লাইফ স্টাইলঃ গ্ৰামের মধ্যে পিকনিক খাওয়ার অনুভূতি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
বেশ কিছুদিন আগে আমরা আমাদের গ্ৰামে একটি বড় পরিসরে ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিলাম। সিনিয়র এবং জুনিয়র মিলে এই খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।আর এই খেলায় যে দল জিতবে সে দল একটি পিকনিকের আয়োজন করবে।আর যে দল হেরে যাবে সে দল পিকনিকের জন্য প্রতি জন তিনশত টাকা করে দিবে। এখন খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে যায়, সিনিয়র, জুনিয়র বেশ ভালোই খেলছিল। খেলার শেষ পর্যন্ত কোন দল কাউকে গোল দিতে পারেনি। এরপর ট্রাইব্রেকারের সিনিয়র দল এক গোল বেশি দিয়ে উইন হয়ে যায়। এখন খেলার পর দিন সিনিয়র দল একটি বিশাল পিকনিকের আয়োজন করে।আর এই পিকনিকের মধ্যে জুনিয়র দলের খেলোয়াড়রা তাদের ধার্যকৃত টাকা দিয়ে পিকনিকের মধ্যে অংশগ্রহণ করে।
আমি যেহুতু সিনিয়র দল হিসেবে খেলেছি, সেহেতু আমাকে ও পিকনিকের আয়োজনের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে হবে।তাই পরদিন দুপুর বেলার মধ্যে আমরা সকলে মিলে ডেকোরেটর থেকে সব কিছু জিনিস পত্র এনে সেট করে নিলাম। আমরা মোট চারটি বক্স নিয়ে এসেছিলাম, এবং সাথে মিক্সার বোর্ড। আমরা জোহরের নামাজের পর থেকে গান বাজনা শুরু করে দিলাম।চারটি বক্সের সাউন্ড প্রচুর, তাই চারটি বক্স চার পাশে ঘুরে দিলাম। এখন সকলেই শুধু অপেক্ষা করতেছে কখন রাত হবে! কেননা যেহুতু সকলেই ছেলে মানুষ, তাই সকলে মিলে অনেক মজা করবে।
এরপর সন্ধ্যা নেমে পড়লো। কয়েকজন ছেলে পিকনিকের বাজার করার জন্য বাজারে চলে গেল। আমরা কয়েকজন ছেলে তখন সেখানে ছিলাম, আমরা সকলে মিলে অনেক ড্যান্স করছিলাম।একটি রঙ্গিন লাইট লাগিয়েছিলাম, সে লাইটটি গানের তালে তালে আলো পরিবর্তন করেছিল।আমরাও লাইটের আলোর সাথে সাথে ড্যান্স করছিলাম।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বাজারকারীরা বাজার নিয়ে আসলো। এরপর আমরা একজন বাবুর্চি কে ফোন করলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বাবুর্চি চলে আসলো। আমরা ডেকোরেটর থেকে রান্না করার জন্য একটি বড় পাতিল নিয়ে এসেছিলাম, কারণ পিকনিকের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি।তাই বড় পাতিল না হলে রান্না করতে অসুবিধা হবে। এরপর আমরা ছেলে গুলো সব কিছু প্রস্তুত করে দিলাম। অবশ্য আমরা এ গুলো বাবুর্চি আসার আগেই প্রস্তুত করে রাখছিলাম।
যেহুতু আমরা বিরিয়ানি দিয়ে পিকনিক খাবো,তাই বাবুর্চি প্রথমে গরুর মাংস গুলো রান্না করে নিলো। এরপর চাল গুলো একটু সিদ্ধ করে এই গরুর মাংস গুলো চালের মাংসের মধ্যে ঢেলে দিবে।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের বিরিয়ানি রান্না শেষ হয়ে যায়। এখন আমরা বিরিয়ানি গুলো চুলা থেকে মাটিতে নামিয়ে রাখলাম, কেননা বিরিয়ানি গুলো প্রচুর পরিমাণে গরম ছিল।আর এই বিরিয়ানি ঠান্ডা করার জন্য মাটির মধ্যে পাতিল টি নামিয়ে রাখছিলাম। এরপর আমরা এই সময়ের মধ্যে প্লেট গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমরা আবার বিরিয়ানি গুলোতে হাত দিয়ে দেখতে পারলাম, বিরিয়ানি গুলো এখনো প্রচুর পরিমাণে গরম।তাই আমরা বিরিয়ানি গুলো প্লেটের মধ্যে তুলে রাখলাম। এখন বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বিরিয়ানি গুলো ঠান্ডা হয়ে গেল।
এখন বিরিয়ানি গুলো বেশ ঠান্ডা হয়ে গেল। এখন আমরা প্রত্যেকে একটি করে প্লেট হাতে নিয়ে চেয়ারের মধ্যে বসে পড়লাম এবং সবাই মিলে একসাথে খেতে শুরু করলাম। আমরা যখন খেতে শুরু করছিলাম তখন রাত প্রায় দুইটা বেজেছিল। আসলে পিকনিকের মধ্যে খাওয়া দাওয়া বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে মজা মাস্তি। খাওয়া দাওয়া যেমনি হোক না কেন মজা থাকলে আর কিছু লাগে না। অর্ধেক রাত পর্যন্ত মজা করেছি এরপর খেতে বসেছি। আসলে যারা পিকনিক খেয়েছেন তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। পিকনিকের পুরো রাতটি আমরা বিভিন্ন ভাবে মজা করেছি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/riyad_xx2/status/1763057108323553356?t=stn2sL33Nexh40UqTdvlog&s=19
গ্রামের মধ্যে এরকম পিকনিকের আয়োজন করে সেখানে সমবয়সী বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করার মজাই আলাদা। আর এরকম পিকনিক করতে আমিও অনেক পছন্দ করি। এরকম পিকনিকের সব থেকে আনন্দের বিষয় হল বক্সের গান শোনা এবং বক্সের গানের তালে তালে নাচার চেষ্টা করা। যাহোক চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আসলে সম বয়সীরা একসাথে গ্ৰামের মধ্যে পিকনিক খেতে পারলে অনেক বেশি মজা হয়। আসলে যারা গ্ৰামের মধ্যে পিকনিক খেয়েছে শুধু তারাই এ বিষয়ে ভালো জানেন।
গ্রামীন পিকনিক গুলাতে অনেক বেশি মজা হয় আমিও মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে এ ধরনের পিকনিক করে থাকি। যাইহোক সিনিয়র দলের কাছে জুনিয়র দলরা হেরেছে তাই টাকা দিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেকে আছেন যারা শহরে বসবাস করে, কিন্তু গ্ৰামের মধ্যে পিকনিকের আয়োজন করে থাকলে তারা শহর থেকে গ্ৰামের মধ্যে ছুটে এসে পিকনিকের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন। আসলে গ্ৰামের পিকনিক গুলো তে একটু বেশি মজা হয়।
এ জাতীয় গ্রাম্য পিকনিক গুলো আমার ভালো লাগে তবে গান-বাজনা পছন্দ হয় না কারণ এতে মানুষকে বিরক্ত করা হয় আর মানুষের বদদোয়া কুড়ানো হয়। তবে পিকনিকের আনন্দটা বেশ মধুর হয় চেষ্টা করা যায় গান ছাড়াই পিকনিক করা। তবে যাই হোক আশা করা যায় আয়োজনটা বেশি দারুন ছিল।
আসলে গান বাজনা বেশিরভাগ মানুষের ভালো লাগে না। কিন্তু বর্তমান জেনারেশনের ছেলেদের গান বাজনা ছাড়া পিকনিক টি যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
পিকনিক আমাদের সকলের ভালো লাগে৷ এই পিকনিক যখন গ্রামীন পরিবেশে করা হয় তখন তার কথা আর কি বলবো। আপনারা সকলে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না৷ আপনারা জুনিয়ররা আপনাদের সিনিয়রদের কাছে হেরে গিয়েছেন, সেই কারণেই আপনারা সে পিকনিকের আয়োজন করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ এরকম আয়োজন আমাদের এখানেও বিভিন্ন সময় করা হয়ে থাকে৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷