লাইফ স্টাইলঃ শীতের সকাল বেলা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার,২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ইং
শীতের সকাল মানেই কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের সকাল বেলা থাকে না কোনো রোদ, থাকে না কোনো আলো। থাকে শুধু কুয়াশা ভরা আঁধার।আর এমন সকালে একদিকে যেমন ঘোরাঘুরি করা আনন্দের অন্যদিকে তেমন কষ্টকর।কারণ, শীতের সকালে কুয়াশা ভরা আঁধারের মধ্যে হাটা চলা করতে বেশ ভালো লাগে। অন্যদিকে এই কুয়াশা ভরা আঁধারের মধ্যে হাটা চলা করলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা সহ্য করতে হয়। আমার দুই দিন আগে ডাটাবেজ প্রেগামিং এর একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্র আমার বাসা থেকে প্রায় পনের কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।আর পরীক্ষার সময়সূচি সকাল দশ ঘটিকার সময় ।তাই আমি সকাল সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেই। আমি বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ একটি অটোর জন্য। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই একটি অটোরিকশা চলে আসে।
আমি অটোরিকশার মধ্যে উঠে পড়লাম।অটোর মধ্যে আরো দুজন লোক ছিল। রাস্তায় প্রচন্ড পরিমানে শীত পড়ছিলো। সামনের দিকে একটু ও দেখা যাচ্ছিলো না। অটো খুবই আস্তে আস্তে চালাচ্ছিল, কারণ শীতের কারণে শীতের কারণে সামনে একদম অন্ধকার। অটোরিকশার লাইট চালু করে গাড়ি চালাইতে হচ্ছিল। আমি অটোরিকশার মধ্যে বসে চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম , চারদিকের পরিবেশ আমার কাছে বেশ অনেক ভালো লাগছে।যে দিকেই তাকাই সে দিকেই শুধু কুয়াশা ভরা অন্ধকার। এরকম পরিবেশ দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।
বেশ কিছুক্ষণ অটোর মধ্যে জার্নি করার পর আমি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে উপস্থিত হয়ে গেলাম। তখন দেখতে পারলাম এখনো কেন্দ্রর মেইন দরজা খুলে নাই।কারণ, আমি খুবই তাড়াতাড়ি কেন্দ্রের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম। তারপর আমি একটি চায়ের দোকানে গিয়ে গিয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। কিছুক্ষণ পর আমি কেন্দ্রের প্রধান গেইটের সামনে গিয়ে দেখতে পারলাম, এখন কেন্দ্রর দরজা খুলে দিয়েছে। এখনও তেমন কোন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের মধ্যে উপস্থিত হয়নি, হাতে গোনা কয়েকজন পরিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে। আমি কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ কেনদ্র ঘোরাঘুরি করলাম।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই কেন্দ্রের মধ্যে বেশ অনেক পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে গেল। তখন সময় নয়টা তিরিশ মিনিট।তখন একজন শিক্ষক এসে আমাদের সকল পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র চেক করে হল রুমের মধ্যে প্রবেশ করায়।হল রুমে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের সকল কে খাতা দিয়ে দেয়। আমি খাতার মধ্যে সব কিছু ঠিক ঠাক করে লিখে প্রশ্ন পত্রের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন দেখছিলাম সকলে মোবাইল বের ছবি তুলতেছে, তাই আমি ও আমার ফোন বের করে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফী করে নিলাম। এরপর কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের কে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেয়। তারপর আমি খুবই সুন্দর করে পরীক্ষা দেই। পরীক্ষা মোটামুটি আমার অনেক বেশি ভালো হয়েছে। আশা করি খুব সুন্দর একটি ফলাফল আসবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/riyad_xx2/status/1751600252338233845?t=nAZcsGYeHH5Yml1Z_Y63yA&s=19
সত্যি বলতে শীতের সকাল যতই কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাক না কেন কিংবা শীতের সকাল যতই ঠান্ডা হোক না কেন পরীক্ষা দিতে হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতেই হবে। যাহোক আপনার পরীক্ষা ভালো হয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আমার। আশা করি আপনি ভালো একটি রেজাল্ট করতে সক্ষম হবেন।
জী ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন, যত বেশি শীত আসুক না কেন ঠিক সময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতেই হবে। শীতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রী আমাদের জন্য সময় পিছিয়ে দেন না।
শীতের সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার মধ্যে মনে থাকে টানটান উত্তেজনা। একদিকে ঠান্ডার কাঁপুনে আরেক দিকে পরীক্ষার টাইম হয়ে যাওয়ার ভয়। অবশ্য এই বিষয়ে দারুন এক্সপেরিয়েন্স আছে আমার। সকাল কি করে ছুটে চলতে হয়েছে গ্রাম থেকে শহরের দিকে পরীক্ষা দিতে। যাইহোক আর কারো ভালো লাগুক বা না লাগুক আমার কিন্তু দারুণ লেগেছে।
এখন চারপাশে অনেক ঠান্ডা। কুয়াশার কারণে সকালবেলা রাস্তাঘাট একদম দেখাই যায় না। এই সকালবেলা কুয়াশার মধ্যে আপনি পরীক্ষা দিতে গেলেন। আসলে আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো আপনি ভালই পরীক্ষা দিয়েছেন। আশা করি ভালো রেজাল্ট করবেন। আর শীতের সময় বাহির হতে অনেক কষ্ট তবে সকালের অনুভূতি ভিন্ন রকম হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।