ভ্রমণ পোস্ট: বিকাল বেলা নদীর চরে ঘোরাঘুরি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার,১৭ জানুয়ারী ২০২৪ ইং
বেশ কিছুদিন ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হচ্ছিল না।তাই আমি আমার রুম মেট সহ মেসের কয়েকজন বন্ধু মিলে ভাবলাম আজকে বিকাল বেলা কোথাও ঘুরতে যাবো। কিন্তু বদরগঞ্জ শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার মতো তেমন কোন জায়গা নেই, খুবই ঘন বসতি এলাকা। সম্পূর্ণ শহর মিলে একটি বিনোদন পার্ক নেই। কিছুক্ষণ পর আমার রুম মেট বললো আজকে আমরা বদরগঞ্জের একটি নদীর চরে ঘুরতে যাবো। বদরগঞ্জ শহরের মধ্যে বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে। তারমধ্যে বড় নদী মাত্র একটি। আমরা সকলে মিলে এই বড় নদীতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।এই নদীটির নাম হচ্ছে যমুনাশ্বরী নদী, এই নদীতে একটি ঘাট রয়েছে, সেই ঘাটতির নাম হচ্ছে কালিগঞ্জ ঘাটের পাড়। এখানে বিকাল বেলা বেশ অনেক মানুষ বেড়াতে আসে।তাই আমরাও ওইখানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পড়লাম।
আমাদের মেস থেকে আমাদের গন্তব্য স্থান প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে।তাই আমাদের এতোদুর পথ হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা সবাই মেস থেকে বের হয়ে দুইটি রিকশা দাড় করাইলাম। রিকশা দুটিতে আমরা সকলেই উঠে পড়লাম। আমরা মোট ছয়জন সদস্য ছিলাম।তাই আমাদের কে দুটি রিকশা ভাড়া করতে হয়েছে। দীর্ঘ আধা ঘন্টা পর রিকশা ওয়ালা আমাদের কে কালিগঞ্জ ঘাটের পাড়ে নামিয়ে দেন। আমরা রিকশা ওয়ালা কে তাদের ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। আমরা একটু সামনের দিকে এগিয়ে দেখতে পারলাম নদীতে তেমন একটা পানি নেই। কিছু কিছু জায়গায় চর বের হয়েছে, আবার কোথাও একটু হালকা বেশি পানি। নদীতে স্রতের পরিমাণ খুবই কম, খুবই ধীরে ধীরে স্রত বয়তেছে।
বেশ অনেক গুলো জায়গায় চর ভেসে উঠেছে এবং সে জায়গা গুলোতে বালু বের হয়েছে। অনেকে এই বালু উত্তোলনের কাজে ব্যস্ত।আর এই ঘাটের পাড়ের সব থেকে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে বাশের তৈরি ব্রিজ।এই ব্রিজের মাধ্যমে ওই এলাকার মানুষেরা নদী পারাপার হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এই ব্রিজের মাধ্যমে নদী পারাপারের সুযোগ হয়না, তখন পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন আবার নৌকার মাধ্যমে নদী পারাপার হতে হয়। আবার নদীর পানি কমিয়ে আসলে ব্রিজের মাধ্যমে নদী পারাপার শুরু হয়ে যায়। আমরা চারদিকে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই সূর্য লাল হয়ে যায়।আর তখন আমার সূর্যের এমন দৃশ্য দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। আমরা শীতকালে সূর্য কে বিভিন্ন রুপে দেখতে পাই। কিছুক্ষণ পর আমরা ঘোরাঘুরি শেষ করে চলে আসলাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
পড়ন্ত বিকেলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটতে পারলে বেশ ভালো লাগে। প্রকৃতির মুহূর্ত গুলো অনুভূতি সত্যি বেশ অসাধারণ। এতো চমৎকার কিছু প্রাকৃতিক পরিবেশের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
https://twitter.com/Richard4433gg/status/1747547615808585838?t=tuZbkAG4bCFOG9r7RmFJGQ&s=19
পড়ন্ত বিকেল এমন পরিবেশে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি আর ফটোগ্রাফি গুলাও বেশ দারুন ছিল।
জি ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি সময় অতিক্রম করেছি।
নদীর ঘাটে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা অন্যরকম। কিছুদিন আমিও এরকম নদীর ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে আপনারা তো দেখছি ছয়জন মিলে একসাথে গিয়েছেন। কয়েকজন মিলে একসাথে ঘুরতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করতে পারা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক দারুন লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম ছবিটা খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনারা অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
জি আপু এই রকম পরিবেশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।তাই কিছুদিন পর পর এই রকম পরিবেশ গুলোর মধ্যে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি।আর বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি করলে এমনিতেই অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমার তো এরকম সুন্দর ঘোরাঘুরির পোস্টগুলো দেখলে বেশি ভালোই লাগে। কারণ ঘুরাঘুরি করলে মনটা অনেকটা ফ্রেশ থাকে। তাই আমাদের সবার মাঝে মধ্যে ঘুরাঘুরি করা অনেক দরকার। আর আপনারা অনেকেই মিলে ঘুরতে গিয়েছেন ওখানে গিয়ে বেশ মজাই করলেন। তাছাড়া এরকম ব্রিজটা দেখে আরো ভালো লাগলো। কারণ এই রকম ব্রিজ আমি আগে কখনো দেখিনি। আমার কাছে একেবারে নতুন লাগলো এই ব্রিজটা দেখে। ঘুরাঘুরির পাশাপাশি ভালই ফটোগ্রাফি করলেন।
জি ভাইয়া ঘোরাঘুরি করলে মন যতোই খারাপ থাক না কেন! মন আপনা আপনিই ভালো হয়ে যায়। এজন্যই মন খারাপের সময় আমাদের ঘোরাঘুরি করা উচিত। ঘোরাঘুরি করলে চারদিকের পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
ঘোরাঘুরি করতে সকলের ভাললাগে৷ ঘোরাঘুরি করলে মনের মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ আমিও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করার জন্য যাই৷ আজকে আপনি নদীর পাড়ে গিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘোরাঘুরির মুহুর্ত শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আর এখানে আপনি যে ব্রিজ শেয়ার করেছেন তা আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে প্রথম দেখলাম৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে৷
কি যে দারুণ মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ ভাইয়া নদীর। অসম্ভব চমৎকার লাগছে ফটোগ্রাফিতে।
যমুনাশ্বরী নদীর উপর দিয়ে দারুণ চমৎকার বাঁশের ব্রিজ বানিয়ে দেখছি।ডুবন্ত সূর্যের প্রতিচ্ছবি নদীর জলে জ্বল জ্বল করছে।সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর এক পরিবেশ। ধন্যবাদ ভাইয়া বন্ধুদেরকে নিয়ে জমুনাশ্বরী নদীতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভুতি ও ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।