বিকাল বেলা আমাদের গ্ৰামের ছোট একটি মাঠে ঘোরাঘুরি (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের সাথে বিকাল বেলা আমাদের গ্ৰামের ছোট একটি মাঠের ঘোরাঘুরির কিছু ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের ফটোগ্ৰাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
একদিন বিকাল বেলা আমি এবং আমাদের গ্ৰামের কয়েক জন ছেলে ভাবলাম যে আমরা আজকে আমাদের মাঠে ঘুরতে যাবো,তো কয়েক জন ছেলে আমাদের কথায় রাজি হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরে আমরা সবাই বাসা থেকে রেডি হয়ে আবার একসাথে হয়ে গেলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা মাঠের মধ্যে হাঁটতে শুরু করলাম। সেদিনের আবহাওয়া ছিল সমভাবাপন্ন ,নয় গরম আবার নয় ঠান্ডা।মূলত এই সুন্দর আবহাওয়ার জন্য মাঠে ঘোরতে যাওয়া।
প্রথমে আমরা কিছু দুর পথ গিয়ে একটি বিশাল বড় বট গাছ দেখতে পেলাম।এই বট গাছ টি অনেক পুরনো একটি বটগাছ।এই বট গাছটিতে বিভিন্ন ধরনের পাখি বসবাস করে থাকে। এবং শীতকালে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি এই বটগাছে এসে বসবাস করে।এই বটগাছটি কৃষকের জন্য খুবই উপকারী একটি গাছ, কেননা কৃষকেরা কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে গেলে এই গাছের নিচে এসে বিশ্রাম নেয়।এই গাছটি একটি সরকারি গাছ।
তারপর আমরা কিছুদূর পথ এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম সম্পুর্ন মাঠ সোনালী ধানে ভরপুর। মাঠটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। হালকা বাতাসে কৃষকের সেই স্বপ্নের সোনালী ধানের শীষ দোল খাচ্ছে,এই দৃশ্য টি দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সকল কৃষক ধান কাটার জন্য নেমে পড়বে, এখন থেকে সকল কৃষক ধান কাটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে, কেননা তারা এই ধান বিক্রি করে পরিবারের সকল সদস্যের মুখে হাসি ফুটাবে।
তারপর আবার কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা আমাদের মাঠের মাঝ বরাবর চলে আসলাম, সেখানে এসে আমরা একটি ব্রিজ এবং দুটি বট গাছ দেখতে পেলাম।এই বটগাছ দুটি আমাদের মাঠের মূল সৌন্দর্য।এই বট গাছ দুটিতে সব সময় পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ চলতে থাকে। আমার মনে হয় আমাদের এলাকার যত পাখি আছে সব পাখিদের কেন্দ্রস্থল এই বটগাছ দুটি।এই বট গাছ দুটিতে প্রায় সকল ধরনের পাখি দেখতে পাওয়া যায়, এবং এই বট গাছ দুটিতে বিভিন্ন ধরনের পাখির বাসা রয়েছে, তারা সুন্দর ভাবে বাসা বেঁধে এই গাছ দুটিতে বসবাস করতেছে।
বটগাছ দুটির সাথে একটি বিশাল বড় নালা প্রবাহিত হয়েছে।এই নালা টি দেখতে আরো অনেক বেশি সুন্দর, কেননা এই নালার দুই পাড় দিয়ে আকাশমণি কাঠের গাছ লাগানো হয়েছে,তাই একটু বেশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।দুর থেকে এই নালাটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।নালার দুই পাশে গাছ গুলো লাগিয়ে একদিক দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিক দিয়ে পরিবেশের জন্য উপকার হয়েছে। আমরা সকলেই গাছ লাগানোর চেষ্টা করবো, কেননা গাছ পালা পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী।
বটগাছ দুটির পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ,এই মসজিদটির নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা মাঠে কাজ করার চাপে বাসায় গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারে না, তাদের জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। এটা খুবই একটি ভালো কাজ,যে এই কাজটি করেছেন তাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Category | photography |
---|---|
Device | Redmi 10C |
Camera | 48 MP |
Photographer | @riyadx2 |
Location | Mithapukur, rangpur |
বিকেল বেলায় মাঠে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটি শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। আসলে বিকেল বেলায় গ্রামের এরকম জায়গাগুলোতে এভাবে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত একেবারেই অন্যরকম হয়। মাঠে খুবই সুন্দর ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপনি এবং আপনার গ্রামের কিছু ছেলে। কৃষকদের জন্য নামাজ আদায়ের খুবই সুন্দর একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে এটা দেখে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো।
বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে আপনি বেশ দারুন দারুন গ্রাম বাংলার মাঠের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখতে খুবই দারুন হয়েছে। আসলে বিকেল বেলায় এরকম চমৎকার আবহাওয়ায় ঘুরলে কিন্তু মন মানসিকতা অনেক সজিব হয়ে থাকে। গ্রামে গেলে আমিও এ সময়টা অনেক বেশি উপভোগ করি। আপনার পাশাপাশি আমিও ওই লোকটিকে ধন্যবাদ জানাই যে মাঠে কাজ করা লোক এদের জন্য চিন্তা করে নামাজের একটি স্থান তৈরি করে দিয়েছেন।
আপনাদের গ্রামটি দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগছে ভাইয়া। বিকেলবেলা মাঠে ঘুরাঘুরি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করছেন। প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর ভাবে আপনি তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
বিকেল বেলায় গ্রামে ছোট মাঠে ঘোরাঘুরি করে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন। আসলে বিকালে যে কোন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। আর হ্যাঁ আপনার এই গ্রাম্য পরিবেশের মাঠ ঘাটের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে এর মধ্যে থেকে মাঠে নির্মাণ করা এই মসজিদটা দেখে সবথেকে ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের মসজিদ আমি আজকেই প্রথম দেখলাম। নিশ্চয়ই এই মসজিদের কারণে কৃষকদের অনেক উপকার হয়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।