বপ্নপুরের বেশ আকর্ষণীয় দৃশ্য আমাকেও মুগ্ধ করলো। পানির উপর দিয়ে মানুষ চলে যাচ্ছে হেবি সুন্দর লাগতেছে। দারুন ছিল।
আসলে এই পার্কটি একটি ভাইরাল পার্ক।এই পার্কের মধ্যে প্রতিদিন অনেক ব্লগার এবং ইউটিউবার এসে ভিডিও করে নিয়ে যায়।যত দিন যাচ্ছে এই পার্কের তত বেশি উন্নত হচ্ছে।
স্বপ্নপুরী ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম আমাদের বন্ধুরা মিলে ২০১৫ সালে। তবে স্বপ্নপুরীর মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পেলাম। অবশ্যই এভার গ্রামে গেলে স্বপ্নপুরী থেকে ঘুরে আসবো। পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি আজ থেকে আট বছর আগে এই পার্কের মধ্যে এসেছিলেন, জেনে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। কিন্তু বর্তমানে আসলে দেখতে পারবেন অনেক কিছু পরিবর্তন করছে।সময় করে একদিন চলে আসেন সেই স্বপ্নের স্বপ্নপুরী।
দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে ভ্রমণ করে আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি শেয়ার করেছেনদেখে খুবই ভালো লাগলো।
যদিও কখনো যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছা আছে।
তবে আশা করছি আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবো।
আমি ক্লাস সেভেনে থাকতে গিয়েছিলাম পিকনিকে।তখনই জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল। আর এখন তো আর উন্নত হয়েছে।আপনার ছবি গুলো দেখে আবার যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট টি করার জন্য।
আমাদের মেহেরপুর থেকে অনেক মানুষ স্বপ্নপুর ভ্রমণ করতে যায়। শুনেছি বেশ দেখার মত সুন্দর একটি স্থানে এখানে। অবশ্য অনেকবার সুযোগ এসেছিল তারপরে আমার যাওয়া হয়নি। খুবই ভালো লাগলো দেখে।
দিনাজপুরে এরকম সুন্দর একটি জায়গা আছে তা আমার কখনো জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে আজকে প্রথম এই জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম। দিনাজপুরের এই স্বপ্নপুরী থেকে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং এখানে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্তও উপভোগ করেছেন৷ সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ পরবর্তীতে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো বলে আশা করি৷