এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বন্ধুরা সহ হাস দিয়ে পিকনিক। (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
প্রিয় হিন্দু ভাইদের কে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বন্ধুরা সহ হাস দিয়ে পিকনিক খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমরা আমাদের বন্ধুরা সহ পরিকল্পনা করেছিলাম যে, পরীক্ষা শেষ দিন আমরা সকল বন্ধুরা সহ একটা পিকনিকের আয়োজন করবো। আমাদের পরীক্ষা শেষ হয় আট অক্টোবর, দুহাজার তেইশ। আমাদের পরীক্ষা দুপুর একটায় শেষ হয়। পরীক্ষা শেষে আমরা আমাদের সকল বন্ধুদের এক জায়গায় ডেকে একটা মিটিং করেছিলাম, মিটিং এ অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে, এটা আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে। কেননা এর আগে আমরা যখন তাদেরকে পিকনিকের কথা বলছিলাম তখন সবাই রাজি ছিল। কিন্তু কাজের সময় সবাই হারিয়ে গেছে।কিছুই করার ছিল না আমাদের। যাইহোক আমাদের তো আর পিকনিক মিস করা যাবে না।পরে আমরা মোট নয়জন পিকনিক খাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা নয় জনই পিকনিক আয়োজন করার জন্য কার্যক্রম শুরু করে দেই।
পরে আমরা নয়জন ৪০০ টাকা করে দিয়ে, সর্বমোট ২৭০০ টাকা উঠে।পরে আমরা ভাবতে শুরু করলাম যে কি দিয়ে পিকনিক খাবো, টাকার পরিমাণ ও খুব কম ছিল।পরে আমাদের মাঝের এক বন্ধু হাস দিয়ে খাওয়ার কথা বললো, সবাই তার কথায় রাজী হয়ে যায়। তারপর আমরা সব বন্ধুরা সহ হাস কেনার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা বাজারে প্রবেশ করলাম। হাঁসের বাজারে গিয়ে বড় বড় চারটি হাস কিনে ফেললাম। তারপর রান্না করার পরিমাণ মতো যাবতীয় খরচ করে ফেললাম। বাজার করে প্রায় সব টাকা শেষ।
বাজার শেষ করে আমরা বাজার গুলো আমাদের স্যারের বাসায় পাঠিয়ে দিলাম। কেননা আমরা আগে থেকেই ঠিক করে রাখছিল যে, আমরা আমাদের পিকনিক টা স্যারের বাসায় করবো,আর স্যারের ওয়াইফ এর রান্না অনেক ভালো।তাই আমরা বিকালের মধ্যে সকল প্রকার বাজার স্যারের বাসায় পাঠিয়ে দেই।স্যারের ওয়াইফ সুন্দর করে রান্না করে। রান্না শেষ হলে স্যার আমাদের কে কল করে ডাক দেয়, আমরা সকলে একখানে হয়ে এক সাথে স্যারের বাসায় যাই।সময় তখন রাত ৯ টার একটু বেশি হবে। গিয়ে আমরা দেখতে পাইলাম,স্যার এবং স্যারের ওয়াইফ ভাত তরকারি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে টেবিলের উপর রেখেছে।আমার তো দেখে জিহবায় জল চলে আসলো।
তারপর স্যার আমাদের খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব পালন করেন।স্যার খুবই সুন্দর করে খাবার পরিবেশন করেছিলেন, দেখে আমার অনেক ভালো লাগছিলো। একটুকরো মাংসের পিস মুখে দিয়ে টেস্ট করে দেখলাম, রান্না টা অসাধারন হয়েছিল। তারপর আমরা সুন্দর ভাবে খাওয়া দাওয়া শেষ করি। তারপর কিছুক্ষণ গল্প করে আমরা চলে আসি। দিনটি একটি অসাধারণ দিন ছিল। কখনো ভুলার মতো নয়।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote @bangla.witness as witness
https://twitter.com/Riyad9424187819/status/1715710668396224668?t=i6L8Yh790rR4QsQY-W12wg&s=19
বন্ধুদের সাথে হাস দিয়ে খুবই ভালোই পিকনিক করেছেন। স্যারের বাসায় বন্ধুরা সবাই মিলে হাঁসের মাংস খেয়েছেন একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যা আপু অনেক মজা হয়েছে