ছোট্ট ঘটনার বড় পরিণতি।

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সাময়িক উত্তেজনার বসে মানুষ মাঝে মাঝে কতো বড়ো ভুল করে বসে। সে রকম একটি ঘটনাই পত্রিকায় পড়ছিলাম। ঘটনাটা ছিলো এমন এক শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী কিশোর গিয়েছে মসজিদে নামাজ পড়তে। নামাজ শেষে যখন কমিটির লোকজন তাদের দৈনন্দিন কালেকশন গুণছিলো সেই সময় কিশোর মসজিদের বারান্দায় উচ্চস্বরে চেঁচামেচি করছিলো। তার চেঁচামেচিতে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি সে কিশোরকে গিয়ে একটা থাপ্পড় দেন। পরবর্তীতে সে কিশোর কান্না করতে করতে তার বাড়িতে গিয়ে তার দুই মামাকে ইশারা ইঙ্গিতে ঘটনাটি জানান। প্রতিবন্ধী ভাগ্নের মার খাওয়া দেখে দুই মামার মাথায় রক্ত উঠে যায়। তারা সাথে করে আরো কিছু লোকজনকে এনে মসজিদ কমিটির সভাপতির সাথে তর্কে লিপ্ত হয়।

Screenshot_20240408_090915.jpg

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের ভেতরে একজন মসজিদ কমিটির সভাপতির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে সেই সভাপতি ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুসল্লীরা তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। এখন সেই প্রতিবন্ধী কিশোরের আত্মীয়স্বজন সবাই পলাতক রয়েছেন। দেখুন ছোট্ট একটা ঘটনা কিভাবে আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। গতকাল দুপুরের আগ পর্যন্তও এই দুটি পরিবার পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি পরিবারের জীবন পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেলো।


মসজিদ কমিটির সভাপতি ভদ্রলোক মারা গেলেন। আর তাকে খুন করার অপরাধ মাথায় নিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরদের পরিবার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকেও একসময় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কতোদিন আর পালিয়ে বেড়াবে? এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই রয়েছে। সাময়িক উত্তেজনার বসে কখনোই নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো উচিত না। তাতে ছোট্ট একটা ঘটনা থেকে অনেক বড়ো সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। এমনকি জীবনও চলে যেতে পারে। এইজন্য আমাদের উচিত এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা। তাহলে অনেক সময় অনেক বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যাবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

দুঃখজনক ঘটনা। আসলে ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়েই অনেক বড় আকার ধারণ করে। এজন্য খুব সাবধানতার সঙ্গে আমাদেরকে চলা উচিত কি করলে ভালো হবে কি করলে খারাপ হবে এগুলো ভাবা উচিত। সুন্দর দুটি পরিবার ভুলের কারণে নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। প্রতিবন্ধী বাচ্চার সাথে ও রকম চেচামেচি না করলেও পারতেন আবার প্রতিবন্ধী বাচ্চার মামারা এসে গায়ে না হাত তুলে অন্যভাবেও বোঝাতে পারতেন বিষয়টা । ঘটনাটি তুলে ধরে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last month 

ঘটনাটি জেনে আসলেই খুব খারাপ লাগলো। রাগের বশে আমরা বেশিরভাগ সময়ই ভুল কাজ করে ফেলি। তাইতো সবসময় রাগ কন্ট্রোল করা উচিত। নয়তোবা এমন অনাকাঙ্খিত বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। তবে এখানে মসজিদ কমিটিরও দোষ রয়েছে। প্রতিবন্ধী কিশোরকে থাপ্পড় দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63060.85
ETH 3455.18
USDT 1.00
SBD 2.51