ফুলের নার্সারিতে গিয়ে কাটানো কিছু সময়

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে ফুলের নার্সারিতে গিয়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমি ইতোমধ্যে বদরগঞ্জ এলাকার বেশ কয়েকটি ফুলের বাগানের তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি বদরগঞ্জের আরেকটি বিখ্যাত ফুলের বাগানের কিছু সৌন্দর্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে আমার ফুলের ফটোগ্রাফী করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।তাই আমি একটু সময় পেলেই, বিভিন্ন ভাবে ফুলের বাগানের সন্ধান করি এবং সেখানে গিয়ে ফটোগ্রাফী করার চেষ্টা করি। আসলে কেন জানি ফুল দেখলে আমার মনের মধ্যে অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করে।আর সেজন্যই আমি ফটোগ্রাফী করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।প্রায় বেশির ভাগ মানুষের ফটোগ্রাফী করা হচ্ছে একধরনের শখ।আর তারা সেই শখের বসেই ফটোগ্রাফী করে থাকে।

বেশ কিছুদিন ধরে আমি ভাবছিলাম,একটি ভালো নার্সারির খোঁজ পেয়ে গেলে‌ সেখানে আমি ফটোগ্রাফী করতে যাবো। তারপর আমি আমার বেশ কয়েকজন বন্ধুর কাছে থেকে সাহায্য নেই। তারপর আমার বন্ধুরা বেশ কয়েকজন আমাকে কয়েকটি নার্সারির সন্ধান দেয়। যেহুতু বর্তমান আমি গ্ৰামের মধ্যে আছি, সেহেতু আমাকে আমার গ্ৰামের ছেলে কে নিয়ে ফটোগ্রাফী করার জন্য ফুলের নার্সারিতে যেতে হবে। এরপর আমি আমার বন্ধুর সন্ধান দেয়া একটি নার্সারিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। আমার একাই যাওয়ার ইচ্ছা করছিল না, তাই আমি আমার গ্ৰামের এক ছোট ভাই কে সাথে নিলাম, তার যাওয়ার আগ্ৰহ ছিল অনেক। আমরা যে নার্সারিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, সে নার্সারি টি আমার বাসা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই আমি আমার গ্ৰামের ছোট ভাই সহ একটি ভেনে করে নার্সারি তে পৌঁছালাম।

আমরা প্রথমে নার্সারিতে প্রবেশ করার জন্য, নার্সারি মালিক এর সাথে কথা বলে অনুমতি নিয়ে নিলাম। নার্সারি মালিক নার্সারির মধ্যে প্রায় সব সময় উপস্থিত থাকে। কেননা দিনের বেলা সব সময় ফুল কেনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় থেকে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চলে আসে, তাই নার্সারি মালিক নার্সারির মধ্যে একটি ছোট ঘর তৈরি করেছেন, আর এই ঘরের মধ্যে সে সব সময় থাকে। বিশেষ করে রাতের মধ্যে ও নার্সারির মধ্যে থাকতে হয়, কেননা রাতের মধ্যে ফুল চুরি হয় । এরপর আমরা দুজন নার্সারির মধ্যে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করে দেখতে পারলাম, নার্সারি টি বেশ অনেক বড়।আর এই নার্সারির মধ্যে প্রায় সব ধরনের ফুল রয়েছে।

আমরা দেখতে পারলাম প্রতিটি ফুলের গাছের মধ্যে ফুল ফুটেছে।আর শীতকালে সব ধরনের ফুল ফুটে। ফুল বাগান মালিকের কাছে থেকে জানতে পারলাম, শীতকালে সব থেকে বেশি ফুল ফুটে এবং ফুল বিক্রি হয়। তবে বসন্ত কালের শেষ পর্যন্ত ফুল গাছে ফুল ফুটে।বাকি সময়ে ও ফুটে কিন্তু কিছুটা কম। তবে ফুলের নার্সারিতে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়।সব সময় সকল ধরনের ফুলের গাছের দিকে খেয়াল রাখতে হয়, কেননা যদি ফুল গাছের মধ্যে কোন ধরনের রোগ বালাই দেখা দেয়, তাহলে একটি গাছ থেকে বহু গাছের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ে।ফুল গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, আবার কিছু কিছু ফুল গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু বেশি আছে।

এই নার্সারির ফুল গুলো দেখতে বেশ সুন্দর।এই নার্সারির মধ্যে গিয়ে প্রায় সব ধরনের ফুলের সাথে পরিচয় হয়েছে, ফুল বাগান মালিক আমাদের কে সব ফুলের নাম বলেছেন। আমি বেশ কয়েকটি নাম না জানা ফুলের সাথে সুপরিচিত হয়েছি। আসলে শিখার কোন শেষ নেই, সব জায়গার মধ্যে কিছু না কিছু শিখার আছে। আমি এই নার্সারির মধ্যে গিয়ে বেশ অনেক গুলো বিষয় শিখতে পেরেছি।আর নার্সারির মালিকের ব্যবহার আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Device	Redmi 10C
Camera	48 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।