নাটক রিভিউ: হৃদয়ে হৃদয়
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার ,০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং
স্ক্রিনশট গুলো ইউটিউব থেকে নেয়া হয়েছে
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
নাটকের নাম | হৃদয়ে হৃদয় |
---|---|
পরিচালক | এস কে শাহেদ আলী |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান, নাজনীন নীহা,এম আর আরিয়ান |
গল্প | মিজানুর রহমান আরিয়ান |
ডিরেক্টর | মিজানুর রহমান আরিয়ান |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
দৈর্ঘ্য | সাতান্নো মিনিট |
নাটোরে সংক্ষিপ্ত কাহিনী
একদা জোভানের ইউনিভার্সিটি থেকে পিকনিক যায়। পিকনিক যাওয়ার সময় বাসে জোভানের সীট একটা মেয়ের সিটের সাথে পড়ে, জোভান সারাক্ষণ শুধু মেয়েটির পাশে তাকায় আর মুচকি মুচকি হাসে, আর মেয়েটি লজ্জা পেয়ে অন্যপাশে মুখ ফিরিয়ে নেয়।বাসে জোভানের সকল বন্ধু বান্ধবীরা অনেক নাচানাচি করছিল , কিন্তু জোভান ওই মেয়েটি কে নিয়ে ব্যস্ত। মাঝপথে জোভান এবং জোভানের এক বন্ধু গাড়ি আটকে মেয়েটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়, জোভানের বন্ধু মেয়েটির ব্যাপারে সব কিছু বলে দেয়। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই তারা তাদের পিকনিক স্পটে পৌঁছে যায়। তারপর তারা সকলে মিলে একটি হোটেলে লান্স করতে যায়।লান্স করার সময় জোভান এবং ভোভানের পাশের সিটের মেয়েটি একই টেবিলে বসে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে মেয়েটা সেখান থেকে চলে যায়।
স্ক্রিনশট গুলো ইউটিউব থেকে নেয়া হয়েছে
তারপর সন্ধ্যা নেমে আসে, সন্ধ্যার সময় জোভান ও তার বন্ধুরা সহ ক্রিকেট খেলছিল, ক্রিকেট খেলার সময় জোভানের পাশের সিটের মেয়েটি (নাজনীন নীহা) তার খেলা দেখার জন্য চলে আসে, তখন জোভান ব্যাটিং করছিল। জোভানের বন্ধু বল করে, আর জোভান ছয় মেরে দেয়, তখন নাজনীন নীহা অনেক খুশি হয়ে যায় তার ছয় মারা দেখে। খেলা শেষে কিছুক্ষণ পর আবার শুরু হয়ে যায় গানের অনুষ্ঠান। গানের অনুষ্ঠানে জোভান ও তার বন্ধুরা অনেক বেশি মজা করছিল। তারপর গান শেষে শুরু হয়ে যায় নাচের সেগমেন্ট। প্রথমে নাচের জন্য নাজনীন নীহা কে স্টেজের মধ্যে তুলে দেয়। জোভান দুর থেকে নাজনীন নীহার নাচ ভিডিও করছিল।
স্ক্রিনশট গুলো ইউটিউব থেকে নেয়া হয়েছে
কিছুক্ষণ পর নাজনীন নীহাকে তার বয় ফ্রেন্ড কল করে এবং জেনে নেয় সে কোথায় আছে? নাজনীন নীহা সব বলে দেয়, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাজনীন নীহা কে তার বয়ফ্রেন্ড গাড়ি নিয়ে এসে তাকে নিয়ে যায়। তারপর জোভান ও একা মনে বাসায় চলে যায়। আবার পরদিন যখন জোভান তার ভার্সিটিতে যায়, তখন নাজনীন নীহার সাথে দেখা হয়ে যায়, দেখা হলেও তাদের মাঝে কোন কথা হয়না। একদা নাজনীন নীহা জোভানের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইলে জোভান তাকে এড়িয়ে চলে। এভাবে তাদের প্রতিদিন দেখা হয় কিন্তু তাদের মাঝে কোন কথা হয়না। কিছুদিনের মধ্যে তাদের গ্ৰাজুয়েশন কম্পিলিট হয়ে, জোভান ইউ এস এ যাওয়ার জন্য আবেদন করে। দীর্ঘ দিন ধরে জোভান এবং নাজনীন নীহার কোন দেখা হয়না।
স্ক্রিনশট গুলো ইউটিউব থেকে নেয়া হয়েছে
হঠাৎ একদিন জোভান তার ভার্সিটিতে মেইলের প্রিন্ট বের করে আনতে যায়, তখন সেখানে নাজনীন নীহা ও যায়।পরে শুনতে পারে নাজনীন নীহা ও অস্ট্রেলিয়া যাবে। তারপর আবার একদিন শুনতে পারে নাজনীন নীহার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তারপর নাজনীন নীহা এবং জোভান আবার নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে, এটা জানতে পেরে নাজনীন নীহার প্রাক্তন স্বামী জোভান কে গুলি করে, তারপর জোভান কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে সুস্থ হয়ে জোভান এবং নাজনীন নীহা সুন্দর ভাবে তাদের জীবন কে সাজিয়ে তোলে।
উক্ত নাটক হতে আমার শিক্ষা |
---|
উক্ত নাটক টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।এর আগে আমি কখনো ফারহান আহমেদ জোভান এর নাটক দেখি নাই ,তবে সর্ট ভিডিও দেখছিলাম, ওই ভিডিও দেখে ফারহান আহমেদ জোভানের নাটক দেখার ইচ্ছা জাগে।তাই আজকে আমি জোভানের একটি রোমান্টিক নাটক দেখি।এই নাটকটির মাঝে যা যা ঘটেছিল, তা আমাদের স্কুল এবং কলেজ জীবনে ঘটে। স্কুল এবং কলেজ থেকে পিকনিক গেলে এরকম সুন্দরী মেয়ে আমাদের মন কেড়ে নেয়।ঠিক জোভান ও ইউনিভার্সিটি থেকে পিকনিক যাওয়ার সময় এক মেয়ে তার মন কেড়ে নেয়, পরবর্তীতে জোভান জানতে পারে যে, মেয়েটির বয় ফ্রেন্ড আছে, পরে সে এই কথা শুনার পর ভিতর থেকে অনেক ভেঙে পড়ে। হঠাৎ একদিন মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়, এতে সে আরো বেশি ভেঙে পড়ে। একদা মেয়েটির বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর আবার মেয়েটি জোভানের সাথে জীবন সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে। তাদেরকে অনেক ঝড় অতিক্রম করে এই দিন পাওয়ার সৌভাগ্য তারা পেয়েছিল। আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা মাঝে মাঝে অনেক ঘটে।
আমার ব্যক্তিগত রেটিং |
---|
১০/০৯
নাটকের লিংক |
---|
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ |
---|
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/Riyad9424187819/status/1730855352227541174?t=3FC6ykAnrmmSfHVzxg4ZKA&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। জোভানের নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ভাই। আমার কাছে সব সময় রোমান্টিক নাটক গুলোই বেশি ভালো লাগে যেসব নাটকে প্রেম কাহিনী বেশি থাকে। মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে আবারো বিচ্ছেদ হয়ে যায় পরবর্তীতে জোভান এর সাথে সুন্দর একটি সংসার গড়ে তোলে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করার জন্য।
হৃদয়ে হৃদয় নাটকটার রিভিউ দুই একবার পড়া হয়েছে আমার। যার কারনে আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে আজকে আবারো দেখে খুব ভালো লাগলো। এই নাটকটার রিভিউ আপনি খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। এই নাটকের মধ্যে যেই কাহিনীটা ঘটেছে, এরকম কাহিনী কিন্তু বাস্তবেও ঘটে থাকে। আমি নাটকটা দেখব ভেবেছিলাম, তবে সময়ের কারণে আর দেখা হয়ে ওঠেনি। তাই আবারও ভাবছি সময় পেলে দেখে নেব।
নাটকের রিভিউ পোস্টগুলো পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এই নাটকটার রিভিউ সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ টা লিখেছেন। আপনার রিভিউর কারণেই নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী জানতে। সুস্থ হওয়ার পরে জোভান এবং নিহা দুজনে আবারও সুন্দর করে জীবন শুরু করেছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। নাটকটার পুরো কাহিনী কিন্তু সত্যি দারুন ছিল এটা বলা লাগে।
হৃদয়ে হৃদয় নাটকটি আমি গতকাল দেখেছিলাম। জোভান এর নাটক গুলো ভীষণ ভালো লাগে। এদের দুজনের জুটি বেঁধে নাটক গুলো ভীষণ ভালো লাগে। নাটকটির গল্প ছিলো অসাধারন। আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই নাটকটা বাস্তবধর্মী কাহিনী নিয়ে তৈরি করেছে। অনেকেই দেখা যায় পিকনিকে গেলে অনেক মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। জোভানও পিকনিক এ গিয়ে একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জোভান মেয়েটিকে সত্যিকার অর্থে ভালোবেসেছিল জন্যই তার বিয়ের পরে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও সে আবার তাকে নিজের করে নিয়েছে। ভালো লাগলো নাটকটি এই রিভিউ পড়ে। সময় পেলে দেখতে হবে।
আপনি রিভিউ পোস্ট লেখার নিয়মগুলি ভালোভাবে পড়ে নেন। রিভিউ পোস্ট টা এমনভাবে লিখবেন যাতে করে মানুষ দেখার আগ্রহ পায়। পুরো ঘটনাটা যদি আপনি বলে দেন তাহলে অনেকে আগ্রহ হারাবে।
ঠিক আছে ভাইয়া, পরবর্তী পোস্ট থেকে সব কিছু আরো সুন্দর করার চেষ্টা করবো।