যানবাহন
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে যানবাহন সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
আসলে প্রাচীনকালে মানুষ দূর-দূরান্তে যাওয়ার জন্য কোন যানবাহনের ব্যবস্থা ছিল না অর্থাৎ তখনকার সময় যানবাহনের আবিষ্কার হয়নি। তখনকার সময় মানুষ বহুদূর অবধি পায়ে হেঁটে যেত। এর ফলে তাদের সামান্য পথ যেতে অনেক বেশি সময় লাগতো এবং অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রম হতো। এছাড়াও কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের তাদের কোন একটা স্থানে পৌঁছানোর জন্য তাকে কয়েক দিন আগে থেকে সেই স্থানে যাওয়ার জন্য রওনা দিতে হতো। তাই এসব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ সবসময় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করতে শুরু করে দিল। যাতে করে তাদের আর এই দূর দুরান্তের পথ কষ্ট করে হেঁটে না যেতে হয়।
আর এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই প্রথম উদ্ভব হল চাকা। আসলে চাকার আবিষ্কার প্রাচীনকালের সব থেকে বড় একটি আবিষ্কার। আর যখন প্রথম চাকার আবিষ্কার হলো তারপর থেকেই মানুষ আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে লাগলো এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহন তৈরি করতে শুরু করে দিল। আসলে যানবাহন ব্যবহারের ফলে মানুষ বুঝতে পারল যে তাদের এক দিক থেকে যেমন কম কষ্ট হচ্ছে এবং অন্য দিক থেকে তারা কম সময়ে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে। আর এইভাবে মানুষ তার আগের থেকে কষ্ট অনেকটা কম করতে পেরেছিল।
আসলে বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে রাস্তাঘাটে যানবাহন ছাড়া হাঁটার একটুকুও রাস্তা থাকে না। কারণ আমার কাছে মনে হয় যে জনপ্রতি একজনের একটি করে যানবাহন রয়েছে এই পৃথিবীতে। কিন্তু কিছুদিন আগেও মানুষ এত যানবাহনের ব্যবহার শেখেনি। আর এই অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে মানুষের যাতায়াত যেমন দ্রুত হয়েছে তেমনি অন্য দিক থেকে পরিবেশ দূষণ অনেক অংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ আগেরকার সময়ে ইঞ্জিন চালিত কোন যানবাহন ছিল না। তখনকার সময় প্রচলিত যানবাহন হলো ঠেলাগাড়ি অথবা গরুর গাড়ি। এই গরুর গাড়িতে করে মানুষ দূর দুরান্তের পর অতিক্রম করতো।
কিন্তু যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে অর্থাৎ ইঞ্জিন আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা আরো অনেক বেশি উন্নত হলো এবং দ্রুতগামী হলো। আর এরপর থেকেই মানুষ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছে এই ইঞ্জিন আবিষ্কার পর থেকে। আসলে ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যতটা এগিয়ে গেছে তার থেকে অনেক বেশি গুণ এই ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর মানুষ এগিয়ে গেছে। আসলে এভাবে যানবাহনের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে করে পরিবেশ একদিক থেকে দূষিত হচ্ছে এবং মানুষের অনেক নানা ধরনের রোগ ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে। তাইতো অতিরিক্ত যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশকে আমাদের সবসময় দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
একসময় শুনতাম ছাত্র ছাত্রীরা মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে স্কুলে যেতো। আর এখন তো ১০ মিনিটের পথ হলেও, প্রাইভেট কার কিংবা রিকশায় চড়ে স্কুল কলেজে যায়। সারা বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনে হয়তোবা যানবাহনের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা যেমন যানবাহনের সুফল ভোগ করছি, তেমনি কুফলও ভোগ করছি। কারণ যানবাহনের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আসলে প্রতিটি জিনিসের ভালো দিক এবং খারাপ দিক থাকে। তবে আমাদের উচিত পরিবেশ রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ইঞ্জিন আবিষ্কারের পরে মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। যত আধুনিক যন্ত্রপাতি উঠেছে তত মানুষের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই সমস্ত যন্ত্রপাতির ব্যবহার যানবাহনের ব্যবহার সঠিক মাত্রায় না করতে পারলে তার জন্য রয়েছে ভয়ানক পরিস্থিতি। যেমন প্রতিনিয়ত রোড এক্সিডেন্ট তার অন্যতম উদাহরণ।
ইঞ্জিন আবিষ্কারের বিষয়টা নিঃসন্দেহে বলতে পারে আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তবে তার সঠিক মাত্রার ব্যবহার এবং লিমিটের মধ্যে থাকাটা প্রয়োজন রয়েছে। আজ যেমন পরিবেশের ক্ষতি সাধন হচ্ছে ঠিক তেমনি ক্ষতি হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন দিক থেকে। একদিকে সুস্থতা নিয়ে যেমন হুমকির সম্মুখে যেতে হচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কারণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই এই আধুনিক সভ্যতাকে আমরা বরণ করবো সঠিক মাত্রায় সঠিকভাবে এবং নিয়মের মধ্যে।