মেসের বাজার করার অনুভূতি (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে মেসের বাজার করার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
আপনারা অনেকেই ইতোমধ্যে জানেন যে মেসে থাকতে হলে মাসে একবার হলেও বাজার করতে হবে।এটা বাধ্যতামূলক সবার জন্য।যারা মেসে থাকেন তাঁরা এই বিষয় সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। এককথায় যারা ব্যাচেলর রয়েছেন,তারা কোন না কোন মেসের সাথে সংযুক্ত রয়েছেন।আর মেসে থাকতে হলে বাজার করার যোগ্যতা থাকতে হবে। কেননা বাজার করতে না পারলে অনেক টাকা জরিমানা দিতে হয়।এই আইনটি প্রায় সকল মেসেই কার্যকর রয়েছে। আবার মেস ম্যানেজারের কথা মতো বাজার করতে হবে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট বর্ডার থাকে,এই বর্ডারের উপর নির্ভর করে বাজার খরচ।যদি কোন দিন ত্রিশ জন বর্ডার মিল চালু করে তাহলে ৩০×৪০= ১২০০ টাকা। আমাদের মেসের মিল চার্জ ৪০ টাকা। আর এই বারোশ টাকার মধ্যে আপনার বাজার শেষ করতে হবে।যদি আপনি এর বেশি টাকার খরচ করে ফেলেন তাহলে আপনার পকেট থেকে টাকা দিতে হবে। আপনারা হয়তো অনেকেই এই বিষয়ে পুরোপুরি জানেন।
আমাদের মেসের নিয়ম হচ্ছে সকাল দশটার মধ্যেই বাজার শেষ করতে হবে।এর একটু দেরি হলে ৫০ টাকা জরিমানা । আমরা দুই বন্ধু সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই মেস ম্যানেজারের থেকে তিরিশ জন বর্ডারের ১২০০ টাকা নিয়ে, আমরা বদরগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।মেস থেকে বের হয়ে একটি রিকশাতে উঠলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমাদের কে বাজারে এসে নেমে দিলো। আমরা রিকশা ওয়ালা কে টাকা দিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করলাম।
প্রথমে আমরা একটি চেনা পরিচিত মোদির দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে প্রথমে এক লিটার সয়াবিন তেল নিলাম, তারপর বিশ টাকার করে তিন প্যাকেট ডাল নিলাম, তারপর মসলা নিয়ে নিলাম। এরপর এক কেজি লবণ নিলাম। এরপর আমরা দোকানদার কে হিসেব করে টাকা দিয়ে দিলাম। এখন আমরা হিসাব করতে লাগলাম কিভাবে খরচ করলে আমাদের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে না।
এরপর আমরা মাছ কেনার জন্য মাছ হাটিতে মাছ দেখতেছিলাম। হঠাৎ এক মাছ দোকানদার আমাদের কে ডাক দিয়ে বলে আপনারা কি মাছ নিবেন। আমরা বললাম মেসের জন্য মাছ নিবো,যেটা ভালো হবে সেটা আমাদের কে দেন। পরে দোকানদার আমাদের কে একটি মাছ দেখায়, আমরা সেই মাছটি দাম ঠিক করে নিয়ে নেই। এরপর আমরা দোকানদার এর থেকে মাছ গুলো কেটে তিরিশ পিছ করে নেই, কেননা আজকে আমাদের তিরিশ জন বর্ডার।
এরপর আমরা কাচা বাজারে গেলাম। সেখানে গিয়ে একটা বড় দোকানে সাত কেজি আলু,তিন কেজি পটল, দুই কেজি টমেটো,তিন কেজি বেগুন,এক কেজি বরবটি,এক কেজি পেঁয়াজ,বিশ টাকার রশুন এবং দুটি পুঁই শাকের আঁটি নিয়ে নিলাম এখন আমাদের বাজার প্রায় শেষ।
এখন আমরা একটি রিকশা ঠিক করে মেসে চলে আসলাম।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
Photographer | @riyadx2 |
Location | Badargonj, Rangpur |
একদম ঠিক বলেছেন যারা ব্যাচেল র লেখাপড়া বা যে কোন কাজের ক্ষেত্রে মেসে থাকলে তাকে মাসে একবার হলেও বাজার করতেই হবে। অনেক করেছি আপনার বাজার করার অনুভূতির গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া আপনি দেখছি সব জানেন
মেসের বাজার করার অনুভূতি পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। যদিও মেস সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নেই, কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই বিষয়টা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। মেসে থাকলে মাসে একবার হলেও বাজার করতে হবে এটা জানা ছিল না। প্রয়োজনের থেকে বেশি টাকা খরচ করলে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে এই ধরনের ব্যাপার গুলো আগে জানতাম না। অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম এবং জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। অনেক বাজার করেছেন দেখছি। সম্পূর্ণটা বেশ ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া মেসের বাজার করতে একটু বেশি ভালো লাগে
আসলে এটা ঠিক বলেছেন মেসে থাকতে হলে প্রতি মাসে একবার হলেও বাজার করা লাগবে। আমি যেহেতু মেসে ছিলাম আগে তাই এটার প্রতি অনেক ভালো ধারণা রয়েছে। মেসের জন্য অনেক কিছুই যাবতীয় জিনিসপত্রের কেনাকাটা করেছেন দেখছি। আসলে একটা নির্দিষ্ট টাইম দেওয়া হয় মেসে বাজার করার জন্য। আপনার অনুভূতির গল্পটা পড়ে বেশ ভালোই অনুভব করলাম। খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
জী আপু,আপনিও মেসে ছিলেন তাহলে
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.