লাইফ স্টাইল: চাচাতো ভাইয়ের সাথে ফ্রিজ কিনতে যাওয়া

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে চাচাতো ভাইয়ের সাথে ফ্রিজ কিনতে যাওয়ার ঘটনা শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

দীর্ঘদিন পর আবার চলে আসলো আমাদের মাঝে গরমের দিন। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ।আর এই ছয় ঋতুতে ছয় রকমের আবহাওয়া নিয়ে চলে আসে। আসলে প্রত্যেক ঋতুই আমাদের মাঝে নতুন নতুন সৌন্দর্য নিয়ে চলে আসে। বেশ কয়েক মাস পর আমাদের মাঝে আবার গরম কাল চলে আসলো।আর এই গরম কালে যে কোন ধরনের খাবার জিনিস পত্র বাহিরে রাখলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়।সে জন্য আমাদের প্রয়োজন হয় ফ্রিজের। গরমের সময়ে ফ্রিজের মধ্যে যে কোন ধরনের খাবার জাতীয় জিনিস রাখলে একদম নিরাপদে থাকে। আসলে শীতকালে তেমন একটা ফ্রিজের দরকার হয়ে পড়ে না। কেননা শীতকালে বাহিরে খাবার রাখলেও খুব সহজে নষ্ট হয় না।

বেশ কিছুদিন ধরে আমার এক চাচাতো ভাই আমাকে ফ্রিজ কেনার জন্য বলছিল। কিন্তু তখন তার হাতে তেমন একটা টাকা ছিল না।সে জন্য সে তখন ফ্রিজ কিনতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে গরমের দিন চলে আসায়, সে ফ্রিজ কেনার জন্য কষ্ট করে টাকা জমায়। কেননা বর্তমান বাহিরে খাবার রাখলে খাবার অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।গত মার্চ মাসের এক তারিখে সে বলে ফ্রিজ কিনতে যাবে।সে আমাকে প্রশ্ন করলো কোথায় ফ্রিজ কিনলে ভালো হবে? আমি তাকে উত্তরে বললাম পালিচড়া বাজার গেলে ভালো হবে, সেখানে বেশ কয়েকটি ফ্রিজের শো রুম রয়েছে।

সে আমার কথা শুনে পালিচড়া বাজারের মধ্যে ফ্রিজ কিনতে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেল। অবশেষে আমরা বিকাল বেলা আমার চাচাতো ভাইয়ের বাইকের মাধ্যমে পালিচড়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের বাসা থেকে পালিচড়া বাজারের দুরুত্ব প্রায় তের থেকে চৌদ্দ কিলোমিটার দূরে।তাই আমাদের পালিচড়া বাজার যেতে প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট সময় লেগে যায়। কেননা গ্ৰামের রাস্তার কনডিশন খুব একটা ভালো না।

এরপর আমরা সর্ব প্রথম পালিচড়া বাজারের একটি উন্নত মানের ওয়ালটন শো রুম এর মধ্যে প্রবেশ করলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম, সেখানে বেশ কয়েকটি আপডেট ফ্রিজ রয়েছে। আমরা সব গুলো ফ্রিজ দেখা শেষ করলাম। এরপর আমরা শো রুম ম্যানেজারের সাথে কথা বললাম।সে বললো আমাদের শো রুমের মধ্যে আপাতত এই গুলো ফ্রিজ আছে। আসলে এই শো রুমের মধ্যে ফ্রিজ ছাড়া ও ওয়ালটন কোম্পানির বেশ অনেক গুলো মালামাল রয়েছে।

এরপর আমরা আরো বেশ কয়েকটি শো রুম ঘুরলাম। পালিচড়া বাজারের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ালটন শো রুম রয়েছে। আসলে এই শো রুম গুলোর মধ্যে আমাদের বাছাইকৃত পাইছিলাম না।তাই আমরা শো রুমের ম্যানেজারের সাথে কথা বললাম, তারা বললো দশ তারিখের মধ্যে চলে আসবে।তাই আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম। আবার আমাদের কে দশ তারিখের পর ওই শো রুমের মধ্যে যেতে হবে।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।